মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর
লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের
১৮
মুশরিকদের মীমাংসার আবেদনে সাড়া প্রদান:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/350/18
আল্লাহ তা‘আলা কাফেরদের বলেন, إِنْ تَسْتَفْتِحُوا فَقَدْ جَاءَكُمُ الْفَتْحُ “(ওহে কাফেরগণ!) তোমরা মীমাংসা চাচ্ছিলে, মীমাংসা তো তোমাদের কাছে এসে গেছে”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১৯] অর্থাৎ তোমরা আল্লাহ তা‘আলার নিকট সাহায্য চাও বিজয়ের এবং তোমাদের শত্রু মুমিনগণের মাঝে বিচার-ফায়সালা করে দেওয়ার জন্য, তবে তোমরা যা চেয়েছ সেটাতো এসে গেছে। যেমন, মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এবং অন্যান্যরা বর্ণনা করেন যুহরী থেকে (তিনি) আব্দুল্লাহ ইবন সা‘লাবা ইবন সাঈর থেকে: আবু জাহাল বদরের দিন বলে: হে আল্লাহ, আমাদের দু’দলের মধ্যে কে রক্তের সম্পর্ক অধিক ছিন্নকারী আর আমাদেরকে তাতে নিয়ে এসেছে যা আমাদের কাছে পরিচিত নয়, আপনি তাকে এ দিনে ধ্বংস করে দিন। এ ছিল তার পক্ষ থেকে বিজয় মীমাংসা চাওয়ার ধরণ। তখন অবতীর্ণ হয় এ আয়াত: إِنْ تَسْتَفْتِحُوا فَقَدْ جَاءَكُمُ الْفَتْحُ “(ওহে কাফেরগণ!) তোমরা মীমাংসা চাচ্ছিলে, মীমাংসা তো তোমাদের কাছে এসে গেছে”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১৯]
ইমাম আহমাদ রহ. আব্দুল্লাহ্ ইবন সা‘লাবা থেকে বর্ণনা করেন: আবু জাহাল যখন মুসলিমবৃন্দের মুখোমুখি হয় তখন সে বলে: হে আল্লাহ, আমাদের মাঝে অধিক রক্তের সম্পর্ক ছিন্নকারী, আর আমাদেরকে যাতে নিয়ে এসেছে যা আমাদের নিকট পরিচিত নয়, তাকে ধ্বংস করে দিন, সে মীমংসা করে দিতে বলে।
অনুরূপভাবে হাকিম তাঁর মুস্তাদরাকে এর উল্লেখ করেছেন আর তিনি বলেন, এ বর্ণনা বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ, তবে তারা তাদের গ্রন্থদ্বয়ে এর উল্লেখ করেন নি। [অনুরূপ বর্ণনা বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, মুজাহিদ, দহ্হাক, কাতাদা, ইয়াযীদ ইবন রুমান রহ. সহ অন্যান্যদের থেকে। (অনুবাদক)] সুদ্দী রহ. বলেন, মুশরিকরা যখন মক্কা থেকে বদরের উদ্দেশ্যে বের হয় তখন তারা কা‘বার পর্দা ধরে আল্লাহ তা‘আলার নিকট সাহায্য চায় আর বলে: হে আল্লাহ, আমাদের দু’টি দলের মধ্যে যে অধিক মর্যাদাবান ও সম্মানিত এবং উভয় গোত্রের মধ্যে যে ভালো তাকে সাহায্য কর। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِنْ تَسْتَفْتِحُوا فَقَدْ جَاءَكُمُ الْفَتْحُ “(ওহে কাফেরগণ!) তোমরা মীমাংসা চাচ্ছিলে, মীমাংসা তো তোমাদের কাছে এসে গেছে”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১৯] আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি তোমাদের দো‘আ কবূল করেছি। আর তিনি হলেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যিনি জয়লাভ করেছেন। আব্দুর রহমান ইবন যাইদ ইবন আসলাম বলেন, আল্লাহ তা‘আলা এখানে তাদের সম্পর্কে বলেন যারা বলেছিল, ﴿وَإِذۡ قَالُواْ ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلۡحَقَّ مِنۡ عِندِكَ فَأَمۡطِرۡ عَلَيۡنَا حِجَارَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئۡتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٖ ٣٢﴾ [ الانفال : ٣٢ ] “স্মরণ কর, যখন তারা বলেছিল, ‘হে আল্লাহ! এটি যদি তোমার নিকট থেকে (প্রেরিত) সত্য (দীন) হয়) তবে আমাদের ওপর আকাশ থেকে পাথার কিংবা আমাদের ওপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আপতিত করুন।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩২]
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: وَإِنْ تَنْتَهُوا “আর যদি তোমরা (অন্যায় থেকে) বিরত হও” অর্থাৎ তোমরা যে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফুরী এবং তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করার মধ্যে ডুবে আছ (তা থেকে বিরত হও) فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ “তবে তা তোমাদের জন্যই কল্যাণকর” অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: وَإِنْ تَعُودُوا نَعُدْ “তোমরা যদি আবার (অন্যায়) কর, আমিও আবার শাস্তি দিব)” যেমন, তিনি অপর আয়াতে বলেন, ﴿وَإِنۡ عُدتُّمۡ عُدۡنَاۚ ٨﴾ [ الاسراء : ٨ ] “(কিন্তু যদি তোমরা (তোমাদের পূর্বকৃত পাপের) পুনরাবৃত্তি কর, তবে আমিও (পূর্বে দেওয়া শাস্তির) পুনরাবৃত্তি করব” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৮] অর্থাৎ তোমরা যে কুফুরী ও গোমরাহীর মধ্যে পড়ে ছিলে তার যদি পুনরাবৃত্তি কর তবে আমরাও তোমাদের সাথে এ ধরণের ঘটনা ঘটাব।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: وَلَنْ تُغْنِيَ عَنْكُمْ فِئَتُكُمْ شَيْئًا وَلَوْ كَثُرَتْ “তোমাদের দল-বাহিনী সংখ্যায় অধিক হলেও তোমাদের কোনো উপকারে আসবে না” যে বাহিনী তোমাদের সামর্থ্যে কুলায় তা যদি জড় কর তবুও আল্লাহ তা‘আলা যার সাথে আছেন সেই বিজয়ী হবে। وَأَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ “আল্লাহ তো মুমিনদের সঙ্গে আছেন [অর্থাৎ সাহায্য-সহযোগিতা ও দেখা-শুনায়। নতুবা আল্লাহ তাঁর আরশের ওপরই রয়েছেন। [সম্পাদক]]”। তারা হচ্ছে নবীর দল, নির্বাচিত নবীর পক্ষ।
“ওহে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং আদেশ শোনার পর তা অমান্য কর না। তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা বলেছিল, ‘আমরা শুনলাম’; প্রকৃতপক্ষে তারা শোনে নি। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে যারা (হক কথা শুনার ব্যাপারে) বধির এবং (হক কথা বলার ব্যাপারে) বোবা, যারা কিছুই বোঝে না। আল্লাহ যদি জানতেন যে, তাদের মধ্যে কোনো ভালো গুণ নিহিত আছে তবে তিনি তাদেরকে শুনবার তাওফীক দিতেন। আর (গুণ না থাকা অবস্থায়) তিনি যদি তাদেরকে শুনতে দিতেন তাহলে তারা উপেক্ষা করে মুখ ফিরিয়ে নিত”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২০-২৩]
তাফসীর:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/350/18
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।