hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের নৈতিকতা ও আচরণ

লেখকঃ ড. মারওয়ান ইবরাহীম আল-কায়সি

১১৭
সম্ভাষণ জানানোর আদব
১. সম্ভাভণ জানানোর অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে বন্ধুত্ব ও পরিচিতি বাড়ে। এটা হৃদ্যতা ও সৌজন্যের কাজও বটে।

২. যে ব্যক্তি ঘোড়ায় চড়ে বা গাড়িতে যাচ্ছেন, তিনি হাঁটারত ব্যক্তিকে, চলমান ব্যক্তি বসা অবস্থার লোককে এবং ছোট দল বৃহৎ দলকে সম্ভাষণ জানাবে। কম বা বেশি একই বয়সেরদু’ব্যক্তি দেখা পেল, তাহলে যে কেউ প্রথমে সম্ভাষণ জানাতে পারে।

৩. সম্ভাষণ জানাতে যারা দ্বিধান্বিত হয়না, তারাই উত্তম লোক, সেজন্যে উল্লিখিত বিধিবিধান পালনের ব্যাপারে নমনীয়তা আবশ্যক।

৪. অন্যদের সম্ভাষণ জানাতে হবে ‘আসসাল্লামু আলাইকুম’ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) বলে।

৫. আসসালামু আলাইকুম বলার পরই সুপ্রভাত, শুভ সন্ধ্যা, ‘হ্যালো’ প্রভৃতি শব্দে সম্ভাষণ জানানো যেতে পারে।

৬. যে কোন সম্ভাষণের জবাব একইভাবে বা তার চেয়ে ভালভাসে দেওয়া হচ্ছে সৌজন্যের দাবি। জবাবে কমপক্ষে বলতে হবে ‘ওয়া আলাইকুমস সালামৎ (আপনার উপর শান্তিবর্ষিত হোক); আদর্শ ও পূর্ণাঙ্গ জবাব হচ্ছে ‘ওয়া আলাইকুমস সালাম ও রাহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহু (আপনার উপর খোদার রহমত ও করুণা বর্ষিত হোক)।

৭. মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে কালবিলম্ব না করে সম্ভাষণের জবাব দেয়া; অবশ্যবিলম্বের যৌক্তিক কারণ থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।

৮. কোন মুসলমান অন্যকে সম্ভাষণ জানালে, অথবা অন্যরা তাকে সম্ভাষণ জানালে, তার সম্ভাষণ বা জবাবি সম্ভাষণ স্পষ্ট করে শ্রুত হতে হবে।

৯. কোন মুসলমান যদি মনে করে, কোন কারণে অন্য লোকেরা তার ‘সালাম’ শুনতে পায়নি, তাহলে তাকে পুনরায় অথবা তৃতীয়বার সালাম দিতে পারে। তবে এর অধিক নয়।

১০. নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন কোন লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলে পুনরায় সম্ভাষণ জানানোর বিষয়টিকে একঘেঁয়েমী মনে করা ঠিক নয়।

১১. হাতের আঙ্গুল বা তালু প্রদর্শন করে অথবা মাথা নুইয়ে লোকদের সম্ভাষণ জানানো অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

১২. চেনা অচেনা সকলকে সম্ভাষণ জানাতে হবে মুসলমাদের। এর ফলে পরিচিত ও বন্ধুদের সংখ্যা বাড়ে। তবে বাজার-ঘাটে বা জনাকীর্ণ রাস্তায় যেসব লোকজনের সাথে দেখা হয়, তাদের সকলকে সম্ভাষণ জানানো ঠিক নয়।

১৩. একজন লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে কোন মুসলমানের কারো কারো নাম বা উপাধি করে ডাকা উচিত নয়। সৌজন্যের খাতিরে সাধারণভাবে সকলকে সম্ভাষণ জানাতে হবে যাতে করে সকলেই সম্ভাষিত হয়।

১৪. একদল লোক সম্ভাষণ জানালে সাধারণ সম্ভাষণের মাধ্যমে তার প্রত্যুত্তর দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিশেষ কারো নাম উল্লেখ করা চলবে না।

১৫. কোন মুসলমানের পাশ দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে এবং সে সম্ভাষণ জানিয়েছে কিন সন্দেহ হলে তার জবাব দেয়ার প্রয়োজন নেই।

১৬. যদি কেউ একদল লোককে সম্ভাষণ জানায়, এবং এই দলের কোন সদস্য তার প্রত্যুত্তর দেয় তাহলে তাই যথেষ্ট; তবে দলের সকল সদস্য জবাব দিলে ভাল হয়।

১৭. মুসলমান বা অমুসলমান যেই হোকনা, কেন, কেউ সম্ভাষণ জানালে তার জবাব দেয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।

১৮. কোন মুসলমানের কারো সাথে দেখা হলে, তার যদি সন্দেহ হয় যে, সে সম্ভাষণের জবাব দেবে কি-না, তাহলে তাকে সম্ভাষণ জানানো তার দায়িত্ব নয়।

১৯. সম্ভাষণ জানানোর সুপারিশ করা হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে সম্ভাষণ এড়িয়ে যেতে হবে, যেমন, কেউ পায়খানা প্রস্রাব করাকালে অথবা ঘুমালে বা ঝিমুতে থাকলে।

২০. মুসলমান-অমুসলমান নির্বিশেষে কোন মিশ্রিত দলের পাশ দিয়ে অতিক্রম করা কালে মুসলমানকে বলতে হবে ‘আসসালামু আলাইকুম’ (তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)।

২১. এস্তেঞ্জাকালে কেউ সম্ভাষণ জানালে পায়খানা থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত মুসলমান জবাব দেবেনা।

২২. কোন মুসলমান বাড়ি ফিরে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্ভাষণ জানাতে অবহেলা প্রদর্শন করবে না।

১৩. ছেলেমেয়েদের পাশ দিয়ে যাবার সময় তাদের সম্ভাষণ জানানো উত্তম যদিও শিশুদের উচিত আগে সালাম জানানো।

২৪. যদি কোন ব্যক্তি কোন মুসলমানের কাছে কাউকে পাঠায়, এমন বার্তা নিয়ে যাতে সালাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তাহলে সে তাদের উভয়কে বলবে ‘আসসালামু আলাইকা ওয়া আলাইহে (তোমার ও তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)।

২৫. কোন মুসলমানের কাছে বার্তা পাঠালে তাকে লিখিতভাবে সম্ভাষণ জানানো যায়, আসসালামু আলা মানএত্তেবা আল হুদা’ (যারা হেদায়াতের পথে আছে তাদের প্রতি সালাম) বলে।

২৬. একদল লোকের সামনে হাজির হওয়া অথবা কোন ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করার সময় সম্ভাষণ জানাতে হবে। বিদায়কালে সাক্ষাতের পর পুনরায় সম্ভাষণ জানাতে হবে। বিদয়কালে সম্ভাষণ জানানোর গুরুত্ব রয়েছে সবিশেষ, বিশেষ করে দু’পক্ষ যেখানে যুক্তিতর্ক প্রদর্শন করেছে অথবা আলোচনাকালে মতানৈক্য হয়েছে; সেক্ষেত্রে বিদায় সম্ভাষণ জানানোর অর্থ হচ্ছে তাদের মনোকষ্ট আর নেই এবং উভয় সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে আগ্রহী।

২৭. অন্যান্য মুসলমানদের স্বাগত জানানোর সময় মৌখিকভাবে (টেলিফোনে বা লিখিতভাবে (পত্র ইত্যাদি) শুরু ও শেষ করতে হবে আসসালামু আলাইকুম বলে।

২৮. অমুসলমানদের সম্ভাষণ জানানো অনৈসলামিক নয়, তবে এক্ষেত্রে মুসলমানদের পরিভাষায় অর্থাৎ আসসালামু আলাইকুম বলা যাবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন