hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা ফাতিহা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১০
শয়তান হতে আলস্নাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা
কুরআন পাঠ করার শুরম্নতে اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (আঊযু বিলস্না-হি মিনাশ্ শাইত্বানির রাজীম) পাঠ করা খুবই জরম্নরি। কোন কোন আলেম এটিকে ওয়াজিবও বলেছেন। কেননা আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْاٰنَ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ﴾

যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আলস্নাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। (সূরা নাহল- ৯৮)

উলেস্নখ্য যে, এ হুকুমটি যে কোন সময়ের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ যখনই কুরআন পাঠ করা শুরম্ন করবে, তখনই শয়তানের কাছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা করতে হবে- চাই তা নামাযের মধ্যে হোক অথবা নামাযের বাহিরে হোক অথবা সূরার শুরম্ন থেকে পাঠ করার সময় হোক অথবা সূরার মধ্যখানে যে কোন আয়াত থেকে পাঠ করার সময় হোক। উপরম্নক্ত আয়াত দ্বারা এমনই নির্দেশনা পাওয়া যায়। তাছাড়া এমনিতেও যে কোন সময় শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আলস্নাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া খুবই উত্তম। কেননা আলস্নাহ বেশ কয়েকটি আয়াতের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যেমন-

وَقُلْ رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ، وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَّحْضُرُوْنِ

তুমি বল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হতে এবং আমি তোমার নিকট আরো আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট ওদের উপস্থিতি হতে। (মুমিনূন- ৯৭-৯৮)

তিনি আরো বলেন,

﴿وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ﴾

যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আলস্নাহর আশ্রয় চাও। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সূরা হা-মীম সাজদাহ- ৩৬)

আঊ’যূ বিলস্নাহ’ এর অর্থ ও তাvপর্য:

أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (আঊ’যূ বিলস্নাহ’ মিনাশ্ শাইত্বানির রজীম) এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে, আমি বিতাড়িত শয়তান হতে আলস্নাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর এর তাvপর্য হচ্ছে, আমরা এমন এক সত্ত্বা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যে সর্বদিক থেকে বিতাড়িত। আর এ কারণেই আলস্নাহ তা’আলা আমাদেরকে শয়তান থেতে সাবধান করে দিয়েছেন। তিনি বলেন,

﴿ يَا بَنِي آدَمَ لا يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ﴾

হে আদম সমত্মান! শয়তান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রলুব্ধ না করে, যেভাবে সে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত হতে বহিষ্কৃত করেছিল। (সুরা আরাফ-২৭)

শয়তানের পরিচয়:

সবচেয়ে বড় শয়তান হচ্ছে ইবলিস- যে আদম আ: -কে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। তবে শয়তান কোন নির্দিষ্ট সত্ত্বার নাম নয়, বরং এটি কতগুলো বৈশিষ্ট্যের সমষ্টি। যার মধ্যে শয়তানের বৈশিষ্ট পাওয়া যাবে, তাকেই শয়তান হিসেবে গণ্য করা হবে। শয়তান জিন জাতির মধ্যে রয়েছে আবার মানুষের মধ্যেও রয়েছে।

শয়তান হচ্ছে মানুষের শত্রম্ন:

শয়তান হচ্ছে মানুষের প্রকাশ্য শত্রম্ন। আলস্নাহ তা’আলা বলেন,

أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ

হে আদম সমত্মান! আমি কি তোমাদেরকে সতর্ক করিনি যে, তোমরা শয়তানের উপাসনা করোনা ? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রম্ন।

(সূরা ইয়াসিন-৬২)

অতএব মানুষের উচিত শয়তানকে নিজেদেও শত্রম্ন হিসেবেই জানা এবং তার থেকে বেঁচে থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

শয়তান থেকে বাঁচার উপায়:

শয়তান থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে, একমাত্র আলস্নাহর কাছে আশ্রয় গ্রহণ করা। এ কারণেই আলস্নাহ তা’আলা আমাদেরকে দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন,

رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَّحْضُرُوْنِ .

হে আমার রব! আমি শয়তানদের কুমন্ত্রণা হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেন তারা আমার কাছে না আসতে পারে। (সূরা মু’মিনূন- ৯৭, ৯৮)

এ ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে শয়তান থেকে বেঁচে থাকা খুবই সহজ। আর এগুলো কুরআন ও হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত। যেমন-

১. কুরআন তেলাওয়াত করা। [সহীহ মুসলিম, হা/১৭৬০ তিরমিযী, হা/২৮৭৭; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৮০১৫ ।]

২. ইখলাস অবলম্বন করা । [সূরা হিজর ৩৯-৪০।]

৩. আলস্নাহকে স্মরণ করা । [সূরা যুখরম্নফ ৩৬-৩৭।]

৪. ঘরে প্রবেশকালে ও খাবার সময় আলস্নাহকে স্মরণ করা। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৭১; আবু দাউদ, হা/৩৭৬৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৮৭;বায়হাকী, হা/১৫০০৩।]

৫. ডান হাতে আহার করা। [তিরমিযী, হা/১৭৯৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৬; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৬৪৪।]

৬. আলস্নাহর উপর রভরসা করা। [সূরা নাহল - ৯৯।]

৭. শয়নকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা। [সহীহ বুখারী, হা/৩২৭৫; শুআবুল ঈমান হা/২৩৮৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৭৯৫।]

এ সর্ম্পকে বিসত্মারিত জানার জন্য পড়ুন আমাদের বই শয়তান থেকে বাঁচার কৌশল’’।

﴿فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْاٰنَ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ﴾

যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আলস্নাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে। (সূরা নাহল- ৯৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন