hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর

লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের

২১
মুসলিমবৃন্দকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে তারা ইতোপূর্বে হীন ও দুর্বল ছিল এবং এরপর তারা শক্তিশালী ও বিজয়ী হয়:
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মুমিন বান্দাগণকে তাঁর নি‘আমত ও দয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তারা স্বল্প সংখ্যক ছিল এরপর তাদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেন, তারা ছিল দুর্বল, ভীতসন্ত্রস্ত এরপর তিনি তাদেরকে শক্তিশালী ও বিজয়ী করেন। তারা ছিল দরিদ্র এরপর তিনি তাদেরকে জীবন-জিবীকা দান করেন, তিনি তাদেরকে আদেশ দেন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে। এরপরে তারা তাঁর আনুগত্য করে, তাঁর সকল নির্দেশ মেনে নেয়, এ ছিল মুমিনগণের অবস্থা। মুমিনগণ যখন মক্কায় ছিল তারা সংখ্যায় ছিল অল্প, তারা কাফেরদের অত্যাচার ও ভয়ে গোপনে দীন চর্চা করত। তারা ভয় করত যে আল্লাহ তা‘আলার সমগ্র জমিন থেকে মুশরিক, অগ্নি উপাসক এবং রোমানরা তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে, এরা সকলে ছিল তাদের শত্রু। বিশেষ করে তারা যখন ছিল স্বল্পসংখ্যক এবং তাদের শক্তি ছিল না। তাদের এ অবস্থা যখন চলতে থাকে তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে নির্দেশ দেন মদীনায় হিজরত করতে এরপর তিনি তাঁদেরকে সেখানে আশ্রয় দেন, তাদের জন্য এখানকার লোকেরদেরকে নিয়োজিত করেন, তারা তাদেরকে আশ্রয় দেন আর বদর ও অন্যান্য যুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করেন। তারা হিজরতকারীদেরকে সম্পদ দিয়ে সহযোগিতা করেন আর তাদেরকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য তাদের জীবন প্রদান করেন।

কাতাদা ইবন দি‘আমা আস-সাদূসী রহ. وَٱذۡكُرُوٓاْ إِذۡ أَنتُمۡ قَلِيلٞ مُّسۡتَضۡعَفُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ “স্মরণ কর সে সময়ের কথা যখন তোমরা ছিলে সংখ্যায় অল্প, দুনিয়াতে তোমাদেরকে দুর্বল হিসেবে গণ্য করা হত” এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, আরবরা ছিল দুর্বলদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল জাতি, তাদের জীবন-যাপন ছিল কষ্টকর, তারা ছিল ক্ষুধার্ত, নাঙ্গা পা আর ছিল স্পষ্টত বিভ্রান্ত। তাদের মাঝে যে বসবাস করত সে বসবাস করত দুর্ভাগ্য নিয়ে, তাদের মাঝে যে মারা যেত সে যেত নরকে, তারা ছিল অন্যের খোরাক; কিন্তু অন্যদের তারা ভক্ষন করতে ছিল অক্ষম। আল্লাহর শপথ, জমিনের ওপর সে সময়ে এমন কোনো লোকেদের কথা আমাদের জানা নেই যে, তাদের জীবন ছিল তাদের চেয়ে নিকৃষ্ট। এমন সময় আল্লাহ তা‘আলা ইসলাম নিয়ে আসেন, তিনি জমিনের উপর এর প্রভাব বিস্তার করেন। এরপর তিনি তাদেরকে জীবন-জীবিকা এবং লোকেদের ঘাড়ের উপর নেতৃত্ব প্রদান করেন। আল্লাহ তা‘আলা ইসলামের মাধ্যমে তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কাজেই তোমরা আল্লাহ তা‘আলার নি‘আমতের জন্য তাঁর শুকরিয়া আদায় কর। আল্লাহ তা‘আলা নি‘আমত দান করেন আর কৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন। আর আল্লাহ তা‘আলা শুকরিয়া আদায়কারীদেরকে আরও বেশি বাড়িয়ে দেন। [উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, نحن قوم أعزنا الله بالإسلام فمتى ابتغينا بغير الإسلام أذلنا الله " “আমরা এমন এক সম্প্রদায় আল্লাহ আমাদের ইসলামের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। আর যখনই আমরা ইসলামের বাইরে গিয়ে সম্মান তালাশ করি, আল্লাহ আমাদের অসম্মান-বে-ইজ্জত-করেন”। (অনুবাদক) তাফসীর তাবারী: ১৩/৪৭৮]

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَخُونُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓاْ أَمَٰنَٰتِكُمۡ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٢٧ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَآ أَمۡوَٰلُكُمۡ وَأَوۡلَٰدُكُمۡ فِتۡنَةٞ وَأَنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجۡرٌ عَظِيمٞ ٢٨﴾ [ الانفال : ٢٧، ٢٨ ]

অর্থানুবাদ:

“হে মুমিনগণ! তোমরা জেনে বুঝে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করো না, আর যে বিষয়ে তোমরা আমানাত প্রাপ্ত হয়েছ তাতেও বিশ্বাস ভঙ্গ করো না। জেনে রেখ, তোমাদের ধন-সম্পদ আর সন্তান-সন্ততি হচ্ছে পরীক্ষার সামগ্রী মাত্র। (এ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে তাদের জন্য) আল্লাহর নিকট রয়েছে মহাপুরস্কার”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৭-২৮]

তাফসীর:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন