hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের নৈতিকতা ও আচরণ

লেখকঃ ড. মারওয়ান ইবরাহীম আল-কায়সি

উৎস
ইসলাম ছাড়া অন্যান্য সংস্কৃতিতে আচরণ নির্ধারিত হয় স্থানীয় পরিস্থিতির দ্বারা এবং এজন্য এসব অবস্থার পরিবর্তনের সাথে তার সম্পর্ক থেকে যায়। W.G. Sumner এর মতে পৌনঃপুনিক প্রয়োজনে ব্যক্তির জন্য আচরণ এবং গোষ্ঠীর জন্য প্রথার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসবের ফলাফল বা পরিণতি কখনও সচেতন কিছু হিসেবে প্রতিভাত হয়না। [W.G. Sumner, Folkways, New York: Blaisdell PublishingCo. ৬ষ্ঠ সংস্করণ, ১৯৬৫, পৃঃ-৪১।]

এই অর্থে ইসলামি আচরণ ও প্রথা ‘অসচেতন’ নয়। এগুলো ইসলামের দু’টো মূল উৎস কুরআন ও সুন্নাহ থেকে গৃহীত। সুন্নাহ হচ্ছে : রাসূলের (ﷺ) কথা, কাজ ও পরোক্ষ অনুমোদনের সমষ্টি, কড়াকড়ি অর্থে খোদার অনুপ্রেরণায় যা অনুপ্রাণিত।

কুরআন ও সুন্নাতে বিভিন্ন যুগে মানব সমাজে উদ্ভূত নানা সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাপক নীতিমালা রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে ইসলামে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ড এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিনিময় ও গতানুগতিক আচরণের বিধান রয়েছে। ইসলাম শুধু আধ্যাত্মিক ও আইনগত আচরণের মধ্যে সীমিত নয়; এতে মানব জীবনের ও সম্পর্কের সকল শাখায় মানদণ্ড ও মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রথার ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। এই সার্বিক বিষয়ের অংশ হিসেবে ইসলামের ব্যাপকলক্ষ্যবস্তু থেকে ইসলামি আদম গৃহীত এবং তার ব্যাপক ধারণা ও মূল্যবোধ প্রতিফলিত।

ইসলামের ‘আদব’-কে সামগ্রিক বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন করে ধারণা করা বা রূপায়ণ করা যাবেনা। বরং ইসলারেম অন্যান্য বিষয়ের সাথে তাদের অন্তঃসম্পর্কের দিকটি সব সময়েই স্মরণে রাখতে হবে। একইভাবে ইসলামি আদবের আওতায় বিভিন্ন বিষয়কে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা চলবে না এজন্য যে, এগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। এ ব্যাপারে একটি বাস্তব উদাহরণ উল্লেখ করা যায়। মুসলমানকে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে হয়, যাতে করে সে ফজরে নামাজের জন্য শিগগিরই জাগতে পারে।

ইসলামের আদম কায়দার ব্যাপারে যে ওহির আদেশ রয়েছে- এর ধর্মীয় রূপ যথাযথ আনুগত্যের সৃষ্টি করে। এর ধর্মীয় প্রকৃতি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এসব আদব কায়দা পুঙ্খানুপুঙ্খ পালন বাধ্যতামূলক। ইসলামি আদবের প্রধান প্রধান নীতি থেকে একথা সুস্পষ্ট যে, ইসলামের সুনির্দিষ্ট আদব ‘হারাম’ থেকে হালাল নির্বাচনে কমবেশি নমনীয়তা রয়েছে। প্রথমটি আইনের দ্বারা স্বীকৃত; দ্বিতীয়টি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের অনুমোদন ব্যতিরেকে অপরাধীদের কোন প্রকার আনুষ্ঠানিক বিচার বা শাস্তি দেয় না। তৃতীয় পর্যায়ের আদব লেহাজ রয়েছে এমন ধরনের যা লঙ্ঘন করলেও তা গ্রাহ্য করা হয় না।

ইসলামি আদবের ওহির উৎস থেকে একথা প্রতীয়মান হয় না যে, এই পদ্ধতি হবে কঠোর ও অনমনীয়। ইসলাম এমন কোন আদর্শ নয়- যা মানব-অভিজ্ঞতার অগম্য অথবা বিদ্যমান বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রয়োগের যোগ্য নয়। বরং এই পদ্ধতির প্রকতি এমন যে, এটা বহু ক্ষেত্রে নমনীয়দ; আবার অনেক ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে সুস্থিত। ইসলাম যার ধারক; সেই মানবিক যুক্তিবিন্যাসে নমনীয়তার উপাদন নিহিত এবং এগুলোকে তার সাধারণ সূত্রের মধ্যে গণ্য করা যায়।

ইসলারেম দুটি মূল উৎস কুরআন ও সুন্নাহতে বিভিন্ন বিস্তারিত বিধান ছাড়াও সাধারণ নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; যাতে জীবনের দিক তথা ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক- প্রভৃতি সকল বিষয়ের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। এসব সাধারণ নীতিমালার কোনটাই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের আওতায় নেই। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। নিত্য নতুন পরিস্থিতিতে নতুন নতুন সমস্যার বিধিামালা প্রণয়নের জন্য ইজতিহাদের মাধ্যমে ইসলামের ব্যবস্থা রয়েছে। ইজতিহাদ হচ্ছে: ইসলামের মূল ভাবধারার অনুসরণে এবঙ অপরবির্তনীয় সাধারণ নীতিমালার আওতায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তে পৌঁছার লক্ষ্যে ব্যক্তির নিজস্ব যুক্তির সুশৃঙ্খল প্রয়োগ। সুতরাং ঐতিহাসিক পরিবর্তনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার দায়িত্ব, যোগ্যতাসম্পন্ন পণ্ডিতদের বিশ্বাস ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা আঞ্জাম দিতে পারে। ইসলামের শিক্ষা বাস্তাবিকপক্ষে মানবপ্রকৃতি ও মানবিক প্রয়োজনের সাথে সুপরিচিত। ইসলাম জীবনের বাস্তবতাকে স্বীকার করে সর্বাধিক বাস্তব উপায়ে তার মোকাবেলা করে।

অতএব, বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতির উপযোগী করে ইসলামের সাধারণ নীতিমালাকে বাতিল অথবা সমন্বয় সাধানের প্রয়োজন পড়ে না। ইসলামি আদবের বাস্তবতা ও ব্যবহারিক দিক সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, সকল মুসলমানের জন্য রমজানের পুরো মাস রোজা রাখা ফরজ। তথাপি ইসলম (মুসাফিরদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে।) মুসাফিরদের রোজা রাখা মওকুফ করেছে, তবে সফর শেষ হবার পর এই রোজা পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে প্রসূতি বা যে সব মহিলার মাসিক হয়েছে এবং যারা মারাত্মকভাবে পীড়িত তাদেরকে এই রোজা পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। তথাপি কতিপয় হাদিস মোতাবেক মুসাফিরদেরকে কোন কোন ওয়াক্ত একত্রে মি েপড়ার এবঙ চার রাকাত নামাজের ‘কসর’ হিসেবে দু’রাকাত পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গ্রুপের রীতি ও পরিস্থিতি অনুসারে আদবের সংক্ষিপ্ত, চূড়ান্ত ও বিস্তারিত প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ইসলাম। তবে শর্ত হলোঃ পোশাক পরিচ্ছদ ও খাদ্য গ্রহণ সংক্রান্ত প্রধান নীতিমালা মেনে চলতে হবে। ইসলামি আদবের উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ দৈনন্দিন জীবন সুশৃঙ্খল, ছন্দময়, মর্যাদাপূর্ণ ও পবিত্র করা। দৈনন্দিন জীবনকে জটিল করে তোলার জন্য এগুলো কোন লোক দেখানা বা আইনানুগ প্রথা নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন