মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“নিশ্চয় আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে, সে নৌকায় যা সমুদ্রে মানুষের জন্য কল্যাণকর বস্তু নিয়ে চলে এবং আসমান থেকে আল্লাহ যে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন অতঃপর তার মাধ্যমে মরে যাওয়ার পর জমিনকে জীবিত করেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল প্রকার বিচরণশীল প্রাণী ও বাতাসের পরিবর্তনে এবং আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে নিয়োজিত মেঘমালায় রয়েছে নিদর্শনসমূহ এমন কওমের জন্য, যারা বিবেকবান”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৬৪]
‘‘আপনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন। আর যাকে চান বিনা হিসাবে রিযিক দান করেন’’। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ২৭]
“নিশ্চয় আল্লাহ বীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী। তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বেরকারী। তিনিই আল্লাহ, সুতরাং (সৎপথ থেকে) কোথায় তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে? (তিনি) প্রভাত উদ্ভাসক। তিনি বানিয়েছেন রাতকে প্রশান্তি এবং সূর্য ও চন্দ্রকে সময় নিরূপক। এটা সর্বজ্ঞ পরাক্রমশালীর নির্ধারণ। আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য তারকারাজি, যাতে তোমরা এ দ্বারা পথপ্রাপ্ত হও স্থল ও সমুদ্রের অন্ধকারে। অবশ্যই আমি আয়াতসমূহকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি এমন কওমের জন্য যারা জানে। আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এক নফস থেকে। অতঃপর রয়েছে আবাসস্থল ও সমাধিস্থল। অবশ্যই আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, এমন কওমের জন্য যারা ভালভাবে বুঝে। আর তিনিই আসমান থেকে বর্ষণ করেছেন বৃষ্টি। অতঃপর আমি এ দ্বারা উৎপন্ন করেছি সব জাতের উদ্ভিদ। অতঃপর আমি তা থেকে বের করেছি সবুজ ডাল-পালা। আমি তা থেকে বের করি ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা। আর খেজুর বৃক্ষের মাথি থেকে (বের করি) ঝুলন্ত থোকা। আর (উৎপন্ন করি) আঙ্গুরের বাগান এবং সাদৃশ্যপূর্ণ ও সাদৃশ্যহীন যয়তুন ও আনার। দেখ তার ফলের দিকে, যখন সে ফলবান হয় এবং তার পাকার প্রতি। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য যারা ঈমান আনে”। [সূরা আন‘আম, আয়াত: ৯৫, ৯৯]
“আল্লাহ, যিনি খুঁটি ছাড়া আসমানসমূহ উঁচু করেছেন যা তোমরা দেখছ। অতঃপর তিনি আরশের ঊর্ধ্বে অবস্থিত হয়েছেন এবং সূর্য ও চাঁদকে নিয়োজিত করেছেন। এর প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে। তিনি সবকিছু পরিচালনা করেন। আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করেন, যাতে তোমাদের রবের সাক্ষাতের ব্যাপারে তোমরা দৃঢ়বিশ্বাসী হতে পার। আর তিনিই জমিনকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে সুদৃঢ় পর্বতমালা ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন। আর সকল প্রকারের ফল তিনি জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয় যে কওম চিন্তাভাবনা করে তাদের জন্য এতে নিদর্শনাবলি রয়েছে। আর জমিনে আছে পরস্পর পাশাপাশি ভূখণ্ড, আঙ্গুর-বাগান, শস্যক্ষেত, খেজুর গাছ, যেগুলোর মধ্যে কিছু একই মূল থেকে উদগত আর কিছু ভিন্ন ভিন্ন মূল থেকে উদগত, যেগুলো একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়, আর আমি খাওয়ার ক্ষেত্রে একটিকে অপরটির তুলনায় উৎকৃষ্ট করে দেই, এতে নিদর্শন রয়েছে ঐ কওমের জন্য যারা বুঝে”। [সূরা আর-রা‘আদ, আয়াত: ২, ৪]
“তিনি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথ ভাবে, তারা যা শরীক করে, তা থেকে তিনি ঊর্ধ্বে। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ‘নুতফা’ [‘নুতফা’ হচ্ছে নারী ও পুরুষের যৌথ বীর্য, যা ভ্রুণে পরিণত হয়।] থেকে, অথচ সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী। আর চতুষ্পদ জন্তুগুলো তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন তাতে রয়েছে উষ্ণতার উপকরণ ও বিবিধ উপকার। আর তা থেকে তোমরা আহার গ্রহণ কর। আর তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে সৌন্দর্য যখন সন্ধ্যায় তা ফিয়য়ে আন এবং সকালে চারণে নিয়ে যাও। আর এগুলো তোমাদের বোঝা বহন করে এমন দেশে নিয়ে যায়, ভীষণ কষ্ট ছাড়া যেখানে তোমরা পৌঁছতে সক্ষম হতে না। নিশ্চয় তোমাদের রব দয়াশীল, পরম দয়ালু। আর (তিনি সৃষ্টি করেছেন) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, তোমাদের আরোহণ ও শোভার জন্য এবং তিনি সৃষ্টি করবেন এমন কিছু, যা তোমরা জান না। আর সঠিক পথ বাতলে দেওয়া আল্লাহর দায়িত্ব, এবং পথের মধ্যে কিছু আছে বক্র। আর তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তবে তোমাদের সকলকে হিদায়াত করতেন। তিনিই সে সত্তা, যিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, যাতে রয়েছে তোমাদের জন্য পানীয় এবং তা থেকে হয় উদ্ভিত, যাতে তোমরা জন্তু চরাও। তার মাধ্যমে তিনি তোমাদের জন্য উৎপন্ন করেন ফসল, যাইতুন, খেজুর গাছ, আঙ্গুর এবং সকল ফল-ফলাদি। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। আর তিনি তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন রাত ও দিনকে এবং সূর্য ও চাঁদকে এবং তারকাসমূহও তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। নিশ্চয় এতে অনেক নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য যারা বুঝে। আর তিনি তোমাদের জন্য জমিনে যা সৃষ্টি করেছেন, বিচিত্র রঙের করে, নিশ্চয় তাতেও নিদর্শন রয়েছে এমন কওমের জন্য, যারা উপদেশ গ্রহণ করে। আর তিনিই সে সত্তা, যিনি সমুদ্রকে নিয়োজিত করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা (মাছের) গোশত খেতে পার এবং তা থেকে বের করতে পার অলংকারাদি, যা তোমরা পরিধান কর। আর তুমি তাতে নৌযান দেখবে তা পানি চিরে চলছে এবং যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পার এবং যাতে তোমরা শোকরিয়া আদায় কর। আর জমিনে তিনি স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পর্বতমালা, যাতে তোমাদের নিয়ে জমিন হেলে না যায় এবং নদ-নদী ও পথসমূহ, যাতে তোমরা পথপ্রাপ্ত হও। আর (দিনের) পথ-নির্দেশক চিহ্নসমূহ, আর (রাতে) তারকার মাধ্যমে তারা পথ পায়। সুতরাং যে সত্তা সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি কি সেই বস্তুর মত, যে বস্তু কিছু সৃষ্টি করতে পারে না? অতএব তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না? আর যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, তবে তার ইয়ত্তা পাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩ - ১৮]
“আর অবশ্যই আমি মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর আমি তাকে শুক্ররূপে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি। তারপর শুক্রকে আমি ‘আলাকায় পরিণত করি। তারপর ‘আলাকাকে গোশতপিণ্ডে পরিণত করি। তারপর গোশতপিণ্ডকে হাড়ে পরিণত করি। তারপর হাড়কে গোশ্ত দিয়ে আবৃত করি। অতঃপর তাকে অন্য এক সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি। অতএব, সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ মহা কল্যাণদায়ক। এরপর অবশ্যই তোমরা মরবে। তারপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পুনরুত্থিত হবে। আর অবশ্যই আমি তোমাদের উপর সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি। আর আমি সৃষ্টি সম্পর্কে উদাসীন ছিলাম না। আর আমি আকাশ থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর আমি তা জমিনে সংরক্ষণ করেছি। আর অবশ্যই আমি সেটাকে অপসারণ করতেও সক্ষম। তারপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগানসমূহ সৃষ্টি করেছি। তাতে তোমাদের জন্য প্রচুর ফল থাকে। আর তা থেকেই তোমরা খাও। আর এক বৃক্ষ যা সিনাই পাহাড় হতে উদ্গত হয়, যা আহারকারীদের জন্য তেল ও তরকারী উৎপন্ন করে। আর নিশ্চয় গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। তাদের পেটে যা আছে তা থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই। আর এতে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এবং তা থেকে তোমরা খাও। আর এসবদ পশু ও নৌকায় তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়”। [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ১২ - ২২]
“তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ মেঘমালাকে পরিচালিত করেন, তারপর তিনি সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, তারপর সেগুলো স্তুপীকৃত করেন, তারপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে বৃষ্টির বের হয়। আর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন। তারপর তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন। আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে দেন। এর বিদ্যুতের ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়। আল্লাহ দিন ও রাতের আবর্তন ঘটান, নিশ্চয়ই এতে অন্তরদৃষ্টিসম্পন্নদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। আর আল্লাহ প্রত্যেক জীবকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাদের কোনটি পেটে ভর দিয়ে চলে, কোনটি চলে দু’পায়ের উপর, আবার কোনটি চার পায়ের উপর চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৪৩-৪৫]
“তুমি কি দেখ নি! কীভাবে তোমার প্রতিপালক ছায়াকে প্রসারিত করেছেন, আর তিনি যদি চাইতেন, তাহলে তাকে অবশ্যই স্থির করে দিতে পারতেন। আর আমি সূর্যকে ছায়া সৃষ্টি হওয়ার নিদর্শন বানিয়ে দিয়েছি। তারপর আমি এই ছায়াকে ধীরে ধীরে আমার ইচ্ছাক্রমে গুটিয়ে আনি। আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময়। আর তিনিই তাঁর রহমতের প্রাক্কালে সুসংবাদস্বরূপ বায়ু পাঠিয়েছেন এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্র পানি বর্ষণ করেছি, মৃত ভূ-খণ্ডকে জীবিত করার জন্য এবং আমি যে সকল জীবজন্তু ও মানুষ সৃষ্টি করেছি, তার মধ্য থেকে অনেককে তা পান করাই। আর আমি তা তাদের মধ্যে বণ্টন করি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে; তারপর অধিকাংশ লোক শুধু অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে। আর আমি ইচ্ছা করলে প্রতিটি জনপদে একজন সতর্ককারী পাঠাতাম। সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না এবং তুমি কুরআনের দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম কর। আর তিনিই দু’টো সাগরকে একসাথে প্রবাহিত করেছেন। একটি সুপেয় সুস্বাদু, অপরটি লবণাক্ত ক্ষারবিশিষ্ট এবং তিনি এতদোভয়ের মাঝখানে একটি অন্তরায় ও একটি অনতিক্রম্য সীমানা স্থাপন করেছেন। আর তিনিই বীর্য দ্বারা মানুষ সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কযুক্ত করেছেন। আর তোমার রব হলো প্রভূত ক্ষমতাবান”। [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৪৫-৫৪]
“অতএব তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর, যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে এবং সকালে উঠবে। আর অপরাহ্নে ও জোহরের সময়ে; আর আসমান ও জমিনে সকল প্রশংসা একমাত্র তাঁরই। তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন এবং জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন। আর তিনি জমিনকে জীবিত করেন তার মৃত্যুর পর। আর এভাবেই তোমরা উত্থিত হবে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে এই বিষয়টি রয়েছে যে, তিনি তোমাদের পিতা আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমরা মানুষ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছ। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে এই বিষয়টিও রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্যে থেকেই তোমাদের স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও তোমাদের বর্ণের ভিন্নতা। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তাঁর অনুগ্রহ থেকে তোমাদের (জীবিকা) অন্বেষণ। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য যারা শোনে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে এই বিষয়টিও রয়েছে যে, তিনি তোমাদেরকে ভয় ও ভরসাস্বরূপ বিদ্যুৎ দেখান, আর আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা জমিনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য যারা অনুধাবন করে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তাঁরই নির্দেশে আসমান ও জমিন স্থিতিশীল থাকে। তারপর তিনি যখন তোমাদেরকে জমিন থেকে বের হয়ে আসার জন্য একবার আহ্বান করবেন তখনই তোমরা বের হয়ে আসবে। আর আসমানসমূহ ও জমিনে যা কিছু আছে সব তাঁরই। সব কিছুই তাঁর অনুগত। আর তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন তারপর তিনিই এর পুনরাবৃত্তি করবেন। আর এটা তো তাঁর জন্য অধিকদতর সহজ। আসমান ও জমিনে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [সূরা আর-রূম, আয়াত: ১৭-২৭]
“পরম করুণাময়, তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা। সূর্য ও চাঁদ তাদের নির্ধারিত স্থানে চলে, আর লতা ও বৃক্ষ উদ্ভিদ আল্লাহর বশ্যতা স্বীকার করে। আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন। যাতে তোমরা দাঁড়িপাল্লায় সীমালঙ্ঘন না কর। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে ওজন প্রতিষ্ঠা কর এবং ওজনকৃত বস্তু কম দিও না। আর জমিনকে বিছিয়ে দিয়েছেন সৃষ্টজীবের জন্য। তাতে রয়েছে ফলমূল ও খেজুরগাছ, যার খেজুর আবরণযুক্ত। আর আছে খোসাযুক্ত দানা ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নেয়ামতকে তোমরা উভয়ে [‘উভয়ে’ দ্বারা জিন্ন ও মানুষকে বুঝানো হয়েছে।] অস্বীকার করবে? তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুষ্ক ঠনঠনে মাটি থেকে যা পোড়া মাটির ন্যায়। আর তিনি জিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নেয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? তিনি দুই পূর্ব ও দুই পশ্চিমের [দুই পূর্ব বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের উদয়স্থল এবং দুই পশ্চিম বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের অস্তস্থলকে বুঝানো হয়েছে।] রব। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নেয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মধ্যে রয়েছে এক আড়াল যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। সুতরাং তোমাদের রবের কোন নেয়ামতকে দতোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মণিমুক্তা ও প্রবাল। সুতরাং, তোমাদের রবের কোন্ নেয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? আর সমুদ্রে চলমান পাহাড়সম জাহাজসমূহ তাঁরই। সুতরাং তোমাদের রবের কোন নেয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে?। [সূরা আর-রহমান, আয়াত: ১-২৫]
“আমি কি বানাই নি জমিনকে বিছানা? আর পর্বতসমূহকে পেরেক? আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়। আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি বিশ্রাম। আর আমি রাতকে করেছি আবরণ। আর আমি দিনকে করেছি জীবিকার্জনের সময়। আর আমি তোমাদের উপরে বানিয়েছি সাতটি সুদৃঢ় আকাশ। আর আমি সৃষ্টি করেছি উজ্জ্বল একটি প্রদীপ সূর্য। আর আমি মেঘমালা থেকে প্রচুর পানি বর্ষণ করেছি। যাতে তা দিয়ে আমি শস্য ও উদ্ভিদ উৎপন্ন করতে পারি। আর ঘন উদ্যানসমূহ”। [সূরা আন-নাবা, আয়াত: ৬ - ১৬]
“তোমাদেরকে সৃষ্টি করা অধিক কঠিন, না আসমান সৃষ্টি করা? তিনি তা বানিয়েছেন। তিনি এর ছাদকে উচ্চ করেছেন এবং তাকে সুসম্পন্ন করেছেন। আর তিনি এর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং এর দিনকে আলোকিত করেছেন। এরপর তিনি জমিনকে বিস্তীর্ণ করেছেন। তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি। আর পর্বতগুলোকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন”। [সূরা আন-নাযি‘আত, আয়াত: ২৬ - ৩২]
“কাজেই মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক। নিশ্চয় আমি প্রচুর পরিমাণে পানি বর্ষণ করি। তারপর জমিনকে যথাযথভাবে বিদীর্ণ করি। অতঃপর তাতে আমি উৎপন্ন করি শস্য, আঙ্গুর ও শাক-সবজি, যায়তূন ও খেজুর বন, ঘনবৃক্ষ শোভিত বাগ-বাগিচা, আর ফল ও তৃণগুল্ম। তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণস্বরূপ”। [সূরা আবাসা, আয়াত: ২৪ - ৩২]
সাধারণত পৃথিবীতে বসবাসকারী সমস্ত লোক সামগ্রিকভাবে আল্লাহর প্রভুত্ব, কর্তৃত্ব এবং আধিপত্য বা রবুবিয়্যাতকে স্বীকার করে। তারা এ কথা স্বীকার করে যে, আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ মালিক এবং আল্লাহই সবকিছুর পরিচালক। এমনকি মক্কার মুশরিকরাও এ কথা স্বীকার করত। মহান আল্লাহ তাদের এ স্বীকার করাকে কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় তুলে ধরেছেন। যেমন, মহান আল্লাহ বলেন:
“বল, ‘এ জমিন ও এতে যারা আছে তারা কার যদি তোমরা এর সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে জ্ঞান কোনো রাখ? অচিরেই তারা বলবে, ‘আল্লাহর’। বল, ‘তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’ বল, ‘কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব’? তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কি তোমরা আল্লাহর শাস্তি হতে সতর্ক হবে না? বল, ‘তিনি কে যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁর উপর কোন আশ্রয়দাতা নেই?’ যদি তোমরা জানতে। তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কীভাবে তোমরা বিভ্রান্ত হচ্ছ?’’। [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৮৪ - ৮৯]
“আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর যে, আসমানসমূহ ও জমিনকে কে সৃষ্টি করেছেন? তারা অবশ্যই বলবে, মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহই কেবল এগুলো সৃষ্টি করেছেন”। [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৯]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/30/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।