মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি
২২
দ্বীনি জামাআত থেকে বিমুখ থাকার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দিক
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/22
বর্তমানে কিছু জামাআত কুরআন ও সুন্নাতের দা‘ওয়াতের ব্যাপারে হক্ব জামাআতের সাথে মিশে রয়েছে। কিন্তু হায় আফসোস! তারা কুরআন ও সুন্নাত থেকে বের হয়ে কুরআন ও সুন্নাতের নামে নতুন পথের সৃষ্টি করেছে। আমার বুঝ ও জ্ঞান মোতাবেক এর দু’টি কারণ রয়েছে :
প্রথমত : ইলমের ঘাটতি।
দ্বিতীয়ত : সবচে বড় দুর্বলতা হল, শরীআতের আইন-কানুনের ব্যাপারে তাদের গভীর জ্ঞান না থাকা। অথচ আকাঙ্ক্ষা হল সহীহ ইসলামী দা‘ওয়াতের। যার থেকে বিমুখ হওয়াকে রসূলুল্লাহ (স) তাঁর অসংখ্য হাদীসে নাজী (মুক্তিপ্রাপ্ত) জামাআত থেকে বহিষ্কৃত বলে চিহ্নিত করেছেন। বরং আরও একধাপ এগিয়ে বলা যায়, স্বয়ং আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্ট দলিল দ্বারা এই জামাআত থেকে বিচ্ছিন্নদের আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধাচারণকারী হিসাবে গণ্য করেছেন।
‘‘আর যে ব্যক্তি রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাঁর নিকট হিদায়াত সুস্পষ্ট হওয়ার পর এবং মু’মিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে সে যেদিকে ফিরে যায়, সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো। আর তা কত মন্দ আবাস।’’ [. সূরা নিসা : ১১৫ আয়াত।]
আলেমগণ এটা জানেন যে, আল্লাহ তাআলা কেবল এ কথা বলেই ক্ষান্ত হননি ‘‘যে ব্যক্তি রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাঁর নিকট হিদায়াত সুস্পষ্ট হওয়ার পর- তবে সে যেদিকে ফিরে যায়, সেদিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব।’’ বরং রসূলের বিরুদ্ধাচারণের কথা উল্লেখ করার সাথে সাথে وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ ‘‘এবং যে মু’মিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে’’ -বাক্যটিও উল্লেখ করেছেন।
‘‘মু’মিনদের পথ’’-এর অনুসরণ করা বা না করাটা, পক্ষ ও বিপক্ষ উভয় দৃষ্টিতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি ‘‘মু’মিনদের পথ’’-এর অনুসরণ করবে সে রব্বুল আলামীনের দৃষ্টিতে নাজী (মুক্তিপ্রাপ্ত)। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ‘‘মু’মিনদের পথ’’-এর বিপরীতে চলবে তার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট, আর তা কতই না মন্দ ঠিকানা।
এটাই সেই মূলকেন্দ্র যে ব্যাপারে প্রাচীন ও আধুনিক জামাআতগুলো হোঁচট খায়। তারা سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ ‘‘মু‘মিনীনদের পথে’র অনুসরণ করে না। কুরআন ও সুন্নাতের তাফসীরের ব্যাপারে নিজেদের বিবেকের দারস্থ হয় এবং নিজেদের খাহেশের (প্রবৃত্তির) আনুগত্য করে। আর এ ভুলের কারণে তারা অত্যন্ত বিধ্বংসী কার্যকলাপে লিপ্ত। যার ফলাফল হল, তারা সালফে-সালেহীনের মানহায থেকে খারীজ (বহিষ্কৃত)।
আলোচ্য আয়াতের وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ ‘‘এবং যে মু’মিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে’’ -অংশটির সঠিক ও সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা এবং প্রকৃত গুরুত্ব নবী (স)-এর বিভিন্ন সহীহ হাদীসে উল্লেখ করেছেন। যার কয়েকটি আমি বর্ণনা করব। ঐ সমস্ত হাদীস সাধারণ মুসলিমদেরও অজানা নয়। তবে এর মধ্যে তাদের অজানা হল, سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ ‘‘মু‘মিনদের পথ’’-এর অনুসরণের ব্যাপারটি কিতাব ও সুন্নাহ’র দ্বারা ওয়াজিব হওয়ার দলিল প্রতিষ্ঠিত হওয়া ও তার গুরুত্ব অনুধাবন করা। এটা (আক্বীদা বিষয়ক) এমন একটি মৌলিক দিক যা অনেক প্রসিদ্ধ গণ্যমান্য ব্যক্তিরও এর গুরুত্ব বুঝতে ভুল হয়েছে ও আঁকড়ে থাকার ব্যাপারে উদাসীনতা কাজ করেছে। এরা তাকফীরকারী হিসাবে প্রসিদ্ধ। যাদের মধ্যে অনেক জামাআত রয়েছে- যারা নিজেদের জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত রেখেছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের তাকফীর করাটাই খুব বড় ভুল।
এই লোকেরা মনে করছে, তারা নিজেদেরকে নেকী ও ইখলাসের মধ্যে নিয়োজিত রেখেছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা’র কাছে কারো নাজাত বা সফলতার অর্জনের জন্য কেবল নেকনীতি ও ইখলাসই যথেষ্ট নয়। তবে অবশ্যই একজন মুসলিমের উপর জরুরি হল, সে আল্লাহ তাআলা’র জন্য নিয়্যাতে ইখলাস রাখবে এবং রসূলুল্লাহ (স)-এর সুন্নাত অনুযায়ী সর্বোত্তম আমল করবে।
মোটকথা একজন মুসলিম অবশ্যই ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে নিজে কুরআন ও সুন্নাত অনুযায়ী আমল করবে এবং সে দিকেই দা‘ওয়াত দিবে। তবে এর সাথে অপর একটি শর্তও জরুরি, তা হল- তাদের মানহায সঠিক ও দৃঢ়তা সম্পন্ন হওয়া। আর এটা কখনোই পূর্ণতা লাভ করে না, যতক্ষণ না সালফে-সালেহীনের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়।
এর স্বপক্ষে কয়েকটি প্রসিদ্ধ হাদীস রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল তিয়াত্তর ফিরক্বার হাদীস যার ইঙ্গিত আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন :
افْتَرَقَتِ الْيَهُودُ على إِحْدَى وَسَبْعِينَ فِرْقَةً فَوَاحِدَةٌ فى الْجنة وسبعين فى النار وافترقت النصارى على ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً فإحدى وسبعون فى النار وواحدة فى الجنة وَسَتَفْتَرِقَ أُمَّتِى على ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً كُلَّهَا فِي النَّارِ إِلاَّ وَاحِدَةُ قَالُوْا مَنْ هِيَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قال الْجَمَاعَة ـ وفي رواية : مَا أنَا عَلَيْهِ وَأَصَحَابِيْ
‘‘ইয়াহুদীরা একাত্তর ফিরক্বাতে বিভক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি জান্নাতে যাবে, অন্য সত্তরটি ফিরক্বা জাহান্নামী হবে। নাসারাগণ বাহাত্তর ফিরক্বাতে বিভক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি জান্নাতে যাবে এবং অন্য একাত্তরটি ফিরক্বা জাহান্নামে যাবে। আর আমার উম্মাত তিয়াত্তর ফিরক্বাতে বিভক্ত হবে। এদের মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলোই জাহান্নামে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হল : ইয়া রসূলাল্লাহ! তারা কারা? তিনি (স) বললেন : (তারা হল) ‘আল-জামাআত’। (অন্য বর্ণনায়) যার ওপর আমি ও আমার সাহাবীগণ আছি।’’ [. সহীহ : ইবনু মাজাহ, কিতাবুল ফিতান - باب افتراق الامم ; হা/৩৯৯২। মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী الجماعة ‘আল-জামাআত’ শব্দে বর্ণিত হাদীসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন। অপর পক্ষে তিরমিযীতে আব্দুল্লাহ বিন ‘উমর থেকে বর্ণিত -ما انا عليه واصحابي -‘‘যার ওপর আমি এবং আমার সাহাবীরা আছি’’ -হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। [আল-বানীর তাহক্বীক্বকৃত মিশকাত ১ম খন্ড (বৈরুত : আল-মাকতাবুল ইসলামী, ১৪০৫হি :/১৯৯৫ ‘ঈসায়ী) পৃ. ৬১] অবশ্য উদ্দেশ্যের দিক থেকে হাদীসগুলো একই অর্থবোধকহওয়ায় ও অনেক সাক্ষ্য থাকায় তিনি অন্যত্র হাদীসটিকে হাসান লি-গয়রিহী বলেছেন (সলাতুল ঈদায়ীন ফিল মুসাল্লা পৃ. ৪৬)। আলবানী (রহ) হাদীসটি কিছুটা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। -বাংলা অনুবাদক]
নবী (স)-কে নাজী বা জান্নাতী ফিরক্বা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি যা বলেছিলেন আল্লাহ তাআলা’র উক্তি : وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ ‘‘এবং যে মু’মিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে’’ -দ্বারা এটা পূর্ণতা লাভ করে। সুতরাং এই আয়াতটিতে যে মু’মিদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে- তারা হলেন নবী (স)-এর সাহাবীগণ। যা হাদীসে বর্ণিত : مَا أنَا عَلَيْهِ وَأَصَحَابِيْ ‘‘যার ওপর আমি ও আমার সাহাবীগণ আছি’’ উক্তিটিতে সুস্পষ্ট হয়েছে। নবী (স) কেবল এতটুকুই যথেষ্ট মনে করেননি বরং এটা প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তাদের জন্য যথেষ্ট ও পরিপূর্ণ জবাব ছিল- যারা ছিলেন কিতাব ও সুন্নাতের সুস্পষ্ট বুঝের অধিকারী। কিন্তু যদিও নবী (স) নিজে আল্লাহ তাআলা’র ঐ দাবির প্রতি আমল করেছিলেন যে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তাঁর (স) সম্পর্কে বলেছেন : بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيم ‘‘মু’মিনদের প্রতি স্নেহশীল ও দয়াময়।’’ [.সূরা তাওবা : ১২৮ আয়াত।]
সুতরাং নবী (স)-এর সমস্ত স্নেহ ও দয়ার দাবি হল, তিনি (স) তাঁর সাহাবী (রা) এবং সমস্ত অনুসারীদের জন্য ফিরক্বায়ে নাজীয়াহ বা মুক্তিপ্রাপ্ত দলের বৈশিষ্ট্য ও লক্ষণ সুস্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। যেন তারা সেগুলোর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে- যার প্রতি তিনি (স) ও পরবর্তী সময়ে তাঁর সাহাবীগণ (রা) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি যে, মুসলিমদের জন্য জায়েয নয় কিতাব ও সুন্নাত বুঝার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ঐ সমস্ত জরুরি ইলমের উপর নির্ভর করবে যেমন- আরবি ভাষা, নাসিখ-মানসুখ এবং বিভিন্ন নিয়ম (উসূল) সম্পর্কিত জ্ঞান। বরং এই সমস্ত নিয়ম ছাড়াও ঐ পদ্ধতিরও অনুসরণ করা জরুরি যার ওপর সাহাবীগণ (রা)-ও ছিলেন। কেননা এটা সবার কাছে সুস্পষ্ট যে, তাদের বর্ণনা ও জীবন থেকে বুঝা যায়, সাহাবীগণ (রা) আল্লাহ তাআলা’র ইবাদাতের ব্যাপারে মুখলেস (নিষ্ঠাবান) ছিলেন। আর কুরআন ও সুন্নাতের ব্যাপারে নিঃসন্দেহে আমাদের থেকে বেশি জ্ঞান রাখতেন। তাছাড়া তাদের এমন অনেক চারিত্রিক গুণ ছিল যে ব্যাপারে তারা নিজেরাই নিজেদের তুলনা।
আলোচ্য হাদীসটি পূর্বোক্ত আয়াতটির পরিপূর্ণতা দান করে। যখন রসূলুল্লাহ (স) একজন মুসলিমকে ফিরক্বায়ে নাজিয়ার পরিচয় দিতে গিয়ে এ দিকে ইঙ্গিত দিলেন যে, তারা ঐ মানহাযের ওপর থাকবে যার ওপর সাহাবীগণ (রা) ছিলেন। এই হাদীসটি ‘খুলাফায়ে রাশেদীন’ সম্পর্কিত হাদীসটির পরিপূরক যা সুনানগুলোতে ইরবায বিন সারিয়াহ (রা) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন :
‘‘একবার রসূলুল্লাহ (স) আমাদের উদ্দেশ্যে এমনি মর্মস্পর্শী ওয়ায করলেন যে, তাতে অন্তরসমূহ ভীত ও চোখসমূহ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল। আমরা বললাম : ইয়া রসূলাল্লাহ! মনে হচ্ছে এটা যেন বিদায়ী ভাষণ, তাই আপনি আমাদের উপদেশ দিন। তিনি বললেন : আমি তোমাদেরকে আল্লাহকে ভয় করার এবং শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি যদিও কোন গোলাম তোমাদের আমীর নিযুক্ত হয়। কেননা তোমাদের মধ্যে যারা ভবিষ্যতে বেঁচে থাকবে, অচিরেই তারা অসংখ্য ব্যাপারে মতভেদ দেখতে পাবে। কাজেই তোমাদের উচিত হবে আমার ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদার আদর্শকে মাড়ির মযবুত দাঁত দ্বারা আঁকড়ে ধরা। আর তোমরা বিদআত হতে অবশ্যই বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক বিদআত সুস্পষ্ট গোমরাহী।’’ [. সহীহ : আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও ইবনু হিব্বান তাঁর ‘সহীহ’ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন (সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব ১/৩৭ নং)। মুহাম্মাদ তামিরও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [আত-তারগীব ওয়াত তারহীব (মিশর : দার ইবনু রজব) ১/৫৮ নং। আলবানী (রহ) হাদীসটি কিছুটা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। (বাংলা অনুবাদক)]
এই হাদীসটি পূর্বোক্ত হাদীসটির শাহেদ (সাক্ষ্য) যেখানে রসূলুল্লাহ (স) সাহাবা (রা) তথা নিজের উম্মাতকে কেবল তাঁর সুন্নাতকে আঁকড়ে থাকারই নসিহত করেননি বরং হিদায়াত অর্জনে খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকেও আঁকড়ে ধরতে বলেন।
সুতরাং আমাদের ওপর জরুরি হল- আক্বীদা, ইবাদত, আখলাক, চাল-চলন প্রভৃতি সবক্ষেত্রেই সালফে-সালেহীনের প্রতি লক্ষ্য রাখা। ফলে একজন মুসলিম ফিরক্বায়ে নাজিয়ার অন্তর্ভূক্ত হিসাবে গণ্য হবে।
এটাই সেই গুরুত্বপূর্ণ দিক যার থেকে গাফেল ও বিমুখ হওয়ার কারণে সমস্ত নতুন ও পুরাতন ফিরক্বা ও জামাআত গোমরাহ হয়েছে। কেননা আলোচ্য (সূরা নিসা- ১১৫) আয়াত এবং ফিরক্বায়ে নাজিয়াহ ও খুলাফায়ে রাশেদীনকে আঁকড়ে থাকার হাদীস যে মানহাযের (আদর্শিক পথের) দিকে পরিচালিত করে- তারা তা কবুল করেনি। যা ছিল উম্মাতের বিভেদের কারণ। সুতরাং তাদের মৌলিক ও যৌক্তিক বৈশিষ্ট্য হল- তারা কিতাবুল্লাহ, সুন্নাতে নববী (স) এবং সালফে সালেহীনদের থেকে বিমুখ হয়েছে, যেভাবে তাদের পূর্ববর্তীরাও বিমুখ হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/22
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।