hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা ফাতিহা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

সূরা ফাতেহার ফযীলত
সূরা ফাতিহা হচ্ছে কুরআন মাজীদের সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ সূরা। এ সূরাটি সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা হিসেবে নবী ﷺ এর উপর নাযিল হয়। এর ফযীলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। নিম্নে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হলো :

সূরা ফাতিহা হচ্ছে কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদপূর্ণ সূরা :

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُعَلّٰى , أَنَّ النَّبِيَّ -  - مَرَّ بِه وَهُوَ يُصَلِّيْ , فَدَعَاهُ , قَالَ : فَصَلَّيْتُ , ثُمَّ أَتَيْتُه  , فَقَالَ : مَا مَنَعَكَ أَنْ تُجِيْبَنِيْ؟ قَالَ : كُنْتُ أُصَلِّيْ , قَالَ : أَلَمْ يَقُلِ اللهُ ﴿يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِسْتَجِيْبُوْاْ لِلّٰهِ وَلِلرَّسُوْلِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيْكُمْ﴾ ألَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمُ سُوْرَةً قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ . قُلْتُ : بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللهِ , فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَّخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ , قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ! إِنَّكَ قُلْتَ : لَأعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمُ سُوْرَةً فِي ْالْقُرْأنِ؟ قَالَ : ﴿اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ﴾ هِيَ اَلسَّبْعُ الْمَثَانِيَ الْذِّيْ أُوْتِيْتُ وَالْقُرْأنَ الْعَظِيْمِ

আবু সাঈদ ইবনে মা‘আলস্না হতে বর্ণিত। একদা নবী (সাঃ) তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, এমতাবস্থায় তিনি নামায পড়তেছিলেন। অতঃপর নবী (সাঃ) তাকে ডাক দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি নামায শেষ করলাম এবং নবী (সাঃ) এর নিকট আসলাম। তখন তিনি বললেন, কিসে তোমাকে আমার ডাকে সাড়া দিতে বাধা দিয়েছিল? তিনি বললেন, আমি নামায পড়তেছিলাম। রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) বললেন, আলস্নাহ তা‘আলা কি বলেননি যে, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দাও যখন তিনি তোমাদেরকে ডাকেন- যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। (সুরা আনফাল-২৫)

আমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বে তোমাকে কি একটি মহা সূরা সম্পর্কে অবগত করব না? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ- হে আলস্নাহ রাসূল! অতঃপর যখন তিনি মসজিদ হতে বের হওয়ার ইচ্ছা করলেন তখন আমি বললাম, হে আলস্নাহ রাসূল! আপনি আমাকে মহান সূরা সম্পর্কে জানাতে চেয়েছিলেন। তখন তিনি বললেন,

﴿ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ﴾

এর মাঝে আছে সাতটি বারবার পঠিত আয়াত, যা আমাকে দান করা হয়েছে এবং আরো দান করা হয়েছে মহান কুরআন। [আবূ দাউদ হা/১৪৫৮, নাসাঈ হা/১৩৯, ইবনে মাজাহ হা/৩৭৮৫।]

অপর হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ فِيْ مَسِيْرٍ فَنَزَلَ وَ نَزَلَ رَجُلٌ إلٰى جَانِبِه قَالَ : فَالْتَفَتَ النَّبِيُّ فَقَالَ : أَلَا أٌخْبِرُكَ بِأَفْضَلِ الْقُرْاٰنِ قَالَ : فَتَلَا عَلَيْهِ ﴿ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ﴾

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সফরে থাকাকালে নবী (সাঃ) কোন এক স্থানে অবতরণ করলেন। তখন তার পাশে এক ব্যক্তি অবস্থান করল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবী (সাঃ) তার দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি কি তোমাকে কুরআনের সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ সূরার ব্যাপারে সংবাদ দিব না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন নবী (সাঃ) পাঠ করলেন, ﴿ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ﴾ অর্থাৎ সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭৭৪; মুসাদরাকে হাকেম, হা/১/৫৬০; সহীহ তারগীব ও ওয়াত তারহীব, হা/১৪৫৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৪৯৯।]

সূরা ফাতিহার মত মর্যাদাপূর্ণ সূরা আর নাযিল হয়নি :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : وَقَرَأَ عَلَيْهِ أُبَيْ بْنُ كَعْبٍ أُمَّ الْقُرْاٰنِ ، فَقَالَ : وَالَّذِي نَفْسِيْ بِيَدِه ، مَا أَنْزَلَ اللهُ فِي التَّوْرَاةِ ، وَلَا فِيْ الْإِنْجِيْلِ ، وَلَا فِيْ الزَّبُوْرِ ، وَلَا فِيْ الْفُرْقَانِ مِثْلَهَا ، إِنَّهَا لَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْاٰنُ الْعَظِيْمُ الَّذِيْ أُوْتِيْتُه

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) বলেছেন, একদা উবাই ইবনে কাব (রাঃ) রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) এর সামনে উম্মুল কুরআন তথা সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন। তখন রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ! তাওরাত, যাবূর, ইঞ্জীল এবং ফুরকান তথা কুরআনে এই সূরার সমতুল্য কোন সূরা নেই। এটা হচ্ছে বার বার পঠিত সাতটি আয়াতবিশিষ্ট সূরা এবং মহান কুরআন, যা আমাকে দান করা হয়েছে। [বুখারী হা/৪৭০৩; আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২১৪২।**]

সূরা ফাতিহা হচ্ছে আলস্নাহর পক্ষ থেকে দেয়া বিশেষ নূর :

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : بَيْنَمَا جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ جَالِسٌ عِنْدَ النَّبِيِّ إِذْ سَمِعَ نَقِيضًا مِنْ فَوْقِه ، فَرَفَعَ رَأْسَه إِلَى السَّمَاءِ ، فَقَالَ : إِنَّ هٰذَا الْبَابَ مِنَ السَّمَاءِ قَدْ فُتِحَ مَا فُتِحَ قَطُّ ، فَنَزَلَ مِنْهُ مَلَكٌ ، قَالَ : فَإِنَّ هٰذَا الْمَلَكَ قَدْ نَزَلَ مَا نَزَلَ إِلَى الْأَرْضِ قَطُّ قَالَ : فَجَاءَ الْمَلَكُ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ ، وَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ أَبْشِرْ بِنُوْرَيْنِ أُُوْتِيتَهُمَا لَمْ يُؤْتَهُمَا نَبِيٌّ فَاتِحَةُ الْكِتَابِ ، وَخَوَاتِيْمُ سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ لَمْ يُقْرَأْ حَرْفٌ مِنْهَا إِلَّا أعْطِيْتَه 5

ইবনে আববাস (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জিবরাঈল (আঃ) নবী (সাঃ) এর নিকট বসা ছিলেন, তখন রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) তার উপর থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলেন। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) তাঁর মাথা আকাশের দিকে উঠালেন এবং বললেন, নিশ্চয় আকাশের একটি দরজা রয়েছে, যা এইমাত্র খুলা হলো। ইতিপূর্বে এটি আর কখনো খোলা হয়নি। তারপর সেখান থেকে একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আর এই ফেরেশতা ইতিপূর্বে কখনো জমিনে অবতীর্ণ হননি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর ঐ ফেরেশতা রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) এর কাছে এসে সালাম প্রদান করলেন এবং বললেন, হে মুহাম্মাদ! দুটি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ করম্নন, যা আপনাকে ছাড়া অন্য কোন নবীকে দেওয়া হয়নি। একটি হচ্ছে সূরা ফাতেহা এবং অন্যটি হচ্ছে সূরা বাকারার শেষাংশ (শেষের কয়েকটি আয়াত)। সেখান থেকে যদি কেউ কোন একটি হরফও পাঠ করে তাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে। [মুসলিম হা/৮০৬ অধ্যায়-৬, ‘সূরা ফাতিহার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-৪৩, মিশকাত হা/২১২৪।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন