মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি
২৮
মুরতাদ সম্পর্কিত হুকুমের বাস্তবায়ন
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/28
আমি হাকিম/শাসকদের কাফির সম্বোধনকারীদের বলছি, আপনাদের কথানুযায়ী যদি মেনে নিই যে, এই বিচারক/শাসকদের কুফর প্রকৃতপক্ষেই মুরতাদ হওয়ার কুফর। আর এদের উপর আরেকজন উর্ধ্বতন হাকিম/শাসক আছে যার প্রতি ওয়াজিব হল পূর্বোক্ত হাদীসের আলোকে হদ জারি করা। প্রশ্ন হল, আমলী দৃষ্টিতে যদি ধরে নেয়া হয় যে, সমস্ত হাকিম/শাসকরা কাফির মুরতাদ- সেক্ষেত্রে আপনাদের সফলতাটাই বা কি? আপনাদের পক্ষে কি এটা বাস্তবায়ন সম্ভব?
এই কাফিররাই (আপনাদের দাবিনুযায়ী) তো অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের শাসনকর্তা ও ক্ষমতার অধিকারী। আর এর চেয়ে বেশি আফসোসের বিষয় হল, আমাদের এখানে ইয়াহুদীরা ফিলিস্তিন দখল করে আছে। প্রশ্ন হল, আপনারা বা আমি এর কি পরিবর্তন করতে পারছি? আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি যেসব শাসককে কাফির বলে গণ্য করছে- আপনারা কি তাদের বিরোধিতায় কোন কিছু করার সাহস রাখেন? [. শায়েখ উসায়মীন (রহ) বলেছেন : এটা শায়েখ আলবানীর খুব সুন্দর বক্তব্য। যে সমস্ত লোকেরা শাসকদের কাফির বলছে, তারা কি এর দ্বারা কোন সহযোগিতা করতে পারছে? তারা কি ঐ শাসকদের থেকে মুক্ত/পৃথক হতে পারছে? না, তারা সে ক্ষমতা রাখে না। কেননা ইয়াহুদীরা বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখল করে আছে, অথচ সমস্ত উম্মাত- আরব কিংবা অনারব তাদের ঐ দখলদারিত্বের কোন অবসান ঘটাতে পারেনি। তাহলে আমরা কিভাবে ঐ সমস্ত শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলব যারা আমাদের উপর হুকুমাত চালাচ্ছে ? অথচ আমরা এটা জানি যে, তাদের আমরা উৎখাত করতে সক্ষম নই। তাছাড়া এটাই অনুমিত হয় যে, আমাদের চেয়ে এ ব্যাপারে যারা অগ্রগামী তারা কেবল খুন, ডাকাতি ও সর্বোচ্চ সুনাম-সম্ভ্রম লুট করা ছাড়া অন্য কোন কার্যকরী ফলাফল আশা করতে পারছে না। অনুরূপভাবে আমরা (এই সব শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করলে) এর চেয়ে আর ভাল কিছু করতে পারব না। সুতরাং এতে কি-ই-বা ফায়েদা আছে? অথচ যদি কোন মুসলিম আন্তরিকভাবে এ আক্বীদা রাখে যা তার ও তার রবের মধ্যকার বিষয়ে- ঐ শাসকদের মধ্যে কেউ কেউ এমন যাদের কুফর প্রকৃতপক্ষেই দ্বীন ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এরপরও এটা ঘোষণা দিয়ে ও প্রচার করে, এর দ্বারা ফিতনার আগুনে হাওয়া দিয়ে- আর কি-ই-বা ফায়দা হতে পারে। এ কারণে শায়েখ আলবানী আলোচ্য উক্তি অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু তাঁর সাথে এ মাসআলায় মতপার্থক্যের অবকাশ আছে যে, তিনি (আলবানী) তাদের প্রতি কুফরের হুকুম লাগান না। তবে কেবলমাত্র তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করেন, যারা আন্তরিকভাবে এটা হালাল হবার আক্বীদা রাখে। এ মাসআলার ব্যাপারে আরো কিছু চিন্তা ও গবেষণার প্রয়োজন আছে। কেননা আমাদের এই বক্তব্য ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ’র হুকুম মোতাবেক ফায়সালা করে, কিন্তু সে এই আক্বীদা রাখে যে, গায়রুল্লাহ’র হুকুম বেশী উপযুক্ত তবে সে কাফির। যদিওবা সে আল্লাহ’র হুকুম মোতাবেক ফায়সালা করে। তার এ কুফর তো আক্বীদাগত (প্রকৃত) কুফর।’’শায়েখ আলবানী (রহ) উক্ত বক্তব্যের ব্যাপারে বলেছেন : আমি তাঁর (শায়েখ উসায়মীনের) বক্তব্যে কোনরূপ মতপার্থক্য দেখছি না। কেননা আমরা তো এটাই বলছি যে, যদি কোন ব্যক্তি বা হাকিম এটা মনে করে যে, অইসলামী আইন ইসলামী আইন থেকে উত্তম- যদিওবা সে আমলগতভাবে ইসলামী আইন অনুযায়ী ফায়সালা করুক না কেন, সে কাফির। সুতরাং প্রমাণিত হল, এ ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই। কেননা আসল বিষয় তো যা মানুষের অন্তরে রয়েছে- সেটাই ধর্তব্য (যখন তা প্রকাশ পায়)। কিন্তু আমাদের আলোচনা তো আমল সম্পর্কিত। আর আমার ধারণা এটা অসম্ভব যে, কেউ অইসলামী আইন জারি করল যা দ্বারা আল্লাহ’র বান্দাদের মধ্যে সে ফায়সালা করে, তবে যদি সেটাকে ইস্তিহলাল (বৈধ) করে এবং এই আক্বীদা রাখে যে, এটা শরিয়াতী আইনের চেয়ে উত্তম। তবে সুস্পষ্ট কথা হল, সে কাফির। অন্যথা কোন্ জিনিস তাকে সে দিকে ধাবিত করল (যার ফলে সে শরিয়াত বিরোধী ফায়সালা করল)।অবশ্য এ দৃষ্টিভঙ্গি সম্ভব যে, যে বিষয়টি তাকে সে দিকে ধাবিত করল তা হল- সে এমন কোন শক্তিকে ভয় করছে যে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। আর সে যদি উক্ত শরিয়াত বিরোধী ফায়সালা জারি না করে তবে তারা তার ব্যাপারে প্রভাব বিস্তারের বা চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করবে। এ পর্যায়ে আমি বলব, তার হুকুম অন্যান্য ঐ সব পাপের হুকুমের মত যেসব ব্যাপারে জবরদস্তি বা চাপের মুখে সংঘটিত আমলের হুকুম প্রযোজ্য। যে বিষয়টি আলোচ্য অনুচ্ছেদের সবচে গুরুত্বপূর্ণ তা হল ‘মাসআলায়ে তাকফীর’। যা এই আমল তথা ঐ সমস্ত হাকিম/শাসকের বিরোধিতায় প্রয়োগ করা হচ্ছে- আর এটাই আসল সমস্যা। জি হাঁ, যদি মানুষের কাছে এতটা শক্তি সামর্থ্য থাকে যে, সে প্রত্যেক কাফির হাকিম/শাসককে নির্মূল করতে পারে। তবে আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। তবে শর্ত হল, তারা হাদীসে উল্লিখিত শর্ত মোতাবেক পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট কুফর দেখে এবং এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা’র পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দলিল থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই মাসআলাটি কোন নতুন নয় এবং এর বাস্তবায়নও সহজসাধ্য নয়- [শায়েখ আলবানী (রহ)]।-উর্দু অনুবাদক]
এ কারণে এটা কতই না ভাল হত, যদি এ বিষয়টি এক দিকে রেখে দেয়া হয় এবং ঐ সমস্ত ব্যাপারে জোর তৎপরতা চালানো দরকার যার মাধ্যমে একটি সত্যিকারের ইসলামী হুকুমাত ক্বায়েম করা সম্ভব হয়। যা সম্পূর্ণরূপে নবী (স)-এর সুন্নাতের অনুসরণে হবে, যার ব্যাপারে তিনি (স) তার সাহাবীদের শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং যার ভিত্তিতে রীতি ও নীতিমালা নির্ধারণ হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/28
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।