মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হেদায়াতের মূল উৎসই হচ্ছেন মহান আলস্নাহ তা‘আলা। তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দান করে থাকে। সুতরাং যারা আলস্নাহকে শক্তভাবে ধারণ করবে তথা আলস্নাহর উপর ঈমান আনয়ন করবে, একমাত্র তাঁরই উপর নির্ভরশীল হবে, তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করবে, তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করবে না, আলস্নাহ তাদেরকেই হেদয়াত প্রদান করবেন। কুরআন মাজীদে তিনি বলেন,
আর যে ব্যক্তি শক্তভাবে আলস্নাহকে ধারণ করবে, সে সৎপথে পরিচালিত হবে। (সূরা আলে ইমরান- ১০১)
আলস্নাহর ইবাদাত করা :
হেদায়াত লাভের প্রধান নিদর্শন হচ্ছে, আলস্নাহর ইবাদত করা। কেননা আলস্নাহর ইবাদত করা ছাড়া কোন ব্যক্তি হেদায়ত লাভ করতে পারেনা। আর আলস্নাহ তা’আলা তাকেই সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, যে ব্যক্তি একনিষ্ঠভাবে আলস্নাহর প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান আনয়ন করে এবং তার ইবাদতে ব্যসত্ম থাকে। হাদীসে কুদসীতে এসেছে.
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ ﷺ বলেছেন, আলস্নাহ তা’আলা বলেন, আমি বান্দার ধারণা অনুযায়ী নিকটে আছি। যখন সে আমার যিক্র (স্মরণ) করে, সে সময় আমি তার সাথে থাকি। বান্দা আমাকে একাকী স্মরণ করলে আমিও তাকে একাকী স্মরণ করি। আর যদি সে আমাকে কোন সভায় আমার কথা স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে তার চেয়ে উত্তম সভায় স্মরণ করি। যদি সে আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তাহলে আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে আসি। যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে, তাহলে আমি তার দিকে দৌঁড়ে আসি। [সহীহ বুখারী, হা/৭৪০৫, সহীহ মুসলিম, হা/৬৯৮১,৭০০৮,৭১২৮; তিরমিযী হা/৩৬০৩; ইবনে মাযাহ, হা/৩৮৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৪১৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫১৪; মিশকাত, হা/২২৬৪]
অতএব হেদায়াত লাভ করতে প্রথমে নিজে আলস্নাহর দিকে অগ্রসর হতে হবে, তাহলে আলস্নাহ তা‘আলা তার দিকে অগ্রসর হবেন এবং তাকে সঠিক পথে হেদায়াত প্রদান করবেন।
যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল সে তো আলস্নাহর আনুগত্য করল এবং যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল তবে মনে রেখো তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রেরণ করিনি।(সূরা নিসা- ৮০)
তোমাদের মধ্যে যারা আলস্নাহ ও পরকালের দিনকে ভয় করে এবং আলস্নাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, তাদের জন্য আলস্নাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।(সূরা আহযাব-২১)
অতএব হেদায়ত পেতে হলে অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর অনুসরণ করতে হবে।
মুত্তাকী হওয়া :
হোদয়াত লাভের প্রধান হকদার হচ্ছেন মুত্তাকীগণ। কেননা তারাই হচ্ছেন আলস্নাহ তা‘আলার প্রকৃত বান্দা। আলস্নাহ তা‘আলা তাদের হেদায়াতের জন্যই কুরআন নাযিল করেছেন। তিনি বলেন,
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের পালনকর্তা তাদের ঈমানের মাধ্যমে তাদের পথ প্রদর্শন করেন। (সূরা ইউনুস- ৯)
অহির জ্ঞান অর্জন করা :
পৃথিবীতে সবচেয়ে উত্তম জ্ঞান হচ্ছে অহির জ্ঞান। এটি মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই উপকৃত করে থাকে। অপরদিকে অহীই হচ্ছে আলস্নাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য হেদায়াতস্বরূপ। সুতরাং হেদায়াত লাভ করতে হলে অবশ্যই অধিক হারে অহির জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,
বলো, যদি আমি পথভ্রষ্ট হই, তবে তো নিজেরই ক্ষতি করব; আর যদি আমি সরল সঠিক পথের ওপর থাকি, তবে তা এজন্য সম্ভব হচ্ছে যে, আমার প্রতিপালক আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন এবং তিনি অতি নিকটবর্তী। (সূরা সাবা- ৫০)
সর্বাত্মক চেষ্টা করা :
যারা হেদায়াত পাওয়ার জন্য সর্বদা আলস্নাহর রাসত্মায় সর্বাত্মক সংগ্রাম চালাবে, আলস্নাহ তা‘আলা তাদেরকে হেদায়াতের রাসত্মাসমূহ খুলে দেবেন। আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,
যারা আমার রাসায় সংগ্রাম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার রাসাসমূহ দেখিয়ে থাকি। (সূরা আনকাবূত- ৬৯)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/349/42
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।