hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ভালো ছাত্র হওয়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১২
জীবন গড়ার জন্য দৈনিক রুটিন
লাগামহীনভাবে চলাফেরা করলে কখনো জীবন গঠন করা যায় না। যখন যা ইচ্ছা করলাম, যখন যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে গেলাম এরকম করলে কোনো কাজেই সফল হওয়া যায় না। প্রত্যেক মানুষের উচিত জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা। তারপর সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেসব কাজ করতে হয় সে কাজগুলো রুটিন তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ে ভাগ করে নিতে হবে এবং নিয়মিত কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে ঐ কাজে সফলতা আসবে।

একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার পর তাকে অবশ্যই এমনকিছু কাজ করতে হয়- যা না করলে মুসলমান হওয়ার কোনো অর্থ থাকে না। আল্লাহর কাছে বংশগত মুসলমানের কোনো দাম নেই। কাজেকর্মে মুসলমান হতে পারলেই জান্নাতে যাওয়ার আশা করা যায়। জীবনের লক্ষ্য অনুযায়ী মূল কাজের পাশাপাশি করণীয় কয়েকটি কাজ হচ্ছে-

১. কুরআন পড়া : নিয়মিত কুরআন মাজীদ পড়তে হবে। কুরআনের শব্দ তেলাওয়াত করলে ছওয়াব পাওয়া যায়- এটা কুরআনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে কুরআন নাযিল হয়েছে তা অর্জনের জন্য কুরআন বুঝার চেষ্টা করতে হবে। নিজের ভাষায় কুরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা (তাফসীর) পড়ে আল্লাহর বিধান কী তা জানতে হবে। সূরা মুহাম্মদের ২৪ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

اَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ اَمْ عَلٰى قُلُوْبٍ اَقْفَالُهَا

‘‘তারা কি কুরআন সম্পর্কে গবেষণা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ হয়ে গেল।’’ এ আয়াত থেকে বুঝা গেল, যারা কুরআন বুঝার চেষ্টা করবে না তাদের অন্তরে তালা লেগে যাবে। অর্থাৎ তারা হেদায়াত পাবে না।

হাদীসে বর্ণিত আছে-

اِنَّ الَّذِيْ لَيْسَ فِيْ جَوْفِهٖ شَيْءٌ مِّنَ الْقُرْاٰنِ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ

‘‘যার মধ্যে কুরআনের কিছু নেই তার অন্তর উজাড় ঘরের মত’’। (তিরমিযী হা/২৫০)

তাই অনুধাবনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুরআন অধ্যয়ন করতে হবে।

২. হাদীস পড়া : কুরআন সংক্ষিপ্ত কিতাব, এর ব্যাখ্যা হল হাদীস। কুরআনকে যাতে মানুষ ভালোভাবে বুঝতে পারে সেজন্য আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নমুনা বা জীবন্ত কুরআন হিসেবে পাঠিয়েছেন। তিনি নবুয়াতের তেইশ বছরের মধ্যে শরীয়তের ব্যাপারে যা কিছু বলেছেন, করেছেন ও সমর্থন দিয়েছেন সবই হাদীস। তাই হাদীস এবং সীরাত (নবীর জীবনী) পড়তে হবে।

৩. দু‘আ শিখা : দৈনন্দিন জীবনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক দু‘আ পড়তেন ও পড়ার আদেশ দিতেন, এগুলো শিখতে হবে এবং যথাস্থানে পড়তে হবে ।

৪. পাঠ্যবই পড়া : ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান কাজ হল পাঠ্যবই পড়া এবং পরীক্ষায় আসার মত প্রশ্নগুলো শিখা ও মুখস্ত করা।

৫. সিলেবাস বহির্ভূত বই পড়া : জ্ঞানকে প্রসারিত করতে হলে সিলেবাস বহির্ভূত বই এবং ইসলামী গবেষণামূলক বইও পড়তে হবে।

৬. নামায পড়া : পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামা‘আতে পড়ার অভ্যাস করতে হবে, কারণ নামায জান্নাতের চাবী। হাদীসে এসেছে,

‘‘পরকালে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব দিতে হবে। নামাযের হিসাবে সফল না হলে আর কোথাও সফল হওয়ার আশা নেই।’’ (তিরমিযী, নাসায়ী)

উমর (রাঃ) বলেন, ‘‘আল্লাহর কাছে হিসাব দেয়ার আগে নিজে নিজের হিসাব নাও’’। তাই কাগজ-কলম হাতে নিয়ে একমাসের একটি রুটিন তৈরি করুন। এখানে একটি নমুনা দেয়া হল :

মাসের নাম ................সন .............

তারিখ

কুরআন

তেলাওয়াত

অর্থসহ কুরআন

হাদীস

পাঠ্য

বই

নামায

ইসলামী বই

দু‘আ



৫ রুকু

৪আয়াত

৩টি

৫ঘঃ

৫ওয়াক্ত

৫ পৃঃ

১টি







লেখার নিয়ম :

তেলাওয়াতের রুকু বা পৃষ্ঠার সংখ্যা লিখবেন। যেমন- ৫ রুকু।

অর্থসহ পঠিত আয়াতের সংখ্যা লিখবেন। যেমন- ৪ আয়াত।

যতটি হাদীস বুঝে পড়বেন তার সংখ্যা। যেমন- ৩টি।

পাঠ্যবই পড়ার সময়ের হিসাব। যেমন- ৫ ঘণ্টা।

ইসলামী বইয়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা লিখবেন। যেমন- ৫ পৃষ্ঠা

নামায পাঁচ ওয়াক্ত জামা‘আতে হলে ৫, চার ওয়াক্ত জামা‘আতে হলে ৪, আর কোনো ওয়াক্ত কাজা হয়ে গেলে তা লিখবেন। তবে নামায যাতে কাজা না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

পঠিত দু‘আর সংখ্যা লিখবেন। যেমন- ১টি।

এবার কোন্টি কখন পড়বেন সময় ঠিক করবেন; নতুবা দিন চলে যাবে পড়া হবে না। যেমন- রাতে ফজরের আগে উঠার অভ্যাস না থাকলেও কমপক্ষে এ পরিমাণ সময় হাতে নিয়ে উঠতে হবে- যাতে পবিত্রতা অর্জন করে সুন্নাত পড়ে প্রথম তাকবীরের সাথে জামা‘আতে ফজরের নামায পড়া যায়। নামায শেষে কুরআন মাজীদ পড়বেন। পারলে প্রথমে সূরা ‘ইয়াসীন’ ও সূরা ‘আর-রাহমান’ পড়ে অর্থসহ কিছুসময় কুরআন পড়বেন। এরপর দু’চারটি হাদীস পড়বেন। এ আমল সারা জীবন পালন করবেন। আসরের পরে ইসলামী বই পড়ুন। এসময় কিছু হাঁটা-চলা করা ভালো। এশার নামাযের পর কমপক্ষে একটি দু‘আ মুখস্ত করবেন এবং সারাদিনের কাজের হিসাব লিখে রাখবেন। ছাত্র-ছাত্রীরা এসব বিষয় পড়ে খাওয়া, ঘুম ও জরুরী কাজে যে সময় লাগবে তা বাদ দিয়ে বাকী সময় পাঠ্যবই পড়বে। পাঠ্যবইয়ের মধ্যে কোন্টি কোন্ সময় পড়বে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সময় ঠিক করে নেবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন