hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাফেয ইবন কাসীরের তাফসীর থেকে সংক্ষেপিত সূরা আল-আনফালের তাফসীর

লেখকঃ শাইখ আহমদ মুহাম্মাদ শাকের

২৫
কাফেরদের মীমংসা চাওয়া এবং তাদের আযাব প্রার্থনা:
মুশরিকরা বলে -وَإِذۡ قَالُواْ ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلۡحَقَّ مِنۡ عِندِكَ فَأَمۡطِرۡ عَلَيۡنَا حِجَارَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئۡتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٖ “স্মরণ কর, যখন তারা বলেছিল, ‘হে আল্লাহ! এটি যদি তোমার নিকট থেকে (প্রেরিত) সত্য (দীন) হয় তাহলে আমাদের উপর আসমান থেকে পাথর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের ওপর কোনো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নিয়ে এসো” তারা অতিশয় মুর্খতা, অস্বীকৃতি, একগুঁয়েমী এবং ঔদ্ধত্য প্রদর্শনহেতু এ কথা বলে, এতে তাদের দোষ প্রকাশ পায়, তাদের এরূপ বলা উচিত ছিল: হে আল্লাহ, এটি যদি আপনার পক্ষ থেকে সত্য হয়ে থাকে তবে এর হিদায়াত আমাদের দান করুন আর আমাদেরকে এর অনুসরণ করার তাওফীক দিন; কিন্তু তারা নিজেদের ব্যাপারে মীমাংসা চায় এবং আযাবের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿وَيَسۡتَعۡجِلُونَكَ بِٱلۡعَذَابِ وَلَوۡلَآ أَجَلٞ مُّسَمّٗى لَّجَآءَهُمُ ٱلۡعَذَابُۚ وَلَيَأۡتِيَنَّهُم بَغۡتَةٗ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ٥٣﴾ [ العنكبوت : ٥٣ ] “তারা তোমাকে তাড়াতাড়ি শাস্তি আনতে বলে। (‘আযাবের) সময়কাল যদি না নির্ধারিত থাকত তবে তাদের ওপর শাস্তি অবশ্যই এসে পড়ত। তা তাদের ওপর অবশ্য অবশ্যই আসবে আকস্মিকভাবে, তারা (আগেভাগে) টেরও পাবে না”। [সূরা আল-‘আনকাবুত, আয়াত: ৫৩] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿وَقَالُواْ رَبَّنَا عَجِّل لَّنَا قِطَّنَا قَبۡلَ يَوۡمِ ٱلۡحِسَابِ ١٦﴾ [ص : ١٦ ] “এরা বলে, হে আমাদের রব! হিসাবের দিনের আগেই আমাদের প্রাপ্য (শাস্তি) আমাদেরকে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন”। [সূরা সাদ, আয়াত: ১৬] আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿سَأَلَ سَآئِلُۢ بِعَذَابٖ وَاقِعٖ ١ لِّلۡكَٰفِرِينَ لَيۡسَ لَهُۥ دَافِعٞ ٢ مِّنَ ٱللَّهِ ذِي ٱلۡمَعَارِجِ ٣﴾ [ المعارج : ١، ٣ ] “এক ব্যক্তি চাইল সে ‘আযাব যা অবশ্যই সংঘটিত হবে। কাফেরদের জন্য তা প্রতিরোধ করার কেউ নেই (যে শাস্তি আসবে) আল্লাহর নিকট থেকে যিনি আসমানে উঠার সিঁড়িগুলোর মালিক”। [সূরা আল-মা‘আরেজ, আয়াত: ১-৩] অনুরূপভাবে আগের যুগের মুর্খ লোকেরা বলেছিল, যেমন শু‘আইব আলাইহিস সালামের কাওম তাঁকে বলে: ﴿فَأَسۡقِطۡ عَلَيۡنَا كِسَفٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ١٨٧﴾ [ الشعراء : ١٨٧ ] “তুমি সত্যবাদী হলে আকাশের এক টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও”। [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ১৮৭] শু‘বা রহ. যিয়াদীর সাথী আব্দুল হামীদ থেকে বর্ণনা করেন, আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আবু জাহল ইবন হিশাম বলে: ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلۡحَقَّ مِنۡ عِندِكَ فَأَمۡطِرۡ عَلَيۡنَا حِجَارَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئۡتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٖ “হে আল্লাহ! এটি যদি তোমার নিকট থেকে (প্রেরিত) সত্য (দীন) হয় তাহলে আমাদের ওপর আসমান থেকে পাথর বর্ষণ কর, কিংবা আমাদের ওপর কোনো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নিয়ে এসো”। তখন আল্লাহ তা‘আলার বাণী এ আয়াত: وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ “তুমি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এবং যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না” নাযিল হয়। ইমাম বুখারী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবন আবু হাতিম বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, মুশরিকরা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করত আর বলত: আমি হাযির হে আল্লাহ আমি হাযির, আমি হাযির আপনার কোনো শরীক নেই, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন: বাস এ পর্যন্তই, কিন্তু তারা এরপরে বলত: আমি হাযির, হে আল্লাহ আমি হাযির, আমি হাযির, আপনার কোনো শরীক নেই, তবে সে ছাড়া যে আপনার শরীক, আপনি তার মালিক কিন্তু সে মালিক নয়। আর তারা বলত: আপনার ক্ষমা, আপনার ক্ষমা। তখন আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করেন: وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ “তুমি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না” আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, তাদের মাঝে দু’টি নিরাপত্তা ছিল: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ক্ষমা প্রার্থনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে যান, বাকি থাকে ক্ষমা প্রার্থনা। (ইবন আবী হাতিম)

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ “তুমি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না” এর অর্থ সম্পর্কে বলেন, আল্লাহ তা‘আলা কোনো সম্প্রদায়কে এ অবস্থায় আযাব দেন না, যখন তাদের নবীরা তাদের মাঝে অবস্থান করেন। যতক্ষণ তিনি নবীদের তাদের থেকে বের করে নিয়ে আসেন। তারপর তিনি বলেন, وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ “এবং যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না”। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈমান গ্রহণ করা ইতোপূর্বে লিখিত হয়েছে, আর ‘ক্ষমা প্রার্থনা করা’ সেটাই বুঝানো হয়েছে। يَسْتَغْفِرُونَ অর্থাৎ সালাত আদায় করেন, সুতরাং এর দ্বারা উদ্দেশ্য মক্কাবাসী।

দাহ্হাক রহ. বলেন, وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ “এবং যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না” অর্থাৎ, ঐসব মুমিন যারা মক্কায় ছিল। ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেন, আবু মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: " أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيَّ أَمَانَيْنِ لِأُمَّتِي : وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ، وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ فَإِذَا مَضَيْتُ تَرَكْتُ فِيهِمُ الاستغفار إلى يوم القيامة " “আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মাতের জন্য আমার ওপর দু’টি নিরাপত্তা প্রদান করেছেন: এক - وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ “আপনি তাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এবং দুই - وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ “যখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে এরূপ অবস্থায়ও আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না” আমার চলে যাওয়ার পরে কিয়ামত পর্যন্ত তোমাদের জন্য ছেড়ে যাচ্ছি ‘ক্ষমা প্রার্থনা’। এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় যা ইমাম আহমাদ রহ. তার মুসনাদে এবং হাকিম তার মুস্তাদরাকে বর্ণনা করেছেন, আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: " إِنَّ الشَّيْطَانَ قَالَ : وَعَزَّتِكَ يَا رَبِّ لَا أَبْرَحُ أُغْوِي عِبَادَكَ مَا دَامَتْ أَرْوَاحُهُمْ فِي أَجْسَادِهِمْ، فَقَالَ الرَّبُّ وَعِزَّتِي وَجَلَالِي، لَا أَزَالُ أَغْفِرُ لَهُمْ مَا استغفروني " শয়তান বলে: আপনার ইজ্জতের কসম, আমি আপনার বান্দাদের দেহে রূহ থাকা পর্যন্ত তাদেরকে গোমরাহ করেই যাব, তখন রব বলেন, আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের শপথ, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকবে আমি ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ক্ষমা করেই যাব। এরপর হাকিম রহ. বলেন, এ হাদীসের সনদ বিশুদ্ধ; কিন্তু ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাদের গ্রন্থদ্বয়ে তা উল্লেখ করেন নি। [মুসতাদরাকে হাকিম ৪/২৬১; মুসনাদে ইমাম আহমদ ৩/২৯]

﴿وَمَا لَهُمۡ أَلَّا يُعَذِّبَهُمُ ٱللَّهُ وَهُمۡ يَصُدُّونَ عَنِ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ وَمَا كَانُوٓاْ أَوۡلِيَآءَهُۥٓۚ إِنۡ أَوۡلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡمُتَّقُونَ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٣٤ وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمۡ عِندَ ٱلۡبَيۡتِ إِلَّا مُكَآءٗ وَتَصۡدِيَةٗۚ فَذُوقُواْ ٱلۡعَذَابَ بِمَا كُنتُمۡ تَكۡفُرُونَ ٣٥﴾ [ الانفال : ٣٤، ٣٥ ]

অর্থানুবাদ:

“আল্লাহ যে তাদেরকে শাস্তি দিবেন না এ ব্যাপারে ওজর পেশ করার জন্য তাদের কাছে কী আছে যখন তারা (মানুষদেরকে) মসজিদুল হারাম-এর পথে বাধা দিচ্ছে? তারা তো ওর (প্রকৃত) মুতাওয়াল্লী নয়, মুত্তাকীরা ছাড়া কেউ তার মুতাওয়াল্লী থেকে পারে না, কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এ সম্পর্কে অবগত নয়। আল্লাহর ঘরের নিকট তাদের সালাত হাত তালি মারা আর শিষ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না, (এসব অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে বলা হবে) আযাব ভোগ কর; যেহেতু তোমরা কুফুরীতে লিপ্ত ছিলে”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩৫-৩৬]

তাফসীর:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন