hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর

লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের

২৬
মুশরিকরা পাপের শাস্তি পায়:
আল্লাহ তা‘আলা অবহিত করেন যে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য; কিন্তু তাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপস্থিতির বরকতে তাদের ওপর শাস্তি আসে নি। এ কারণে যখন তিনি তাদের মাঝ থেকে বের হয়ে যান আল্লাহ তা‘আলা তাদের ওপর বদরের শাস্তি আপতিত করেন, তাদের নেতৃবৃন্দ নিহত হয় অথবা বন্দী হয়। এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তারা যে শির্ক ও ফাসাদের মধ্যে পরিতৃপ্ত ছিল সে গোনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রতি দিক-নির্দেশনা দেন। তাদের মাঝে (মক্কায়) যদি ক্ষমা প্রার্থনাকারী, দুর্বল মুমিনগণ না থাকত, তবে তাদের ওপর শাস্তি নেমে আসত যা তারা ফিরাতে পারত না; কিন্তু তাদের কারণে তা প্রতিহত হয়েছে।

কাতাদাহ এবং সুদ্দী রহ. বলেন, এ জাতিটি ক্ষমা চাচ্ছিল না। অন্যথায় তাদের শাস্তি দেওয়া হত না। ইবন জারির রহ. এ মতকে গ্রহণ করেন। অর্থাৎ যদি তাদের মধ্যে দুর্বল ক্ষমা প্রার্থনাকারী মু’মিন না থাকত, তাহলে তাদের ওপর শাস্তি আসত যা তারা ঠেকাতে পারত না। কিন্তু মক্কায় অবস্থানরত দুর্বল মুমিন ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের কারণে কাফেরদের থেকে শাস্তি প্রতিহত করা হল। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা হুদাইবিয়ার দিন সম্পর্কে বলেন, ﴿هُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّوكُمۡ عَنِ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ وَٱلۡهَدۡيَ مَعۡكُوفًا أَن يَبۡلُغَ مَحِلَّهُۥۚ وَلَوۡلَا رِجَالٞ مُّؤۡمِنُونَ وَنِسَآءٞ مُّؤۡمِنَٰتٞ لَّمۡ تَعۡلَمُوهُمۡ أَن تَطَ‍ُٔوهُمۡ فَتُصِيبَكُم مِّنۡهُم مَّعَرَّةُۢ بِغَيۡرِ عِلۡمٖۖ لِّيُدۡخِلَ ٱللَّهُ فِي رَحۡمَتِهِۦ مَن يَشَآءُۚ لَوۡ تَزَيَّلُواْ لَعَذَّبۡنَا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ عَذَابًا أَلِيمًا ٢٥﴾ [ الفتح : ٢٥ ] “তারাই তো কুফুরী করেছিল এবং তোমাদেরকে মসজিদুল হারাম থেকে বাধা দিয়েছিল, আরও বাধা দিয়েছিল কুরবানীর পশুগুলোকে কুরবানীর স্থানে পৌঁছতে। মুমিন পুরুষ আর মুমিন নারীরা যদি (মাক্কায় কাফেরদের মাঝে) না থাকত যাদের সম্পর্কে তোমরা জান না আর অজ্ঞতাবশতই তোমরা তাদেরকে পর্যুদস্ত করে দিবে; যার ফলে তোমাদের ওপর কলঙ্ক লেপন হবে -এমন সম্ভাবনা না থাকত, তাহলে তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ দেওয়া হত। যুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয় নি যাতে আল্লাহ যাকে ইচ্ছে তাঁর রহমাতের মধ্যে শামিল করে নিতে পারেন। (মাক্কায় অনেক মুমিন আর কাফেররা একত্রিত না থেকে) যদি তারা পৃথক হয়ে থাকত, তাহলে আমি তাদের মধ্যে কাফেরদেরকে ভয়াবহ শাস্তি দিতাম”। [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ২৫]

ইবন জারির রহ. ইবন আবযা রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় ছিলেন, তখন আল্লাহ তা‘আলা সূরা আল-আনফালের আয়াত وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ “তুমি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না”। তারপর তিনি যখন মদীনায় তখন وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ “এবং যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩৩] এ আয়াত নাযিল করেন।

কেউ কেউ বলেন, আয়াতটি وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ পরবর্তী আয়াত وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ রহিত করে দেয়। এ শর্তে যে তাদের থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা তাদের নিজেদের থেকে পাওয়া যেতে হবে। ইকরিমা ও হাসান বাসরী রহ. বলেন, আল্লাহ তা‘আলা সূরা আনফালে বলেন, وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ এর পরবর্তী আয়াতটি এ আয়াতের বিধানকে রহিত করে দেন। অর্থাৎ وَمَا لَهُمْ أَلاَّ يُعَذِّبَهُمُ اللَّهُ “কে আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না” থেকে নিয়ে فَذُوقُواْ الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ “তোমরা শাস্তি ভোগ কর, কারণ, তোমারা কুফুরী করতে” এ পর্যন্ত। অতঃপর তারা মক্কায় যুদ্ধ করে। যার ফলে তাদের ক্ষতি হয় এবং তারা দূর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়।

ইবন আবু হাতিম ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন, وَمَا كَانَ ٱللَّهُ مُعَذِّبَهُمۡ وَهُمۡ يَسۡتَغۡفِرُونَ “এবং যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না” তারপর মুশরিকদের বাদ দেওয়া হয় এবং তিনি বলেন, وَمَا لَهُمۡ أَلَّا يُعَذِّبَهُمُ ٱللَّهُ وَهُمۡ يَصُدُّونَ عَنِ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ “আল্লাহ যে তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এ ব্যাপারে ওজর পেশ করার জন্য তাদের কাছে কী আছে যখন তারা (মানুষদেরকে) মসজিদুল হারাম-এর পথে বাধা দিচ্ছে”?

আর আল্লাহর বাণী: وَمَا لَهُمۡ أَلَّا يُعَذِّبَهُمُ ٱللَّهُ وَهُمۡ يَصُدُّونَ عَنِ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ وَمَا كَانُوٓاْ أَوۡلِيَآءَهُۥٓۚ إِنۡ أَوۡلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡمُتَّقُونَ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ “আল্লাহ যে তাদেরকে শাস্তি দিবেন না -এ ব্যাপারে ওজর পেশ করার জন্য তাদের কাছে কী আছে যখন তারা (মানুষদেরকে) মসজিদুল হারামের পথে বাধা দিচ্ছে? তারা তো ওর (প্রকৃত) মুতাওয়াল্লী নয়, মুত্তাকীরা ছাড়া কেউ তার মুতাওয়াল্লী হতে পারে না; কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এ সম্পর্কে অবগত নয়”। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা কেন তাদেরকে শাস্তি দিবেন না অথচ তারা মাসজিদুল হারাম থেতে তাদেরকে বাধা দেয় অর্থাৎ যা মক্কায়, তারা মুমিনগণকে বাধা দেয়, যারা সেখানে সালাত আদায় করার এবং এতে তাওয়াফ করার অধিকারী। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَا كَانُوٓاْ أَوۡلِيَآءَهُۥٓۚ إِنۡ أَوۡلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡمُتَّقُونَ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ “তারা তো ওর (প্রকৃত) মুতাওয়াল্লী নয়, মুত্তাকীরা ছাড়া কেউ তার মুতাওয়াল্লী হতে পারে না; কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এ সম্পর্কে অবগত নয়” অর্থাৎ তারা মাসজিদুল হারামের হকদার নয়; বরং এর হকদার হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَنْ يَعْمُرُوا مَسَاجِدَ اللَّهِ شَاهِدِينَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِالْكُفْرِ أُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ وَفِي النَّارِ هُمْ خَالِدُونَ إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلا اللَّهَ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِينَ﴾ [ التوبة : ١٧،١٨ ] “মুশরিকদের এটি কাজ নয় যে, তারা আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী সেবক হবে যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফুরীর সাক্ষ্য দেয়, তাদের সমস্ত কাজ বরবাদ হয়ে গেছে, জাহান্নামেই তারা হবে চিরস্থায়ী। আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ তো তারাই করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে, সালাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই হবে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১৭-১৮] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَكُفۡرُۢ بِهِۦ وَٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ وَإِخۡرَاجُ أَهۡلِهِۦ مِنۡهُ أَكۡبَرُ عِندَ ٱللَّهِۚ ٢١٧﴾ [ البقرة : ٢١٧ ] “পক্ষান্তরে আল্লাহর পথ থেকে বাধা দান, আল্লাহর সঙ্গে কুফুরী, কা‘বা গৃহে যেতে বাধা দেওয়া এবং তাত্থেকে তার বাসিন্দাদেরকে বের করে দেওয়া আল্লাহর নিকট তার চেয়ে অধিক অন্যায়”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২১৭] হাকিম ইসমাঈল ইবন উবাইদ ইবন রিফা‘আ তিনি তার পিতা এবং তিনি তার দাদা থেকে তার মুস্তাদরাকে উল্লেখ করেন, তিনি (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশদেরকে একত্রিত করে বলেন, «هل فيكم من غيركم؟» “তোমাদের মাঝে কি তোমাদের ভিন্ন অন্য কেউ রয়েছে”? তারা বলল: আমাদের মাঝে রয়েছে আমাদের ভাগনে, রয়েছে যাদের সাথে আমাদের মৈত্রী সম্পর্ক আছে, রয়েছে আমাদের বন্ধুবর্গ। এরপর তিনি বলেন, «حَلِيفُنَا مِنَّا وَابْنُ أُخْتِنَا مِنَّا وَمَوْلَانَا منا إن أوليائي منكم المتقون» . “আমাদের সাথে বন্ধু যারা তারাও আমাদের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের যারা ভাগনে রয়েছে তারাও আমাদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু প্রকৃত বন্ধুবর্গ তো হচ্ছে তোমাদের মধ্যকার মুত্তাক্বীগণ”। [মুসতাদরাক: ২/৩২৮, হাকিম রহ. বলেন, এ হাদীসটি সহীহ, তবে ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাদের গ্রন্থদ্বয়ে এর উল্লেখ করেন নি।]

উরওয়া, সুদ্দী এবং মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক রহ. إِنْ أَوْلِيَاؤُهُ إِلا الْمُتَّقُونَ “মুত্তাকীরা ছাড়া কেউ তার মুতাওয়াল্লী হতে পারে না” এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, তারা হচ্ছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম। মুজাহিদ রহ. বলেন, তারা হচ্ছেন মুজাহিদগণ, তারা যারাই হোকনা এবং যেখানেই হোকনা কেন।

এরপর আল্লাহ তা‘আলা উল্লেখ করেন মুশরিকরা মাসজিদুল হারামের কাছে কী ধরনের কর্মকাণ্ড চর্চা করত আর এর ব্যাপারে তাদের কেমন কাজ-কারবার ছিল। তিনি বলেন, وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمۡ عِندَ ٱلۡبَيۡتِ إِلَّا مُكَآءٗ وَتَصۡدِيَةٗۚ “আল্লাহর ঘরের নিকট তাদের সালাত হাত তালি মারা আর শিষ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না”। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, মুজাহিদ, ইকরিমা ও অন্যান্যরা বলেন, তা হচ্ছে শিষ। মুজাহিদ রহ. আরও সংযোজন করে বলেন, তারা তাদের মুখে আঙ্গুল প্রবেশ করাত। সুদ্দী রহ. বলেন, مُكَاء সাদা পাখির মতো শিষ দেওয়া। তাকে বলা হয় مُكَاءً তা হিজাযের জমিনে পাওয়া যায়। সা‘ঈদ ইবন জুবাইর বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمۡ عِندَ ٱلۡبَيۡتِ إِلَّا مُكَآءٗ وَتَصۡدِيَةٗۚ “আল্লাহর ঘরের নিকট তাদের সালাত হাত তালি মারা আর শিষ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না” এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, কুরাইশরা বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করত এ সময় তারা থাকত উলঙ্গ, শিষ দিত, তালি বাজাত। المكاء শব্দের অর্থ হচ্ছে শিষ দেওয়া, التصدية শব্দের অর্থ হচ্ছে তালি বাজানো। অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, মুজাহিদ, মুহাম্মাদ ইবন কা‘ব, আবু সালামাহ ইবন আব্দুর রহমান, দাহ্হাক, কাতাদা, আতিয়্যাহ আল আউফী, হুজর ইবন আম্বাসা এবং ইবন আবযা থেকে। আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمۡ عِندَ ٱلۡبَيۡتِ إِلَّا مُكَآءٗ وَتَصۡدِيَةٗۚ “আল্লাহর ঘরের নিকট তাদের সালাত হাত তালি মারা আর শিষ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না” এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, المكاء হচ্ছে শিষ দেওয়া আর التصدية হচ্ছে তালি বাজানো। ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, তারা তাদের চেহারাকে জমিনে রাখত তারপর তারা তালি বাজাতো এবং শিষ দিতো। মুজাহিদ বলেন, তারা এ কাজটি এ জন্য করত, যাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালাতে উল্টাপাল্টা করে ফেলে। যুহরী রহ. বলেন, তারা মুমিনদের সাথে বিদ্রুপ করত।

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: فَذُوقُواْ ٱلۡعَذَابَ بِمَا كُنتُمۡ تَكۡفُرُونَ “আযাব ভোগ কর যেহেতু তোমরা কুফুরীতে লিপ্ত ছিলে”। দাহ্হাক, ইবন জুরাইয এবং মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক রহ. বলেন, বদর যুদ্ধে তারা যে নিহত ও বন্দী হয়েছে এটাই এখানে বুঝানো হয়েছে। এ মতকে ইবন জারির রহ. গ্রহণ করেন। তিনি ছাড়া আর কেউ তা বর্ণনা করেন নি।

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُمۡ لِيَصُدُّواْ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۚ فَسَيُنفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيۡهِمۡ حَسۡرَةٗ ثُمَّ يُغۡلَبُونَۗ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِلَىٰ جَهَنَّمَ يُحۡشَرُونَ ٣٦ لِيَمِيزَ ٱللَّهُ ٱلۡخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِ وَيَجۡعَلَ ٱلۡخَبِيثَ بَعۡضَهُۥ عَلَىٰ بَعۡضٖ فَيَرۡكُمَهُۥ جَمِيعٗا فَيَجۡعَلَهُۥ فِي جَهَنَّمَۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ ٣٧﴾ [ الانفال : ٣٦، ٣٧ ]

অর্থানুবাদ:

“যে সব লোক সত্যকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে তারা আল্লাহর পথ থেকে (লোকেদেরকে) বাধা দেওয়ার জন্য তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে থাকে, তারা তা ব্যয় করতেই থাকবে, অতঃপর এটিই তাদের দুঃখ ও অনুশোচনার কারণ হবে। পরে তারা পরাজিতও হবে। যারা কুফুরী করে তাদেরকে (অবশেষে) জাহান্নামের পানে একত্রিত করা হবে। যাতে আল্লাহ পবিত্র থেকে অপবিত্রকে আলাদা করে দেন, অতঃপর অপবিত্রদের এককে অন্যের ওপর রাখবেন, সকলকে স্তুপীকৃত করবেন, অতঃপর এ সমষ্টিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। এরাই হলো সর্বস্বান্ত”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩৬-৩৭]

তাফসীর:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন