hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা ফাতিহা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৮
আ-মীন’ এর অর্থ ও ফযীলত
اٰمِيْن (আ-মিন) শব্দের ‘আলিফ’ এর উপর ‘মাদ্দ’ হবে। এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, اَللّٰهُمَّ اسْتَجِبْ অর্থাৎ হে আলস্নাহ! তুমি কবুল করো। এটি বাহ্যত ইসম (বিশেষ্য) আকারে হলেও তা ফেল অর্থ্যাv ক্রিয়াপদের অর্থ দেয়। সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে ‘আ-মিন’ বলা উচিত, যাতে করে এটি সূরার সাথে মিলে না যায়। কেননা এটি আয়াতের অমত্মর্ভুক্ত নয়।

সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ‘আ-মিন’ বলা সুন্নাত :

সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ‘আ-মিন’ বলা সুন্নাত। কেননা নবী ﷺ এরম্নপ করতেন। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ - إِذَا قَرَأَ ﴿ وَلاَ الضَّآلِّينَ﴾ قَالَ ﴿ اٰمِينَ ﴾ . وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهٗ

ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ ﷺ যখন ‘ওয়ালায্যো-লস্নীন’ পাঠ করতেন, তখন উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলতেন। [আবু দাউদ, হা/৯৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৮৬২; ইবনে মাজাহ, হা/৮৫৫; নাসাঈ, হা/৯৩২; তিরমিযী, হা/২৪৮।]

আমীনের শব্দ শুনে ইয়াহুদিরা হিংসা করে :

عَنْ عَائِشَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ ، قَالَ : مَا حَسَدَتْكُمُ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ ، مَا حَسَدَتْكُمْ عَلَى السَّلاَمِ وَالتَّأْمِينِ

আয়েশা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইয়াহুদিরা তোমাদের অন্য কোন বিষয়ে এত বেশি হিংসা করে না যতটকু হিংসা করে তোমাদের সালাম ও আমীন বলার কারণে। [ইবনে মাজাহ, হা/৮৫৬; জামেউস সগীর, হা/১০৫৫০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫১৫; আদাবুল মুফরাদ, হা/৯৮৮।]

কারণ ইয়াহুদি ও নাসারাদের পথে না গিয়ে সিরাতে মুসত্মাকীমের হেদায়াত চেয়ে সূরা ফাতিহায় যে দু‘আ করা হয় এবং ইমাম ও মুক্তাদী সকলে ‘আ-মিন’ বলে আলস্নাহর নিকটে যে প্রার্থনা জানায় এটা তারা সহ্য করতে পারেনা।

আমীন বললে গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয় :

عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ ، اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : اِذَا قَالَ الْاِمَامُ ﴿غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ﴾ فَقُوْلُوْا اٰمِيْنَ ، فَاِنَّهٗ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهٗ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهٗ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهٖ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুলাহ ﷺ বলেছেন, ইমাম যখন ‘গাইরিল্ মাগ্যূবি আলাইহিম্ ওয়ালায্যো-লীন’ বলেন, তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে। (কারণ তখন ফেরেশতারা ‘আমীন’ বলে থাকেন।) আর যার ‘আমীন’ বলা ফেরেশতাদের ‘আমীন’ বলার সাথে মিলে যাবে, তার পেছনের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৭৮২, সহীহ মুসলিম, হা/৯৪৭; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৯৫; আবু দাউদ, হা/৯৩৬; নাসাঈ, হা/৯২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৮৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৭৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮০৪; দারেমী, হা/১২৪৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫১৪; মিশকাত, হা/৮২৫।]

ইমামকেও আমীন বলতে হবে :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : إِذَا قَالَ الْإِِمَامُ ﴿غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّينَ﴾ فَقُوْلُوْا : اٰمِيْنَ ؛ فَإِنَّ الْمَلَآئِكَةَ تَقُوْلُ : اٰمِيْنَ ، وَالْإِِمَامُ يَقُوْلُ : اٰمِيْنَ ، فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِيْنُهٗ تَأْمِيْنَ الْمَلَآئِكَةِ غُفِرَ لَهٗ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুলাহ ﷺ বলেছেন, ইমাম যখন ‘গাইরিল্ মাগ্যূবি আলাইহিম্ ওয়ালায্যো-লীন’ বলেন, তখন তোমরা ‘আমীন’ বলবে। কারণ তখন ফেরেশতারা ‘আমীন’ বলে থাকেন, আর তখন ইমামও ‘আমীন’ বলে থাকেন। আর যার ‘আমীন’ বলা ফেরেশতাদের ‘আমীন’ বলার সাথে মিলে যাবে, তার পেছনের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৭৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮০৪।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন