hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের নৈতিকতা ও আচরণ

লেখকঃ ড. মারওয়ান ইবরাহীম আল-কায়সি

১৬
ইসলামি আদবের মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্যগত দিক
ইসলাম মুসলমানদের সর্বদা পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র থাকার শিক্ষা দিয়ে থাকে। বিশ্বস্ত মেডিক্যোল সূত্রে প্রিমাণিত হয় যে, শরীর, স্থান ও পোশাক পরিচ্ছদের প্রাত্যহিতক পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা শরীরের সুস্থতা রক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখে। পরিচ্ছন্ন থাকার ফলে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

মুসলমানদের নামাজের পূ্র্বে প্রয়োজনীয় শর্ত হিসেবে প্রত্যহ কয়েকবার অজু করতে হয়। শরীরের যে অংশ ধূলাবালির উন্মুক্ত থাকে জন্য তা-ই প্রধানত ধৌত করতে হয়।

ইসলাম নখ কাটার বিধান এজন্য করেছে যে, হাতের যে অংশের সাহায্যে প্রতিনিয়ত খাবার খাওয়া হয় ও পানি পান করা হয়- এবং করমর্দন করতে হয়- সেগুলোকে ময়লা ও অশুচি থেকে রক্ষা করার জন্যে। বগলের চুল ও গোপনাঙ্গের চুল কাটার বিধান করেছে ইসলাম। এটি সোয়েট গ্লাণ্ডস (Swat Glands) কে কাজ করতে সহায়তা করে এবং সুইট গ্লাণ্ডসের ক্ষতি করতে পারে, এমন সব জীবাণুর বংশবৃদ্ধিতে তা বাধা দেয়। মুসলমানকে তার কাপড় চোপড় ও নিজেকে মলও পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। পেশাবের ইউরিয়া ও অন্যান্য নাইট্রোজেনের যৌগ বিদ্যমান। এগুলো জীবণুর তৎপরতায় এ্যামোনয়িাম রূপান্তরিত হয় এবংদুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। মলমূত্র থেকে সংক্রমণের মাধ্যমে Pinworm (oxy uriasis), Viral hepatitis, Scabies এবং Taniasisi-প্রভৃতি রোগ বিস্তার লাভ করে।

মুসলমানদের অতিরিক্ত আহার করা উচিত নয় বরং উদরপূর্তির আগেই আহার বন্ধ করা উচিত- এ ধারণা চিকিৎসাগত, সামাজিক ও নৈতিক কল্যাণ থেকে উৎসারিত। পাকস্থলীতে রয়েছে সম্প্রসারণশীল Receptors, এটি স্ফীত হলে ব্যথা ও অস্বস্তি ও অন্যান্য রোগের সৃষ্টি হতে পারে। পানি পানকালে মুসলমানদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পাত্রে (বা গ্লাসে) নিঃশ্বাস না ফেলতে; কারণ আভ্যন্তরীণ বাতাসের চাইতে পানিতে বিদ্যমান বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেক কম এবং দেহের সঞ্চালন তন্ত্রগুলোতে অধিকহারে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি শরীরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

মুসলমানরা দুধ পানের ফলে যে কল্যাণকর সুবিধা পেয়ে থাকে, তার জন্য খোদার শুকরিয়া প্রকাশ করে থাকে। **১০ দুধ আদর্শ পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এতে প্রধানতঃ ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়ামন, ফসফেটসট অনেক ভিটামিন ও খনিজ ছাড়াও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটম, চর্বি ও প্রোটিন বিদ্যমান। এগুলোর আভাবে শিশুদের শরীর গঠনে অসুবিধা ও বড়দের রক্তমূন্যতা (Oesteomalacis) দেখা যায়।

ইসলামের বিধান অনুসারে পশু জবাই করার ফলে রক্তমুক্ত গোশত পাওয়া যায়। রক্তে বহু সূক্ষ্ম জীবাণূ বাস করে, যা বহু রোগের উৎস হতে পারে। স্বাস্থগত

[ **১০ মিশকত ২য় খণ্ড, পৃঃ ৪৬৫]

দিক ছাড়াও বহু লোক রক্ত মিশ্রিত গোশত দেখে অথবা গোশতের মধ্যে রক্ত নিঃসৃত হতে দেখে বিরক্ত বা পীড়িত হয়ে পড়ে।

ইসলামে শূকরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। শূকর আবর্জনা ও উচ্ছিষ্টসহ যে কোন খাদ্য খেয়ে থাকে। এ ব্যাপারে স্যাকর (Sakr) বলেন, শূকরের দেহে বহু সংখ্যক জীবাণূ, পরজীবি ও ব্যাকটিরিয়া থাকে এবং এই মাংস খাওয়ার পর এসব রোগ মানবদেহে সংক্রমিত হয়। এসব জীবাণূর মধ্যে রয়েছেঃ ফিতা ক্রিমি, বক্র ক্রিমি, Hookworm, Faciolopsis, Paragonimus, Clonorchis Senesis Erysipelothrix ও Rhusphtahiae. **১১ তিনি আরো বলেন, সর্বাধিক জীবাণুবাহক শূকর হচ্ছে বহু মারাত্মক ও জটিল রোগের উৎস। এর মধ্যে রয়েছে আমাশয়, ফিতা ক্রিমি, বক্র ক্রিমি, হুজওয়ার্ম, জন্ডিস, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, আন্ত্রিক প্রতিবন্ধক (Intestinal Obstruction). মারাত্মক প্যানক্রিয়াটিটিস (Acute Pancreatits), যকৃতের প্রসারণ (Enlargement), Trichinosos, ডায়রিয়া, শারীরিক দুর্বলতা, মারাত্মক জ্বর- যদ্দরুণ শিশুদের বিকাশ ব্যাহত হয়, টাইফয়েড, অঙ্গহানি, হৃদরোগ, গর্ভপাত, বন্ধ্যাত্ব এবং আকস্মিক মৃত্যূ ইত্যাদি **১২

ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ। এর কিছুটা উপকারী দিক থাকলেও এর ফরে যে মাদকাসক্তির সৃষ্টি হয়, তাতে নৈতিক ও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তদুপরি অধিক মদ্যপানের ফলে পাস্থলীতে জ্বালা ও পেপটিক আলসার হয়। এর ফলে যকৃতের প্রদাহ, লিভার সিরোসিস এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে যকৃত বিকল হয়ে যায়।

মুসলমানরেদ হাঁচি আটকে রাখা ঠিক নয়, বরং এ জন্য খোদার শোকর করা উচিত। উপরের শ্বাস-প্রশ্বাসের অঞ্চল থেকে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির জ্বালা হতে এর উৎপত্তি এবং এর ফলে জ্বালাতনকারী পদার্থ বের হয়ে যায়। হাঁচি ঠেকিয়ে রাখলে জ্বালাতনকারী পদার্ধ রয়ে যায় এবং প্রদাহের সৃষ্টি করে। তাঁচির সময়

[**১১ A. H. Sakr Possible Reasons for its Prohibition, Published by the Author. 1975, P-15]

[ **১২ প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-১৮]

মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে করে কোন ব্যক্তির ডপরের শ্বাস প্রশ্বাস অঞ্চলে বিদ্যমান জীবণুর সঞ্চালন রোধ করা যায়।

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য খতনা করা ফরজ এবং পাশ্চাত্য বিশ্বের কোন কোন দেশে মেডিক্যাল গ্রাউণ্ডেই বর্ধিত হারে খতনা করা হচ্ছে। লিঙ্গের অগ্রত্বক কেটে না ফেলা হলে ময়লা ও জীবাণূ জমতে পারে, ফলে ব্যাক্টিরিয়ার বিকাশ হতে পারে। একারণে নারীদের যৌনাঙ্গে ক্যান্সার সদৃশ পরিবর্তন হতে পারে।

মহিলাদের মাসিকের সময় যৌনসঙ্গম ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দুটো কারণেঃ

১. মাসিকের সময় গর্ভাশয়ের সংকীর্ণ অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়; ফরে সঙ্গমের দরুণ জরায়ুও ডিম্বনালীতে ব্যাক্টেরিয়া প্রবেরে পথ সুগ হয়। পরিণামে প্রদাহ ও আঠালো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। ফলে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হতে পারে।

২. পুরুষ তার যৌনাঙ্গে রক্ত দেখার পর তারও শরীরে নেতিবাচক দৈহিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। িএর ফলে তার স্ত্রীর সঙ্গে যথানিয়মে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে তার মনে বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হতে পারে।

পায়ুপথে সঙ্গমের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কারণ হচ্ছেঃ এটা এক যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া এবং এর ফলে মলত্যাগে ক্ষতিকর প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পুরুষের যৌনাঙ্গ মলসিক্ত হতে পারে, আর এই মল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণূ থাকতে পারে, যার ফলে পুরুষের যৌনাঙ্গ সংক্রমিত হতে পারে।

মাসিকের সময় মহিলাদের যৌন হরমনসমূহ বিঘ্নিত হয়- পরিণামে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয় দেখা যায় এবং তা প্রতিভাত হয় স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও দৌর্বল্যে। মাসিকের সময় মহিলাদের আচরণে যে পরিবর্তন দেখা যায়, তার কারণ এখানেই নিহিত। এজন্য এসময় মেয়েদের নামাজ ও রোজা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে আংশিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃতদেহকে শিগগিরই কবর দিতে হয়। এর ফলে যে পচনের ক্ষতির ব্যাপারে মুসলমানরা সজাগ, তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ায় এই বিপদের আশঙ্কা আরো বেশি। কারণ সেখানে লাশ শীতর রাখার সুযোগ সুবিধা নেই।

প্রহরী ও শিকারী কুকুর ছাড়া কুকুর প্রতিপালনের অধিকার মুসলমানদের দেওয়া হয়নি। তবে এসব কুকুরকেও বাড়ির বাইরে রাখতে হবে। কুকুরের মুকের লালায় জলাতঙ্ক রোগের জূবাণূ রয়েছে, যা কুকুরের কামড় অথবা চামড়ায় কোন ঘাযের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। কুকুরের অন্ত্রে এক প্রকার কৃমি (Echinococcus) থাকে, যা কুকুরের মল দ্বারা দূষিত খাদ্যের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এর ফলে যকৃত এবং ফুসফুসে প্রাথমিকভাবে মলকোষ গড়ে ওঠায় সম্ভাবনা থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন