মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সকল প্রশংসা আলস্নাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের পালনকর্তা।
اَلْحَمْدُ (আল হামদু)-এর অর্থ
اَلْحَمْدُ (আল-হামদু) এর অর্থ হলো প্রশংসা করা। এটি একটি شُكْرٌ (শুকর) তথা কৃতজ্ঞতা প্রকাশক শব্দ। আরবিতে সাধারণ প্রশংসাকে مَدْحٌ (মাদ্হ) এবং বিশেষ প্রশংসাকে ثَنَاءٌ (সানা) বলা হয়। اَلْحَمْدُ (আল-হামদু) শব্দটি উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর আলস্নাহ তা‘আলার ক্ষেত্রে শব্দটি উভয় দিক থেকেই যথার্থ। কেননা আলস্নাহ তা‘আলা সকল সৃষ্টির কাছে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। আর এর তাকিতে যে প্রশংসা করা হয় সেটি হচ্ছে مَدْحٌ (মাদ্হ)।
আবার তিনি তাঁর সৃষ্টিজীবকে অসংখ্য নিয়ামত দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। যেমন- সূর্যের আলো, পানি, বাতাস ও আগুন। তিনি কারো কাছ থেকে এসবের কোন বিনিময় গ্রহণ করেন না; কেবল নিজ দয়া ও অনুগ্রহের গুণেই তিনি এগুলো দান করে যাচ্ছেন। এসব কারণেও তিনি বিশেষ প্রশংসা পাওয়া যোগ্য। আর এটিই হচ্ছে ثَنَاءٌ (সানা)।
আলস্নাহর প্রশংসা করার উপকারিতা
‘‘যাবতীয় প্রশংসা আলস্নাহ তা‘আলার, যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা’’- সূরা ফাতিহার এই আয়াতটির বাক্য গঠন দিয়েই আলস্নাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁর অবস্থান কত উপরে এবং আমাদের অবস্থান কত নিচে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি ইতিমধ্যেই প্রশংসিত। সুতরাং আমরা তার প্রশংসা করি অথবা না করি- এতে তার কোন লাভ অথবা ক্ষতি নেই। তবে যারা আলস্নাহর প্রশংসা করবে এর মাধ্যমে তারা নিজেই উপকৃত হবে। কেননা আলস্নাহ তা‘আলা শুকরিয়া আদায়কারীদেরকে পছন্দ করেন এবং তাদের প্রতি তাঁর নিয়ামত বৃদ্ধি করে দেন। যেমন- তিনি বলেন,
لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ
যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তাহলে তিনি তোমাদেরকে আরো বৃদ্ধি করে দিবেন। (সূরা ইবরাহীম- ৭)
তাছাড়া সামাজের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় যে, যারা অপেক্ষাকৃত বেশি কৃতজ্ঞ, তাদের মধ্যে মানসিক অশামিত্ম, দুশ্চিমত্মা, অমূলক ভয়ভীতি, অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস কম থাকে। আর তারা মদ, সিগারেট ও ড্রাগ ও অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্যের দিকেও কম আসক্ত হয়। তাছাড়া ভালো কাজের দিকে তাদের আগ্রহ বেশি থাকে, নিজেদেরকে বেশি সুখী অনুভব করে। আর রাসূলুলস্নাহ (সাঃ)-ও সুখে এবং দুঃখে সর্বদা আলস্নাহর প্রশংসা করতেন। তিনি খুশীর সময় বলতেন,
অপর দিকে রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) আলস্নাহর প্রশংসা করাকে সর্বশ্রেষ্ট দু‘আ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন,
أَفْضَلُ الذِّكْرِ لَاۤ إِلٰهَ إِلاَّ الله ُوَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
শ্রেষ্ঠ যিকির হলো, ‘‘লা-ইলাহা ইলস্নালস্নাহ’’ এবং শ্রেষ্ঠ দু‘আ হলো ‘আলহামদুলিলস্নাহ’ বা সূরা ফাতিহা। [তিরমিযী, হা/৩৩৮৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮০০; সুনানুল কুবরা নাসাঈ, হা/১০৫৯৯; মুসাদরাকে হাকেম, হা/১৮৩৪।]
اللهُ (আলস্নাহ) শব্দের বিশেস্নষণ
اَللهُ (আলস্নাহ) শব্দটি দ্বিবচন বা বহুবচন নেই। কোন ভাষাতেই এই নামের কোন প্রতিশব্দও নেই। এটি সারা বিশ্বের একমাত্র প্রতিপালক মহান আলস্নাহর সত্তাগত নাম। এছাড়াও তার আরো অনেক নাম রয়েছে, তবে সবগুলোই তার গুণবাচক নাম। আলস্নাহ তা‘আলার মধ্যে উক্ত গুণগুলো পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান আছে বিধায় তাঁকে সেসব গুণবাচক নামসমূহের মাধ্যমে ডাকা হয়।
অধিকাংশ আরবি ব্যকরণবিদের মতে الله (আলস্নাহ) শব্দটি مشتق (মুশতাক)। আর مشتق (মুশতাক) বলা হয় ঐ শব্দকে, যা অন্য কোন শব্দ থেকে বের হয়ে এসেছে। সেই হিসেবে الله (আলস্নাহ) শব্দটি إِلَاهٌ (ইলাহু) মাদ্দাহ হতে উদগত। প্রথমে এর পূর্বে اَلْ (আলিফ লাম) প্রবেশ করানোর হয়েছে, ফলে এর রূপ হয়েছে اَلْإِلَاهُ (আল-ইলাহ)। তারপর এটাকে হালকা করার জন্য দুই লামের মাঝখানের ‘হামযাহ’ ফেলে দেয়া হয়েছে, ফলে اَللهُ (আলস্নাহ)। আর উক্ত اَلْ (আলিফ লাম) সর্বদা আবশ্যিকভাবেই থাকবে কখনোই পৃথক করা যাবে না।
উলেস্নখ্য যে, الله শব্দটির কোন অর্থ না থাকলেও এর উৎপত্তিগত শব্দ إلٰهٌ এর কয়েকটি অর্থ রয়েছে। তবে সকল অর্থই আলস্নাহর দিকেই নিসবত করে। যেমন-
১. إلٰهٌ শব্দটির একটি অর্থ হচ্ছে, التَّحْيِيْرَ বা ব্যাকুল হওয়া। আলস্নাহকে ‘ইলাহ’ এজন্য বলা হয়েছে যে, সৃষ্টিকুল স্ব স্ব প্রয়োজনে হয়রান ও নিরাশ হয়ে তাঁর কাছেই উপনীত হয়।
২. إلٰهٌ শব্দটির আরেকটি অর্থ হচ্ছে, سَكَنَتْ বা প্রশামিত্ম লাভ করা। বান্দার অমত্মর আলস্নাহর যিকির ছাড়া প্রশামিত্ম লাভ করে না এবং তার পরিচয় ছাড়া স্থির হয় না। আর এজন্যও আলস্নাহকে اِلٰهٌ (ইলাহ) বলা হয়।
৩. إلٰهٌ শব্দটির আরেকটি অর্থ হচ্ছে, আশ্রয় গ্রহণ করা। যেহেতু বিপদের সময় আলস্নাহর কাছেই আশ্রয় গ্রহণ করা হয়, এ কারণেও আলস্নাহকে اِلٰهٌ (ইলাহ) বলা হয়।
৪. إلٰهٌ শব্দটির আরেকটি অর্থ হচ্ছে, উপাসনা করা। যেহেতু উপাসনা পাওয়ার একমাত্র হকদার হচ্ছে আলস্নাহ তা‘আলা, তাই তাকে إلٰهٌ বলা হয়।
اَللهُ (আলস্নাহ) শব্দের ভূল ব্যবহার
বর্তমান সমাজে আলস্নাহ শব্দটিকে বিভিন্নভাবে ভূল ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন-
১. কিছু কিছু লোক রয়েছে, যারা অন্যান্য ধর্মের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলস্নাহকে খোদা, ঈশ্বর, ভগবান, গড, উপরওয়ালা ইত্যাদি নামে সম্ভোধন করে থাকে। অথচ এগুলো আলস্নাহর সত্তাগত নাম তো নয়ই; বরং গুণবাচক নামও নয়। কেননা আলস্নাহ তা‘আলার সত্তাগত নাম একটাই; আর গুণবাচক নাম তো কুরআন ও হাদীসে বলেই দেয়া হয়েছে। তাছাড়া এসব নামের বৈশিষ্টের সাথে আলস্নাহর সাথে মিলে না। যেমন- আলস্নাহ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ নেই, অথচ এসব শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রয়েছে; আলস্নাহ শব্দের দ্বিবচন বা বহুবচন নেই, অথচ এসব শব্দের দ্বিবচন বা বহুবচন রয়েছে ইত্যাদি।
অতএব আলস্নাহকে কেবল আলস্নাহ ও তার গুনবাচক নামসমূহের মাধ্যমেই সম্বোধন করতে হবে- যদি অমুসলিমদের বানানো কিছু কিছু শব্দ তার দিকেই ইশারা করে। এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের পরিবর্তন করা উচিত হবে না।
২. বর্তমানে অনেক মসজিদ, বাড়ী, গাড়ী, দোকান, গোইট ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় الله অথবা محمد অথবা একপাশে الله এবং অন্য পাশে محمد লেখা পেস্নট ঝুলানো থাকে। আর এগুলো বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যেই করা হয়ে থাকে। অথচ এগুলো নিঃসন্দেহে চরম বিদআত, এমনকি শিরকের সমতুল্য। কেননা এর মাধ্যমে আলস্নাহ ও মুহাম্মাদ (সাঃ) উভয়কে মর্যাদার দিক থেকে সমান গণ্য করা হয়। অথচ আলস্নাহর সাথে কাউকে সমমর্যাদাবান মনে করাটা স্পষ্ট শিরক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/349/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।