hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর

লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের

২২
আয়াতের শানে নুযূল এবং খিয়ানাত থেকে নিষেধাজ্ঞা
আব্দুল্লাহ ইবন আবু কাতাদা এবং যুহরী রহ. বলেন, আয়াতটি আবু লুবাবাহ ইবন আব্দুল মুনযির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বনু কুরাইযার নিকট পাঠান; যাতে তিনি তাদের রাসূলুল্লাহর ফয়সালা মেনে নেওয়ার প্রতি আহ্বান করেন। তারা তার নিকট পরামর্শ চাইলে তিনি তাদের তার গলার দিকে ইশারা করেন এবং তিনি বুঝিয়ে দেন যে, তাদের পরিণতি জবেহ -হত্যা। অতঃপর আবু লুবাবাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বুঝতে পারেন যে, তিনি আল্লাহ ও তার রাসূলের খিয়ানত করেছেন। তারপর তিনি শপথ করলেন, তিনি কোনো কিছুই খাবেন না এবং পান করবেন না যতক্ষণ না তিনি মারা যান বা আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবা কবুল করেন। তিনি মদীনার মসজিদে গমন করেন এবং মসজিদের একটি খুঁটিতে তিনি নিজেকে বেঁধে রাখেন। এভাবে তিনি নয় দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। ফলে তার অবস্থা এমন হত, মাঝে মাঝে তিনি বেহুশ হয়ে পড়ে যেতেন। তারপর আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবা কবুল করেন। লোকেরা তার নিকট তার তাওবা কবুল হওয়ার সু-সংবাদ নিয়ে আসেন এবং খুঁটি থেকে তাকে ছাড়ানোর ইচ্ছা করেন। তখন তিনি শপথ করলেন যতক্ষণ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে তার বাঁধন খুলবেন না, ততক্ষণ তিনি মুক্ত হবেন না। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাঁধন খুললে তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল আমি আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার মান্নত করেছি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এক তৃতীয়াংশ সদকা করাই তোমার জন্য যথেষ্ট। [ইমাম তাবারী: ১৩/৪৮১; আব্দুর রাযযাক ইবন আবু কাতাদাহ]

ইবন জারির রহ. বলেন, এ আয়াতটি উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হত্যা করা বিষয়ে নাযিল হয়। সহীহ বুখারী এবং মুসলিমে হাতিব ইবন আবু বালতা‘আহ-এর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, মক্কা বিজয়ের বৎসর তিনি কুরাইশ কাফেরদেরকে পত্র লিখে জানান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রতি যাত্রার ইচ্ছা করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে এ বিষয়টি জানিয়ে দেন। পত্রের খোঁজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোক পাঠান, পত্রটি ফিরিয়ে আনেন আর হাতিবকে উপস্থিত করেন, তিনি তাঁর কর্ম স্বীকার করেন। এ সময় উমার ইবনল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু দাঁড়িয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে ছাড়ুন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই, কেননা সে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «دَعْهُ فَإِنَّهُ قَدْ شهد بدراً وما يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ» فَقَالَ : «اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» রাখ, সে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, (অর্থাৎ বদরী সাহাবী), কিসে তোমাকে জানাবে যে, সম্ভবত আল্লাহ তা‘আলা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি তাকিয়ে বলেন, তোমাদের যা খুশি কর, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

আমি বলি: বিশুদ্ধ কথা হলো, আয়াতটি ব্যাপক। যদিও এ কথা সত্য যে, আয়াতটি নির্দিষ্ট কারণে অবতীর্ণ হয়েছে, অধিকাংশ আলেমের মত হলো, সার্বিক শব্দ গ্রহণ করা, কোনো কারণের সাথে নির্দিষ্ট না করা।

খিয়ানত ছোট-বড়, ব্যক্তিগত ও সামাজিক সব ধরণের গোনাহকে শামিল করে। আলী ইবন আবু তালহা রহ. বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, আমানত হলো, এমন কিছু কর্ম যার ওপর আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের বিশ্বাস করেন অর্থাৎ ফরয। তিনি বলেন, لاتَخُونُوا “বিশ্বাসঘাতকতা করো না” তোমরা ফরয বিষয়গুলো ভঙ্গ করো না। সুদ্দী বলেন, যখন তারা আল্লাহ ও রাসূলের খিয়ানত করে, তখন তারা প্রকৃতপক্ষে তাদের নিজেদের আমানতেরই খিয়ানত করে। তিনি আরো বলেন, তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোনো কথা শোনতো তারপর তা এমনভাবে প্রচার করত তা মুশরিকদের নিকট পৌঁছে যেত।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَآ أَمۡوَٰلُكُمۡ وَأَوۡلَٰدُكُمۡ فِتۡنَةٞ “জেনে রেখ, তোমাদের ধন-সম্পদ আর সন্তান- সন্ততি হচ্ছে পরীক্ষার সামগ্রী মাত্র” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৮] অর্থাৎ তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ, তিনি তোমাদেরকে এগুলো দিয়েছেন এটি জানার জন্য যে, তোমরা কি এ জন্য শুকরিয়া আদায় কর, আর এদের ক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্য কর নাকি তাঁকে ভুলে গিয়ে এদেরকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়, তাঁকে বাদ দিয়ে এদের প্রতি নিবেদিত হও। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿إِنَّمَآ أَمۡوَٰلُكُمۡ وَأَوۡلَٰدُكُمۡ فِتۡنَةٞۚ وَٱللَّهُ عِندَهُۥٓ أَجۡرٌ عَظِيمٞ ١٥﴾ [ التغابن : ١٥ ] “তোমাদের ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি পরীক্ষার বস্তু মাত্র আর আল্লাহ এমন যাঁর কাছে আছে মহা পুরস্কার”। [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৫] তিনি বলেন, ﴿وَنَبۡلُوكُم بِٱلشَّرِّ وَٱلۡخَيۡرِ فِتۡنَةٗۖ ٣٥﴾ [ الانبياء : ٣٥ ] “আমি তোমাদেরকে ভালো ও মন্দ দ্বারা পরীক্ষা করি”। [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১৫] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تُلۡهِكُمۡ أَمۡوَٰلُكُمۡ وَلَآ أَوۡلَٰدُكُمۡ عَن ذِكۡرِ ٱللَّهِۚ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ ٩﴾ [ المنافقون : ٩ ] “হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ আর তোমাদের সন্তানাদি তোমাদেরকে যেন আল্লাহর স্মরণ হতে গাফিল করে না দেয়। যারা এমন করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত”। [সূরা আল-মুনাফিকুন, আয়াত: ৯] তিনি আরো বলেন, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّ مِنۡ أَزۡوَٰجِكُمۡ وَأَوۡلَٰدِكُمۡ عَدُوّٗا لَّكُمۡ فَٱحۡذَرُوهُمۡۚ ١٤﴾ [ التغابن : ١٤ ] “হে মুমিনগণ! তোমাদের স্ত্রী আর সন্তানদের মধ্যে কতক তোমাদের শত্রু। কাজেই তোমরা তাদের হতে সতর্ক হও” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৪]

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: وَأَنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجۡرٌ عَظِيمٞ “আল্লাহর নিকট রয়েছে মহাপুরস্কার” অর্থাৎ ধন-সম্পদ এবং সন্তান-সন্তুতির চেয়ে তাঁর সাওয়াব, তাঁর দান এবং তাঁর জান্নাত উত্তম। কেননা কখনও তাদের মধ্য থেকে তোমাদের শত্রু পাওয়া যায়, তাদের অধিকাংশই তোমাদের কোনো উপকারে আসে না। আর আল্লাহ তা‘আলা হচ্ছেন দুনিয়া ও আখিরাতে কর্তৃত্বশীল, অধিপতি। কিয়ামত দিবসে তাঁর নিকট রয়েছে অঢেল সাওয়াব। বিশুদ্ধ বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وجد حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ : مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَمَنْ كَانَ يُحِبُّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ، وَمَنْ كَانَ أَنْ يُلْقَى فِي النَّارِ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ منه» “যার মাঝে তিনটি বিষয় রয়েছে এর দ্বারা সে ঈমানের স্বাদ পায়, যার নিকট আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল অন্যের চেয়ে অধিক প্রিয় হয়, যে ব্যক্তি কাউকে ভালোবাসে, সে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসে, যার নিকট কুফুরীতে ফিরে যাওয়ার চেয়ে আগুনে ঝাঁপ দেওয়া অধিক প্রিয় হয় যখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে কুফুরী থেকে বাঁচিয়েছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩] বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা সন্তান-সন্তুতি এবং নিজের নফসের চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া বাঞ্ছনীয়। যেমন, সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়, তিনি বলেন, «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ وَأَهْلِهِ وَمَالِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ» . “যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার নিজের চেয়ে, তার পরিবার-পরিজনের চেয়ে, তার সম্পদের চেয়ে এবং সকল মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪]

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن تَتَّقُواْ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّكُمۡ فُرۡقَانٗا وَيُكَفِّرۡ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡۗ وَٱللَّهُ ذُو ٱلۡفَضۡلِ ٱلۡعَظِيمِ ٢٩﴾ [ الانفال : ٢٩ ]

অর্থনুবাদ:

“ওহে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার শক্তি প্রদান করবেন, তোমাদের দোষ-ত্রুটি ক্ষতিপূরণ করে দিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন, আর আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহশীল”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৯]

তাফসীর:

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, সুদ্দী, মুজাহিদ, ইকরিমা, দাহ্হাক, কাতাদা এবং মুকাতিল ইবন হাইইয়ান রহ. সহ অন্যান্যরা বলেন, فُرۡقَانٗا “ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার শক্তি” বের হওয়ার পথ। মুজাহিদ রহ. অতিরিক্ত সংযোজন করে বলেন, দুনিয়া ও আখিরাতে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার অপর এক বর্ণনায় রয়েছে فُرۡقَانٗا “ভালো-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার শক্তি” হচ্ছে, নাজাত। অপর বর্ণনায়, সাহায্য। মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক রহ. বলেন, فُرۡقَانٗا (শব্দের অর্থ হচ্ছে) ভালো-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করা। মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের এ তাফসীর পূর্বে বর্ণিত তাফসীর থেকে ব্যাপক আর তা সে সবগুলোকে আবশ্যক করে। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশিত বিষয়গুলো পালন করে এবং তার নিষেধকৃত বিষয়গুলো বর্জন করার মাধ্যমে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তাকে মিথ্যা থেকে সত্য চেনার তাওফীক দান করেন। আর তাই হচ্ছে তার বিজয় ও পরিত্রাণের কারণ, দুনিয়াবী বিষয় থেকে বের হওয়ার পথ এবং কিয়ামত দিবসে সৌভাগ্যবান হওয়ার উপায়। তার গোনাহগুলো মোচন হবে, সেগুলোর ক্ষমা, লোকদের থেকে সেগুলো আড়াল হবে। যা আল্লাহ তা‘আলার অঢেল সাওয়ার অর্জিত হওয়ার কারণ। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَءَامِنُواْ بِرَسُولِهِۦ يُؤۡتِكُمۡ كِفۡلَيۡنِ مِن رَّحۡمَتِهِۦ وَيَجۡعَل لَّكُمۡ نُورٗا تَمۡشُونَ بِهِۦ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٢٨﴾ [ الحديد : ٢٨ ] “ওহে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর আর তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন, তিনি তাঁর অনুগ্রহে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দিবেন আর তিনি তোমাদের জন্য আলোর ব্যবস্থা করবেন যা দিয়ে তোমরা পথ চলবে, আর তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু”। [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ২৮]

﴿وَإِذۡ يَمۡكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لِيُثۡبِتُوكَ أَوۡ يَقۡتُلُوكَ أَوۡ يُخۡرِجُوكَۚ وَيَمۡكُرُونَ وَيَمۡكُرُ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَيۡرُ ٱلۡمَٰكِرِينَ ٣٠﴾ [ الانفال : ٣٠ ]

অর্থানুবাদ:

“স্মরণ কর, সেই সময়ের কথা যখন কাফেরগণ তোমাকে বন্দী করার কিংবা হত্যা করার কিংবা দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে। তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩০]

তাফসীর:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন