hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা ফাতিহা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪
‘বিসমিলস্নাহ’ শব্দের ব্যাখ্যা
بِسْمِ اللهِ (বিসমিলস্নাহ) এর মধ্যে ب (বা) বর্ণটি হরফে যার। আর আরবি ভাষায় এটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- সাথে, দিয়ে, জন্যে, উদ্দেশ্যে, সাহায্যে ইত্যাদি। সুতরাং بِسْمِ اللهِ (বিসমিলস্নাহ) এর অর্থ বিভিন্নরূপ হবে। যেমন-

১. আলস্নাহর নামের উদ্দেশ্যে,

২. আলস্নাহর নামের জন্য,

৩. আলস্নাহর নামের সাথে,

৪. আলস্নাহর নামের সাহায্যে ইত্যাদি।

লক্ষ্যণীয় যে, এখানে بِسْمِ اللهِ (বিসমিলস্নাহ বাক্যটিতে কোন فعل (কাজ) এর কথা উলেস্নখ নেই। এ ক্ষেত্রে আরবি ব্যকরণবিদগণ বলেছেন, এর পূর্বে ابدأ (আবদাউ) فعل উহ্য রয়েছে; যার অর্থ হচ্ছে- আমি শুরম্ন করছি। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এর পূর্বে افعل (আফ‘আলু) ক্রিয়া উহ্য রয়েছে; যার অর্থ হচ্ছে- আমি কাজটি করতে যাচ্ছি।

সুতরাং بِسْمِ اللهِ (বিসমিলস্নাহ) এর পরিপূর্ণ অর্থ হবে, আমি আলস্নাহর নামে শুরম্ন করছি অথবা আমি আলস্নাহর নামে কাজটি করতে যাচ্ছি। বিসমিলস্নাহ বলে যে কাজটি শুরম্ন করা হয় মুলত ঐ কাজের ক্রিয়াপদটি তারপূর্বে ব্যবহৃত হয়। যেমন- পড়ার শুরম্নতে بِسْمِ اللهِ (বিসমিলস্নাহ) পাঠ করা হলে অর্থ দাঁড়ায়- আমি আলস্নাহর নামে পাঠ করছি। খাওয়ার শুরম্নতে بِسْمِ اللهِ (বিসমিলস্নাহ) পাঠ করা হলে এর অর্থ দাঁড়ায়- আমি আলস্নাহর নামে খাচ্ছি।

আর আমরা যেকোনো হালাল কাজ শুরম্নর পূর্বে بِسْمِ اللهِ (বিসমিলস্নাহ) বলব। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ -  لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لاَ وُضُوءَ لَهُ وَلاَ وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللهِ تَعَالَى عَلَيْهِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ (সাঃ) বলেছেন, যার অযু হবে না তার নামায হবে না। আর যে ব্যক্তি অযুর সময় আলস্নাহর নাম স্মরণ করে না তথা বিসমিলস্নাহ বলে না তার অযু হবে না। [আবু দাউদ, হা/১০১; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০; বায়হাকী, হা/১৮৬; সুনাদে দার কুতনী, হা/২৬৩; মুসাদরাকে হাকেম, হা/৫১৯।]

عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِىْ سَلَمَةَ قَالَ كُنْتُ فِىْ حَجْرِ رَسُوْلِ اللهِ - وَكَانَتْ يَدِىْ تَطِيْشُ فِى الصَّحْفَةِ فَقَالَ لِىْ يَا غُلَامُ سَمِّ اللهَ وَكُلْ بِيَمِيْنِكَ وَكُلْ مِمَّا يَلِيْكَ

অপর হাদীসে এসেছে,

উমর ইবনে আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একজন বালক হিসেবে রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। আমার হাত খাওয়ার পাত্রের চতুর্দিকে পৌঁছত। তখন রাসূলুলস্নাহ ﷺ আমাকে বললেন, হে বৎস! আলস্নাহর নাম বলো ও ডান হাতে খাও এবং নিজের সম্মুখ হতে খাও। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হ/১৬৭০; সহীহ বুখারী, হা/৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৮৮; আবু দাউদ, হা/৩৭৭৯; তিরমিযী, হা/১৮৫৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৭।]

‘ আর রহমা-নির রহীম’ :

الرحمن (আর-রাহমান) ও الرحيم (আর-রাহীম) উভয়টি الرحمة শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। আর উভয়টি المبالغة (আল-মুবালাগা) তথা আধিক্য বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। তবে الرحيم (আর-রাহীম) এর চেয়ে الرحمن (আর-রাহমান) এর আধিক্য কিছুটা বেশি। আর অধিকাংশ মুহাদ্দীস এ কথার উপরই মতামত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, الرحمن (আর-রাহমান) অর্থ হচ্ছে- দুনিয়া ও আখেরাত উভয় ক্ষেত্রে দয়াপদর্শনকারী। অপরদিকে الرحيم (আর-রাহীম) অর্থ হচ্ছে- শুধুমাত্র আখেরাতে দয়াপ্রদর্শনকারী। ইবনে জারীর বলেন, الرحمن অর্থ হচ্ছে যিনি সমুদয় সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনকারী। অপরদিকে الرحيم অর্থ হচ্ছে, যিনি মুমিনদের উপর দয়া বর্ষণকারী। যেমন- আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,

وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِينَ رَحِيمًا

আর তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব- ৪৩)

অত্র আয়াতে আলস্নাহ তা‘আলা মুমিনদের প্রতি দয়া প্রদর্শনের ক্ষেত্রে رحيم (রাহীম) শব্দ ব্যবহার করেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন