hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফিতনাতুত-তাকফীর

লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি

৩৫
ইতিহাসের আলোকে ‘‘হাকিম একমাত্র আল্লাহ’’
[সিফফীন যুদ্ধের পর আলী (রা) ও মুআবিয়া (রা)-এর] সালিসী চুক্তির পর আশআছ ইবনু কাইস তামীম গোত্রের নেতৃস্থানীয় লোকদের কাছে চুক্তিনামাটি পড়ে শুনান। সেখানে ছিল রাবীআ ইবনু হানজালাহ বংশের সন্তান উরওয়াহ ইবনু উযায়না (উযায়না মাতার নাম, পিতার নাম জারীর)। সে আবূ বিলাল ইবনু মিরদাস ইবনু জারীর-এর ভাই। সে দাঁড়িয়ে বলল : أتَحكموك فى دين الله الرجال তোমরা কি আল্লাহ’র দ্বীনের ব্যাপারে মানুষকে হাকিম (বিচারক) নিয়োগ করছো? এ কথা বলেই সে আশআছ ইবনু কাইসের বাহনের পশ্চাৎভাগে তরবারি দিয়ে আঘাত হানলো। এতে আশআছ ও তার ক্বওমের লোকেরা অত্যন্ত রাগান্বিত হয়। ফলে আহনাফ ইবনু কাইস ও তাদের গোত্রের নেতৃস্থানীয় একটি দল এসে আশআছ ইবনু কাইসের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করে। খারিজী সম্প্রদায়ের ধারণা মতে যিনি সর্ব প্রথম তাদের নেতৃত্ব দেন তিনি হলেন আব্দুল্লাহ ইবনু ওহাব রাসিবী। গ্রন্থকারের মতে প্রথমটিই সঠিক। আলীর পক্ষের কিছুসংখ্যক লোক যারা কুররা নামে পরিচিত ছিল তারা ঐ ব্যক্তির মতে উদ্বুদ্ধ হয় এবং ঘোষণা দেয় لا حكم الا الله (আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো হুকুম নেই)। একারণে এ দলকে ‘মাহকামিয়্যা’ নামে অভিহিত করা হয়। তারপর লোকজন যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে নিজ নিজ এলাকার দিকে রওয়ানা হয়ে যায়। মুআবিয়া (রা) তাঁর সৈন্য-সামন্ত নিয়ে দামেশকে যায়। আর আলী (রা) কূফার উদ্দেশ্যে ‘হীত’-এর পথ ধরে অগ্রসর হন। তিনি যখন কূফায় পৌঁছেন, তখন শুনতে পান এক ব্যক্তি বলছে, আলী গিয়েছিল কিন্তু শূন্য হাতে ফিরে এসেছে। এ কথা শুনে আলী (রা) বললেন, যাদের আমরা ছেড়ে এসেছি তারা অবশ্যই ওদের তুলনায় উত্তম।.....

এরপর আলী (রা) আল্লাহর স্মরণ করতে করতে কূফায় প্রবেশ করেন। তিনি যখন কূফা নগরীর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেন, তখন তাঁর বাহিনীর প্রায় বার হাজার লোক তাঁর থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরাই ইতিহাসে খারিজী নামে বিখ্যাত। তারা আলী (রা) -এর সাথে একই শহরে বসবাস করতে অস্বীকার করে এবং হারুরা নামক স্থানে গিয়ে অবস্থান করে। তাদের মতে আলী (রা) কয়েকটি অন্যায় কাজে জড়িত হয়ে পড়েছেন যার দরুন তারা আর তাঁকে মেনে নিতে পারছে না। আলী (রা) তাদের সাথে কথা বলার জন্যে আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাসকে প্রেরণ করেন। ইবনু আব্বাস (রা) তাদের কাছে গিয়ে তাদের অভিযোগ শোনেন ও জওয়াব দেন। ফলে তাদের অধিকাংশ লোক মত পরিবর্তন করে ফিরে আসে, আর অবশিষ্টরা আপন মতে অনড় থাকে। আলী (রা) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন। [.আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইফা) ৭/৫০৩-৫০৫ (সংক্ষেপিত)।]

অন্য বর্ণনানুযায়ী, আলী (রা) যখন মুআবিয়াকে চুক্তিপত্র লিখে দেন এবং সালিস নিযুক্ত করেন, তখন তাঁর দল থেকে আট হাজার ক্বারী বেরিয়ে যায় এবং কূফা নগরীর উপকণ্ঠে হারুরা নামক স্থানে গিয়ে সমবেত হয়। তারা আলীর উপরে দোষারোপ ও তাঁকে তিরস্কার করে বলতে থাকে :

انسلخت من قميص ألبسكه الله، واسم سَماك به الله ثم انطلقت فحكمت فى دين الله ولا حكم إلا الله

‘‘মহান আল্লাহ আপনাকে যে জামা (খিলাফত) পরিধান করিয়েছিলেন, আপনি সে জামা খুলে ফেলেছেন। যে উপাধিতে মহান আল্লাহ আপনাকে ভূষিত করেছিলেন আপনি সে উপাধি প্রত্যাহার করেছেন। এরপর আপনি আরো অগ্রসর হয়ে মহান আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে হাকিম নিযুক্ত করেছেন। অথচ মহান আল্লাহ ব্যতীত আর কোন হাকিম নেই।’’

আলীর কাছে যখন তাদের এসব অভিযোগের কথা পৌঁছাল এবং তিনি জানতে পারলেন যে, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তাঁর থেকে পৃথক হয়ে গেছে। তিনি এক ঘোষণাকারীর মাধ্যমে নির্দেশ জারি করলেন যে, আমীরুল মু‘মিনীনের দরবারে যেন কেবল ঐসব লোক প্রবেশ করে যারা পবিত্র কুরআন বহন করে (হাফিযে কুরআন)।

আমীরুল মু‘মিনীনের দরবার যখন ক্বারীদের সমাগমে পরিপূর্ণ হয়ে গেল, তখন তিনি পবিত্র কুরআনের একটি কপি এনে সবার সম্মুখে রাখলেন। এরপর তিনি হাতের আংগুল দ্বারা পবিত্র কুরআনে উপর জোরে টোকা মেরে বললেন, ‘‘হে কুরআন! তুমি লোকদের তোমার কথা জানাও।’’ উপস্থিত লোকজন আলীকে বললো, ‘‘হে আমীরুল মু‘মিনীন। আপনি পবিত্র কুরআনের কপির কাছে এ কি জিজ্ঞেস করছেন? ও তো কাগজ আর কালি ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা তো ওর মধ্যে যা দেখি তা নিয়ে কথা বলছি। তাহলে এরূপ করায় আপনার উদ্দেশ্য কী?’’ তিনি জওয়াবে বললেন : তোমাদের ঐসব সাথি যারা আমার থেকে পৃথক হয়ে অবস্থান নিয়েছে, তাদের ও আমার মাঝে মহান আল্লাহর কিতাব রয়েছে। মহান আল্লাহ তাঁর কিতাবে একজন পুরুষ (স্বামী) ও একজন নারীর (স্ত্রীর) ব্যাপারে বলেছেন :

وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا

‘‘তাদের (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের মধ্যে বিরোধের আশংকা হলে, তোমরা তার (স্বামীর) পরিবার হতে একজন ও তার (স্ত্রীর) পরিবার হতে একজন হাকিম নিযুক্ত করবে; তারা উভয়ে নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন।’’ [.সূরা নিসা : ৩৫ আয়াত।]

দ্বিতীয় অভিযোগের জবাবে আলী (রা) বললেন : তারা আমার উপর আরো অভিযোগ এনেছে যে, আমি মুআবিয়াকে যে চুক্তিপত্র লিখে দিয়েছি, তাতে (আমীরুল মু‘মিনীনের বদলে) আলী ইবনু আবূ তালিব লিখেছি। এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হল : হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় কুরাইশদের পক্ষ থেকে সুহাইল ইবনু আমর আসলে রসূলুল্লাহ (স) যখন নিজ ক্বওমের সাথে সন্ধিপত্র লেখেন, তখন আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। রসূলুল্লাহ (স) প্রথমে লিখলেন ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’। সুহাইল আপত্তি জানিয়ে বলল : আমি ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ লিখতে রাজি নই। রসূলুল্লাহ (স) বললেন, তাহলে কিভাবে লিখব? সুহাইল বললেন : লিখব ‘বিইসমিকা আল্লাহুম্মা।’ রসূলুল্লাহ (স) বললেন, তা-ই লিখ। রসূলুল্লাহ (স) বললেন, এখন লিখ ‘এই সন্ধিপত্র, যা মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (স) সম্পাদন করলেন।’ সুহাইল বলল : আমি যদি জানতাম যে, আপনি আল্লাহর রসূল, তাহলে তো আপনার সাথে আমার কোন বিরোধই থাকত না। অবশেষে লেখা হল : এই সন্ধিপত্র যা আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদ কুরাইশদের সাথে সম্পাদন করলেন। মহান আল্লাহ আপন কিতাবে বলেন :

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ

‘‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতকে ভয় করে তাদের জন্যে রসূলুল্লাহ (স)-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’’ [.সূরা আহযাব : ২১ আয়াত।]

এরপর আলী (রা) তাদের কাছে আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা)-কে প্রেরণ করেন।..... আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস তিন দিন পর্যন্ত সেখানে তাদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন। অবশেষে তাদের মধ্যে থেকে চার হাজার লোক তাওবা করে ফিরে আসে। ইবনুল কাওয়াও তাদের অন্তর্ভুক্ত। ইবনু আব্বাস (রা) এদের আলী (রা) -এর কাছে কূফায় নিয়ে আসেন। অবশিষ্ট লোকদের কাছে আলী (রা) বার্তা পাঠিয়ে জানান যে, উম্মাতে মুহাম্মাদীর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হোক। আর তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত থাকল যে, তোমরা অন্যায়ভাবে কারো রক্তপাত ঘটাবে না। ডাকাতি, রাহাজানি করবে না এবং যিম্মীদের উপর অত্যাচার চালাবে না। যদি এর কোনটিতে লিপ্ত হয়ে পড় তবে তোমাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠিন যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। (কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন :) إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْخَائِنِينَ ‘‘আল্লাহ খিয়ানতকারীদের পছন্দ করেন না।’’ [.সূরা আনফাল : ৫৮ আয়াত।]

বর্ণনাকারী বলেন : আল্লাহর ক্বসম! ওদের বিরুদ্ধে আলী (রা) পক্ষ থেকে তখনই অভিযান পাঠানো হয়েছে, যখন ওরা ডাকাতি, রাহাজানি শুরু করেছে, খুন-খারাবী ছড়িয়ে দিয়েছে এবং যিম্মীদের উপর অত্যাচার করে তাদের সবকিছু নিজেদের জন্যে হালাল করে নিয়েছে।’’ [.ইবনু কাসীর (রহ) বলেছেন : আহমাদ এ হাদীস মুফরাদ বর্ণনা করেছেন। তবে এর সনদ সহীহ। যিয়া একে পছন্দ করেছেন। [আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইফা) ৭/৫০৬-৫০৯] তাছাড়া ইমাম হাকিম এ বর্ণনাটিকে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের শর্তাধীনে সহীহ বলেছেন, তবে উভয়ে তা বর্ণনা করেননি। [তাহক্বীক্বকৃত আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া (মিশর) ৭/২২৯ পৃ.]]

অন্য বর্ণনায় আছে : আলী (রা) -কে তাদের সমালোচনার কারণ ছিল এই যে-

১.তিনি মানুষকে হাকিম (ফায়সালাকারী) নিযুক্ত করেছিলেন।

২.শাসকের পদবীকে মুছে দিয়েছিলেন।

৩.উষ্ট্রের যুদ্ধে তিনি অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করেছেন; অথচ শত্রুদের থেকে প্রাপ্ত সম্পদ ও বন্দী সৈন্যদের মধ্যে বণ্টন করেননি।

প্রথম দু’টি অভিযোগের (হাকিম নির্ধারণ ও পদবী মুছে ফেলার) জওয়াবে তিনি যা বলেন, ইতোপূর্বে তা আলোচনা করা হয়েছে। তৃতীয় অভিযোগের জওয়াবে তিনি বলেন : ‘‘বন্দীদের মধ্যে উম্মুল মু‘মিনীনও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এখন যদি তোমরা দাবি করো যে, তোমাদের কোন উম্মুল মু‘মিনীন নেই, তবে তা হবে তোমাদের জন্য কুফরী কাজ। আবার যদি উম্মুল মু‘মিনীনকে বন্দী রাখা বৈধ মনে করো, তাও হবে কুফরী কাজ।’’ বর্ণনাকারী বলেন : এবার তাদের মধ্য থেকে দু’ হাজার লোক বেরিয়ে আসে বাকি সবাই বিদ্রোহ করে। এরপর তাদের সাথে যুদ্ধ হয়। [.আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইফা) ৭/৫০৯ পৃ.।]

ইবনু জারীর (রহ) লিখেছেন : খারিজীদের অবশিষ্ট লোকদের কাছে আলী (রা) স্বয়ং গমন করেন। তিনি তাদের সাথে আলোচনা অব্যাহত চালিয়ে যান। অবশেষে তারা সকলেই তাঁর সাথে কুফায় চলে আসে। সে দিনটি ছিল ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার দিন। এরপর তারা আলী (রা) -এর কথাবার্তায় বাধা সৃষ্টি করতে থাকে। তাঁকে গালমন্দ করে এবং তার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করতে থাকে।

ইমাম শাফেঈ (রহ) বলেন : আলী (রা) একদিন সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাঁকে লক্ষ্য করে জনৈক খারিজী এ আয়াতটি পড়ে :

لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

‘‘তুমি আল্লাহ’র শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হবে এবং অবশ্য তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত।’’ [. সূরা যুমার : ৬৫ আয়াত।] জওয়াবে আলী (রা) নিচের আয়াতটি পড়লেন :

فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَلَا يَسْتَخِفَّنَّكَ الَّذِينَ لَا يُوقِنُونَ

‘‘কাজেই, তুমি সবর কর। নিশ্চয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ় বিশ্বাসী নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে।’’ [. সূরা রূম : ৬০ আয়াত।]

ইবনু জারীর (রহ) বলেন : এ ঘটনা হয়েছিল তখন যখন আলী (রা) খুতবা পাঠ করছিলেন। ইবনু জারীর (রা) আরো একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। তা হল :

‘‘আলী (রা) একদিন খুতবা দিচ্ছিলেন। এ সময় এক খারিজী দাঁড়িয়ে বলল, হে আলী! আপনি মহান আল্লাহর দ্বীনে মানুষকে শরীক করেছেন (অর্থাৎ শির্ক করেছেন)। অথচ আল্লাহ ব্যতীত হুকুম দেয়ার অধিকার আর কারো নেই। এ সময় চারদিক থেকে একই আওয়াজ উঠলো - لا حكم الا الله ـ لا حكم الا الله ‘‘আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুকুম নেই, আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুকুম নেই।’’ তখন আলী (রা) বললেন : هذه كلمة حق يراد بِها باطل ‘‘কথাটি সত্য, কিন্তু উদ্দেশ্য খারাপ।’’ তারপর তিনি বললেন : ‘‘যতদিন তোমাদের দায়িত্ব আমাদের উপরে ছিল ততদিন আমরা তোমাদের গনীমত দেয়া বন্ধ করিনি এবং আল্লাহর মাসজিদে সালাত আদায় করতে বাধা দেইনি। এখন তোমাদের উপর আমরা আগেই হামলা করব না। যদি তোমরা প্রথমে হামলা না কর।’’ এরপর তারা সবাই কূফা থেকে বেরিয়ে গিয়ে নাহরাওয়ান নামক স্থানে সমবেত হয়। [. আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইফা) ৭/৫১০ পৃ.।]

উপরোক্ত ঐতিহাসিক আলোচনাটি আরো সুস্পষ্ট হবে আমাদের পরবর্তী তাহক্বীক্বটি বিস্তারিতভাবে পাঠ করলে। এটাও সুস্পষ্ট হবে, খারিজী এবং বর্তমান যামানার বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠী যারা একই ধরনের শ্লোগান ব্যবহার করছে এবং যত্রতত্র কুফরী ফাতওয়া প্রদান করে বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে- তাদের সংস্কার ও সংশোধন করা অতীব জরুরি।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে প্রকৃত হিদায়াত দান করুন। আমিন!!

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন