মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ), শায়খ সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ), বিভিন্ন মুফাসসির ও মুহাদ্দিসদের (রহ) উদ্ধৃতি
২৯
বিজয় ও ইক্বামাতে দ্বীনের সহীহ পদ্ধতি
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/29
আমি এ সম্পর্কে আরো কয়েকটি স্থানে এ ধরনের প্রত্যেকটি জামাআতের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য বিষয়ে আলোচনা করেছি। কেবল ইসলামী অঞ্চলগুলোতেই নয়, বরং দুনিয়াব্যাপী সর্বত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন :
‘‘তিনি রসূলকে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত ও দ্বীনে হক্ব সহকারে, যেন তা সমস্ত দ্বীনের উপর বিজয়ী হয়- যদিও মুশরিকদের কাছে তা অপছন্দনীয়।’’ [.সূরা তাওবা : ৩৩ আয়াত।]
অনুরূপভাবে কিছু সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, আগত দিনগুলোতে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। [.মিক্বদাদ ইবনু আসওয়াদ (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : لاَ يَبْقى عَلى ظَهْرِ الْأَرْضِ بَيْتُ مَدَرٍ وَّلاَ وَبَرٍ إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللهُ كَلِمَةَ الْإِسْلاَمِ بِعِزِّ عَزِيْزٍ وَ ذُلِّ ذَلِيْلٍ إِمَّا يُعَزُّهُمُ اللهُ فَيَجْعَلُهُمْ مِّنْ أَهْلِهَا أَوْ يُذِلُّهُمْ فَيَدِيْنُوْنَ لَهَا قٌلْتُ فَيَكُوْنُ الدِّيْنُ كُلُّه ‘ ِللهِ ‘‘যমীনের ওপর কোন মাটির ঘর অথবা পশমের ঘর (তাঁবু) বাকী থাকবে না যাতে আল্লাহ তাআলা ইসলামের বাণী পৌঁছে দিবেন না- সম্মানীর ঘরে সম্মানের সাথে এবং অপমানিতের ঘরে অপমানের সাথে। আল্লাহ যাদের সম্মানিত করবেন তাদেরকে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণের উপযুক্ত করে দেবেন। পক্ষান্তরে যাদের অপমানিত করবেন, তারা ইসলামের বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হবে। আমি (মিক্বদাদ (লা) তখন) বললাম : তখন তো গোটা দ্বীনই আল্লাহ’র হবে।’’ [আহমাদ, মিশকাত ৪২; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন (তাহক্বীক্বকৃত মিশকাত ১/৪২ নং] -(বাংলা অনুবাদক)]] এখন এই আয়াতের বাস্তবায়নের জন্যে কি মুসলিম হাকিম/শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার দ্বারাই এই আমলটির সূচনা করতে হবে? যাদের ব্যাপারে তাদের ধারণা, এই কুফর ‘মুরতাদ হওয়ার কুফর’-এর চেয়ে কম না। যদিও এ ধারণাটি বাতিল, তবুও তারা কাফির সম্বোধন করার পরও কিছুই করতে পারছে না। [.শায়েখ উসায়মীন (রহ)-কে আলোচ্য সংশয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় :অনেক যুবকের মনে এ ব্যাপারে সংশয় রয়েছে এবং তারা এ আমলটির বিরোধিতায় খুবই তৎপর। তাদের সংশয় হল, যদি এই সমস্ত হাকিম/শাসক আল্লাহ’র নাযিলকৃত শরিয়াতের পরিবর্তে নিজ রচিত আইন প্রতিষ্ঠা করে- তবে তারা তাদের (শাসকদের) প্রতি মুরতাদ-কাফিরের হুকুম প্রয়োগ করে। এরই ভিত্তিতে তারা বলে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা এর উপর ক্বায়েম থাকবে ততক্ষণ তাদের সাথে ক্বিতাল করা ওয়াজিব। এ পর্যায়ে বাড়াবাড়ি হল, এই যুবকেরা নিজেদের দুর্বলতার দিকে লক্ষ্য করে না। কেননা দুর্বলতার সময় যে সমস্ত খাস হুকুম নাযিল হয়েছিল, তারা আয়াতে সাইফ (সূরা তাওবা- ৫ আয়াত) দ্বারা তা মানসুখ হয়েছে বলে উল্লেখ করে। বর্তমান যামানায় মুসলিমদের দুর্বলতার ক্ষেত্রে এ আমলটি লুট করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, যা তারা ইসলামের প্রাথমিক অবস্থাতে করেছিল। তিনি (উসায়মীন (রহ)) এই সংশয়টির যথাযথ জবাবে বলেন :‘‘প্রথমে আমাদের এটা জানা দরকার এই হাকিম/শাসকদের প্রতি মুরতাদের হুকুম প্রযোজ্য কি না? ’’এ সম্পর্কে সর্বপ্রথম তাদের দলিলগুলোর অবস্থা জানা জরুরি। যারা বলে থাকে যে-১.তাদের কথা ও কাজে মুরতাদের হুকুম প্রযোজ্য;২.কোন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতি তা প্রযোজ্য করা, এবং৩.সর্বোপরি এ দিকে লক্ষ্য রাখা যে, তাদের এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ সংশয় আছে কি না?অর্থাৎ কোন দলিল দ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, অমূক কথা বা কাজ কুফর। এর সাথে এমন কোন অর্থ যদি পাওয়া যায় যা উক্ত ব্যক্তির উপর প্রযোজ্য কুফরের সাথে সম্পর্কিত কুফরের অর্থ প্রকাশক। কেননা, অর্থতো বিভিন্নভাবে প্রয়োগ হতে পারে। যেমন- ধারণা, অজ্ঞতা, ভুল বিষয়কে প্রাধান্যদান প্রভৃতি।যেমন- যদি কোন ব্যক্তি তার পরিবারকে বলে, ‘‘আমি যখন মারা যাব তখন আমাকে পুড়িয়ে ফেলবে এবং আমার ছাই ও অবশিষ্টাংশ নদীতে/সমুদ্রে ফেলে দিবে। কেননা যদি আল্লাহ তাআলা যদি আমাকে পাকড়াও করেন তবে আমাকে এমন আযাব দেবেন, যা দুনিয়ার আর কাউকেই দেবেন না।’’ [সহীহ বুখারী ৭৫০৬, সহীহ মুসলিম ৬৮৭৩ (২৪/২৭৫৬), মিশকাত ২৩৬৯] হাদীসটির প্রকাশ্য অর্থ ব্যক্তিটির মধ্যে আল্লাহ’র পরিপূর্ণ কুদরতী ক্ষমতার ব্যাপারে কুফরযুক্ত সন্দেহের প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা যখন তাঁর কুদরতী ক্ষমতায় তাকে সশরীরের জীবিত করে সম্বোধন করলেন, তখন সে ব্যক্তি বলল : من خشيتك يا رب ‘‘হে আমরা রব! আমি আপনাকে ভয় পাচ্ছিলাম।’’ তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। যদিও তার আমলটি বিকৃত চিন্তার ফলাফল ছিল।অনুরূপ ঐ ব্যক্তির কাহিনীও উল্লেখযোগ্য, যে ব্যক্তি তার হারিয়ে যাওয়া উট পাওয়ার পর মাত্রাতিরিক্ত খুশিতে ভুল করে বলল : اللهم أنت عبدي وأنا ربك ‘‘হে আল্লাহ ! আপনি আমার বান্দা এবং আমি আপনার রব।’’ [সহীহ মুসলিম ৬৮৫৩ (৭/২৭৪৭), মিশকাত ২৩৩২] নিঃসন্দেহে এটি একটি সুস্পষ্ট আমলী কুফর। কিন্তু এর প্রতি কি চুড়ান্ত তাকফীরের হুকুম প্রযোজ্য ? সে তো নিজের বাঁধ ভাঙ্গা খুশিতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছে এবং আবেগের মোহে সঠিক বাক্য উচ্চারণের পরিবর্তে ভুল উচ্চারণ করে ফেলে। অর্থাৎ সে তো এটাই বলতে চাচ্ছিল যে, ‘‘হে আল্লাহ ! আমি তোমার বান্দা এবং তুমি আমার রব।’’ কিন্তু তার মুখ থেকে ভুলক্রমে বের হল : ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আমার বান্দা এবং আমি আপনার প্রভু।’’অনুরূপ যে ব্যক্তিকে কুফরের ব্যাপারে বাধ্য করা হয়েছে এবং সে উক্ত জবরদস্তির কারণে কুফরী কালেমা বলে কিংবা কোন কুফরী আমল করে তবে কুরআনের (সূরা নাহাল- ১০৬ আয়াত) দলিলের আলোকে সে কাফির নয়। কেননা তার এ ব্যাপারে আন্তরিক স্বীকৃতি ছিল না। যাহোক এই সমস্ত হাকিম/শাসক ব্যক্তিগত বিষয় যেমন- বিয়ে, তালাক্ব, ওয়ারিসী সম্পত্তির ভাগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে কুরআন ও হাদীস মোতাবেক নিজ নিজ মাযহাবের উপর ফায়সালা করে থাকে। কিন্তু লোকদের মধ্যকার বিভিন্ন লেনদেনের ব্যাপারে যখন ফায়সালা আসে তখন তারা এক্ষেত্রে বিপরীত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। কেননা তাদের উলামায়ে সূ‘ গণ এই বুঝ দিয়েছে যে, নবী (স) বলেছেন : أنتم أعلم بأمر دنياكم ‘‘তোমরা দুনিয়ার বিষয়ে বেশি জান।’’ [সহীহ মুসলিম- কিতাবুল ফাযায়েল باب وُجُوبِ امْتِثَالِ مَا قَالَهُ شَرْعًا دُونَ مَا ذَكَرَهُ -صلى الله عليه وسلم- مِنْ مَعَايِشِ الدُّنْيَا عَلَى سَبِيلِ الرَّأْىِ ; হা/৬২৭৭, আলবানীর সহীহুল জামে‘উস সগীর ওয়া যিয়াদাতাহু১/১৪৮৮ নং] আর এই হুকুমটি আম (ব্যাপক) দাবি সম্পন্ন। সুতরাং প্রত্যেক ঐ সমস্ত ব্যাপার যেখানে দুনিয়াবী কর্মকান্ড জড়িত সে ব্যাপারে আমরা স্বাধীন। কেননা নবী (স) স্বয়ং বলেছেন : أنتم أعلم بأمر دنياكم ‘‘তোমরা দুনিয়ার বিষয়ে বেশি জান।’’যদিও এটি একটি সংশয়ের সৃষ্টি করে কিন্তু আমরা দেখি তারা ঐ সমস্ত বিষয়ের বৈধতাকেও স্বীকৃতি দেয়। যেমন- হদ ক্বায়েম না করা, মদ পান প্রভৃতি বিষয়ে তারা ইসলামী শরিয়াতের বিপরীতে অবস্থান করে। এখন যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নিই তবে কিছু ব্যাপারে সংশয়ের বাস্তবতা সঠিক হলেও শেষোক্ত আইনগুলোর ব্যাপারে তাদের ব্যাপারে কোন সংশয় থাকে না। আলোচ্য অভিযোগের শেষাংশে বর্ণিত (দুর্বলতার সময় করণীয়) বিষয়ে বলা যায় : যখন আল্লাহ তাআলা জিহাদ ফরয হওয়ার পরে বললেন : يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ إِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ وَإِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ مِئَةٌ يَغْلِبُوا أَلْفًا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَفْقَهُونَـ ‘‘হে নবী! আপনি মু’মিনদের ক্বিতালের প্রতি উদ্বুদ্ধ করুন। যদি তোমাদের মধ্যে বিশজন সবরকারী হয় তবে তারা দু’শ এর উপর বিজয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মধ্যে একশ জন সবরকারী হয় তারা এক হাজার কাফিরের উপর বিজয়ী হবে। কারণ তারা নির্বোধ লোক।’’ [সূরা আনফাল : ৬৫ আয়াত]আয়াতটিতে দশজন কাফিরের মোকাবেলায় একজন মু‘মিনকে ক্ববুল করা হয়। অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলেন : الْآَنَ خَفَّفَ اللَّهُ عَنْكُمْ وَعَلِمَ أَنَّ فِيكُمْ ضَعْفًا فَإِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ مِئَةٌ صَابِرَةٌ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ وَإِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَلْفٌ يَغْلِبُوا أَلْفَيْنِ بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ ‘‘এখন আল্লাহ তোমাদের থেকে বোঝা হালকা করে দিয়েছেন এবং তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে বলে জেনেছেন। অতএব যদি তোমাদের মধ্যে একশ জন সবরকারী হয় তবে তারা দু’শ জনের উপর জয় লাভ করবে আর এক হাজার হলে দু’ হাজারের উপর জয়লাভ করবে। আল্লাহ সবরকারীদের সাথে আছেন।’’ [সূরা আনফাল : ৬৬ আয়াত]অনেক আলেম বলেন উক্ত অবস্থা পরিস্থিতি বিশেষে প্রযোজ্য। ......[সংযোজন : ইবনু আব্বাস (রা) বলেছেন : যখন ِ إِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ আয়াতটি নাযিল হল, তখন দশ জনের বিপরীতে একজনের পলায়নও নিষিদ্ধ করা হল, তখন এটা মুসলিমদের উপর দুঃসাধ্য মনে হলে পরে তা লাঘবের বিধান এলো الْآَنَ خَفَّفَ اللَّهُ عَنْكُمْ وَعَلِمَ أَنَّ فِيكُمْ ضَعْفًا فَإِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ مِئَةٌ صَابِرَةٌ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ ইবনু আব্বাস (রা) বলেন : فَلَمَّا خَفَّفَ اللهُ عَنْهُمْ مِنَ الْعِدَّةِ نَقَصَ مِنَ الصَّبْرِ بِقَدْرِ مَا خَفَّفَ عَنْهُمْ ‘‘আল্লাহ তাদেরকে সংখ্যার দিকে থেকে যখন হাল্কা করে দিলেন তাদের সবরের ত্রুটির কারণে, সেই পরিমাণে তাদের সবরও হ্রাস পেল।’’ (সহীহ বুখারী- কিতাবুত তাফসীর, সূরা আনফাল)সাওবান (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : يُوْشِكُ الْاُمَمُ اَنْ تَدَاعي عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَي الْأكِلَةُ اِلي قَصْعَتِهَا، فَقَالَ قَائِلٌ : وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيْرٌ، وَلكِنَّكُمْ غُثَاءُ كَغُثَاءِ السَّيْلِ، وَلَيَنَزِعَنَّ اللهُ مِنْ صُدُوْرِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَاَبةَ مِنْكُمْ، وَلَيَقْذِفَنَّ فِيْ قُلُوْبِكُمُ الْوَهَنَ . قَاَل قَائِلٌ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! وَمَا الْوَهْنُ؟ قَالَ : حُبُّ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَّةُ الْمَوْتِ ـ ‘‘অচিরেই বিশ্বের অন্যান্য জাতি তোমাদের ওপর হামলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে যেমন লোভী পেটুকেরা খাবার পাত্রে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তখন জনৈক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে কি এমনটি হবে? তিনি বললেন, না। বরং সে সময় তোমরা সংখ্যায় অধিক সংখ্যক হবে কিন্তু তোমাদের অবস্থা হবে খড়-কুটার মত।। আল্লাহ তোমাদের দুশমনের অন্তর থেকে তোমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি দূর করে দিবেন এবং তোমাদের অন্তরে অলসতার সৃষ্টি হয়ে যাবে। তখন জনৈক সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! অলসতার সৃষ্টি হবে কেন? তিনি বললেন, দুনিয়ার প্রতি মহববত আর মৃত্যুকে অপছন্দ (ভয়) করার কারণে।’’ [আবূ দাউদ ৪২৯৭, মিশকাত ৫৩৬৯; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন- আলবানীর মিশকাত ৩/১৪৭৫ পৃ.] হাসান (রহ) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ (স)-এর একজন সাহাবী আয়েয ইবনু আমর (রা) একবার উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদের কাছে গেলেন। তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন,বৎস! আমি রসূলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি : إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ ‘‘নিকৃষ্টতম রাখাল হচ্ছে অত্যাচারী শাসক।’’ সুতরাং তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে সাবধান থাকবে। তখন সে বলল : বসে পড়! তুমি হচ্ছ নবী (স)’র সাহাবীদের ভূষি স্বরূপ। জবাবে তিনি (রা) বললেন : وَهَلْ كَانَتْ لَهُمْ نُخَالَةٌ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ وَفِى غَيْرِهِمْ ‘‘তাঁদের মধ্যেও কি ভূষি আছে? ভূষি তো তাদের পরবর্তীদের এবং অন্যান্যদের মধ্যে।’’ [সহীহ মুসলিম ৪৬২৭ (২৩/১৮৩০)]মিরদাস আসলামী (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন : يَذْهَبُ الصَّالِحُوْنَ الْأَوَّلُ فَالْأَوَّلُ وَتَبْقى حُفَالَةٌ كَحُفَالَةِ الشَّعِيْرِ أَوِ التَّمَرِ لاَ يُبَالِيْهِمُ اللهُ بَالَةً ‘‘ভাল ও নেককার লোকেরা (পর্যায়েক্রমে) একের পর এক চলে যাবে। অতঃপর অবশিষ্টরা যব অথবা খেজুরের নিকৃষ্ট চিটার ন্যায় থেকে যাবে। আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ করবেন না।’’ [সহীহ বুখারী ৬৪৩৪, মিশকাত ৫৩৬২]সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রা) থেকে বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি : اِنَّ الْاِيْمَانَ بَدَا غَرِيْبًا وَسَيَعُوْدُ كَمَا بَدَا فَطُوْبَى يَوْمَئِذٍ لِلْغُرَبَاءِ اِذَا فَسَدَ الزَّمَانُ وَالَّذِىْ نَفْسُ أَبِى الْقَاسِمُ بِيَدِه لَيَاُرِزَنَّ الْاِيْمَانُ بَيْنَ هَذَيْنِ الْمَسْجِدَيْنِ كَمَا تَازُ الْحَيَّةُ فِىْ جُحْرِهَا ‘‘নিশ্চয় ঈমান উৎপত্তি লাভ করেছে গরীব (পরবাসী/দুর্বল) অবস্থায় এবং তা অচিরেই প্রত্যাবর্তন করবে সেই অবস্থায়, যে অবস্থায় উৎপত্তি লাভ করেছিল। সুতরাং মোবারকবাদ ঐ দিন সেইসব গরীবদের জন্য, যখন ফাসাদের যামানা হবে। যাঁর হাতে আবূল কাসিমের জীবন! সেই সত্তার ক্বসম! ঈমান এই দুই মাসজিদের মধ্যবর্তী স্থানে প্রবেশ করবে, সর্প যেমন তার গর্তে প্রবেশ করে থাকে।’’ [সহীহ মুসলিম ২৬৮ (২৩২/১৪৬), মুসনাদে আহমাদ (ইফা) ১/৯৯ নং] (বাংলা অনুবাদক)]তাছাড়া আমাদের কাছে এই দুর্বলতার সমর্থনে দলিল মজুদ রয়েছে যা এর সুস্পষ্টতা ও ব্যাপকতা ব্যক্ত করে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন : لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ‘‘আল্লাহ কাউকে তার সামর্থ্যের বাইরে বোঝা চাপান না’’ (সূরা বাক্বারাহ : ২৮৬ আয়াত)। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন : فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ ‘‘সুতরাং আল্লাহকে সাধ্যমত ভয় কর’’ (সূরা তাগাবুন : ১৬ আয়াত)।যদি আমরা তর্কের খাতিরে মেনে নিই যে, আলেম-উলামাদের বর্ণিত শর্তের আলোকে এই সমস্ত হাকিম/শাসকদের উৎখাত করা ওয়াজিব। তবুও সেক্ষেত্রে এটা আমাদের প্রতি ওয়াজিব হয় না। কেননা তাদের পতন ঘটানোর মত শক্তি-সামর্থ্য আমাদের নেই। বিষয়টি যদিও সুস্পষ্ট, এরপরও মানুষ নাফসের অসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) যুক্ত’’ - শায়েখ উসায়মীন। [উর্দু অনুবাদক]]
সুতরাং কোন পথ ও পদ্ধতি অবলম্বন করে কুরআনের নিম্নোক্ত হক্ব পূর্ণাঙ্গরূপে আদায় করা যাবে :
‘‘তিনি রসূলকে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত ও দ্বীনে হক্ব সহকারে, যেন তা সমস্ত দ্বীনের উপর বিজয়ী হয়- যদিও মুশরিকদের কাছে তা অপছন্দনীয়।’’ [.সূরা তাওবা : ৩৩ আয়াত।]
নিঃসন্দেহে এর একটিই পদ্ধতি- যা রসূলুল্লাহ (স) নিজের সাহাবীদের (রা) বলেছিলেন। তিনি নিজের প্রত্যেক খুতবাতেও বলতেন : وَخَيْرَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ ‘‘সর্বোত্তম হিদায়াত (পথ) হল মুহাম্মাদ (স)’র হিদায়াত।’’ [.সহীহ : সহীহ মুসলিম ১৮৯০ (৪৩/৮৬৭), মিশকাত ১৪১।]
এ কারণে সমস্ত মুসলিম এবং কেবল মুসলিম রাষ্ট্রেই নয় বরং দুনিয়াব্যাপী ইসলামী হুকুম ক্বায়েমের সহযোগিতা করা ওয়াজিব। সর্বপ্রথম সেখানে দা‘ওয়াতকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করবে যেভাবে নবী (স) দা‘ওয়াত দেয়া শুরু করেছিলেন। যা সংক্ষেপে আমি দু’টি শব্দে উল্লেখ করে থাকি : التصفيه والتربيه [(ক) তাসফিয়্যাহ (পবিত্রতা/সংস্কার-সংশোধন) ও (খ) তারবিয়্যাহ (শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ)।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/385/29
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।