মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি
২
অনুবাদক/সঙ্কলকের কথা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/2
نحمده ونصلى على رسوله الكريم اما بعد ـ
মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে লাখো, কোটি শুকরিয়া যে, কুরআন, সহীহ হাদীস ও সালাফে-সালেহীনদের বিশ্লেষণের আলোকে আমরা ‘‘তাফসীরু : হুক্মি বি-গয়রি মা-আনযালাল্লাহ’’ বইটি প্রকাশ করতে পেরেছি। এ গ্রন্থটি মূলত অনুবাদ ও সঙ্কলন। গ্রন্থটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল, যেসব মুসলিম শাসক নিজ নিজ দেশে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করছে না, তারা কি কেবল এ কারণেই সুস্পষ্টভাবে মুরতাদ-কাফির? নাকি তাদের এই কার্যক্রমের কারণে পরিস্থিতি বিশেষে তারা কবীরা গোনাহে লিপ্ত পাপী মুসলিম (সালাত ক্বায়েমের শর্তে)? আবার পরিস্থিতি বিশেষে (দ্বীনের ছোট বা বড় বিষয়কে অবজ্ঞা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য কিংবা বিরোধিতার কারণে) সুস্পষ্ট মুরতাদ-কাফির? এ পর্যায়ে মুসলিম দেশগুলোর শাসকদের ব্যাপারে ঢালাওভাবে কোন কোন মহল সুস্পষ্ট কাফির ও তাদের রক্ত হালাল হওয়ার ফাতওয়া জারি করে ক্ষমতা দখল ও দেশবিরোধী নানাবিধ তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এ ফাতওয়া জারি হওয়ার মূলে রয়েছে, কুরআনের শাব্দিক অর্থকে ব্যবহার। [. শাব্দিক বিশ্লেষণ ও তার দাবি জানার জন্য পড়ুন এই বইয়ের ‘‘শাসক বা বিচারককে কখন কাফির গণ্য করা যাবে?’’- আলোচনাটি।] পক্ষান্তরে এর প্রয়োগিক অর্থ সাহাবীগণ (রা) এবং পরবর্তী ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ (রহ) (সালাফে-সালেহীন) কিভাবে নিয়েছিলেন তা থেকে দূরে থাকা। যারা কুরআন ও হাদীসের দাবি উপস্থাপনে এই পথ থেকে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন, তাদেরকেই এখানে খারেজী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমরা শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)-কে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখি। আমরা তাঁর (রহ) দু’টি গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ এখানে সংযুক্ত করেছি। যা এই বইটির প্রধান আকর্ষণ। প্রথমটি হল, তাঁর তাহক্বীক্বকৃত ‘‘সিলসিলাতুল আহাদীসুস সহীহাহ’’-এর ষষ্ঠ খণ্ডের হাদীস নং ২৫৫২, ২৭০৪ এর উপস্থাপনা। দ্বিতীয়টি হল, তাঁরই ‘‘ফিতনাতুত তাকফীর’’ (শায়খ উসায়মীন (রহ)-এর টীকাসহ) পুস্তিকাটি। এর ফলে তিনি ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন। তাঁর সমালোচনাকারীদের অন্যতম যুক্তি হল :
১.লেখকের স্বপক্ষের দলিলগুলো সমালোচনামুক্ত নয়।
২.কুরআনের সুস্পষ্ট দলিলের বিরোধী।
এ পর্যায়ে আমি লক্ষ করেছি- উভয় পক্ষই নিজ নিজ সমর্থনে কুরআনের আয়াত ও পছন্দমত সালাফদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এমনকি এ বিষয়ে উভয় পক্ষেরই পরস্পরের বিরুদ্ধে ব্যাপক পুস্তক/পুস্তিকাও রয়েছে। এই বিতর্কের প্রকৃত সমাধান রয়েছে নবী (স) ও সাহাবীগণ (রা) তৎকালীন প্রেক্ষাপটে কুরআনের আয়াতগুলোর বাস্তব দাবি কীভাবে প্রয়োগ করেছিলেন তার উপর। যা আমি স্বতন্ত্রভাবে ‘‘আক্বীদাগত ও আমলগত কুফরের দৃষ্টান্ত’’ [.‘আক্বীদাগত ও আমলগত কুফরের দৃষ্টান্ত’ : এই অংশে (১) মুনাফিক্ব, (২) খারেজী, ও (৩) গোমরাহ শাসকদের প্রতি মুসলিমদের আচরণ, দায়িত্ব-কর্তব্য ও তার সীমারেখা কেবল কুরআন ও সহীহ হাদীসের বিতর্কমুক্ত সূত্রের আলোকে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রমাণ করা হয়েছে, তাদের ঈমান ও আমল আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রসূলের (স) কাছে অগ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাখ্যাত হওয়া সত্ত্বেও নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যা মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)-র উপস্থাপিত দলিলগুলোর দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করে (যদিও তিনি (রহ) নিজ প্রমাণের স্বপক্ষে সাহাবী ইবনু আব্বাস (রা) এর তাফসীরটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। যা তাঁর প্রতিপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি)। পক্ষান্তরে যারা তাঁর বিরোধিতা করেছেন, তারা যে নবী (স) ও সাহাবীদের (রা) তৎকালীন প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ না করে কেবল শাব্দিক তরজমা দ্বারা দলিল উপস্থাপন করেছেন তা সুস্পষ্ট।] ও ‘‘হাকিম ও হুকুম সম্পর্কিত আয়াতের বিশ্লেষণ’’ [.‘হাকিম ও হুকুম সম্পর্কিত আয়াতের বিশ্লেষণ’ : এই অংশে কুরআনে উল্লিখিত হাকিম ও হুকুম সংক্রান্ত আয়াতগুলো দ্বারা যে তাকফীরের ফিতনাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, ঐ আয়াতগুলো নবী (স)-এর ওপর নাযিল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর এ ধরনের কোন তৎপরতার প্রমাণ পাওয়া যায় না। আক্বীদাগতভাবে তাদের ঈমানহানির কথা কুরআন ঘোষণা করা সত্ত্বেও নবী (স) কর্তৃক ঐ সব আয়াতের সাথে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারে কোন কঠিন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। যার উদাহরণ পূর্বোক্ত টীকারই অনুরূপ।] অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। এছাড়া সাক্ষ্যমূলক প্রমাণ হিসাবে ‘‘আয়াতে তাহকীম ও প্রসিদ্ধ তাফসীর’’ [.‘আয়াতে তাহকীম ও প্রসিদ্ধ তাফসীর’ : এই অংশে পূর্ববর্তী প্রসিদ্ধ ও উপমহাদেশের সর্বমোট দশজন মুফাসসির থেকে আয়াতটির প্রকৃত তাফসীর উল্লেখ করা হয়েছে। যার ফলে সুস্পষ্ট হয়েছে, মুফাসসিরগণ উক্ত তাফসীরের ব্যাপারে একই পথের অনুসরণ করেছেন।], ‘‘আয়াতে তাহকীম ও সালাফে সালেহীন’’ [.‘আয়াতে তাহকীম ও সালাফে সালেহীন’ : এই অংশে সর্বজনস্বীকৃত ইমাম ও মুহাদ্দিসদের ‘আয়াতে তাহক্বীম’ সম্পর্কে মতামত উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অনেক আধুনিক ও পূর্ববর্তী শায়খ এবং ইমামদের অনেক স্ব-বিরোধী বক্তব্য থাকায়- বিরোধী পক্ষ বিতর্কটি স্থায়ী রাখার সুযোগ পেয়েছে। এর সমাধান হল, বিতর্ক দেখা দিলে আমরা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে যাব (সূরা নিসা : ৫৯ আয়াত)। তবে বিরোধীপক্ষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সালাফদের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটও বিবেচনায় আনেনি।] প্রভৃতি শিরোনাম উল্লেখ করে এই বইয়ে নিজের পক্ষ থেকে সংযোজন করেছি। তাছাড়া শায়খ ইবনু বায (রহ)-এর ‘‘ঈমান, কুফর, ইরজা‘ ও মুরজিয়া’’ [.এ প্রবন্ধটির মাধ্যমে ‘ঈমান, কুফর, ইরজা‘ ও মুরজিয়া’ সম্পর্কে দ্বিধা-দ্বন্দ দূর হবে ইনশাআল্লাহ।], সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ) লিখিত ‘ইবাদত ও ইতাআত’ [.এই প্রবন্ধটির মাধ্যমে শায়েখ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রা) ‘ইবাদত ও ইতাআত’-এর মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকার বিষয়টি প্রমাণ করেছেন। যারা মনে করেন রাষ্ট্রের ইতাআত প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের ‘ইবাদত করা তথা শিরক- তাদের ভুলগুলো তিনি শুধরিয়ে দিয়েছেন।] প্রবন্ধটি অনুবাদ করে স্বতন্ত্র শিরোনামসহ এই পুস্তকে সংযোজন করেছি। সবশেষে সংযোজন করেছি ‘‘তাহক্বীক্বকৃত আমাদের হাকিম কেবলই একজন’’ [.‘‘তাহক্বীক্বকৃত আমাদের হাকিম কেবলই একজন’’ : এটি একটি স্বতন্ত্র পুস্তিকা। যা ‘‘জামআতুল মুসলিমীন’’ (পাকিস্তান)-এর ‘‘আমাদের হাকিম কেবলই একজন- আল্লাহ’’-এর তাহক্বীক্ব। এই বইটির উপস্থাপনাও কুরআনের শাব্দিক আয়াতের আলোকে করা হয়েছে। এই তাহক্বীক্বের মাধ্যমে সেগুলোর সংশোধন করা হয়েছে। যা পাঠ করলে সম্মানিত পাঠক ‘হাকিম ও হুকুম’ সংক্রান্ত প্রায় সবগুলো আয়াতের প্রকৃত দাবি বুঝতে পারবেন। তাছাড়া এর ভূমিকাতে সংযুক্ত হয়েছে খারেজীদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।] -যা পাঠকদের এই বিতর্ক সমাধানে সহযোগিতা করবে, ইনশাআল্লাহ।
কেবল অনুবাদ নয়, যেন সাধারণ মানুষ সেগুলো বাংলায় অনূদিত হাদীস ও অন্যান্য গ্রন্থে সহজেই খুঁজে পান সেজন্য প্রয়োজনীয় সূত্রও উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। তবে সংগত কারণেই হাদীসের তাহক্বীক্বগুলো মূল আরবি গ্রন্থ থেকেই নিতে হয়েছে। আলোচনার স্বপক্ষে অন্যান্য দলিল থাকলে তা-ও আমার পক্ষ থেকে টীকাতে উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। এ পর্যায়ে মানুষ হিসেবে ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যাওয়াটা অকপটে স্বীকার করছি। সম্মানিত পাঠক ও গবেষকদের সুচিন্তিত পরামর্শে পরবর্তী সময়ে সেগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার, সংশোধন ও সংযোজন করব, ইনঁশাআল্লাহ।
আল্লাহর কাছে এই দুআই করছি, তিনি যেন কুরআন ও সুন্নাহর প্রকৃত ইলম অর্জন ও তার প্রচার-প্রসারের ব্যাপারে উন্মুক্ত চিন্তা দান করেন, সাথে সাথে সত্য গ্রহণ সব ধরনের মানসিক সংকীর্ণতা দূর করে দেন। আমিন!!
নিবেদক
কামাল আহমাদ
পুরাতন কসবা, কাজীপাড়া, যশোর-৭৪০০।
ই-মেইল : kahmed_islam05@yahoo.com
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/2
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।