মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর
লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের
২
ভূমিকা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/350/2
সূরা আল-আনফাল মক্কায় অবতীর্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এ সূরায় আল্লাহ তা‘আলা ইসলামী শরী‘আতের বিভিন্ন বিধান তুলে ধরেছেন। গনীমতের মালের বিধান, প্রকৃত মুমিনদের গুণাবলী, ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধের পেক্ষাপট, সূচনা, বদরের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী ও কাফের বাহিনীর অবস্থা এবং এ যুদ্ধের বিস্তারিত ঘটনা এ সূরায় আলোচনা করা হয়েছে। মক্কার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে তাদের ষড়যন্ত্রকে বানচাল করে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে কীভাবে রক্ষা করলেন তা এ সূরায় খুব সুন্দরভাবে চিত্রায়িত করা হয়। ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বদরের যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আল্লাহ তা‘আলা আসমান থেকে ফিরিশতা অবতরণ করে মুসলিম সৈন্য ও মুজাহিদদের সাহায্য করেছিলেন। আসমানী সাহায্য লাভের কথাও এ সূরায় তুলে ধরা হয়।
মুসলিম বাহিনী ও মুজাহিদদের বিজয় কখনো অস্ত্র ও জনবলের আধিক্য বা কম হওয়ার ওপর নির্ভর করে না, জাগতিক শক্তির ওপর নির্ভর করে না, তা নির্ভর করে কেবল আল্লাহর সাহায্য ও মদদের ওপর। এ অকাট্য সত্যটি এ সূরার মূল পতিপাদ্য বিষয়ের অন্যতম। কারণ, ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল নিরস্র স্বল্প সংখ্যক মুসলিম বাহিনীর সাথে রণ সজ্জায় সজ্জিত সশস্ত্র, অশ্বারোহী এক বিশাল সৈন্য বাহিনীর সাথে; কিন্তু এত বড় সশস্ত্র বাহিনীর সাথে নিরস্ত্র এ বাহিনীর বিজয় আসমানী সাহায্য দ্বারাই যে সম্ভব হয়েছে তা এ সূরায় গুরুত্ব সহকারে বিভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়।
সাহাবীগণের আত্মত্যাগ, রাসূলের প্রতি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা, ইসলামের জন্য তাদের কুরবানী, আমীরের প্রতি তাদের নজিরবিহীন আনুগত্য, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও তাওয়াক্কুলের যে দৃষ্টান্ত তারা দুনিয়াবাসীর জন্য রেখেছেন, তা এ সূরায় বিভিন্নভাবে ফুটে উঠেছে। এ ছাড়াও কাফেরদের প্রতি তাদের ঘৃণা আর ইসলামের প্রতি তাদের ভালোবাসা যে কত গভীর এ সূরা অধ্যয়নে তা অনুভব করা যাবে।
যুদ্ধ বন্দিদের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যবহার ও তাদের সাথে কেমন আচরণ হওয়া উচিৎ সে আলোচনাও এ সূরায় স্থান পেয়েছে। যুদ্ধের শিষ্টাচার, যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করার শাস্তি, আমীরের আনুগত্য করার গুরুত্ব, খিয়ানত করার নিষেধাজ্ঞা ও তার শাস্তি, মুহাজির ও আনছারদের পারস্পরিক সু-সম্পর্ক, মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের গুরুত্ব এবং ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ ও শক্তি সঞ্চয় করা, যে কোনো বিষয়ে পরামর্শ করা, মারা যাওয়ার পর উত্তরাধিকারী কারা হবে ইত্যাদি বিষয়ে এ সূরায় আলোচনা করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ের বাস্তবতা ও দাবি অনুযায়ী বিষয়গুলো জানা থাকা খুবই জরুরি। ফলে বাংলা ভাষাভাষী ভাইদের জন্য সূরাটির তাফসীর তুলে ধরা হলো। সূরাটির সংক্ষিপ্ত তাফসীর তাফসীরে ইবন কাসীরের অবলম্বনে রচিত উমদাতুত তাফসীর নামক গ্রন্থ থেকে অনুবাদ করে তুলে ধরা হল। মূলত উমদাতুত তাফসীর নামক কিতাবটি হাফেয ইবন কাসীরের রচিত বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর ‘তাফসীরে ইবন কাসীর’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। শাইখ আল্লামা আহমদ শাকের রহ. কিতাবটি সংকলন করেন। তিনি তার এ কিতাবে যে কথাগুলো মূল কিতাবে বার বার এসেছে সেগুলো বাদ দিয়ে পাঠকের জন্য কুরআনের মর্মকে বুঝতে সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আর প্রতিটি হাদীসের সূত্র হাদীন নম্বরসহ তিনি এখানে তুলে ধরেছেন। অনুবাদ করতে গিয়ে তার হুবহু অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি। তবে কিছু যায়গায় কোনো প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হাদীস বা তাফসীরের বর্ণনা জানা প্রয়োজন মনে করলে, তা মূল কিতাব তাফসীরে ইবন কাসীর থেকে নিয়ে টিকা আকারে তুলে ধরা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অনুবাদকের সংযোজন বিধায় তা অনুবাদক লিখে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আশা করি এ তাফসীর দ্বারা পাঠক ভাইয়েরা উপকৃত হবেন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের কুরআন বুঝা ও তা অনুধাবন করা তাওফীক দিন। আমীন।
জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
সূরা আল-আনফাল-এর তাফসীর
সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ, এর আয়াত সংখ্যা পঁচাত্তার, শব্দ সংখ্যা এক হাজার ছয়শত একত্রিশ, হরফ সংখ্যা পাঁচ হাজার দুই শত চুরানব্বই। আল্লাহ ভালো জানেন।
“তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের; কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর নিজেদের সম্পর্ককে সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত কর। তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাক তবে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১]
তাফসীর:
ইমাম বুখারী রহ. বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, আনফাল হচ্ছে গনীমত। সা‘ঈদ ইবন জুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে সূরা আল-আনফাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটি বদর যুদ্ধ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়। ইমাম বুখারী আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মু‘আল্লাকরূপে যা বর্ণনা করেছেন অনুরূপ বর্ণনা করেছেন আলী ইবন আবু তালহা আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে, তিনি বলেন, আনফাল হচ্ছে গনীমত। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য খাস ছিল, এ থেকে আর কারও কোনো অংশ ছিল না। অনুরূপ মত পোষণ করেছেন মুজাহিদ, ইকরিমা, ‘আতা’, দাহ্হাক, কাতাদা, ‘আতা’ আল খোরাসানী, মুকাতিল ইবন হাইয়ান, আব্দুর রহমান ইবন যাইদ ইবন আসলাম এবং অন্যান্যরা।
ইবন জারির রহ. কাসেম ইবন মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে এক লোক আনফাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে আমি শুনেছি, তখন তিনি বললেন, নফল হচ্ছে ‘অতিরিক্ত’ ঘোড়া বা সালাব- সৈন্যের বক্তিগত অর্জন। লোকটি আবারো জিজ্ঞাসা করলে, ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু একই কথা বললেন। তারপর লোকটি বলল, আল্লাহর কিতাবে যে আনফালের কথা বলা হয়েছে তার ব্যাখ্যা কী? কাসেম বলেন, লোকটি এভাবে জিজ্ঞাসা করতেই ছিল, মনে হচ্ছিল, লোকটি তাকে সংকটে ফেলবে। তখন ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বললেন, তোমরা জান এর দৃষ্টান্ত কী? এর দৃষ্টান্ত সবীগ-এর মতো যাকে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রহার করেছিল। [তাফসীর তাবারী: ১৩/৩৬৪] আব্দুর রাযযাক রহ. কাসেম ইবন মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে যখন কোনো বিষয় জিজ্ঞাসা করা হত, তখন তিনি বলতেন, আমি তোমাদের আদেশও করি না নিষেধও করি না। তারপর ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, আল্লাহর কসম আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে আদেশ ও নিষেধকারী এবং হালাল ও হারামের বর্ণনাদানকারী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। কাসেম বলেন, ইবন আব্বাসের ওপর এক লোক চড়াও হলো, সে তাকে আনফাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বললেন, একজন মানুষের ঘোড়া ও অস্ত্র ‘নফল’ অতিরিক্ত হিসেবে প্রদান করা হত। লোকটি আবারো জিজ্ঞেস করলে তিনি একই উত্তর দিলেন। তারপর লোকটি আবারো জিজ্ঞেস করলো এবং তাকে ক্ষুব্ধ করে তুলল। তখন ইবন আব্বাস বললেন, এ লোকের দৃষ্টান্ত তোমরা জান? এর দৃষ্টান্ত সবীগ-এর মতো যাকে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রহার করার ফলে তার ঘাড় ও পা রক্তাক্ত হয়। তখন লোকটি বলল, হে সবীগ, আল্লাহ তোমার থেকে উমারের জন্য বদলা নিয়েছেন। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত, তিনি আনফাল-এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, আনফাল হচ্ছে অতিরিক্ত মাল যা ইমাম কতিপয় ব্যক্তিকে মূল গনীমত বন্টন করার পর প্রদান করেন। চাই তা সালাব (সৈন্যের বক্তিগত অর্জন) হোক বা এ জাতীয় কিছু। অধিকাংশ ফকীহর নফল শব্দের ব্যাখ্যা থেকেও এ ধরনের ব্যাখ্যাই প্রতিফলিত হয়। কেউ কেউ বলেন, আনফাল হচ্ছে অতিরিক্ত মাল যা ইমাম কতিপয় ব্যক্তিকে মূল গনীমত বন্টন করে দেওয়ার পর প্রদান করেন। চাই তা সালাব (সৈন্যের বক্তিগত অর্জন) হোক বা এ জাতীয় কিছু। মুজাহিদ রহ. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক-পঞ্চমাংশ যা পাঁচ ভাগের চার ভাগ বন্টন করার পরে দেওয়া হয় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأنْفَال “তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে” নাযিল করেন। [তাবারী, ১৩/৩৬৫] আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও মাসরুক উভয়ে বলেন, যুদ্ধের দিন কোনো নফল নেই। নফল হলো, শত্রুদের মুকাবেলার আগে যে সম্পদ অর্জিত হয়। বর্ণনায় ইবন আবী হাতিম।
আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক ‘আতা ইবন আবু রিবাহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأنْفَال “তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে” এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, তারা আপনার নিকট মুশরিকদের থেকে কোনো প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ ছাড়া মুসলিমদের যা কিছু অর্জন হয়েছে যেমন, জন্তু অথবা দাস-দাসী অথবা সম্পদ সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। উত্তরে বললেন, এ সম্পদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য নফল, এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। এ কথা দ্বারা বুঝা যায়, তিনি আনফালের ব্যাখ্যা ফাই দ্বারা করেছেন, আর তা হলো, কাফেরদের থেকে বিনা যুদ্ধে অর্জিত সম্পদ।
ইবন জারীর বর্ণনা করেন, অন্যান্যরা বলেন, (তা হচ্ছে) সৈন্যদের একটি ছোট্ট বাহিনীর অর্জিত সম্পদ। আমার নিকট এ আয়াত يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأنْفَالِ “তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে” বিষয়ে পৌঁছেছে যে, (তা হচ্ছে) সৈন্যদের একটি ছোট্ট বাহিনী, এখানে অর্থ হচ্ছে নেতা কতিপয় সৈন্যকে সেনাবাহিনীর অন্যান্যদের সাথে তাদের বন্টনের পরও তাদেরকে অতিরিক্ত কিছু দান করেন। আল্লামা শা‘বী এ অর্থই স্পষ্ট করেন। আর ইবন জারির রহ. এ মত পছন্দ করেন যে, তা হলো, বন্টনের পর অতিরিক্ত সম্পদ। তিনি প্রমাণ হিসেবে শানে নুযূলের বিষয়টি তুলে ধরেন। ইমাম আহমদ সা‘দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে আমার ভাই উমাইর নিহত হয়। আমি সা‘ঈদ ইবন আ‘সকে হত্যা করি এবং তার তরবারী ছিনিয়ে নেই। তরবারীটি যাল-কুতাইফা নামে পরিচিত ছিল। তারপর সেটি নিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসি, তিনি বললেন, “যাও তুমি তা গনীমতের মালে রেখে দাও” তিনি বলেন, ভাইকে হত্যা করা ও তার তরবারী ছিনিয়ে নেওয়ার পর তা রেখে আসা ইত্যাদি কারণে আমার অন্তর এত বেশি ভারাক্রান্ত ও ব্যথিত তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। আমি ব্যথিত হৃদয়ে ফিরে আসি। আমার অন্তরের অবস্থা এমন ছিল তা আমি কাউকে বুঝাতে পারছি না। তারপর আমি হাঁটতে হাঁটতে সামান্য পথ অতিক্রম করতে না করতেই সূরা আল-আনফাল নাযিল হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডেকে বললেন, اذهب فخذ سيفك “যাও তুমি তোমার তরবারী গ্রহণ কর”। [মুসনাদ: ১/১৮০]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/350/2
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।