hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফিতনাতুত-তাকফীর

লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি

২৩
আয়াতে তাহকীমের সহীহ সালাফী তাফসীর
ঐ সমস্ত গোমরাহ ফিরক্বার মধ্যে একাধারে প্রাচীন ও আধুনিক ফিরক্বা হল খারেজী। তাকফীরের আসল ভিত্তি যা ইদানীং চারদিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তা হল কুরআনুল কারীমের নিম্নোক্ত আয়াত। যা এই লোকেরা সব সময় উপস্থাপন করে আসছে :

وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ

‘‘যারা আল্লাহ’র নাযিলকৃত আইন দ্বারা বিচার করে না, তারাই কাফির।’’ [.সূরা মায়িদা : ৪৪ আয়াত।]

আমরা সবাই জানি যে, এই আয়াতের সাথে সম্পর্কিত আয়াতগুলোতে তিনটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে :

وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ

‘‘যারা আল্লাহ’র নাযিলকৃত আইন দ্বারা বিচার করে না, তারাই কাফির।’’ [.সূরা মায়িদা : ৪৪ আয়াত।]

وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

‘‘যারা আল্লাহ’র নাযিলকৃত আইন দ্বারা বিচার করে না, তারাই যালিম।’’ [.সূরা মায়িদা : ৪৫ আয়াত।]

وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

‘‘যারা আল্লাহ’র নাযিলকৃত আইন দ্বারা বিচার করে না, তারাই ফাসিক্ব।’’ [.সূরা মায়িদা : ৪৭ আয়াত।]

তারা নিজেদের অজ্ঞতার কারণে উক্ত আয়াতগুলো থেকে প্রথম আয়াতটি দ্বারা দলিল গ্রহণ করছে। অর্থাৎ-

وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ

‘‘যারা আল্লাহ’র নাযিলকৃত আইন দ্বারা বিচার করে না, তারাই কাফির।’’ [.সূরা মায়িদা : ৪৪ আয়াত।]

তাদের উচিত ছিল, কমপক্ষে যেসব দলিলে ‘কুফর’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোকে কষ্ট করে হলেও একত্রিত করা। পক্ষান্তরে তারা এই একটি আয়াতে বর্ণিত ‘কুফর’ শব্দ দ্বারাই দ্বীন থেকে খারিজ ঘোষণা করছে। এরফলে, তাদের কাছে কোন মুসলিম যদি এই কুফরে লিপ্ত হয়, তবে ঐ মুসলিমের সাথে মুশরিক, ইয়াহুদী ও নাসারা প্রমুখদের কোন পার্থক্য নেই।

কিন্তু কুরআন ও সুন্নাহ’র অভিধানে ‘কুফর’ শব্দটির অর্থ একমাত্র এটাই নয়। অথচ তারা সেটাই দাবি করছে এবং এই ভুল বুঝ দ্বারা অনেক মুসলিমের উপর তাকফীর আরোপ করছে, অথচ তাদের প্রতি তা প্রযোজ্য নয়।

‘তাকফীর’ শব্দটি সবসময় একই অর্থ তথা দ্বীন থেকে খারিজ হওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয় না। বরং এর সম্পর্ক পরের দু’টি আয়াতে ব্যবহৃত শব্দের ন্যায়ও হয়ে থাকে- অর্থাৎ ‘ফাসিক্ব’ ও ‘যালিম’। সুতরাং প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি যে যালিম বা ফাসিক্ব বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবে- তার জন্য কখনই এটা প্রযোজ্য নয় যে, সে মুরতাদ হয়ে গেছে। তেমনি যদি কারো ক্ষেত্রে বলা হয় যে, সে কুফর করেছে- তার অর্থ এটা নয় যে, সে মুরতাদ হয়ে গেছে।

এর একটি অর্থ আরবি অভিধানে ও আমাদের শরীআতে তথা আরবিতে নাযিলকৃত কুরআনুল কারীম দ্বারা প্রমাণিত। এ কারণে যে কেউ-ই আল্লাহ’র হুকুমের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়- সে হাকিম/শাসক হোক কিংবা সাধারণ প্রত্যেকেরই কিতাব, সুন্নাত এবং সালফে-সালেহীনের মানহায অনুযায়ী আহরিত ইলমের উপর ক্বায়েম থাকা ওয়াজিব।

আরবি ভাষার স্বকীয়তা সম্পর্কে জানা ছাড়া কুরআন এবং এর সম্পর্কিত গভীর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। আর এই নিয়মও প্রযোজ্য যে, যদি কোন ব্যক্তির আরবি ভাষার ব্যাপারে এতটা শক্তিশালী ও পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা অর্জিত না হয়, তবে সে নিজের পরিকল্পনানুযায়ী যা সে নিজের ভিতরে আকাঙ্ক্ষা করে- সেক্ষেত্রে সে ঐ সমস্ত আলেমদের দিকে নিজেকে সোপর্দ করবে যারা পূর্বে চলে গেছেন। বিশেষভাবে যাদের সাথে কুরুনে সালাসাহ (নেককারদের তিনটি যুগ)-এর সম্পর্ক রয়েছে। যাদের হিদায়াত, কামিয়াবী ও শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্য স্বয়ং নবী (স) থেকে প্রমাণিত। তাদের দিকে নিজেকে সোপর্দ করার দাবি হল, তাদের মাধ্যমে পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করা। কেননা তাদের মধ্যে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের সম্পৃক্তার নিদর্শন পাওয়া যায়।

আসুন আমরা পুনরায় আয়াতটির প্রসঙ্গে আসি। وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ ‘‘যারা আল্লাহ’র নাযিলকৃত আইন দ্বারা বিচার করে না, তারাই কাফির।’’ [.সূরা মায়িদা : ৪৪ আয়াত।] এই আয়াতটির فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ বাক্যটির উদ্দেশ্য কি-

১.সম্পূর্ণভাবে ইসলাম থেকে খারিজ (বহিষ্কার) হয়ে যাওয়া?

২.নাকি এর অর্থ- কখনো ইসলাম থেকে খারিজ হওয়া, আবার কখনো ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়া থেকে কিছু কম?

এ পর্যায়ে আয়াতটি কিছুক্ষণ গভীরভাবে লক্ষ করুন। কেননা আয়াতটির فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ বাক্যটির দ্বারা কখনো ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়া উদ্দেশ্য। আবার কখনো এর উদ্দেশ্য হল, আমলগত দিক থেকে কোন আহকামের ব্যাপারে ইসলাম থেকে খারিজ হওয়া। এর সহীহ তাফসীরের ব্যাপারে আমাদেরকে যা সহযোগিতা করবে তা হল, নবী (স)-এর ঘোষিত মুফাসসির সাহাবী ইবনু আব্বাস (রা)-এর বিশ্লেষণ। কেননা, কিছু গোমরাহ ফিরক্বা ছাড়া সবাই একমত যে সাহাবী ইবনু আব্বাস (রা) ছিলেন তাফসীরের ব্যাপারে ইমাম। আর এ কারণেই আমার জানা মতে সম্ভবত, সাহাবী ইবনু মাসউদ (রা) তাঁকে ‘তরজামানুল কুরআন’ উপাধি দিয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন