hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের নৈতিকতা ও আচরণ

লেখকঃ ড. মারওয়ান ইবরাহীম আল-কায়সি

১০৯
বক্তৃতার গ্রহণযোগ্য ভাষা
১. কথ্য ও অশালীন শব্দ যতদূর সম্ভব পরিহার করতে হবে।

২. বিদেশী শব্দ ও পরিভাষা পরিহার করা উচিত।

৩. প্রত্যেকের উচিত শ্রুতিমধুর, গ্রহণযোগ্য এবং নৈতিক প্রকাশভঙ্গি অর্জন করা।

৪. মুসলমানের পক্ষে কারো প্রতি অভিশাপ দেওয়া শোভন নয়।

৫. প্রত্যেক মুসলমানের অপশব্দ বা আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা অনুচিত। তাকে গালিগালাজপূর্ণ ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কটুবাক্য বা অশালীন প্রকাশভঙ্গির জন্য যদি কেউ কারো থেকে দূরে থাকে, সেটা সেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের প্রতি কালিমাস্বরূপ।

৬. মৃত ব্যক্তিদের গালিগালাজ করা অন্যায় এবং জীবিতদের প্রতি গালিগালাজের ন্যয় তা একইভাবে নিষিদ্ধ।

৭. নিজের ভাগ্যের প্রতি দোষারোপ করা এবং খোদার প্রতি অবিচার করার অভিযোগ মুসলমানদের জন্য দোষণীয় এবং তা পরিহার করতে হবে।

৮. বিশেষভাবে মুসলমানকে অথবা সাধারণভাবে সকল নীচু চোখে দেখা খারাপ বিষয়।

৯. নিজের প্রতি, নিজের সন্তানর প্রতি, গৃহ ভৃত্যদের প্রতি অভিসম্পাত দেওয়া নিষিদ্ধ।

১০. এমন কতিপয় বক্তব্য যা ইসলামের মৌলিক নীতির পরিপন্থী, যেমন, এমন কিছু বলা যাতে খোদার শরিকানা প্রকাশ রে- সেগুলো পরিহার করতে হবে। কোন মুসলমান কখনও বলবেনা: “খোদার ইচ্ছা ও এবং অমুক অমুকের ইচ্ছা হলে।” বরং তার বলা উচিত “একমাত্র খোদা যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে অমুকের মাধ্যমে এটা পারে।” সে কখনো বলবেনা: “খোদা ও তুমি ছাড়া আমার কোন ভরসা নেই” বরং বলবে: “খোদা ছাড়া আমার কোন ভরসা নেই; তারপর আল্লাহ চাইলে, তোমরা রয়েছো।” সে কখনো বলবেনা: “আমি অমুকের শপথ করে বলছি।”

১১. বায়ু, বৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক ঘটনার প্রতি দোষারোপ করা নিষেধ; কারণ এগুলো খোদার নির্দেশে সম্পাদিত হয়। বৃষ্টি বা বায়ুকে গালিগালাজের পরিবর্তে বলা যায়: “হে খোদা এগুলোকে রহমত হিসেবে দাও, শাস্তি হিসেবে নয়”। তাছাড়া পোষা মোরগকে গালি দেয়া উচিত নয়, কারণ এরা লোকজনকে ফজরের নামাজের জন্য জাগিয়ে দেয়।

১২. কোন মহিলার উচিত নয় অন্য মহিলার সঙ্গে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে অন্তরঙ্গ হওয়া এবং তারপর তার নিজ স্বামীর কাছে অথবা কারো কাছে প্রকাশ করা।

১৩. কোন মুসলমান কোন আলোচ্য বিষয়ে তার জ্ঞানের প্রাধান্য প্রদর্শনের চেষ্টা করবে না, সে বরং বারংবার ‘আমি’ শব্দ উচ্চারণ পরিহার করবে।

১৪. কোন কাজের জন্য কাউকে দোষারোপ করার ব্যাপারে নমনীয় হতে হবে এবং অন্য লোকের সামনে তা না করাই ভাল।

১৫. কোন মুসলমান, যত ভাল হোকনা কেন, পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে অন্যের ঈমান আকিদা বা চরিত্রের প্রতি কালিমা লেপন বা গালিগালাজ করবে না।

১৬. কোন মুসলমানের এমন কিছু বলা উচিত নয়, যাতে কারো মনোকষ্ট বা কারো ব্যাপারে ভুল রায় হতে পারে অথবা ভুল উদ্ধৃতি দেয়া হয়ে যেতে পারে। এমন বিষয় যাতে অন্যেরা বিব্রত হয়, তা না করা ও না বলাই ভাল।

১৭. কোন মুসলমান যেমন তার বক্তৃতায় অন্যের প্রতি দোষারোপ বা গালিগালাজ করবে না, তেমনি সে নিজের প্রতিও দোষারোপ বা গালিগালাজ করবে না।

১৮. কোন মুসলমান অন্য কোন ব্যক্তিকে তার উপস্থিতিতে কখনো প্রশংসা করবে না। যদি সে এটা না পারে, তাহলে তার প্রকাশবঙ্গিতে মধ্যম পন্থা অনুসারী হবে। কারণ শুধু খোদাই কাইকে নিষ্কলুষ আখ্যায়িত করতে পারে।

১৯. মুসলমানদের কাজ হচ্ছে: যারা অহরহ অন্যের সমালোচনা করে তাদের থামিয়ে দেওয়া।

২০. অন্যদের সাথে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক গোপনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়। এটা একজনের মধ্যে সীমিত রাখাই শ্রেয়।

২১. কোন মুসলমান তৃতীয় কোন ব্যক্তির খারাপ দিক বলতে চাইলে তার অনুমতি দেবেনা। তার চাইতে বরং সদিচ্ছা নিয়ে অন্যেদের সাথে মেলামেশা ও সাক্ষাৎ করা উচিত। যদি সে অন্য লোকদের সম্পর্কে উল্টাপাল্টা বক্তব্য শুনতে পায়, তাহলে তার দায়িত্ব হচ্ছে: কথিত ব্যক্তির স্বপক্ষে বক্তব্য রাখা।

২২. কোন কাজ করার পর মুসলমানের এটা প্রকাশ করা উচিত নয় যে, সেই এটা সম্পাদন করেছে অথবা অন্যভাবে বলার চেষ্টা করা যে, সে এটা সম্পাদন করেছে।

২৩. অনেকক্ষণ ধরে বক্তৃতিা করা বদঅভ্যাস। বক্তৃতাকালে মধ্যমপন্থা অনুসরণ করা শ্রেয়।

২৪. কোন মুসলমান যে জিনিসের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, সে ব্যাপারে কথা না বলাই ভাল।

২৫. অন্যদের একান্ত আলোচনার সময় আড়িপাতা নিষেধ।

২৬. সহযোগী মুসলমানদের মধ্যেই ‘ভাই’ শব্দের ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে।

২৭. কোন মুসলমানকে কাফের বলা বা তার ঈমান নাই বলা- সম্পূর্ণ নিষেধ।

২৮. কোন ব্যক্তি থেকে যদি কেউ কিচু জানতে চায়, তাহলে প্রথমে তাকে সালাম সম্ভাষণ জানাবে, ঐ সময় কি ধরনের কাজে ব্যেস্ত- তা বিবেচনা করবে, তারপর প্রয়োজনীয় বিষয়ে কথা বলবে।

২৯. কোন মুসলমান যখন নবী করিম (ﷺ) সম্পর্কে কথা বলবে অথবা তার সাক্ষাতে নবী (ﷺ) এর কথা বলা হয়, তখনই সে বলবে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক)- এটা বলা সুন্নত।

৩০. কোন মুসলমান খোদার ইচ্ছার উল্লেখ ছাড়া ভবিষ্যতের ঘটনা সম্পর্কে নির্দেশাত্মক পরিভাষা ব্যবহার করবেনা, বলবে: ইনশাআল্লাহ (খোদা যদি ইচ্ছা করেন)।

৩১. কোন মুসলমান অন্য কোন ব্যক্তির সমালোচনা বা গালিগালাজ বা তার দোষ ত্রুটি বলবেনা, যদিও ঐ ব্যক্তি তাকে সমালোচনা বা গালিগালাজ করে এবং তার দোষত্রুটি ধরিয়ে দেয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন