hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফিতনাতুত-তাকফীর

লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি

২৫
কুফরে আমালী ও কুফরে ই‘তিক্বাদী
মুসলিম কর্তৃক মুসলিমের সাথে ক্বিতাল করা বর্বরতা, চরমপন্থা, ফিসক্ব ও কুফর। কিন্তু এই ব্যাখ্যাসহ যে, কখনো তা কুফরে আমালী (আমলগত কুফর) আবার কখনো কুফরে ই‘তিক্বাদী (আক্বীদা/বিশ্বাসগত কুফর)। এই সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের কেন্দ্রবিন্দু উক্ত সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ দু’টির মধ্যেই রয়েছে। যার ব্যাখ্যা (ইবনু আব্বাস (রা) -এর পরে) সত্যিকারের ইমাম শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহ) এবং তাঁর একনিষ্ঠ ছাত্র ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম আল-যাওজি (রহ) করেছেন। কেননা তারা কুরআনের অর্থে কুফরের এই দু’ ধরনের বৈশিষ্ট্যের কথা বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ ও তাঁর ছাত্র হাফেয ইবনু ক্বাইয়েম (রহ) তাঁদের আলোচনার মধ্যে সব সময় ‘কুফরী আমালী’ ও ‘কুফরে ইতি‘ক্বাদী’-এর বিবরণ দিয়েছেন। কেননা, যদি এই পার্থক্যের দিকে লক্ষ্য রাখা না হয়, তবে মুসলিমরা অজ্ঞতাবশত মুসলিম জামাআত থেকে খারিজ হয়ে ঐ ফিতনার মধ্যে নিমজ্জিত হবে যার মধ্যে প্রাচীন যামানাতে খারেজীরা পতিত হয়েছিল। অতঃপর বর্তমান যামানাতেও কিছু লোক এ ফিতনার মধ্যে পড়েছে।

সুতরাং প্রকৃতপক্ষে ‘ قتاله كفر ’ এর অর্থ দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হওয়া নয়। এ মর্মে আরো অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা একত্রিত করলে একটি অত্যন্ত উপকারী কিতাব হত। কিন্তু এটা তাদের কাছে দলিল হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে না যারা আলোচ্য আয়াতের তাফসীরটি কেবল ‘কুফরে ই‘তিক্বাদী’ অর্থে গ্রহণ করে থাকে। অথচ প্রকৃত সত্য হল, এর স্বপক্ষে এত অধিক সংখ্যক দলিল রয়েছে যেখানে ‘ الكفر ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এর দাবি কখনই এটা নয় যে, সম্পূর্ণ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়া। এই মুহূর্তে আমাদের এই দলিলটিই খণ্ডনের জন্য যথেষ্ট যে, এক মুসলিম অপর মুসলিমকে হত্যা করা ‘কুফরে আমালী’ এবং কখনই এটা ‘কুফরে ই‘তিক্বাদী’ (আক্বীদাগত কুফর) নয়। [.এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (স) থেকে সুস্পষ্ট হাদীসও আছে। উবাদা ইবনু সামিত (স) বলেছেন كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ فِى مَجْلِسٍ فَقَالَ تُبَايِعُونِى عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِى حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعُوقِبَ بِهِ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ وَمَنْ أَصَابَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَفَا عَنْهُ وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ .‘‘আমরা কোন বৈঠকে রসূলুল্লাহ (স)-এর সঙ্গে বসেছিলাম। তখন তিনি বললেন : তোমরা আমার কাছে এ বলে বায়য়াত গ্রহণ কর যে, তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবেনা, যিনা করবে না, চুরি করবে না এবং কাউকে হত্যা করবে না, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। কিন্তু ন্যায়সঙ্গতভাবে (অর্থাৎ ক্বিসাসের কারণে)। অতএব, তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তা পূর্ণ করবে, তার প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবে। আর যদি কেউ উক্ত অপরাধের কোন একটিতে পতিত হয়ে শাস্তি ভোগ করে, তবে তাই তার জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি উল্লিখিত অপরাধের কোন একটিতে পতিত হয় অতঃপর আল্লাহ তাআলা তা গোপন রাখেন, তবে বিষয়টি মহান আল্লাহ’র এখতিয়ারে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন।’’ [সহীহ মুসলিম ৪৩৫৫ (৪৩/১৭০৯)- কিতাবুল হুদূদ باب الحدود كفارات لاهلها ] অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে : উবাদা (রা) বলেন : আমরা এ সকল কথার উপর তাঁর হাতে বায়য়াত করলাম।’’ [সহীহ বুখারী ১৮, সহীহ মুসলিম ৪৩৫৩ (৪১/১৭০৯), মিশকাত ১৮][-বাংলা অনুবাদক]]

এখন আমি জামাআতুত তাকফীর ও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তথা শাসক, অধীনস্থ সাধারণ জনগণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচনা করব যারা ঐ হুকুমাতের অধীনে কাজ ও চাকরি করার কারণে তাকফীরের শিকার হচ্ছেন। [.সাহাবী আবূ সাঈদ ও আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন ليأتين عليكم أمراء يقربون شرار الناس ويؤخرون الصلاة عن مواقيتها فمن أدرك ذلك منكم فلا يكونن عريفا ولا شرطيا ولا جابيا ولا خازنا ‘‘অদূর ভবিষ্যতে অবশ্যই তোমাদের উপর এমন আমীর (শাসক) হবে, যারা সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোকদের নিজের কাছে টেনে নেবে এবং তারা সালাতের ওয়াক্ত গড়িয়ে যাওয়ার পর তা আদায় করবে। এই সময় তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে যেন তত্ত্বাবধায়ক, পুলিশ, যাকাতের সম্পদ আদায়কারী ও খাজাঞ্চী নিযুক্ত না হয়।’’ [সহীহ ইবনু হিব্বান, আত-তারগীব ওয়াত তারহীব (ইফা) ১/৫৫৭ পৃ.; হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন - ইমাম হায়সামী (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৫/৯২২৫ নং), হুসাইন সালীম আসাদ (তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদে আবী ইয়ালা ২/১১১৫ নং) ও মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (আস-সাহীহাহ ১/৩৬০ নং)। [বাংলা অনুবাদক]] অর্থাৎ তাদের অধীনতার পাপের কারণে কাফির বলা হচ্ছে। [.আমরা আল্লাহর কাছে (মুসলিমদেরকে তাকফির করার ব্যাপারে) ক্ষমা চাচ্ছি - শায়েখ উসায়মীন। [উর্দূ অনুবাদক]]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন