মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হওয়ার ক্ষেত্রে নামাযের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এজন্য লোকমান হাকিম তাঁর ছেলেকে নামাযের অসিয়ত করে বলেছিলেন : ‘‘হে আমার ছেলে! নামায কায়েম করো, সৎকাজের আদেশ দাও, মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করো এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্যধারণ করো। নিশ্চয়ই এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ।’’ (সূরা লোকমান- ১৭)
নিয়মিত সুন্দরভাবে নামায আদায় করলে শরীর ও মন পবিত্র থাকে, ভালো কাজের দিকে মন আকৃষ্ট হয় এবং খারাপ কাজের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়। ‘‘নামায মানুষকে অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে।’’ (সূরা আনকাবূত- ৪৫)
তাই ছোটকাল থেকেই নামাযের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের সন্তানরা যখন ৭ বৎসরে পৌঁছবে তখন তাদেরকে নামাযের জন্য আদেশ করবে। আর যখন তাদের বয়স ১০ বৎসর হবে তখন নামায না পড়লে তাদেরকে শাস্তি দেবে। আর এ বয়সেই তাদের শোয়ার বিছানা পৃথক করে দেবে।’’ (আবূ দাউদ হা/৪৯৪)
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় যে, সাধারণ লোক তো বটেই, অনেক ছাত্র-ছাত্রীও নামায পড়ে না। এ বদ্অভ্যাস ছাড়তে হবে। কারণ নামায না পড়লে ফিরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খাল্ফ এসব বড় বড় কাফেরদের সাথে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। (মুসনাদে আহমাদ হা/২২৭৫৬ , দারেমী হা/২৭৬৩)
নামাযের কিছু মৌলিক বিষয়
নামায সম্পর্কে অধিক জানতে আমার লেখা ‘মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়’ বইটি পড়তে পারেন। এখানে নামাযের মৌলিক কিছু বিষয় তুলে ধরছি।
নামাযের ফরযসমূহ
নামাযের শুরুতে ৭টি ফরয : (১) শরীর পাক হওয়া (২) কাপড় পাক হওয়া (৩) নামাযের জায়গা পাক হওয়া (৪) সতর ঢাকা (৫) কেবলামুখী হওয়া (৬) নিয়ত করা (৭) নির্দিষ্ট সময়ে নামায পড়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘নির্ধারিত সময়ে নামায পড়া ইমানদারগণের উপর অবশ্য কর্তব্য।’’
(সূরা নিসা- ১০৩)
নামাযের ভিতরে ৬টি ফরয : (১) তাকবীরে তাহরীমা বা নামায শুরুর তাকবীর, (২) দাঁড়িয়ে নামায পড়া, (৩) কিরাআত (কুরআনের সূরা বা কিছু আয়াত) পড়া, (৪) রুকু করা, (৫) সিজদা করা, (৬) শেষ বৈঠক করা।
নামাযের ওয়াজিবসমূহ
(১) প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়া।
(২) ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকআতে এবং অন্যান্য নামাযের প্রতি রাকআতে সূরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়া।
(৩) জোরের স্থানে জোরে এবং আস্তের জায়গায় আস্তে কিরাআত পড়া।
(৪) রুকু ও সিজদার মধ্যে একটু দেরি করা।
(৫) রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
(৬) দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
(৭) তিন অথবা চার রাকআত বিশিষ্ট নামাযে দুই রাকআতের পর বসা।
(৮) উভয় বৈঠকে তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়া।
(৯) নামাযের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
(১০) মুক্তাদির জন্য ইমামের অনুসরণ করা।
(১১) ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর বলা।
(১২) বিতরের নামাযে দু‘আয়ে কুনুত পড়া।
(১৩) ধীরস্থিরভাবে নামায পড়া।
(১৪) সালাম ফিরায়ে নামায শেষ করা।
নামাযের কোনো ওয়াজিব বাদ পড়লে অথবা কোনো কাজ বেশি করলে ভুলের জন্য সাহু সিজদা দিলে নামায হয়ে যাবে; তবে কোনো ফরয বাদ পড়লে পুনরায় নাময পড়তে হবে।
দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায পড়া ফরয
(১) ফজর, (২) জোহর, (৩) আসর, (৪) মাগরিব, (৫) এশা।
এই পাঁচ ওয়াক্তে সর্বমোট ১৭ রাকআত নামায ফরয। ফজরের ২ রাকআত, জোহরের ৪ রাকআত, আসরের ৪ রাকআত, মাগরিবের ৩ রাকআত এবং এশার ৪ রাকআত। শুক্রবারে জোহরের চার রাকআত ফরযের পরিবর্তে জুমু‘আর দু’টি খুৎবা শুনতে হয় এবং দু’রাকআত ফরয নামায আদায় করতে হয়।
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা
ফরয নামাযের আগে ও পরে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা ১২ রাকআত সুন্নাত পড়তেন। এ নামাযকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বলে। এ ১২ রাকআত নামায হচ্ছে : ফজরের ফরয নামাযের পূর্বে ২ রাকআত, জোহরের পূর্বে ৪ রাকআত ও পরে ২ রাকআত, মাগরিবের পরে ২ রাকআত এবং এশার পরে ২ রাকআত।
নামাযের সময়সূচী
আমরা ঘড়ির কাটা দেখে নামায পড়ি, তবে আল্লাহ তা‘আলা নামাযের সময়কে সূর্যের সাথে নির্ধারণ করেছেন। এজন্য নামাযের সময় পরিবর্তনশীল। কুরআন ও হাদীসে নামাযের সময়ের যে মূলনীতি নির্ধারণ করা হয়েছে তা হল :
সুবহে সাদিক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত ফজরের সময়। সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার পর হতে শুরু করে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের সময়। জোহরের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আসরের সময়, তবে সূর্যের রং লাল হওয়ার আগে আসর পড়ে নেয়া জরুরী। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে শুরু করে পশ্চিম আকাশের লালবর্ণ শেষ হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময়, তবে তাড়াতাড়ি মাগরিব পড়ে নেয়া উত্তম। সন্ধ্যার পর আকাশ কালো বর্ণ ধারণ করা হতে সুবহে সাদিক পর্যন্তএশার ওয়াক্ত, তবে রাত্রের প্রথম প্রহরে পড়া উত্তম।
নামাযের সময়সূচীর একটি স্থায়ী ক্যালেন্ডার সকলের সংগ্রহে থাকা উচিত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/670/37
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।