মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এ কারণেই দেখা যায়, বর্তমান ও পূর্বের যুগে কতক নাস্তিক ছাড়া আদম সন্তানের কেউ আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে নি। শুধুমাত্র কয়েক শ্রেণির নাস্তিক ও দাম্ভিক লোকরাই আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করার দুঃসাহস প্রদর্শন করে থাকে। তারা হলো:
এক. বস্তুবাদী (তথা কালচক্রে বিশ্বাসী):
যাদের মতবাদ ও দর্শন সম্পর্কে মহান আল্লাহ কুরআনের কারীমে বলেন:
“আর তারা বলে, ‘দুনিয়ার জীবনই আমাদের একমাত্র জীবন। আমরা মরি ও বাঁচি এখানেই। আর কাল-ই কেবল আমাদেরকে ধ্বংস করে।’ বস্তুতঃ এ বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তারা শুধু ধারণাই করে”। [সূরা আল-জাসিয়াহ, আয়াত: ২৪]
তারা মনে করে পৃথিবী এমনিতেই গতানুগতিক নিজস্ব গতিতে কোনো পরিচালক ছাড়াই চলছে। পৃথিবী সর্বদা ছিল এবং সব সময় থাকবে। তারা বলে পেটসমূহ ঠেলে দেওয়া হবে আর মাটি তা গিলে ফেলবে। আর কালই শুধু আমাদের ধ্বংস করে। এভাবে তারা সৃষ্টিকে স্রষ্টা শুন্য মনে করে। মহান আল্লাহ তাদের দাবীকে এ বলে প্রত্যাখ্যান করেন যে, وَمَا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنۡ عِلۡمٍ “বস্তুতঃ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই”। অর্থাৎ তাদের নিকট তাদের মতবাদের পক্ষে যৌক্তিক, বর্ণভিত্তিক, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও প্রকৃতিগত কোনো প্রমাণ নেই। তারা শুধু ধারণাপ্রসূত ও অলিক চিন্তার অধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন: إِنۡ هُمۡ إِلَّا يَظُنُّونَ “তারা শুধু ধারণাই করে”।
দুই. প্রকৃতিবাদী:
যারা বলে, জগতটি প্রকৃতিরই সৃষ্টি। অর্থাৎ গাছ-পালা, তরু-লতা, জীব-জন্তু, জীব ও জড় যতকিছুই আমরা দুনিয়াতে দেখি না কেন, তা সবই নিজে নিজে নড়-চড় করে এবং নিজে নিজে অস্তিত্বে এসেছে। এদের কোনো স্রষ্টা বা পরিচালক নেই। বস্তুত এদের দাবি সম্পূর্ণ অবান্তর এবং এদের কথার উত্তর একেবারেই স্পষ্ট। কারণ, একই বস্তু একই মুহূর্তে স্রষ্টা ও সৃষ্টি উভয় হওয়া একেবারেই অসম্ভব ও অবাস্তব। মহান আল্লাহ বলেন:
“তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারাই স্রষ্টা”?। [সূরা আত-তূরা, আয়াত: ৩৪]
তারা যে প্রকৃতিকে স্রষ্টা বলে দাবি করছে তা মূলত: প্রাণহীন জড় পদার্থ, স্থবির নড়-চড় করতে পারে না, বধির শুনতে পায় না, অন্ধ দেখতে পায় না, তার কোনো অনুভুতি নাই। যার নিজের কোনো জীবন নেই সে কীভাবে এমন একটি জীবন্ত বস্তু সৃষ্টি করবে, যে শুনবে, দেখবে, কথা বলবে, ব্যাথা অনুভব করবে? কোনো বস্তু তার নিজের মধ্যে যা নেই তা সে অন্যকে কখনোই দিতে পারে না।
তিন. আকস্মিকতাবাদী:
তারা বলে এ জগত হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ দুনিয়াতে যা কিছু দেখা যায় তার সবই একই মুহূর্তে সৃষ্টি এবং একই মুহূর্তে তাদের জীবন লাভ, বড় হওয়া ও পূর্ণাঙ্গতা লাভ করা। বিভিন্ন ধরণের মাখলুক যা আমরা দুনিয়াতে দেখতে পাই, পূর্ব কোনো পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত ও চিন্তা ছাড়াই সৃষ্টি হয়ে গেছে! বস্তুত তাদের এ দাবি সম্পর্কে চিন্তা করাটাই তাদের দাবিটি অমূলক, বাতিল, অযৌক্তিক ও ভ্রান্ত প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। কারণ, বাস্তবে সৃষ্টির মধ্যে সূক্ষ্ম কারিগরি, অভিনব ধরণ-পদ্ধতি, চিরন্তন নিয়মতান্ত্রিকতা, সৃষ্টির ভারসাম্যতা, ক্রমাগত বর্ধন ও পরিবর্তন আকস্মিক সৃষ্টি হওয়ার দাবিকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। মহান আল্লাহ বলেন:
“তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ জমিন সৃষ্টি করেছেন; এগুলির মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয় যেন তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞান তো সব কিছুকে বেষ্টন করে আছে”। [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ১২]
চার. কমুনিস্ট বা তথাকথিত সাম্যবাদের প্রবক্তা:
তারা বলে ইলাহ বলতে কোনো কিছুই নেই। জীবন হচ্ছে বস্তুবাদের নাম।
পাঁচ. ইতিহাস পরম্পরায় আগত মুষ্টিমেয় কয়েকজন ক্ষমতাধর:
যেমন, ফির‘আউন, যে বলেছে,
﴿وَمَا رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢٣ ﴾ [ الشعراء : ٢٣ ]
“রাব্বুল আলামীন আবার কি?” [সূরা আশ-শু‘আরা:২৩]
অনুরূপ নামরুদ -তার সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন:
“তুমি কি সে ব্যক্তিকে দেখ নি, যে ইবরাহীমের সাথে তার রবের ব্যাপারে বিতর্ক করেছে যে, আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছেন? যখন ইবরাহীম বলল, ‘আমার রব তিনিই’ যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমিই জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহীম বলল, নিশ্চয় আল্লাহ পূর্বদিক থেকে সূর্য আনেন। অতএব, তুমি তা পশ্চিম দিক থেকে আন। ফলে কাফির ব্যক্তি হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৮]
বস্তুত এরা সবাই স্ববিরোধিতায় লিপ্ত এবং স্বভাবজাত বিষয়কে অস্বিকারকারী। যেমন, মহান আল্লাহ তাদের বিপক্ষে স্বীয় বাণী দ্বারা সাক্ষ্য প্রদান করে বলেন:
“আর তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করল। অথচ তাদের অন্তর তা নিশ্চিত বিশ্বাস করেছিল। অতএব দেখ, ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল”। [সূরা আন-নামল, আয়াত: ১৪]
এ কারণেই তাদের কোনো দাবী প্রতিষ্ঠিত হয় নি আর তাদের কারও অস্তিত্বও টিকে থাকে নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/30/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।