মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এ কথার দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা যে, মহান আল্লাহ মানুষের হিদায়েতের জন্য তার নাবীদের উপর সত্যের পয়গাম সম্বলিত কিতাবসমূহ নাযিল করেছেন, যা তাদের প্রতি অনুগ্রহ, তাদের জন্য উপদেশ, তাদের উপর দলীল স্বরূপ এবং তাতে তাদের জন্য রয়েছে প্রতিটি বস্তুর বর্ণনা। কিতাবসমূহের উপর ঈমান স্থাপন করা কয়েকটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে:
প্রথমত: যে সব কিতাবসমূহের নাম আমরা জানতে পেরেছি তার প্রতি সু-নির্দিষ্টভাবে ঈমান স্থাপন করা। আর যে সব কিতাবসমূহের নাম আমরা জানতে পারি নি, সে সব কিতাবসমূহের প্রতি সামগ্রিকভাবে ঈমান স্থাপন করা।
মহান কিতাব তিনটি:
এক. তাওরাত: মহান আল্লাহ মূসা আলাহিস সালামের উপর তাওরাত নাযিল করেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“তিনি বললেন, ‘হে মূসা, আমি আমার রিসালাত ও বাক্যালাপ দ্বারা তোমাকে মানুষের উপর বেছে নিয়েছি। সুতরাং যা কিছু আমি তোমাকে প্রদান করলাম তা গ্রহণ কর এবং শোকর আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।’ আর আমি তার জন্য ফলকসমূহে লিখে দিয়েছি প্রত্যেক বিষয়ের উপদেশ এবং প্রত্যেক বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা। সুতরাং তা শক্ত করে ধর এবং তোমার কওমকে নির্দেশ দাও, যেন তারা গ্রহণ করে এর উত্তম বিষয়গুলো। আমি অচিরেই তোমাদেরকে দেখাব ফাসিকদের আবাস”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৪৩, ১৪৪]
“নিশ্চয় আমি তাওরাত নাযিল করেছি, তাতে ছিল হিদায়াত ও আলো, এর মাধ্যমে ইয়াহূদীদের জন্য ফয়সালা প্রদান করত অনুগত নাবীগণ এবং সৎকর্মপরায়ণ ও ধর্মবিদগণ। কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল এবং তারা ছিল এর উপর সাক্ষী”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৪]
দুই. ইঞ্জিল: মহান আল্লাহ ঈসা আলাইহিস সালামের উপর নাযিল করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“আর আমি তাদের পেছনে মারইয়াম পুত্র ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্মুখে বিদ্যমান তাওরাতের সত্যায়নকারীরূপে এবং তাকে দিয়েছিলাম ইঞ্জিল”। [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ২৭]
“এবং আমি তাকে দিয়েছিলাম ইঞ্জিল, এতে ছিল হিদায়াত ও আলো এবং (তা ছিল) তার সম্মুখে অবশিষ্ট তাওরাতের সত্যায়নকারী, হিদায়াত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশস্বরূপ”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৬]
তিন. কুরআন: মহান আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয় এটা আছে পূর্ববর্তী সহীফাসমূহে। ইবরাহীম ও মূসার সহীফাসমূহে”। [সূরা আল-আ‘লা, আয়াত: ১৮, ১৯]
দ্বিতীয়ত: কিতাবসমূহের যে সব বিধান বিকৃত হয়নি তা বিশ্বাস স্থাপন করা: মহান আল্লাহ সংবাদ দেন যে, বানী ইসরাঈলদের উপর নাযিলকৃত কিতাবসমূহে শাব্দিক ও অর্থগত উভয় প্রকার বিকৃতি প্রবেশ কা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন:
“তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা নিজদের জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে কিতাব পাঠ করে, যাতে তোমরা সেটা কিতাবের অংশ মনে কর, অথচ সেটি কিতাবের অংশ নয়। তারা বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, অথচ তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। আর তারা আল্লাহর উপর মিথ্যা বলে, অথচ তারা জানে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৭৮]
পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ নিজেই মহা গ্রন্থ আল-কুরআনকে হিফাযত করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“আর এটি নিশ্চয় এক সম্মানিত গ্রন্থ। বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না, না সামনে থেকে, না পিছন থেকে। এটি প্রজ্ঞাময়, সপ্রশংসিতের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত”। [সূরা আল-ফুসসিলাত, আয়াত: ৪১, ৪২]
এ কথার ভিত্তিতে মনে রাখতে হবে, আহলে কিতাবদের কিতাবসমূহে উল্লিখিত কিচ্ছা ও সংবাদসমূহ যেগুলোকে পরিভাষায় ঈসরাইলী বর্ণনা বলা হয়, সেগুলো তিন অবস্থা থেকে মুক্ত নয়:
এক: কুরআনে যা রয়েছে তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে: তখন আমরা আমাদের কিতাব কুরআনে তার সাক্ষ্য ও সমর্থন পাওয়ার কারণে এগুলোকে শুদ্ধ বলে বিশ্বাস করব। যেমন, কিয়ামতের আলোচনা, ফির‘আউন সম্প্রদায়ের লোকদের ডুবে যাওয়া এবং ঈসা আলাইহিস সালামের নিদর্শনসমূহ।
দুই: কুরআনে যা রয়েছে তার বিরোধী হবে। তখন আমরা এগুলোকে বাতিল বলে বিশ্বাস করব। এ গুলো তারা আবিষ্কার ও নিজ হাতে লিপিবদ্ধ করেছে এবং তারা মুখ দ্বারা প্রচার করেছে মাত্র। যেমন, তারা বলে লূত আলাইহিস সালাম মদ পান করেছেন এবং তার নিজ কন্যাদ্বয়ের সাথে ব্যভিচার করেছেন। (না‘উযুবিল্লাহ) আল্লাহ তাকে সম্মানিত করুন। অনুরূপ ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে তাদের দাবি হলো, তিনি হয় আল্লাহ অথবা আল্লাহর বেটা অথবা তিনজনের একজন। তাদের কথা থেকে মহান আল্লাহ অনেক ঊর্ধ্বে।
তিন: কুরআনের বিরোধীও নয় আবার সামঞ্জস্যপূর্ণও নয় এমন বর্ণনাসমূহ। এ বিষয়গুলোকে আমরা বিশ্বাসও করবো না আবার বাতিলও বলবো না। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«إذا حدثكم أهل الكتاب فلا تصدقوهم، ولا تكذبوهم، وقولوا : آمنا بالله، وكتبه، ورسله . فإن كان حقاً لم تكذبوهم وإن كان باطلاً لم تصدقوهم»
“যখন তোমাদের নিকট আহলে কিতাবগণ হাদীস বর্ণনা করবে, তখন তোমরা তা বিশ্বাস করবে না এবং মিথ্যাও বলবে না। আর তোমরা বলবে, আমরা আল্লাহ, তার কিতাবসমূহ এবং তার রাসূলদের প্রতি ঈমান স্থাপন করেছি। যদি (তাদের বর্ণনা করা বিষয়সমূহ) সত্য হয় তাহলে তোমরা তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করবে না। আর যদি বাতিল হয়, তাহলে তোমরা তা বিশ্বাস করবে না”। [আহমদ, হাদীস নং ১৭২২৫; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৬৪৪]
তবে তাদের থেকে কোনো কিছু বর্ণনা করা বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«وحدثوا عن بني إسرائيل، ولا حرج» .
“তোমরা বানী ইসরাঈলদের থেকে বর্ণনা কর তাতে কোনো অসুবিধা নেই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৪৬১]
কিতাবের উপর ঈমানের জন্য আরও জরুরী হচ্ছে:
তৃতীয়ত: কুরআনের শরী‘আত অনুযায়ী ফায়সালা প্রদান: কারণ, মহান আল্লাহ প্রবিত্র ও মহা গ্রন্থ আল-কুরআনকে পূর্বের কিতাবসমূহের উপর কর্তৃত্বদানকারী, ফায়সালাকারী, আমানতদার, তত্বাবধায়ক ও সাক্ষ্যদানকারী হিসেবে নাযিল করেছেন। যাবতীয় কল্যাণ কুরআনেই নিহিত। আর পূর্বের কিতাবসমূহের কতক বিধানকে রহিত করেছেন। ফলে কুরআনের বিধান ছাড়া অন্য কোনো বিধানের অনুসরণ করা বৈধ নয়। মহান আল্লাহ তাওরাত ও ইঞ্জীলের আলোচনা করার পর বলেন:
“আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমরা নির্ধারণ করেছি শরী‘আত ও স্পষ্ট পন্থা এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদেরকে এক উম্মত বানাতেন; কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং তোমরা ভাল কাজে প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহরই দিকে তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৮]
“নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষের মধ্যে ফয়সালা কর সে অনুযায়ী যা আল্লাহ তোমাকে দেখিয়েছেন। আর তুমি খিয়ানতকারীদের পক্ষে বিতর্ককারী হয়ো না”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১০৫ ]
চতুর্থত: পরিপূর্ণ কিতাবের উপর ঈমান স্থাপন করা এবং কিতাবের কোনো অংশকে বাদ না দেওয়া: মহান আল্লাহ বলেন:
“তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৮৫]
“শোন, তোমরাই তো তাদেরকে ভালোবাস এবং তারা তোমাদেরকে ভালোবাসে না। অথচ তোমরা সব কিতাবের প্রতি ঈমান রাখ”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১৯]
পঞ্চমত: কুরআনের কোনো অংশকে গোপন করা, তাতে কোনো প্রকার বিকৃতি করা, কুরআন বিষয়ে বিবাদ করা এবং আল্লাহর কিতাবের একটি অংশ দ্বারা অপর অংশকে অকার্যকর সাব্যস্ত করাকে হারাম বলে বিশ্বাস স্থাপন করা:
“আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ কিতাবপ্রাপ্তদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, ‘অবশ্যই তোমরা তা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে বর্ণনা করবে এবং তা গোপন করবে না’। কিন্তু তারা তা তাদের পেছনে ফেলে দেয় এবং তা বিক্রি করে তুচ্ছ মূল্যে। অতএব তারা যা ক্রয় করে, তা কতইনা মন্দ!”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৭]
“নিশ্চয় যারা গোপন করে যে কিতাব আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং এর বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহণ করে, তারা শুধু আগুনই তাদের উদরে পুরে। আর আল্লাহ কিয়ামতের দিনে তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। তারাই হিদায়াতের পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা এবং মাগফিরাতের পরিবর্তে আযাব ক্রয় করেছে। জাহান্নামের আগুনের সামনে তারা কত বড় দুঃসাহসিক! তা এ কারণে যে, আল্লাহ যথার্থরূপে কিতাব নাযিল করেছেন। আর নিশ্চয় যারা কিতাবে মতবিরোধ করেছে, তারা অবশ্যই সুদূর মতানৈক্যে রয়েছে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৭৪, ১৭৬]
“সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৭৯]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«لا تضربوا كتاب الله بعضه ببعض، فإنه ما ضل قوم قط إلا أوتوا الجدل» .
“তোমরা আল্লাহর কিতাবের কিছু অংশকে কিছু অংশ দ্বারা আঘাত করবে না। যখনই কোনো জাতি বিবাদে লিপ্ত হয়েছে তখনই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে”। [তাফসীরে তাবারী]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/30/22
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।