hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর

লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের

৩৯
উত্তরাধিকার নিকটাত্মীয়দের জন্য:
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: وَأُوْلُواْ ٱلۡأَرۡحَامِ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلَىٰ بِبَعۡضٖ فِي كِتَٰبِ ٱللَّهِۚ “কিন্তু আল্লাহর বিধানে রক্ত সম্পর্কীয়গণ পরস্পর পরস্পরের নিকট অগ্রগণ্য” অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার বিধানে وَأُوْلُواْ ٱلۡأَرۡحَامِ “রক্ত সম্পর্কীয়গণ”। [ইবন জারির রহ. বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে এ মর্মে চুক্তি করত যে, তুমি আমার ওয়ারিস হবে আর আমি তোমার ওয়ারিস হব। তারপর এ আয়াত - وَأُوْلُواْ ٱلۡأَرۡحَامِ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلَىٰ بِبَعۡضٖ فِي كِتَٰبِ ٱللَّهِۚ “কিন্তু আল্লাহর বিধানে রক্ত সম্পর্কীয়গণ পরস্পর পরস্পরের নিকট অগ্রগণ্য” নাযিল হয়। (অনুবাদক)] এ কথার দ্বারা শুধুমাত্র তারা উদ্দেশ্য নয় ইলমুল ফারায়েজের আলেমগণ যাদেরকে আত্মীয় হিসেবে গণ্য করেছেন কিন্তু কুরআনে তাদের নির্ধারিত কোনো অংশের কথা বলে দেওয়া হয় নি আর তারা আসাবাও নয়; বরং তারা ওয়ারিসের সাথে ঝুলন্ত, যেমন খালা, মামা, ফুফু, কন্যার সন্তানেরা, বোনের সন্তানেরা এবং তাদের মত অন্যান্যরা। কিন্তু অনেকে ভাবেন এ কথার দ্বারা তাদেরকেই বুঝানো হয়েছে, আর এ আয়াত এর দলীল হিসেবে পেশ করেন আর মাসআলায় সুস্পষ্টভাবে এটিই বিশ্বাস করেন বরং প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে আয়াতটি عام সব আত্মীয়স্বজন এ আয়াতে শামিল। যেমন, এ ব্যাপারে বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, মুজাহিদ, ইকরিমা, হাসান, কাতাদা এবং আরও অন্যান্যরা। তারা বলেন যে, এ আয়াতটি তাদের উত্তরাধিকারকে রহিত করে দেয় যারা চুক্তিগত অথবা ভ্রাতৃত্বের কারণে ইসলামের প্রাথমিক যুগে উত্তরাধিকারী হত। এর ভিত্তিতে বিশেষ নামের সাথে যাবিল আরহামও এতে শামিল, আর যারা তাদেরকে ওয়ারিসই মনে করেন না তারা কয়েকটি দলীল প্রদান করেন, তন্মধ্যে: হাদীস: «إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ، فَلَا وصِيَّة لِوَارِثٍ» “আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক হকদারকে তার হক প্রদান করেছেন। কাজেই ওয়ারিসের জন্য কোনো ওয়াসিয়ত নেই’’। [আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৮৭০, তিরমিযী, হাদীস নং ২১২০, নাসাঈ, হাদীস নং ৩৬৪৩; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৭১৩। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।] তারা বলেন যে, সে যদি হকদার হত তবে তার হক আল্লাহ তা‘আলা কিতাবে নাম ধরে অবধারিত থাকত, যখন তা পাওয়া যাচ্ছে না তখন সে ওয়ারিস নয়। আল্লাহ ভালো জানেন।

সূরা আনফালের তাফসীর সমাপ্ত। আল্লাহ তা‘আলার জন্য সকল প্রশংসা এবং তাঁরই অনুগ্রহ, তাঁর ওপর আমরা ভরসা রাখি, তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট আর তিনি উত্তম কর্মবিধায়ক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন