hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর

লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের

২৩
মক্কাবাসীদের দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা অথবা বন্দী অথবা বিতাড়নের পরিকল্পনা:
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, মুজাহিদ এবং কাতাদা রহ. বলেন, لِيُثْبِتُوكَ “তোমাকে বন্দী করার, তোমাকে কয়েদ করার। আতা ও ইবন যায়িদ বলেন, এর অর্থ, যাতে তোমাকে বন্দী করে। সুদ্দী রহ. বলেন, الإثبات শব্দের অর্থ হচ্ছে, বন্দী করা, বাঁধা। এ কথা সব কথাকে শামিল করে। এটিই সব মতামতের সারাংশ। যখন কোনো ব্যক্তি কারো ক্ষতি চায় তখন এ ধরনের অর্থের শব্দই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। [আতা রহ. বলেন, আমি উবাইদ ইবন উমাইরকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, কুরাইশরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করা, বন্দী করা বা দেশান্তর করার জন্য ষড়যন্ত্র করে, তখন তার চাচা আবু তালিব তাকে বলেন, তুমি কি জান তারা তোমার বিরুদ্ধে কী ষড়যন্ত্র করছে? বললেন, «يُرِيدُونَ أَن بسجنوني أو يقتلوني أو يخرجوني» “তারা আমাকে বন্দী অথবা হত্যা অথবা বের করে দিতে চায়” এ কথা শুনে আবু তালিব বললেন, তোমাকে কে জানিয়েছে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, «رَبِّي» “আমার রব” আবু তালিব বললেন, তোমার রব কতইনা ভালো, তুমি তার কল্যাণ কামনা কর। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, «أَنَا أَسْتَوْصِي بِهِ؟ بَلْ هُوَ يَسْتَوْصِي بِي» “আমি তার কল্যাণ চাইবো!? বরং তিনি আমার কল্যাণ চান”। তারপর এ আয়াত وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ “স্মরণ কর, সেই সময়ের কথা যখন কাফেরগণ তোমাকে বন্দী করার কিংবা হত্যা করার কিংবা দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে” নাযিল হয়। (অনুবাদক) তাফসীরে তাবারী ১৩/৪৯২]

ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন, মাগাযীর গ্রন্থকার ইমাম মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার রহ. আব্দুল্লাহ ইবন আবু নাজীহ রহ. থেকে বর্ণনা করেন, (তিনি) মুজাহিদ রহ. থেকে, (তিনি) আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে। অনুরূপ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, হাদীস বর্ণনা করেন আমার নিকট কালবী, (তিনি) ইম্মু হানীর আযাদকৃত গোলাম বাযান থেকে, (তিনি) আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে: কুরাইশের প্রত্যেক সম্ভ্রান্ত গোত্রের একদল লোক দারুন নাদওয়ায় (তাদের সম্মেলন কেন্দ্রে) প্রবেশের জন্য একত্রিত হয়, এ সময় শয়তান এক বিশিষ্ট ব্যক্তির বেশ ধরে এসে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে, তারা যখন তাকে দেখে তখন বলে: তুমি কে? সে বলে নজদের এক প্রবীণ ব্যক্তি, শুনেছি তোমরা একত্রিত হয়েছে, ফলে আমি তোমাদের সম্মেলনে উপস্থিত হবার ইচ্ছা করেছি, তোমরা আমার মতামত ও উপদেশ দ্বারা উপকৃত হবে। তারা বলে: বেশ তো, প্রবেশ কর। তখন সে তাদের সাথে প্রবেশ করে। সে বলে: এ লোকের (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) ব্যাপারে তোমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, আল্লাহর শপথ, সে শীঘ্রই তার দীনের মাধ্যমে তোমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। তাদের মধ্যে জনৈক ব্যক্তি বলে: তাকে কারারুদ্ধ করে রাখ আর তার মৃত্যু পর্যন্ত তাকে জিঞ্জিরে বেঁধে রাখ যেভাবে তার পূর্বে বিভিন্ন কবি মারা গেছে (যেমন) যুহাইর, নাবিগাহ, সে তো তাদেরই একজন। তখন আল্লাহর শত্রু নজদী শাইখ (শয়তান) চিৎকার করে বলে: আল্লাহর শপথ, এটি কোনো ভালো সিদ্ধান্ত নয়, আল্লাহর শপথ, অবশ্যই তার প্রতিপালক তাকে বন্দীদশা থেকে বের করে তার সাথীদের কাছে নিয়ে যাবে। তারা তোমাদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করবে। তারা তোমাদের থেকে তাকে রক্ষা করবে, আর আমি তোমাদের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত নই যে, তারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিবে না। তারা বলে: এ প্রবীণ ঠিকই বলেছে: তোমরা অন্য কোনো চিন্তা কর। তাদের মধ্যে জনৈক বলে: তোমরা তাকে তোমাদের মাঝে থেকে বের করে দাও আর এভাবে তার থেকে নিষ্কৃতি লাভ কর, কেননা সে যখন বের হয়ে যাবে তখন তোমরা তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, যাই সে করুক না কেন, আর যেখানেই সে যাক না কেন, যখন তোমাদের থেকে তার জ্বালাতন দূর হবে তখন তোমরা আরাম পাবে আর অন্য লোকেরা তার খপ্পরে পড়বে। তখন নজদের শাইখ (শয়তান) বলে: আল্লাহর শপথ, তোমাদের জন্য এ সিদ্ধান্ত উপযুক্ত নয়, তোমরা কি তার সুমিষ্ট ভাষা ও অনর্গল কথা-বার্তার ব্যাপারে অবগত নও, তোমরা তার যে কথা শোন তাতে কি হৃদয় কাড়ে না? আল্লাহর শপথ, এভাবে সে আরবদের থেকে আরও বেশি অনুসারী সংগ্রহ করবে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হবে এরপর তোমাদের নিকট এসে তোমাদেরকে তোমাদের এলাকা থেকে বের করে দিবে আর তোমাদের সম্ভ্রান্ত লোকদের হত্যা করবে। তারা বলে: আল্লাহর শপথ, সে সত্য বলেছে, তোমরা অন্য কোনো পন্থা অনুসন্ধান কর, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, তখন আবু জাহল (তার ওপর আল্লাহ তা‘আলার লা‘নত) বলল: আল্লাহর শপথ, আমি তোমাদেরকে এমন এক পরামর্শ দিব যা এখন পর্যন্ত তোমাদের কেউ দিতে পারে নি। আর আমি এর চেয়ে ভালো কোনো মতামত আছে বলে মনে করি না, তারা বলে: কী সেটা? সে বলল: তোমরা প্রত্যেক গোত্র থেকে শক্তিশালী এবং সমাজে প্রভাব রয়েছে এমন একজন করে যুবক নাও, এরপর এদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ধারালো তরবারী দিয়ে দাও এরপর তারা সকলে মিলে তাকে এক ব্যক্তি আঘাতের মতো আঘাত করবে। এরপর যখন তারা তাকে হত্যা করবে তখন তার রক্তের বদলা সকল গোত্রের ওপর পড়বে। আমি মনে করি না যে, বনী হাশিমের এ গোত্রটি সকল কুরাইশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে, যখন তারা সেটা বুঝতে পারবে তখন রক্তপণ গ্রহণ করবে। আর এভাবে আমরা আরাম পাব আর আমাদের থেকে তার জ্বালাতন বন্ধ হবে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, নজদের শাইখ (শয়তান) বলল: আল্লাহর শপথ, এ লোক সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এছাড়া আমি আর কোনো মতামত সমর্থন করি না। এরপর তারা দ্রুত তাদের সম্মেলন শেষ করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। এদিকে জিবরীল আলাইহিস সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাঁকে নির্দেশ দেন যেন তিনি সে রাতে তাঁর বিছানায় না ঘুমান আর তাঁকে লোকদের চক্রান্তের কথা জানিয়ে দেন। সে রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর গৃহে ঘুমান নি। সে সময় আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে (মক্কা থেকে) বের হয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। আর তাঁর মদীনায় আগমনের পরে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ওপর সূরা আল-আনফাল অবতীর্ণ করেন আর তাতে তিনি তাঁকে প্রদত্ত তাঁর নি‘আমতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন আরও যে বিপদে তিনি ছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَإِذۡ يَمۡكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لِيُثۡبِتُوكَ أَوۡ يَقۡتُلُوكَ أَوۡ يُخۡرِجُوكَۚ وَيَمۡكُرُونَ وَيَمۡكُرُ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَيۡرُ ٱلۡمَٰكِرِينَ “স্মরণ কর, সেই সময়ের কথা যখন কাফেরগণ তোমাকে বন্দী করার কিংবা হত্যা করার কিংবা দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে। তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী”। আর তাদের উক্তি تربصوا به ريب المنون ‘তোমরা তার বের হওয়ার প্রতীক্ষা কর’ (যাতে সে ধ্বংস হয়, যেমনিভাবে পূর্বের কবিরা ধ্বংস হয়।) সম্পর্কে অবতীর্ণ করেন: ﴿أَمۡ يَقُولُونَ شَاعِرٞ نَّتَرَبَّصُ بِهِۦ رَيۡبَ ٱلۡمَنُونِ ٣٠﴾ [ الطور : ٢٩ ] “তারা কি বলছে, ‘সে (মুহাম্মাদ) একজন কবি? আমরা তার মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছি।’ তারা তার কালচক্রের (বিপদাপদের) অপেক্ষা করেছে যাতে করে সে সেভাবেই ধ্বংস হয়ে যায় যেভাবে তার পূর্ববর্তী কবিগণ ধ্বংস হয়েছিল। যেদিন তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল সে দিনটিকে يوم الزحمة একত্রিত হওয়ার (ভিড় করার) দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ, তারা এ দিন বিভিন্ন মতামত দিয়ে থাকেন।

আল্লাহ তা‘আলা তাকে তারা বের করে দেওয়ার ইচ্ছা করলে তাদের বিষয়ে এ বাণী ﴿وَإِن كَادُواْ لَيَسۡتَفِزُّونَكَ مِنَ ٱلۡأَرۡضِ لِيُخۡرِجُوكَ مِنۡهَاۖ وَإِذٗا لَّا يَلۡبَثُونَ خِلَٰفَكَ إِلَّا قَلِيلٗا ٧٦﴾ [ الاسراء : ٧٦ ] “আর তাদের অবস্থা এমন ছিল যে, তারা তোমাকে যমীন থেকে উৎখাত করে দেবে, যাতে তোমাকে সেখান থেকে বের করে দিতে পারে এবং তখন তারা তোমার পরে স্বল্প সময়ই টিকে থাকতে পারত” নাযিল করেন। ইবন ইসহাক রহ. বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষা করতে থাকেন, তারপর যখন মক্কার কুরাইশরা একত্র হলো এবং তার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করল এবং তারা তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় গ্রহণ করল, ঠিক তখন তার নিকট জিবরীল আ. এসে তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন তার স্বীয় বিছানায় না ঘুমায়। তিনি আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ডেকে নির্দেশ দেন তিনি যেন তার বিছানায় ঘুমায় এবং সবুজ চাদর যেন গায়ের উপর দিয়ে থাকে। তিনি তাই করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মাঝখান দিয়ে বের হয়ে পড়লেন যখন তারা তার দরজায় অবস্থান করছিল। তিনি হাতে করে এক মুষ্টি বালি নিলেন আর সেগুলোকে তাদের মাথার উপর ছিটিয়ে দিলেন আর আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় নবীর পক্ষ থেকে তা তাদের চোখের মধ্যে ঢেলে দিলেন। আর তিনি পড়েছেন ﴿يسٓ ١ وَٱلۡقُرۡءَانِ ٱلۡحَكِيمِ ٢﴾ [ يس : ١، ٢ ] থেকে ﴿فَأَغۡشَيۡنَٰهُمۡ فَهُمۡ لَا يُبۡصِرُونَ ٩﴾ [ يس : ٩ ] পর্যন্ত। [বাইহাকী, ২/৪৬৯, ৪৭০] হাফেয আবূ বকর আল-বাইহাকী বলেন, ইকরিমা থেকে এমন বর্ণনা পাওয়া যায় যা এর সমর্থন করে।

ইবন হিব্বান রহ. স্বীয় সহীহতে এবং হাকিম রহ. স্বীয় মুস্তাদরাকে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন, ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা কন্দনরত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট প্রবেশ করেন। তিনি বললেন, হে আমার কন্যা তুমি কেন কাঁদছ? ফাতেমা বললেন, হে পিতা আমি কেন কাঁদব না, কুরাইশরা কা‘বার হিজরে লাত, উয্যা ও মানাত-এর শপথ করেছে, তারা যখন আপনাকে দেখতে পাবে, তারা আপনার ওপর আক্রমণ করবে এবং আপনাকে হত্যা করে ফেলবে। তাদের প্রত্যেকেই আপনার খুন করার অংশটুকু সম্পর্কে জানে। তারপর তিনি বললেন, হে আমার কন্যা তুমি আমার জন্য অযুর পানি নিয়ে আস, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করলেন, তারপর তিনি মসজিদে গমন করলেন। যখন তারা তাকে দেখতে পেল, তারা বলল, এইতো সেই ব্যক্তি, তাদের গর্দান তাদের হাতের সামনে পড়ে গেল। তারা আর তাদের চোখ উঠাতে পারল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুষ্টি মাটি হাতে নিলেন আর তা তাদের প্রতি নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, «شَاهَتِ الْوُجُوهُ» তাদের যার দেহে এ বালি কণা থেকে কোনো একটি আঘাত হেনেছে সে বদরের যুদ্ধে কাফের অবস্থায় মারা গিয়েছে। হাকিম বলেন, মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীস বিশুদ্ধ, ইমাম বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি উল্লেখ না করার কারণ আমার জানা নেই। [ইবন হিব্বান, হাদীস নং ১৬৯১; মুস্তাদরাক ৩/১৫৭। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ আয়াত সম্পর্কে বলেন, কুরাইশরা এক রাতে পরামর্শ করল, কেউ কেউ বলল, যখন সকাল হবে তোমরা তাকে (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে) বন্দী কর, কেউ কেউ বল, বরং তাকে হত্যা কর, আবার কেউ বলল, না তাকে বহিস্কার কর। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় নবীকে বিষয়টি অবহিত করেন। ফলে আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলের বিছানায় রাত্রি যাপন করেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা থেকে বের হন। যখন তিনি গুহার নিকট পৌঁছেন তাতে তিনি অবস্থান করেন। মুশরিকরা আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে পাহারা দিতে থাকে। তারা তাকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে ধারণা করেছিল। যখন সকাল হলো, তারা তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ল; কিন্তু যখন তারা দেখল, এতো আলী। আল্লাহ তা‘আলা তাদের ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিলেন। তারা বলল, তোমার সাথী কোথায়? তিনি বললেন, আমি জানি না। তারপর তারা পদচিহ্ন খুঁজতে আরম্ভ করল, যখন তারা পাহাড় পর্যন্ত পৌছল, তখন তাদের কাছে বিষয়টি অস্পষ্ট হয়ে গেল। তারা গুহার পাশ দিয়ে অতিক্রম করল, তখন তারা দেখল গুহার মুখে মাকড়শার জাল। ফলে তারা একে অপরকে বলল, যদি তাতে প্রবেশ করত, তাহলে মাকড়সা তাতে জাল বুনতে পারতো না। তিনি সেখানে তিন দিন অবস্থান করেন। (আহমাদ) মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক মুহাম্মাদ ইবন জা‘ফার ইবনুয যুবাইর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন। (অনুবাদক) মুসনাদ ১/৩৪৮]

উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর وَيَمۡكُرُونَ وَيَمۡكُرُ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَيۡرُ ٱلۡمَٰكِرِينَ “তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী” এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে বড়ই মজবুত কৌশল করি এমনকি আমি তোমাকে তাদের থেকে মুক্ত করি।

﴿وَإِذَا تُتۡلَىٰ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُنَا قَالُواْ قَدۡ سَمِعۡنَا لَوۡ نَشَآءُ لَقُلۡنَا مِثۡلَ هَٰذَآ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٣١ وَإِذۡ قَالُواْ ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلۡحَقَّ مِنۡ عِندِكَ فَأَمۡطِرۡ عَلَيۡنَا حِجَارَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئۡتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٖ ٣٢ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمۡ وَأَنتَ فِيهِمۡۚ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ مُعَذِّبَهُمۡ وَهُمۡ يَسۡتَغۡفِرُونَ ٣٣﴾ [ الانفال : ٣١، ٣٣ ]

অর্থানুবাদ:

“তাদের কাছে যখন আমাদের আয়াত পাঠ করা হয় তখন তারা বলে, ‘শুনলাম তো, ইচ্ছে করলে এ রকম কথা আমরাও বলতে পারি, এগুলো তো আগে কালের কেচ্ছা কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না।’ স্মরণ কর, যখন তারা বলেছিল, ‘হে আল্লাহ! এটি যদি তোমার নিকট থেকে (প্রেরিত) সত্য (দীন) হয় তাহলে আমাদের উপর আসমান থেকে পাথর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের ওপর কোনো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নিয়ে এসো।’ আপনি তাদের মাঝে থাকাবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এবং যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩০-৩১]

তাফসীর:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন