hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও হাদীসের আলোকে সহজ আকীদা

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন আব্দুর রহমান আল-কাযী

১৫
শির্ক করার পরিণতি
শির্কের ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতার কারণে মহান আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে শির্কের কিছু বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছেন: যেমন,

এক- ক্ষমা না করা। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفۡتَرَىٰٓ إِثۡمًا عَظِيمًا ٤٨﴾ [ النساء : ٤٨ ]

“নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪৮]

দুই- জান্নাতকে হারাম করেছেন এবং জাহান্নামে চিরদিন থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ ٧٢﴾ [ المائ‍دة : ٧٢ ]

“নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই”। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭২]

তিন- সমস্ত আমল নষ্ট হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿وَلَقَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٦٥﴾ [ الزمر : ٦٤ ]

“আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে অহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শির্ক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। [সূরা আল-যুমার, আয়াত: ৬৪]

চার- হত্যা করা এবং ধন-সম্পদ হালাল হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ﴾ [ التوبة : ٥ ]

“অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৫], ( এই আয়াতটি সকল স্থানের জন্য প্রযোজ্য নয় শুধূ মাত্র আরব দ্বীপের মূর্তিপূজক ও মুশরিকদের জন্য প্রযোজ্য। নিরীক্ষক: ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ) ।



রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«أمرت أن أقاتل الناس حتى يقولوا : لا إله إلا الله ، فإذا قالوها عصموا مني دماءهم وأموالهم ، إلا بحقها» .

“আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, আমি যেন, মানুষের সাথে যুদ্ধ করি যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা এ কথা বলে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। যখন তারা এ কথা বলবে, তখন ঈমানের দাবি ছাড়া তাদের জান ও মাল আমার থেকে নিরাপদ থাকবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১। ( এই হাদীসটি সকল স্থানের জন্য প্রযোজ্য নয় শুধূ মাত্র আরব দ্বীপ অথবা দ্বীপের একটি অংশ হিজাজের জন্য প্রযোজ্য। নিরীক্ষক: ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ)]

শির্কে লিপ্ত লোকদের কিছু নমূনা:

শির্কে লিপ্ত হওয়ার কারণে আদম সন্তান থেকে অসংখ্য মানুষ ধ্বংস ও পথভ্রষ্ট হয়েছে। তারা হলো:

এক. মূর্তিপূজক: যদিও এদের উপাস্য একাধিক। যেমন, গাছ, পাথর, মানুষ, জীন, ফিরিশতা, নক্ষত্র, জন্তু ইত্যাদি। এ সবের মাধ্যমে শয়তান তাদের পথভ্রষ্ট ও গোমরাহ করেছে।

দুই. কবরপন্থীরা: যারা কবরস্থ মৃতদের বিপদ-আপদে ডাকে। কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে মানত করে, তাদের জন্য হাদীয়া-তোহফা পেশ করে এবং তাদের নিকট উপকার চায় এবং ক্ষতি প্রতিহত করা কামনা করে।

তিন. জাদুকর, গণক: যারা গাইবী সংবাদ পাওয়ার আশায় জিন্নের পূজা করে অথবা তাদের উপস্থিত করে অথবা জীন্নদের তাদের অনুগত করে।

শির্কের মাধ্যম হতে সাবধান করা:

ইবাদতের মধ্যে শির্কের পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব কারণসমূহ মানুষকে শির্কের দিকে পৌঁছায় সে সব কারণসমূহ থেকে উম্মতকে সতর্ক করেছেন, যাতে তারা শির্কে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকে। এ ধরণের কয়েকটি দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরা হলো:

এক. পীর, আওলিয়া, বুজুর্গ ও দরবেশগণের বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা থেকে সতর্কতা অবলম্বন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إياكم والغلو، فإنما أهلك من كان قبلكم الغلو» .

সাবধান, তোমরা বাড়াবাড়ি করো না, তোমাদের পূর্বের উম্মাতদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়িই ধ্বংস করেছে। [নাসাঈ, হাদীস নং ৩০৫৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩০২৯]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন—

«لا تطروني كما أطرت النصارى ابن مريم ! إنما أنا عبد، فقولوا عبد الله ورسوله» .

“আমাকে নিয়ে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না, যেমনি খৃষ্টানরা করেছিল মারইয়ামের ছেলে ঈসাকে নিয়ে। আমি তো একজন বান্দা। তোমরা আমার সম্পর্কে এ কথা বল যে, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৪৪৫]

পীর, আওলিয়া, বুজুর্গদের বিষয়ে বাড়াবাড়ির একটি বাড়াবাড়ি হলো, তাদেরকে অবৈধ এবং নিষিদ্ধ অসীলা বা মাধ্যম সাব্যস্ত করা। আর এটি দুই প্রকার:

এক. শির্কী অসীলা: এ ধরণের অসীলা সাব্যস্ত করার কারণে একজন মুসলিম ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়। আর তা হলো, বিপদ-আপদ দূর করা এবং প্রয়োজন মিটানোর জন্য আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে তাদের কাছে সাহায্য ও সহযোগীতা প্রার্থনা করা।

দুই. বিদ‘আতী অসীলা: আল্লাহর নিকট পৌঁছার জন্য এমন কিছুকে মাধ্যম নির্ধারণ করা যে মাধ্যমগুলোর অনুমোদন বা বৈধতা মহান আল্লাহ দেন নি। যেমন, নেককার, পীর, বজুর্গ ও মাশাইখদের সত্ত্বা, ইজ্জত ও সম্মান ইত্যাদিকে অসীলা বা মাধ্যম সাব্যস্ত করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন