hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা ফাতিহা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

সূরা ফাতিহার অন্যান্য নামসমূহ
সূরা ফাতিহা কুরআন মাজীদের ছোট সূরাসমূহের অমত্মর্ভুক্ত হলেও এর তাৎপর্য অনেক বেশি। সে জন্য কুরআন, হাদীস ও আছার থেকে সূরা ফাতিহার একাধিক নাম পাওয়া যায়। যেমন-

(১) أُمُّ الْقُرْاٰنِ (উম্মুল কুরআন) তথা কুরআনের মা :

সূরা ফাতিহাকে أُمُّ الْقُرْاٰنِ (উম্মুল কুরআন) এজন্য বলা হয়েছে যে, এ সূরাটি হলো কুরআনের মূল। এর মধ্যে কুরআনের সমসত্ম সূরার সার সংক্ষেপ বর্ণিত রয়েছে এবং এর মধ্যে কুরআনের সমসত্ম ইলম অমত্মর্ভুক্ত রয়েছে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ أُمُّ الْقُرْاٰنِ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْاٰنُ الْعَظِيمُ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ ﷺ বলেছেন, উম্মুল কুরআন অর্থাৎ সূরা ফাতিহা হচ্ছে সাবউল মাসানী (বার বার পঠিত সাতটি আয়াত) ও কুরআনুল আযীম (মহিমান্বিত কুরআন)। [সহীহ বুখারী, হা/৪৭০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৭৮৭; তিরমিযী, হা/৩১২৪; আবু দাউদ, হা/১৪৫৯।]

(২) أُمُّ الْكِتَابِ (উম্মুল কিতাব) তথা কিতাবের মূল :

এখানে اَلْكِتَابُ (আল-কিতাব) বলতে কুরআনকেই বুঝানো হয়েছে। সুতরাং সূরা ফাতিহাকে أُمُّ الْكِتَابِ (উম্মুল কিতাব) নামকরণের তাৎপর্য হলো, এ সূরা হচ্ছে কুরআনের কেন্দ্রবিন্দু। কুরআনের সকল বক্তব্য সূরা ফাতিহার দিকে ফিরে আসে।

তাছাড়া কুরআনের যেসব আয়াতের অর্থ একেবারে স্পষ্ট, সেসব আয়াতকে أُمُّ الْكِتَابِ (উম্মুল কিতাব) বলা হয়। যেমন- আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,

﴿هُوَ الَّذِيْۤ اَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ اٰيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ اُمُّ الْكِتَابِ وَاُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ﴾

তিনিই আপনার ওপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। এর মধ্যে কতক আয়াত রয়েছে মুহকামাত (স্পষ্ট), এগুলোই কিতাবের মূল; আর অন্যগুলো মুতাশাবিহাত (অস্পষ্ট)। (সূরা আলে ইমরান- ৭)

(৩) اَلسَّبْعُ الْمَثَانِىْ (আস-সাব‘উল মাছানী) তথা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত :

اَلسَّبْعُ (আস-সাব‘উ) এর অর্থ হচ্ছে সাত। যেহেতু সূরা ফাতিহার মধ্যে সাতটি আয়াত রয়েছে, তাই এটাকে اَلسَّبْعُ বলা হয়। আর اَلْمَثَانِىْ (আল-মাছানী) শব্দটির অর্থ হচ্ছে দুই। আরবি ভাষায় এটি تَكْرَار (তাকরার) তথা বার বার অর্থেও ব্যবহার করা হয়। যেহেতু সূরা ফাতিহা সালাতের মধ্যে বার বার পাঠ করা হয়, তাই এটাকে اَلْمَثَانِىْ (আল-মাছানী) বলা হয়।

অন্যদিকে আরবি ভাষায় اَلْمَثَانِىْ (আল-মাছানী) শব্দটি ثَنَاءٌ (ছানাউন) তথা প্রশংসাজ্ঞাপন অর্থেও ব্যবহার করা হয়। যেহেতু সূরা ফাতিহার মাধ্যমে আলস্নাহ তা‘আলার প্রশংসা করা হয় তাই এদিক থেকেও এটাকে مَثَانِىْ (মাছানী) বলা হয়। আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَقَدْ اٰتَيْنَاكَ سَبْعاً مِّنَ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ﴾

আর আমি তোমাকে দান করেছি বারবার পঠিত সাতটি আয়াত ও মহান কুরআন। (সূরা হিজর- ৮৭)

অত্র আয়াতে বর্ণিত اَلسَّبْعُ الْمَثَانِىْ (আস-সাব‘উল মাছানী) বলতে সূরা ফাতিহাকেই বুঝানো হয়েছে।

(৪) فَاتِحَةُ الْكِتَابِ (ফাতিহাতুল কিতাব) তথা কুরআনের মুখবন্ধ :

الْفَاتِحَةْ (আল ফাতিহাতু) শব্দের অর্থ হলো মুখবন্ধ, ভূমিকা, শুরম্ন করা, আরম্ভ করা ইত্যাদি। যেহেতু এ সূরাটির মাধ্যমে কুরআনের লিখন শুরম্ন হয়েছে তাই এটাকে فَاتِحَةُ الْكِتَابِ (ফাতিহাতুল কিতাব) হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم - : أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ ﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ﴾ سَبْعُ آيَاتٍ ، إِحْدَاهُنَّ ﴿بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ﴾ وَهِىَ السَّبْعُ مِنَ الْمَثَانِى وَالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ وَهِىَ أُمُّ الْقُرْآنِ وَهِىَ فَاتِحَةُ الْكِتَابِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, ﴿ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴾ এর মধ্যে সাতটি আয়াত রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ﴿ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ﴾ । এটি বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন। আর এটি হচ্ছে উম্মুল কুরআন এবং এটিই হচ্ছে فَاتِحَةُ الْكِتَابِ (ফাতিহাতুল কিতাব)। [বায়হাকী, হা/২৪৮৫; কানযুল উম্মাল, হা/২৫১৯।]

(৫) سُوْرَةُ الدُّعَاءِ (সূরাতুদ দু‘আ) তথা দু‘আর সূরা :

এক সূরাটির অংশ হচ্ছে দু‘আ। যেমন-

اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ

আমাদেরকে সরলসঠিক পথ দেখিয়ে দিন।

অত্র আয়াতে সরলসঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য মহান আলস্নাহর কাছে দু‘আ করা হয়েছে। আর এ কারণে এ সূরাটিকে سُوْرَةُ الدُّعَاءِ (সূরাতুদ দু‘আ) বলা হয়। রাসূলুলস্নাহ ﷺ ইরশাদ করেন,

أَفْضَلُ الذِّكْرِ لَاۤ إِلٰهَ إِلاَّ الله ُوَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ

‘‘শ্রেষ্ঠ যিকির হলো লা-ইলাহা ইলস্নালস্নাহ এবং শ্রেষ্ঠ দু‘আ হলো ‘আলহামদুলিলস্নাহ’ বা সূরা ফাতিহা’’। [তিরমিযী, হা/৩৩৮৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮০০; সুনানুল কুবরা নাসাঈ, হা/১০৫৯৯; মুসাদরাকে হাকেম, হা/১৮৩৪।]

(৬) الشِّفَاءِ سُوْرَةُ (সূরাতুশ শিফা) তথা রোগমুক্তির সূরা।

(৭) أَسَاسُ الْقُرْاٰنِ (আসাসুল কুরআন) তথা কুরআনের ভিত্তি।

(৮) الْحَمْدِ سُوْرَةُ (সূরাতুল হামদ) তথা প্রশংসার সূরা।

(৯) الصَّلٰوةِ سُوْرَةُ (সূরাতুস সালাত) তথা নামাযের সূরা।

(১০) الْكَافِيَةِ سُوْرَةُ (সূরাতুল কাফিয়াহ) তথা যথেষ্ট হওয়ার সূরা।

(১১) سُوْرَةُ الْكَنْزِ (সূরাতুল কানয) তথা খনির সূরা ইত্যাদি।

(১২) الرُّقِيَّةِ سُوْرَةُ (সূরাতুর রম্নক্বিয়্যাহ) তথা ঝাঁড়ফুকের সূরা :

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন