hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর

লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের

৩১
বদর যুদ্ধের বিভিন্ন দিক:
আল্লাহ তা‘আলা ফুরক্বানের দিন সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, إِذۡ أَنتُم بِٱلۡعُدۡوَةِ ٱلدُّنۡيَا “স্মরণ কর, যখন তোমরা উপত্যকার নিকট প্রান্তে” মদীনার নিকটবর্তী উপত্যকার প্রান্তে তাঁবু ফেলেছিলে وَهُمْ (আর তারা) অর্থাৎ মুশরিকরা তাঁবু গেড়েছিল بِٱلۡعُدۡوَةِ ٱلۡقُصۡوَىٰ “ছিল দূরের প্রান্তে” অর্থাৎ মদীনা থেকে দুরে মক্কার প্রান্তে والرَّكْبُ “আরোহী কাফেলা” আর কাফেলা যাতে ছিল আবু সুফিয়ান তার ব্যবসাসামগ্রী সহকারে। أَسْفَلَ مِنْكُمْ “তোমাদের অপেক্ষা নিম্নভূমিতে” অর্থাৎ সমুদ্রের নিকটে وَلَوْ تَوَاعَدْتُمْ “যদি তোমরা যুদ্ধ করার ব্যাপারে পরস্পরের মধ্যে পূর্বেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে” অর্থাৎ তোমরা এবং মুশরিকরা নির্দিষ্ট একটি স্থানের لاخْتَلَفْتُمْ فِي الْمِيعَادِ “তবুও যুদ্ধ করার এ সিদ্ধান্ত তোমরা অবশ্যই রক্ষা করতে পারতে না” মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, ইয়াহইয়া ইবন আব্বাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু, (তিনি) তার পিতা থেকে বর্ণনা করে বলেন, এ ব্যাপারে যদি তোমাদের এবং তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ থাকত, আর যদি তোমারা জানতে পারতে যে, তাদের সংখ্যা বেশি আর তোমাদের সংখ্যা কম, তবে তাদের সাথে তোমাদের সাক্ষাত হোক সেটা চাইতে না। وَلَٰكِن لِّيَقۡضِيَ ٱللَّهُ أَمۡرٗا كَانَ مَفۡعُولٗا “যাতে আল্লাহ সে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন যা ছিল পূর্বেই স্থিরীকৃত”। অর্থাৎ যাতে আল্লাহ তা‘আলা তার স্বীয় কুদরাত দ্বারা ইসলাম এবং তার অনুসারীদেরকে শক্তিশালী ও সম্মানিত করবেন আর শির্ক এবং এর অনুসারীদেরকে অপদস্থ করবেন। অথচ এটি যে ঘটবে এ ব্যাপারে তোমাদের কোনো জ্ঞান ছিল না। ফলে আল্লাহ তা‘আলা নিজ অনুগ্রহে এ ব্যাপারে যা ইচ্ছা সম্পন্ন করেন। কা‘ব ইবন মালিকের হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুসলিমবৃন্দ কুরাইশ কাফেলাকে ধরার জন্য বের হয়ে আসেন, অবশেষে নির্দিষ্ট দিন স্থির ছাড়াই আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এবং শত্রুদেরকে একত্রিত করে দেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৯৫১] ইবন জারির রহ. বলেন, উমাইর ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন, আবু সুফিয়ান সিরিয়া থেকে বাণিজ্যিক কাফেলা নিয়ে আসছিল। আবু জাহাল বের হয়ে আসে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাথীদের থেকে তাদের রক্ষা করা জন্য। ঘটনাক্রমে তারা বদর প্রান্তরে একত্র হয়। অবস্থা এমন ছিল কেউ কারো সম্পর্কে জানে না, তারাও জানে না এরাও জানে না। শেষ পর্যন্ত উভয় দল মিলিত হল এবং লোকেরা একে অপরের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল। [ইবনু জারীর স্বীয় তাফসীর, ৯/১০]

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, আবু সুফিয়ান যখন দেখতে পেল তার কাফেলা নিরাপদ, তখন সে কুরাইশদের নিকট সংবাদ পাঠান যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কাফেলা ও লোকদের নাজাত দিয়েছে তোমরা মক্কায় ফিরে আস। তখন আবু জাহল বলল, আল্লাহর কসম আমরা ফিরে যাবো না। আমরা বদর প্রান্তরে পৌঁছবো, তথায় আমরা তিন দিন অবস্থান করব, সেখানে আমরা খাওয়ার আয়োজন করব, উট জবাই করব, মদপান করব, আমাদের গায়িকারা সেখানে গান গাইবে, আরবরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবে। তারপর থেকে তারা আমাদের ভয় করবে।

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, এ হাদীসটি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন ইয়াযীদ ইবন রূমান, (তিনি) উরওয়া ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে (তিনি বলেন): রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বদরের নিকটবর্তী হন তখন তিনি আলী ইবন আবু তালিব, সা‘দ ইবন আবু ওয়াক্কাস, যুবাইর ইবন আউওয়ামসহ একদল সাহাবীকে (কুরাইশ কাফেরদের) সংবাদ নিয়ে আসার জন্য প্রেরণ করেন। তারা কুরাইশদেরকে পানি পান করায় এমন দু’জন গোলামকে আটক করেন যাদের একজন ছিল সা‘ঈদ ইবন ‘আস গোত্রের এবং অপরজন ছিল হাজ্জাজ গোত্রের। তারা তাদের দু’জনকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে দেখেন যে, তিনি সালাত আদায় করছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন: তোমরা কারা? তারা বলে, আমরা কুরাইশদেরকে পানি পান করাই, তারা আমাদেরকে পানি আনার জন্য পাঠিয়েছিল; কিন্তু সাহাবীগণের উত্তর মনঃপূত হয় না, তারা ভেবেছিল তারা আবু সুফিয়ানের লোক, ফলে তারা তাদেরকে মারধর শুরু করেন, এরপর যখন তারা তাদেরকে দুর্বল করে ফেলেন তখন তারা বলে আমরা আবু সুফিয়ানের লোক, তখন সাহাবীগণ তাদেরকে ছেড়ে দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু‘ করেন এবং দুই সাজদাহ করার পরে সালাম ফিরান, এরপর বলেন, «إِذَا صدَقاكم ضَرَبْتُمُوهُمَا، وَإِذَا كَذَبَاكُمْ تَرَكْتُمُوهُمَا . صَدَقَا، وَاللَّهِ إِنَّهُمَا لِقُرَيْشٍ، أَخْبِرَانِي عَنْ قُرَيْشٍ» “যখন তারা তোমাদেরকে সত্য বলেছিল তখন তোমরা তাদেরকে প্রহার করেছিলে, আর যখন তারা তোমাদেরকে মিথ্যা বলে তখন তোমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছ, তারা সত্য বলেছে, আল্লাহর শপথ, তারা হচ্ছে কুরাইশের লোক, তোমরা আমাকে কুরাইশদের সম্পর্কে অবহিত কর”। তারা বলে, তারা এ পাহাড়ের পেছনে রয়েছে যা আপনি উপত্যকা থেকে দূরের প্রান্তে দেখতে পাচ্ছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বলেন, كَمِ الْقَوْمُ؟ তারা কতজন? তারা বলে, অনেক, তিনি বলেন, مَا عدَّتهم؟ সংখ্যা কত? তারা বলে, জানি না, তিনি বলেন, كَمْ ينحَرُون كُلَّ يَوْمٍ؟ তারা প্রতিদিন কয়টি করে উট জবেহ করে? তারা বলে, একদিন নয়টি আরেক দিন দশটি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, الْقَوْمُ مَا بَيْنَ التِّسْعِمِائَةِ إِلَى الْأَلْفِ . “তারা নয়শত থেকে এক হাজার”। এরপর তিনি তাদেরকে বলেন, فَمَنْ فِيهِمْ مِنْ أَشْرَافِ قُرَيْشٍ؟ কুরাইশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে কারা কারা রয়েছে? তারা বলে, উতবা ইবন রাবী‘আহ, শাইবাহ ইবন রাবী‘আহ, আবুল বাখতারী ইবন হিশাম, হাকীম ইবন হিযাম, নাউফাল ইবন খুওয়াইলিদ, আল-হারিস ইবন ‘আমির ইবন নাউফাল, তুওয়াইমাহ ইবন ‘আদী ইবন নাউফাল, নাদ্বর ইবনুল হারিস, যাম‘আহ ইবনুল আসওয়াদ, আবু জাহল ইবন হিশাম, উমাইইয়া ইবন খালফ, ইবনুল হাজ্জাজের দুই পুত্র নাবীহ এবং মুনাব্বিহ, সুহাইল ইবন আমর, আমর ইবন আব্দে ওয়াদ্দ। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের মুখোমুখি হয়ে বলেন, «هَذِهِ مَكَّةُ قَدْ أَلْقَتْ إِلَيْكُمْ أَفْلَاذَ كَبِدِهَا» “এ হচ্ছে মক্কা, সে তার মুল্যবান (নেতৃবৃন্দ) কলিজার টুকরা সন্তানদেরকে তোমাদের কাছে নিয়ে এসেছে”।

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, যখন লোকেরা বদরের দিন একত্র হয়, তখন সা‘আদ ইবন মু‘আয রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন, আপনার জন্য কি একটি তাঁবু বানাবো নাকি যেখানে আপনি অবস্থান করবেন? আমরা আমাদের বাহনগুলোকে আপনার কাছে এনে বসাবো এবং আমরা আমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হব। যদি আল্লাহ তা‘আলা আমাদের বিজয় দেন এবং আমাদের সম্মান দেন যা আমাদের চাওয়া আর যদি আমাদের পরাজিত করেন, তাহলে আপনি আপনার বাহনে অবস্থান করবেন আমাদের সম্প্রদায়ের যারা অবশিষ্ট থাকবে তাদের সাথে গিয়ে মিশবেন। আল্লাহর শপথ কিছু লোক পিছনে রয়ে গেছে আমরা আপনাকে তাদের চেয়ে বেশি মহব্বত করি না। যদি তারা জানতে পারত আপনি শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করবেন, তাহলে তারা পিছনে থাকত না। তারা আপনাকে সাহায্য করত, আপনার সঙ্গে থাকত। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রশংসা করলেন, তার জন্য কল্যাণের দো‘আ করলেন, তারপর তার জন্য একটি তাঁবু বানানে হলো তাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বকর অবস্থান করলেন। তাদের সাথে আর কেউ ছিল না।

ইবন ইসহাক বলেন, কুরাইশরা সকালেই রওয়ানা করল। যখন তারা সামনে আসল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দেখতে পেল, তিনি বললেন, «اللهم هذه قريش قد أقلبت بخيلائها وفخرها تُحَادُّكَ وَتُكَذِّبُ رَسُولَكَ، اللَّهُمَّ أَحِنْهُمُ الْغَدَاةَ» “হে আল্লাহ এ হলো কুরাইশ সম্প্রদায় তারা অহংকার ও দম্ভ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। তারা তোমার বিরোধিতা করছে এবং রাসূলকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে। হে আল্লাহ! তুমি আগামী দিন তাদের ধ্বংস কর”।

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: لِّيَهۡلِكَ مَنۡ هَلَكَ عَنۢ بَيِّنَةٖ وَيَحۡيَىٰ مَنۡ حَيَّ عَنۢ بَيِّنَةٖۗ “যেন যাকে ধ্বংস হতে হবে সে যেন সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে ধ্বংস হয় আর যাকে জীবিত থাকতে হবে সেও যেন সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে জীবিত থাকে” মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, নিদর্শণ এবং দৃষ্টান্ত এ সব দলীল-প্রমাণাদি প্রত্যক্ষ করার পরারও যে কুফুরী করার সে কুফুরী করে, আর যে এ অবস্থায় ঈমান আনার সে ঈমান আনে। এ তাফসীর সুন্দর, এখানে সরল কথা হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ِيَهۡلِكَ مَنۡ هَلَكَ “যেন যাকে ধ্বংস হতে হবে সে যেন ধ্বংস হয়” নির্ধারিত দিন ছাড়াই একই স্থানে তোমাদেরকে তোমাদের শত্রুদের সাথে একত্রিত করার কারণ হচ্ছে তোমাদেরকে যেন তিনি তাদের ওপর সাহায্য করেন, সত্যের বাণীকে মিথ্যার বাণীর ওপর তুলে ধরেন, যাতে করে বিষয়টি স্পষ্ট হয়, দলীল অকাট্য হয় এবং প্রমাণ পরিষ্কার হয়। যাতে করে কারও পক্ষে দলীল এবং সন্দেহ-সংশয় অবশিষ্ট না থাকে। يَهۡلِكَ مَنۡ هَلَكَ “যেন যাকে ধ্বংস হতে হবে সে যেন ধ্বংস হয়”। অর্থাৎ বিবেক-বুদ্ধিমত্তা থাকার পরও যে কুফুরীর ওপর অবিচল থাকে, সে যেন তার পরিণতি কি তা জেনে থাকে। আর এ ব্যাপারেও সচেতন থাকে যে, সে একজন বিভ্রান্ত। কারণ তার বিরুদ্ধে দলীল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। وَيَحۡيَىٰ مَنۡ حَيَّ “আর যাকে জীবিত থাকতে হবে সেও যেন জীবিত থাকে” অর্থাৎ যে ঈমান আনার ঈমান আনে, عَنۢ بَيِّنَةٖۗ “সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে” অর্থাৎ দলীল-প্রমাণ, অন্তর্দৃষ্টি ভিত্তিতে। ঈমান হচ্ছে অন্তরসমূহের প্রাণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿أَوَ مَن كَانَ مَيۡتٗا فَأَحۡيَيۡنَٰهُ وَجَعَلۡنَا لَهُۥ نُورٗا يَمۡشِي بِهِۦ فِي ٱلنَّاسِ ١٢٢﴾ [ الانعام : ١٢٢ ] “যে ব্যক্তি মৃত ছিল, তাকে আমরা জীবিত করলাম, তার জন্য আলোর ব্যবস্থা করলাম যার সাহায্যে সে মানুষের মাঝে চলাফেরা করে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত ১২২] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা অপবাদের ঘটনায় বলেন, আমার ব্যাপারে যে ধ্বংস হওয়ার ধ্বংস হয়েছে, অর্থাৎ তাঁর ব্যাপারে যে অপবাদ আরোপ করার সে তা করেছে।

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: وَإِنَّ ٱللَّهَ لَسَمِيعٌ عَلِيمٌ “আল্লাহ নিশ্চয় সর্বশ্রোতা” অর্থাৎ তোমাদের দো‘আর, অনুনয়-বিনয়ের আর তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। عَلِيمٌ “সর্বজ্ঞ” অর্থাৎ তোমাদের ব্যাপারে, তোমরা তোমাদের একগুঁয়ে কাফের শত্রুদের ওপর বিজয় অর্জন করার উপযুক্ত এটা তিনি ভালো করেই জানেন।

﴿إِذۡ يُرِيكَهُمُ ٱللَّهُ فِي مَنَامِكَ قَلِيلٗاۖ وَلَوۡ أَرَىٰكَهُمۡ كَثِيرٗا لَّفَشِلۡتُمۡ وَلَتَنَٰزَعۡتُمۡ فِي ٱلۡأَمۡرِ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ سَلَّمَۚ إِنَّهُۥ عَلِيمُۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ ٤٣ وَإِذۡ يُرِيكُمُوهُمۡ إِذِ ٱلۡتَقَيۡتُمۡ فِيٓ أَعۡيُنِكُمۡ قَلِيلٗا وَيُقَلِّلُكُمۡ فِيٓ أَعۡيُنِهِمۡ لِيَقۡضِيَ ٱللَّهُ أَمۡرٗا كَانَ مَفۡعُولٗاۗ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرۡجَعُ ٱلۡأُمُورُ ٤٤﴾ [ الانفال : ٤٣، ٤٤ ]

অর্থানুবাদ:

“স্মরণ কর, আল্লাহ তোমাকে স্বপ্নের মাধ্যমে তাদের সংখ্যাকে অল্প করে দেখিয়েছিলেন, যদি তিনি তাদের সংখ্যাকে তোমার নিকট বেশি করে দেখাতেন তাহলে তোমরা অবশ্যই সাহস হারিয়ে ফেলতে আর যুদ্ধের বিষয় নিয়ে অবশ্যই ঝগড়া শুরু করে দিতে। কিন্তু আল্লাহই তোমাদেরকে রক্ষা করেছিলেন, অন্তরে যা আছে সে সম্পর্কে তিনি খুবই ভালোভাবে অবহিত। স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিলে তখন তিনি তোমাদের চোখে তাদেরকে স্বল্প সংখ্যক দেখিয়েছিলেন এবং তাদের চোখে তোমাদেরকে স্বল্প সংখ্যক দেখিয়েছিলেন সেই ব্যাপারটি সম্পন্ন করার জন্য যা ছিল পূর্ব স্থিরীকৃত। যাবতীয় বিষয়াবলী (অবশেষে) আল্লাহর ই নিকট ফিরে আসে”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৪৩-৪৪]

তাফসীর:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন