hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফিতনাতুত-তাকফীর

লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি

৩০
রসূলুল্লাহ (স) তাসফিয়্যাহ ও তারবিয়্যাহ’র উসওয়াতুন হাসানাহ (সর্বোত্তম আদর্শ)
আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহিত যার সাথে বিভ্রান্তি ও জ্ঞানের দৈনতা জড়িত। বরং বিভ্রান্ত বলাই বেশি পরিপূরক। কেননা তাদের জ্ঞান না থাকাটা অসম্ভব। এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই তারা চরমপন্থাকে পছন্দ করে, যার ফলে হাকিম/শাসককে কাফির বলা ছাড়া আর অন্য কোন ব্যাপারে তাদের প্রতি বিভ্রান্ত হওয়ার বিষয়টি দেখা যায় না। ফলে তাদের অবস্থা তেমনই হয়েছে, যেমন তাদের পূর্বে আল্লাহ’র যমীনে ইক্বামাতে দ্বীন ও ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকে দা‘ওয়াত দাতাদের অবস্থা হয়েছিল। তারা শাসকদেরকে কাফির ঘোষণা করে। অতঃপর তাদের তরফ থেকে ফিতনা-ফাসাদ বিস্তার ছাড়া আর কোন কিছুই পাওয়া যায়নি।

আমরা সবাই জানি, বিগত বেশ কয়েক বছরে উক্ত ফিতনার কারণে মক্কা থেকে শুরু করে মিশর পর্যন্ত নেতৃবৃন্দকে হত্যা এবং অসংখ্য নিরাপরাধ মুসলিমের রক্ত অন্যায়ভাবে ঝড়ানো হয়েছে। অবশেষে সিরিয়া ও আলজেরিয়াতেও অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা ঘটে...।

এ সবের ভিত্তি কেবলই একটি। তারা কিতাব ও সুন্নাতের দলিল-প্রমাণের বিরোধিতা করছে, বিশেষভাবে নিচের আয়াতটির। আল্লাহ তাআলা বলেন :

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا

‘‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের আশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে রসূলুল্লাহ (স)-এর মধ্যে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’’ [.সূরা আহযাব : ২১ আয়াত।]

তাহলে আমরা যখন যমীনে হুকুমে ইলাহী ক্বায়েম করতে চাইব, তখন কি হাকিম/শাসকদের সাথে ক্বিতাল করার মাধ্যমে করব? অথচ সেই সামর্থ্য আমাদের নেই। নাকি আমরা সেটাই করব যা নবী (স) করেছিলেন? নিঃসন্দেহে এর জবাব হল : لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ ‘‘নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ (স)-এর মধ্যে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’’ [সূরা আহযাব- ২১]

এখন আমরা দেখব রসূলুল্লাহ (স) কিভাবে শুরু করেছিলেন :

আপনারা জানেন যে, রসূলুল্লাহ (স) সর্বপ্রথম তাদের দা‘ওয়াত দিয়েছিলেন যাদের দা‘ওয়াত গ্রহণের মানসিক সম্ভাব্যতা ছিল। অতঃপর দা‘ওয়াতে লাব্বায়েক বলার মত ব্যক্তিরা লাব্বায়েক বলল। এটা নবী (স)-এর জীবন চরিত থেকে প্রমাণিত। অতঃপর দুর্বলতা ও বিরোধিতাকারীদের নির্যাতনের শিকার হলেন। শেষাবধি প্রথম ও দ্বিতীয় হিজরতের হুকুম এবং তৎপরবর্তী ঘটনাসমূহ... এমনকি আল্লাহ তাআলা মদীনাতে ইসলাম ক্বায়েম করলেন। অতঃপর কাফিরদের আক্রমণের ও ইয়াহুদীদের ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হলেন।

এ কারণে আমি তা‘লিম (পাঠদান) সর্বোপ্রথম জরুরি মনে করি, যা নবী (স) করেছিলেন। কিন্তু আমি কেবল তা‘লিমই বলছি না, কিন্তু কেন? অর্থাৎ আমি তা‘লিম শব্দটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। উম্মাতের তা‘লিম তো দ্বীনি কাজ। অথচ উম্মাতের মধ্যে এমন অনেক বিষয় তা‘লিমের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্কই নেই। বরং সেগুলো ইসলামকে কেবল বিকৃতই করে। এমনকি ঐ সমস্ত বিষয়কেও ধ্বংস করে যা সহীহ ইসলামের অধীনে অর্জিত হত।

সুতরাং ইসলামের দিকে দা‘ওয়াত দাতাগণের জন্য ওয়াজিব হল, ঐ বিষয়ের দ্বারা শুরু করা যা এখন আমি বলব অর্থাৎ-

১.তাসফিয়্যাহ (পবিত্রতা/সংস্কার-সংশোধন) : ঐ সমস্ত বিষয় থেকে ইসলামকে পবিত্র করা যা এর মধ্যে প্রবেশ করেছে এবং তার পবিত্র-পরিচ্ছন্ন সত্তাকে কলুষিত করেছে। যার সম্পর্ক কেবল ফুরু‘য়ী (শাখা/প্রশাখাগত) ও ইখতিলাফী (মতপার্থক্য) মাসায়েলেই নয়, বরং তা আক্বীদাকেও বিপর্যস্ত করেছে।

২.তারবিয়্যাত (শিক্ষা-প্রশিক্ষণ) : পূর্বোক্ত তাসফিয়্যাহ’র (পবিত্রতা / সংস্কার-সংশোধনের) সাথে জড়িত অপর বিষয়টি হল তারবিয়্যাহ। অর্থাৎ যুবকদের ইসলামের সঠিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান। [.শায়েখ উসায়মীন (রহ) বলেছেন : ‘‘শায়েখ আলবানী (রহ) সর্বপ্রথম ইসলামে তাসফিয়্যাহ (পবিত্রতা/সংস্কার) করতে চেয়েছেন। কেননা ইসলাম আজ অনেক শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত। ১) আক্বীদাগত শাখা, ২) আখলাক্ব/চারিত্রিক শাখা, ৩) মুআমালাত/ লেনদেনগত শাখা, ৪) ইবাদতগত শাখা তথা উক্ত চারটি শাখাতে বিভক্ত হয়েছে। যেমন :ক. আক্বীদাগত শাখা- কেউ আশআরী, কেউ মু‘তাযিলা প্রভৃতি বিভিন্ন শাখা। খ. ইবাদতগত শাখা- কেউ সূফী, কেউ ক্বাদেরী প্রভৃতি শাখা। গ. মুআমালাত/ লেনদেনগত শাখা : কেউ পুঁজিবাদী - সুদকে হালাল বলে, আবার কেউ বলে হারাম। কেউ লটারী, জুয়াকে হারাম গণ্য করে, আবার কেউ বলে হালাল।এমতাবস্থায় আমাদের সর্বপ্রথম জরুরি হল, ইসলামকে বর্তমানের এই সমস্ত শাখা ও বিভক্তি থেকে তাসফিয়্যাহ (পবিত্র/সংস্কার) করা। এ কারণে উলামা ও ছাত্রদের অনেক গুরুদায়িত্ব রয়েছে। অতঃপর আমরা যুবকদের এ সমস্ত শাখা-বিভক্তি থেকে পবিত্র করার তারবিয়্যাত (শিক্ষা-প্রশিক্ষণ) দেব। পরিশেষে যুবকরা কুরআন ও সুন্নাহ’র ভিত্তিতে সালফে সালেহীনদের উপলব্ধিতে সঠিক আক্বীদা, আদব ও উন্নত আখলাক্বের অধিকারী হবে। [উর্দু অনুবাদক]]

আমরা যখন বর্তমান যামানার ইসলামী আন্দোলনগুলোকে বিগত একশ’ বছরের পর্যালোচনার চোখে দেখি, তখন তাদের দ্বারা ফিতনা-ফাসাদের বিস্তার ছাড়া আর কোন ফায়দাই খুঁজে পায় না। কেউ কেউ নিরাপরাধ প্রাণগুলোর রক্তপাত করেছে, অথচ কোন ফায়দাই অর্জিত হয়নি পূর্বোক্ত কথাগুলোর সারাংশ হল, আমরা কিতাব ও সুন্নাতের বিরোধী আক্বীদা শ্রবণ করছি, যাদের দাবি হল- ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করছি। [.আমাদের বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বজুড়ে ইসলামের নামে যেসব সংগঠন/আন্দোলন রয়েছে এর অধিকাংশই কুরআন ও সহীহ হাদীসের দিকে সালফে-সালেহীনদের উপলব্ধির আলোকে দা‘ওয়াত দেয়ার পরিবর্তে নিজ নিজ মাযহাব, তরীক্বা ও উপলব্ধির দিকে দা‘ওয়াত দিয়ে থাকে। তাছাড়া ক্ষমতা, অর্থ ও জনপ্রিয়তার মোহে বিভিন্ন বিদআত (মিলাদুন্নবী/দুআর মাহফিল, বরকত/সওয়াবের নিয়তে বিভিন্ন স্থান সফর), শিরক (পীরবাদ, কবরপূজা), বিকৃত আক্বীদা (আল্লাহ’র নাম ও গুণাবলীতে বিকৃতি, আশআরী-মাতুরিদী-মুতাযিলা-শিয়া আক্বীদা, সাহাবীদের প্রতি রাজনৈতিক ও বিভ্রান্তির দোষারোপ) ও জাহেলিয়াতের সাথে আপোষকামীতা (গণতন্ত্র, সুদকে ইসলামী/আরবি পরিভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে বৈধ করা), ইসলামের সবকিছুকেই রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন হওয়ার উদ্দেশ্যের সাথে সম্পৃক্ত করা- প্রভৃতির মধ্যে লিপ্ত। এমনকি বিদআত ও জাহেলী অনেক কর্মকান্ডকে তারা ইসলাম ক্বায়েমের হিকমাত বলেও আখ্যায়িত করে। ফলে সাধারণ জনগণের পক্ষে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করা অত্যন্ত দূরূহ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। [উর্দু অনুবাদক নিজ পক্ষ থেকে বিভিন্ন দলের নাম উল্লেখ পূর্বক তাদের বিভ্রান্তিগুলো তুলে ধরেছেন। আমি (বাংলা অনুবাদক) সুনির্দিষ্টভাবে দলগুলোর নাম উল্লেখ না করে মূল কথাগুলো তুলে ধরেছি]]

এমন উদ্দেশ্যেই আমরা একটি বাক্য উল্লেখ করছি যা তাদেরই কোন দা‘ওয়াতদাতার উদ্ধৃতি। যে ব্যাপারে আমাদের আকাঙ্ক্ষা হল, তাদের অনুসারীরা এটাকেই বাধ্যতামূলক বানিয়ে নেবে এবং সেই লেবাসেই/ পরিচয়ে নিজেদের প্রকাশ করবে। বাক্যটি হল :

أقيموا دولة الإسلام في قلوبكم تقم لكم على أرضكم

‘‘নিজেদের ক্বলবে (অন্তরে) ইসলামী রাষ্ট্র ক্বায়েম কর, যা তিনি (আল্লাহ তাআলা) তোমাদের জন্য তোমাদের যমীনের উপর তা ক্বায়েম করবেন।’’ [.শায়েখ উসায়মীন (রহ) বলেন : এটা খুবই উপকারী বাক্য। আল্লাহু মুস্তাআন (আল্লাহই সর্বোচ্চ সাহায্যকারী)। -উর্দু অনুবাদক]

কেননা যদি কোন মুসলিমের আক্বীদা কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে সহীহ হয়ে যায় তখন তার ইবাদত, আখলাক্ব, ব্যবহার প্রভৃতি নিজের পক্ষ থেকেই সংশোধিত হতে থাকে।

কিন্তু আমার দৃষ্টিতে ঐ সমস্ত লোক উক্ত বাক্যের দাবির উপর আমল করে না। অথচ ইসলামী রাষ্ট্র ক্বায়েমের পক্ষে আওয়াজ তুলে যাচ্ছে। তাদের প্রতি যেন কবির কবিতার এই অংশটি খুবই প্রযোজ্য :

ترجو النجاة ولم تسلك مسالكها إن السفينة لا تجري على اليبس

‘‘তুমি নাজাতের আকাঙ্ক্ষা কর অথচ তুমি সে পথ পাওনি।

জেনে রাখ! নৌকা কখনো শুকনা স্থানে চলে না।’’

আশাকরি প্রশ্নের উত্তরে এতটুকুই যথেষ্ট.....। আল্লাহু মুস্তাআন (আল্লাহই সর্বোচ্চ সাহায্যকারী)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন