মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর
লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের
৪
আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার অন্য কারণ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/350/4
ইমাম আহমাদ রহ. বর্ণনা করেন, আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি উবাদা রা. এর নিকট ‘আনফাল’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়, যখন আমাদের মাঝে নফল (গনীমতের অতিরিক্ত মাল) নিয়ে বিবাদ হয়েছিল এ ব্যাপারে আমাদের আচরণ আপত্তিজনক ও মন্দ হয়েছিল, ফলে আল্লাহ তা‘আলা সেটাকে আমাদের থেকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অধীনে করে দেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের মাঝে তা সমানভাগে ভাগ করে দেন। [মুসনাদ: ৫/৩২২]
ইমাম আহমাদ রহ. আরও বর্ণনা করেন, আবু উমামা ‘উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বের হই এবং আমি তাঁর সাথে বদরে অংশগ্রহণ করি, ফলে উভয় বাহিনী পরস্পর মুখোমুখি হয়, আল্লাহ তা‘আলা শত্রুদের পরাজিত করেন, একটি দল তাদেরকে (সম্পূর্ণরূপে) পরাজিত করা এবং হত্যা করার জন্য পশ্চাদ্ধাবন করেন, আরেকটি দল লড়াইয়ের ময়দানে এসে গনীমতের মাল সংগ্রহ করতে থাকে। আর এক দল সৈন্যদের পাহারায় নিয়োজিত থাকে। আর আরেকটি দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শত্রুদের হঠাৎ আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য তাঁর চারিদিক বেষ্টন করে থাকে, রাতের বেলায় (উপরোক্ত) সব ধরণের লোক তাদের শিবিরে ফিরে আসে, যারা গনীমতের মাল জমা করেছিল তারা বলে, আমরা এগুলো সংগ্রহ করেছি এতে আর কারও অংশ নেই, আর যারা শত্রুদের অনুসন্ধানে বের হয়েছিল তারা বলে, তোমরা আমাদের চেয়ে এ ব্যাপারে বেশি অধিকার রাখ না, আমরা তো এ থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দিয়েছি এবং তাদেরকে পরাজিত করেছি, আর যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেষ্টন করে রেখে ছিল তারা বলে: আমরা আশঙ্কা করেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শত্রুরা হঠাৎ আক্রমণ করবে ফলে আমরা তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমরাই বেশি হকদার। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় يَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡأَنفَالِۖ قُلِ ٱلۡأَنفَالُ لِلَّهِ وَٱلرَّسُولِۖ فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَصۡلِحُواْ ذَاتَ بَيۡنِكُمۡۖ “তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের; কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর নিজেদের সম্পর্ককে সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত কর”। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের মাঝে তা বন্টন করে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শত্রু ভূখণ্ডে হঠাৎ আক্রমণ চালাতেন তখন তিনি এক চতুর্থাংশ নফল প্রদান করতেন। এরপর যখন শত্রুদের মুখোমুখি হতেন (সংঘর্ষ হত) আর সকলে ফিরে আসত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নফল প্রদান অপছন্দ করতেন, আর শক্তিশালী যোদ্ধাদের উৎসাহ দিতেন যাতে তারা দুর্বল যোদ্ধাদেরকে তাদের কিছু অংশ প্রদান করে। আহমাদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ, অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, আর ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, হাদীসটি হাসান। ইবন হিব্বান স্বীয় সহীহতে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং হাকিম স্বীয় মুস্তাদরাকে এবং হাকিম বলেন, বিশুদ্ধ সনদ ইমাম মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী তবে হাদীসটি ইমাম মুসলিম ও বুখারী উল্লেখ করেন নি।
ইমাম আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন জারির, ইবন মারদাবিয়্যাহ, ইবন হিব্বান এবং হাকিম ইকরামা থেকে তিনি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, «مَنْ صَنَعَ كَذَا وَكَذَا فَلَهُ كَذَا وَكَذَا» “যে ব্যক্তি এমন এমন বাহাদুরী করবে, তার জন্য এমন এমন পুরস্কার থাকবে”। এ কথা শুনে যুবকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর বৃদ্ধরা পতাকা তলে থেকে যায়। তারপর যখন গনীমতের মাল অর্জিত হল, যাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল তারা তাদের দাবি নিয়ে উপস্থিত হল, তখন বৃদ্ধরা বলল, তাদের তোমরা আমাদের ওপর প্রাধান্য দেবে না। কারণ, আমরা তোমাদের জন্য রক্ষক ছিলাম। আমরা প্রতিহত করেছি। যদি তোমরা পরাজিত হতে আমাদের কাছেই ফিরতে। তারা পরস্পর বিবাদে জড়িয়ে পড়ল। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأنْفَالِ “তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে” থেকে وَأَطِيعُوااللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ “তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাক তবে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর” পর্যন্ত। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৭৩৭, হাকিম, ১৩১/২]
ইমাম আবু উবাইদ কাসেম ইবন সাল্লাম স্বীয় কিতাবে (আল-আমওয়ালুশ শর‘ঈয়্যাহ ওয়া বায়ানু জিহাতিহা)-তে লিখেন, আনফাল হলো, গনীমতের মাল এবং যে মাল মুসলিমগণ তাদের শত্রুদের থেকে অর্জন করে। প্রথম যুগে এ মাল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য খাস ছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡأَنفَالِۖ قُلِ ٱلۡأَنفَالُ لِلَّهِ وَٱلرَّسُولِۖ “তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের”। তারপর বদরের যুদ্ধে আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী পাঁচ ভাগ করা ছাড়াই তা মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে দেন। তারপর পাঁচ ভাগ করার আয়াত নাযিল হলে পূর্বের নিয়ম রহিত হয়ে যায়। একই মতামত আলী ইবন আবু তালহা রহ. ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকেও হুবহু বর্ণনা করেন। একই মত পোষণ করেন, মুজাহিদ, ইকরামাহ ও সুদ্দী। আর ইবন যায়েদ বলেন, আয়াতটি রহিত নয়, বরং অকাট্য। আবু উবাইদ রহ. বলেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন আছার (সাহাবী ও তাবে‘ঈদের থেকে প্রাপ্ত মতামত) রয়েছে। আনফাল হল, গনীমতেরই সারাংশ। তবে এক-পঞ্চমাংশ খাস তাদের জন্য যারা এর হকদার। যাদের বিষয়ে কুরআন নাযিল হয়েছে এবং সুন্নাতের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। আরবী ভাষায় আনফালের অর্থ, বাড়তি দয়া, যা একজন ব্যক্তি কারো ওপর করে থাকে যা করা তার ওপর ওয়াজিব নয়। এ কারণেই পূর্বের উম্মতদের ওপর গনীমত হারাম থাকার পর আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য তাদের শত্রুদের সম্পদ থেকে নফলকে (অর্জিত সম্পদকে) হালাল করেছেন, তা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ওপর বিশেষ ফযীলত। এটিই হলো নফল বা গনীমতের বাস্তবতা। আমি বলি, এর প্রমাণ সহীহ বুখারী ও মুসলিমে জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস, তাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي “আমাকে পাঁচটি বিষয় দেওয়া হয়েছে যা আমার পূর্বে আর কাউকে দেওয়া হয় নি” তারপর তিনি বলেন, «وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي» ‘আমার জন্য গনীমতের মাল হালাল করা হয়েছে আমার পূর্বে আর কারো জন্য তা হালাল করা হয় নি’’। তারপর পূর্ণ হাদীস উল্লেখ করেন। আবু উবাইদ রহ. বলেন, এ কারণেই ইমাম কোনো যোদ্ধাকে তার সাহসিকতা বা বাহাদুরীর কারণে তার প্রাপ্য অংশের অতিরিক্ত পুরস্কার হিসেবে যা প্রদান করে থাকেন, তাকে নফল বলা হয়।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ “কাজেই তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর আর নিজেদের সম্পর্ককে সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত কর” অর্থাৎ তোমাদের যাবতীয় বিষয়ে আল্লাহ সচেতনতা অবলম্বন কর, আর তোমাদের পারস্পরিক বিষয় সংশোধন কর, পরস্পর যুলুম করো না, ঝগড়া-বিবাদ করো না, তোমরা যে কারণে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়েছ তার চেয়ে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে হিদায়াত ও জ্ঞান দিয়েছেন সেটা অধিক উত্তম।
وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ “তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর” অর্থাৎ তোমাদের মাঝে তাঁর বন্টন যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করেছেন। কেননা, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তো সেভাবেই বন্টন করেন যেভাবে আল্লাহ তা‘আলা আদল ও ইনসাফের সাথে তাঁকে বন্টন করতে বলেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, এটি হচ্ছে মুমিনগণের প্রতি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নির্দেশ যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের সম্পর্ককে সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত কর। মুজাহিদও অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন।
সুদ্দী রহ. বলেন, فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ “কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর নিজেদের সম্পর্ককে সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত কর”। হাফেয আবু ইয়া‘লা আল মূসিলী স্বীয় মুসনাদে আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে একটি হাদীস উল্লেখ করেন, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে বসে ছিলেন, তখন আমরা দেখলাম তিনি হঠাৎ এমনভাবে হাসলেন এমনকি তার দাঁত দেখা গেল। তারপর উমার রাদিয়াল্লাহু রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনার ওপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক, কোনো জিনিসটি আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের দুই ব্যক্তি আল্লাহ রাব্বুল ইয্যতের সম্মুখে ঝগড়া করছে, তাদের একজন বলে, হে আমার রব! আমার ভাই থেকে আমার যুলুমের প্রতিশোধ গ্রহণ করুন। তখন আল্লাহ তা‘আলা লোকটিকে বললেন, তোমার ভাইয়ে পাওনা পরিশোধ কর, তখন সে বলল, হে আমার রব! আমার নেক আমলের আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। বলল, তাহলে সে আমার গুনাহগুলো বহন করুক। তারপর কাঁদতে কাঁদতে রাসূলের চক্ষুদ্বয় অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়ল। আর বলল, এ দিন বড়ই মহান দিন, এ দিন মানুষ এমন লোককে তালাশ করবে যে, তার গুণাহগুলো বহন করবে। তারপর আল্লাহ তা‘আলা লোকটিকে বলল, তুমি তোমার চোখ উপরের দিক উঠাও এবং জান্নাতসমূহের দিকে তাকাও। তারপর সে মাথা উঠাবে এবং বলবে, হে আমার রব! আমি চাদির শহুরগুলো দেখছি এবং বড় বড় প্রাসাদ দেখছি যা স্বর্ণ-মুতি দ্বারা নির্মিত। এগুলো কোন নবীর জন্য? কোন সিদ্দীকের জন্য? কোন শহীদের জন্য? বলল, যে তার মূল্য পরিশোধ করতে পারবে তার জন্য। বলল, হে রব, কে আছে যে তার মূল্য দিতে পারবে? বলল, তুমিও পারবে। বলল, কীভাবে হে আমার রব! বলল, তুমি তোমার ভাইকে ক্ষমা করে দাও। সে বলল, হে আমার রব! আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। বলল, তুমি তোমার ভাইয়ের হাত ধর আর তাকে জান্নাতে নিয়ে যাও। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, «فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُواْ ذَاتَ بِيْنِكُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُصْلِحُ بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ القيامة» “তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, নিজেদের মাঝে ইনসাফের সাথে মীমাংসা কর। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন মুমিনদের মাঝে আপোস-মীমাংসা করে দিবেন”। [হাকেম স্বীয় মুস্তাদরাকে ৪/৫৭৬ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।]
“মুমিন তো তারাই আল্লাহর কথা আলোচিত হলেই যাদের অন্তর কেঁপে উঠে, আর তাদের কাছে যখন তাঁর আয়াত পঠিত হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের রবের ওপর নির্ভর করে। তারা সালাত ক্বায়িম করে, আর আমি তাদেরকে যে জীবিকা দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করে। এসব লোকেরাই প্রকৃত মুমিন। এদের জন্য এদের রবের নিকট আছে নানা মর্যাদা, ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২-৩]
তাফসীর:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/350/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।