১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
কভার পেইজ থেকে
৩
ভূমিকা
৪
লেখকের কথা
৫
অবতরণিকা
৬
১. সর্বদা সদকা-খয়রাত করা মানে এ সংক্রান্ত আল্লাহর নির্দেশ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বাস্তবায়ন করা:
৭
২. আল্লাহ তা‘আলার পথে সদকা-খয়রাত করলে তা বহু গুণে পাওয়া যায়:
৮
৩. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য সদকা-খয়রাত করলে তা কখনোই বৃথা যায় না:
৯
৪. সর্বদা সদকা-খয়রাত আল্লাহ তা‘আলার সাথে এমন এক ব্যবসা যার কোনো ক্ষয়-ক্ষতি নেই:
১০
৫. কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাতকারীর কোনো ভয়-ভীতি থাকবে না:
১১
৬. আল্লাহ তা‘আলার পথে নিজের পছন্দনীয় বস্তু সদকা করা মানে সমূহ কল্যাণের নাগাল পাওয়া:
১২
৭. শুধু সদকা করার মধ্যেই নয় বরং কাউকে সদকা দেওয়ার আদেশের মধ্যেও মহা কল্যাণ এবং উত্তম প্রতিদান রয়েছে:
১৩
৮. আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত তাঁর ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার একটি বিরাট মাধ্যম এবং তা একজন আল্লাহভীরুর বিশেষ বৈশিষ্ট্যও বটে:
১৪
৯. যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত করেন তাঁরা প্রকৃত ঈমানদার:
১৫
১০. আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত সদকাকারীকে সকল প্রকারের গুনাহ্ ও পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত ও পবিত্র করে:
১৬
১১. আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত সদকাকারীর সঠিক বিচার-বুদ্ধির পরিচয় বহন করে:
১৭
১২. যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত করেন সত্যিকারার্থে তাঁরাই কুরআনুল কারীম ও আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনাবলীতে দৃঢ় বিশ্বাসী:
১৮
১৩. যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে সর্বদা সদকা-খয়রাত করেন তাঁরা সত্যিকারার্থেই বিনয়ী:
১৯
১৪. সর্বদা সদকা-খয়রাত পুণ্য তথা জান্নাতের পথ এবং কার্পণ্য অনিষ্ট তথা জাহান্নামের পথকে সহজ করে দেয়:
২০
১৫. কার্পণ্যকে ঝেড়ে-মুছে সর্বদা সদকা-খয়রাত করতে থাকা সফলতারই সোপান:
২১
১৬. আল্লাহ তা‘আলার পথে সদকা-খয়রাত তাঁর নৈকট্য লাভের বিরাট একটি মাধ্যম:
২২
১৭. আল্লাহ তা‘আলার পথে সদকা-খয়রাত জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার বিরাট একটি মাধ্যম:
২৩
১৮. সদকাকারীর জন্য প্রতিদিন একজন ফিরিশতা বরকতের দো‘আ করেন,
২৪
১৯. লুকিয়ে সদকা-খয়রাত করলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার আরশের নিচে ছায়া পাওয়া যাবে:
২৫
২০. লুকায়িত সদকা আল্লাহ তা‘আলার রাগ ও ক্রোধ নিঃশেষ করে দেয়:
২৬
২১. সদকা-খায়রাতের হাত হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ হাত:
২৭
২২. সদকা-খয়রাত রুগ্ন ব্যক্তির জন্য এক মহৌষধঃ
২৮
২৩. সদকা-খয়রাত কিয়ামতের দিন সদকাকারীকে সূর্যের ভীষণ তাপ থেকে ছায়া দিবে:
২৯
২৪. সদকা-খয়রাত সদকাকারীকে কবরের উত্তাপ থেকে রক্ষা করবে:
৩০
২৫. সদকা-খয়রাত সদকাকারীকে সমূহ বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে:
৩১
২৬. দীর্ঘস্থায়ী সদকার সাওয়াব মৃত্যুর পরেও পাওয়া যায়:
৩২
২৭. সদকা-খয়রাত হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল:
৩৩
২৮. সদকা-খায়রাতের পাল্লা হচ্ছে সবচাইতে বেশি ভারীঃ
৩৪
সদকা সম্পর্কে সালফে সালিহীনদের কিছু কথা:
৩৫
সদকা সংক্রান্ত কিছু কথা:
যে ধনী সদকা-খয়রাত করে না সে নিশ্চয় ক্ষতিগ্রস্ত:
৩৬
সময় থাকতেই সদকা করুন:
৩৭
ঈমান ও কার্পণ্য আল্লাহ তা‘আলার কোনো বান্দাহ্’র অন্তরে কখনো একত্রিত হতে পারে না:
৩৮
সম্পদের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে এমন মুহূর্তে সামান্যটুকু সদকা করলেও অনেক বেশি সাওয়াব পাওয়া যায় প্রয়োজনাতিরিক্ত অধিক সম্পদ সদকা করার চাইতে:
৩৯
আপনি নিজে সদকা দিতে সুযোগ পাচ্ছেন না; তাই অন্যকে বলে রাখবেন আপনার পক্ষ থেকে সদকা দিতে, তাতে আপনার সাওয়াবের এতটুকুও ঘাটতি হবে না:
৪০
নিজের কাছে সদকা দেওয়ার মতো কোনো কিছু না থাকলেও অন্যের সদকা বন্টনের দায়িত্ব পালন করলে তাতে সদকার সাওয়াব পাওয়া যায়:
৪১
নিজের কাছে সদকা দেওয়ার মতো কোনো কিছু না থাকলেও অন্যকে সদকা দেওয়ার পরামর্শ দিলে তাতে সদকার সাওয়াব পাওয়া যায়:
৪২
আত্মীয়-স্বজনকে সদকা-খয়রাত করলে দু’টি সাওয়াব পাওয়া যায়:
৪৩
আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যে আবার আপনার প্রতি অধিক শত্রুভাবাপন্ন তাকে সদকা-খয়রাত করা আরো বেশি সাওয়াবের কাজ:
৪৪
কোনো ব্যক্তি তার কোনো আত্মীয়-স্বজন বা মনিবের নিকট কোনো কিছু চাইলে সে যদি তাকে তা না দেয় তা হলে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জাহান্নামের একটি বিষধর সাপ নির্ধারিত করবেন যা তাকে লাগাতার দংশন করবে:
৪৫
এ পর্যন্ত কতো টাকা সদকা করেছেন অথবা এখন আপনি কতো টাকা সদকা করতে যাচ্ছেন তা হিসেব রাখা ঠিক নয়:
৪৬
যা পারেন সদকা করুন; টাকা-পয়সা সর্বদা পকেটে পুরে রাখবেন না:
৪৭
সদকা-খয়রাত শরীয়তসম্মত একটি ঈর্ষণীয় বিষয়:
৪৮
সদকা লুকিয়ে ও ডান হাতে দিতে হয়:
৪৯
কোনো কিছু আল্লাহ তা‘আলার পথে সদকা করতে মনে চাইলেই সাথে সাথে তা সদকা করুন; তাতে এতটুকুও দেরি করবেন না:
৫০
সদকাকারী ও কৃপণের একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত:
৫১
প্রত্যেক মুসলিমেরই একান্ত কর্তব্য, নিজের পক্ষ থেকে কিছু না কিছু সদকা করা তা যেভাবেই হোক না কেন; তবে সদকা দেওয়ার মতো তার কাছে কোনো কিছু না থাকলে সে যেন কোনো না কোনো ভালো কাজ করে দেয় তাও তার জন্য সদকা হয়ে যাবে:
৫২
কেউ সদকা করলে তার জন্য দো‘আ করতে হয়:
৫৩
কেউ আপনার নিকট সদকা নিতে আসলে আপনি তাকে যথাসাধ্য সন্তুষ্ট রাখতে চেষ্টা করবেন:
৫৪
যারা দুনিয়াতে অঢেল সম্পদের মালিক তারা কিয়ামতের দিন অত্যন্ত গরিব হবেন যতক্ষণ না তারা আল্লাহ তা‘আলার পথে বিপুলভাবে সদকা-খয়রাত করেন,
৫৫
একমাত্র হালাল, পবিত্র এবং উত্তম বস্তুই আল্লাহ তা‘আলার পথে সদকা করতে হয়:
৫৬
হারাম বস্তু সদকা করলে কোনো সাওয়াব পাওয়া যায় না:
৫৭
সদকা করলে মানুষ গরিব হয়ে যায় এ কথা একমাত্র শয়তানেরই প্রবঞ্চনা:
৫৮
কোনো জায়গায় সদকার আলোচনা চললে যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম সদকা করবে সে তৎপরবর্তী সকল সদকার সাওয়াব একাই পাবে:
৫৯
সদকাকারীদেরকে তিরস্কার করা মুনাফিকের আলামতঃ
৬০
কোনো জিনিস অতি সামান্য হলেও তা সদকা করতে অবহেলা করবেন না:
৬১
যে ব্যক্তি অত্যন্ত গরিব; অথচ সে এতদসত্ত্বেও কারোর কাছে কোনো কিছু চায় না তাকেই সদকা করা উচিত:
৬২
মুত্তাকি ব্যক্তিকে সদকা দেওয়া অনেক ভালো; তবে কেউ যদি অভাবে পড়ে ঈমান হারানোর ভয় থাকে তা হলে তাকেও সদকা করা প্রয়োজন:
৬৩
কৃপণতা সমূহ ধ্বংসের মূলঃ
৬৪
কোনো দুধেল পশু অথবা যা থেকে সদকা গ্রহণকারী সর্বদা বা সুদীর্ঘ কাল লাভবান হতে পারে এমন বস্তু সদকা করা বা ধার দেওয়া অত্যধিক সাওয়াবের কাজ:
৬৫
কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য সদকা করলে তা অবশ্যই তার আমলনামায় পৌঁছে:
৬৬
নিজ স্ত্রী-সন্তানের প্রয়োজনীয় খরচ চালানোর মধ্যেও সদকার সাওয়াব রয়েছে:
৬৭
কাউকে কোনো কিছু ঋণ দেওয়া মানে তাকে তা সদকা করা:
৬৮
যার খাদ্য নেই আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছে করলেই তাকে খাদ্য দিতে পারেন তা হলে আমরা কেন তাকে খাদ্য দেবো এ চিন্তা কাফিরদেরই চিন্তা:
৬৯
সময় থাকতেই সদকা-খয়রাত করুন; যাতে মৃত্যুর সময় আপসোস করে বলতে না হয়, আহ্! আর একটু সময় পেলে তো সবগুলো সম্পদ সদকা করে ফেলতাম:
৭০
যারা কুরআন-হাদীস ও মাদ্রাসা-মক্তব নিয়ে ব্যস্ত তাদেরকে যারা সদকা দিতে নিষেধ করে তারা মুনাফিক:
৭১
কৃপণতা একমাত্র মুনাফিকেরই পরিচয় এবং তারাই অন্যদেরকে আল্লাহ তা‘আলার পথে সদকা-খয়রাত করতে নিষেধ করে:
৭২
যারা আল্লাহ তা‘আলার নিকট এ মর্মে দো‘আ করছে যে, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে যথেষ্ট সম্পদ দিলে আপনার পথে তা অবশ্যই ব্যয় করবো; অথচ সম্পদ পেলে আর তাঁর পথে কিছুই ব্যয় করে না তারা খাঁটি মুনাফিক:
৭৩
সদকা দিতে গিয়ে হঠকারিতা দেখানো অথবা আক্রমণাত্মক আচরণ করা সদকা না দেওয়ারই শামিল:
৭৪
সাধারণত নিজের সচ্ছলতা বজায় রেখেই সদকা করা অধিক শ্রেয়:
৭৫
তবে কারো ঈমান সবল হলে তার সামান্য আয় থেকেও কিছু সদকা করা তার জন্য অনেক ভালোঃ
৭৬
যা সদকা-খয়রাত করা হয় তাই আসল সম্পদ:
৭৭
কারোর দেওয়া দান-সদকা ওয়ারিশি সূত্রে পুনরায় আবার তার নিকট ফেরত আসলে তা গ্রহণ করতে তার কোনো অসুবিধে নেই:
৭৮
কোনো কিছু সদকা দেওয়ার পর তা কোনোভাবেই নিজের কাছে ফেরত আনা ঠিক নয়:
৭৯
একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য সঠিক পন্থায় সদকা উসুলকারী আল্লাহ তা‘আলার পথে যুদ্ধ করার সাওয়াব পাবে যতক্ষণ না সে ঘরে ফিরে আসে:
৮০
সদকাকারীর জন্য এটা বাধ্যতামূলক নয় যে, সে যথাস্থানে গিয়ে তার সদকা পৌঁছিয়ে দিবে। বরং সদকা উসুলকারীর উচিত তার কাছে গিয়ে সদকা উসুল করা:
৮১
সদকা বা ব্যয়ের স্তরবিন্যাস:
৮২
সদকা দেওয়ার কিছু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র:
১. জনকল্যাণে পাড়ায় পাড়ায় পানি সরবরাহের জন্য পুকুর বা নলকূপ খনন করা:
৮৩
২. কাউকে কোনো দুধেল পশু ধার দেওয়া:
৮৪
৩. কোনো ঋণগ্রস্তকে তার ঋণ পরিশোধে সহযোগিতার জন্য যথাসাধ্য সদকা দেওয়া:
৮৫
৪. সুযোগ পেলেই কাউকে খানা খাওয়ানো:
৮৬
৫. মানুষের মাঝে যে কোনো ধরনের বিশুদ্ধ ধর্মীয় বই-পুস্তক, কুরআন মাজীদ, তাফসীর, সহীহ হাদীস, ওয়ায-নসীহতের বিশুদ্ধ অডিও-ভিডিও কিংবা সিডি ক্যাসেট ও লিফলেট ইত্যাদি বিতরণ করা:
৮৭
৬. কুরআন মাজীদ, তাফসীর, সহীহ হাদীস কিংবা যে কোনো বিশুদ্ধ ধর্মীয় বই-পুস্তক, লিফলেট, দেওয়ালিকা ইত্যাদি মানুষের মাঝে ফ্রি বিতরণের জন্য দেশে দেশে অত্যাধুনিক প্রিন্টিং প্রেস অথবা আধুনিক রুচি ও উচ্চ মানসম্পন্ন ইসলামী পুস্তক প্রকাশনী প্রতিষ্ঠা করা:
৮৮
৭. জায়গায় জায়গায় মসজিদ-মাদ্রাসা ও ধর্মীয় সেন্টার প্রতিষ্ঠা করাঃ
৮৯
৮. সর্ব সাধারণের জ্ঞান আহরণের সুবিধার জন্য জায়গায় জায়গায় পাঠাগার বা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা:
৯০
৯. মানুষের সুবিধার জন্য জায়গায় জায়গায় ফলদার বৃক্ষ রোপণ করা:
৯১
১০. মুসাফিরদের রাত্রি যাপনের সুবিধার জন্য ট্রেন বা বাস স্টেশনগুলোর আশে-পাশে খাবারের ব্যবস্থাসহ সম্পূর্ণ আবাসিক হোটেল তৈরি করাঃ
৯২
১১. কোনো এতিমের ভরণপোষণের দায়িত্বভার গ্রহণ করাঃ
৯৩
১২. বিধবা ও মিসকীনের ভরণপোষণের দায়িত্বভার গ্রহণ করা:
৯৪
১৩. যে কোনো সাওমদারকে ইফতার করানো:
৯৫
পূর্ব যুগের নিষ্ঠাবান সদকাকারীদের কিছু ঘটনা: