hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা ফাতিহা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৭
‘আমরা কেবলমাত্র তোমারই ইবাদত করি, কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি’।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ

ইয়্যাকা না‘বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তা‘ঈন।

‘আমরা কেবলমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি’।

অত্র আয়াতটি হচ্ছে সূরা ফাতিহার মধ্যে অত্যমত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ অংশ। মুফাসসিরগণ বলেন, সূরা ফাতিহা হলো সমগ্র কুরআনের মূল এবং إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ এই আয়াত হলো সূরা ফাতিহার মূল। এর প্রথম অংশে শিরক হতে মুক্তির ঘোষণা করা হয়েছে ও দ্বিতীয় অংশে আলস্নাহর সাহায্য প্রার্থনা করে কেবল তাঁর উপরেই ভরসা করতে বলা হয়েছে।

তাছাড়া ১ম তিনটি আয়াতে নাম পুরম্নষ ব্যবহার করা হয়েছে। আর অত্র আয়াতে মধ্যম পুরম্নষ ব্যবহার করে সরাসরি আলস্নাহকে সম্বোধন করার মাধ্যমে তাঁর অধিকতর নিকটে পৌঁছে যাওয়ার ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে।

আর আলস্নাহর নিকট একনিষ্ঠ বান্দা তার ব্যাকুল হৃদয়ের আকুল বাসনা সরাসরি নিবেদন করবে এটাই কাম্য। অত্র আয়াতের এই অলঙ্কারিক বাক্য বিন্যাস মুমিন হৃদয়ে ভালবাসার ঢেউ তোলে। হাদীসে কুদসীতে এসেছে, আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,

একথাটি আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে। এখন বান্দা যা চাইবে তাই পাবে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৮৮; সহীহ মুসলিম, হা/৯০৪।]

কুরআন মাজীদে আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَاعْبُدْهُ وَتَوَكَّلْ عَلَيْهِ وَمَا رَبُّكَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ﴾

অতএব তুমি তাঁরই ইবাদত করো এবং তাঁর উপরেই নির্ভর করো। (মনে রেখো) তোমরা যা কিছু করো, তোমার প্রতিপালক তা থেকে গাফিল নন। (সূরা হুদ ১১ঃ ১২৩)

এর মধ্যে একটি বিষয়ে আশার সঞ্চার হয় যে, ইবাদত ও তাওয়াক্কুল একনিষ্ঠ হলে আলস্নাহর সাহায্য অবশ্যই আসবে। আর ইবাদত ত্রম্নটিপূর্ণ হলে এবং তাওয়াক্কুলের মধ্যে একনিষ্ঠতার অভাব থাকলে বান্দার কামনা ও বাসনা পূরণ নাও হতে পারে।তাই সাহায্য চাওয়ার পূর্বে ইবাদতের বিষয় উলেস্নখ করার অমত্মর্নিহিত তাৎপর্য এটাই।

বাক্য গঠনের রহস্য :

অত্র আয়াতের বাক্য গঠনটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। এতে বেশ কয়েকটি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। যেমন-

১. অত্র আয়াতে ‘আমরা কেবল তোমারই ইবাদাত করি’- এ কথাটি বুঝানোর জন্য إِيَّاكَ نَعْبُدُ (ইয়্যা-কা না’বুদু) শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ এ ক্ষেত্রে نَعْبُدُكَ শব্দটি বলাই যথেষ্ট ছিল। এখানে আলস্নাহ তা‘আলা كَ কর্মপদের সর্বনামকে আরবি ব্যকরণের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী نَعْبُدُ ক্রিয়ার পরে না বসিয়ে পূর্বে ব্যবহার করেছেন। এর মূল রহস্য হচ্ছে, এরা দ্বারা আলস্নাহ তা‘আলা বক্তব্যের মধ্যে তাগিদ বা জোর সৃষ্টি করেছেন। আর গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়টি আগে বলাই আরবদের বাক্যরীতি।

২. অত্র আয়াতে আরেকটি রহস্য হচ্ছে, نَعْبُدُكُ তথা ‘আমরা তোমার ইবাদত করি’ বললে অন্যকেও ইবাদত করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু إِيَّاكَ نَعْبُدُ তথা ‘তোমারই ইবাদত করি’ বললে সে সম্ভাবনা দূর হয়ে যায়।

৩. অত্র আয়াতে আরেকটি রহস্য হচ্ছে, إِيَّاكَ সর্বনাম একই বাক্যে দু’বার আগে বসানো হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথার উপর জোর দেয়া যে, আমাদের যাবতীয় ইবাদত ও ইসতি‘আনাত বা সাহায্য প্রার্থনাকে আমরা কেবলমাত্র আলস্নাহর জন্য খাস করছি। অন্য কারো জন্য আমাদের হৃদয়ে কোন স্থান নেই।

এ আয়াতের মর্মার্থ হচ্ছে আমরা কেবল আপনারই একতবাদব ঘোষণা করি, একমাত্র আপনাকেই ভয় করি এবং আপনারই আনুগত্য করি, আপনারই ইবাদাত করি অন্য কারো ইবাদাত করিনা। আমরা কেবল আপনার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। অন্য কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন