hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও হাদীসের আলোকে সহজ আকীদা

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন আব্দুর রহমান আল-কাযী

১২
যারা রুবুবিয়্যাতে শরীক করেন
তবে গুটিকয়েক গোষ্ঠীর মানুষই কেবল এ বিষয়ে আংশিক পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়েছে। তারা রবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে শরীক করেন। যেমন,

এক- অগ্নিপুজকদের থেকে এক দল যারা দ্বিত্ববাদী। তারা বলে এ জগতের স্রষ্টা দুই জন। একজন হলো, নূরের ইলাহ; যিনি কল্যাণের সৃষ্টিকর্তা, দ্বিতীয়জন অন্ধকারের ইলাহ; যিনি মন্দের সৃষ্টিকারী। নূর যে অন্ধকার থেকে উত্তম এ বিষয়ে তারা একমত। তবে অন্ধকার (কাদীম বা) সর্বপ্রাচীন নাকি পরবর্তীতে যোগ হয়েছে এ বিষয়ে তাদের মধ্যেও একাধিক মত রয়েছে।

দুই- খৃষ্টান: যারা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে। তারা একজন ইলাহকে তাদের ধারণা অনুযায়ী তিনটি ভাগে বিভক্ত করে থাকে। পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা।

তিন- আরবের কতকগুলো মুশরিক। যারা তাদের কিছু ইলাহের মধ্যে কোনো কোনো কল্যাণ-অকল্যান ও পরিচালনা করার ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করতো।

চার- কাদরীয়্যাহ ফের্কার লোকরা: যারা এ দাবি করে যে, বান্দা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার নিজ কর্ম সে নিজেই সৃষ্টি করতে পারে।

বস্তুত মানব স্বভাব, জ্ঞান-বুদ্ধি, বাস্তবতা এবং শরী‘আতের নির্দেশনায় মহান আল্লাহ তার সৃষ্টি, রাজত্ব বা মালিকানা এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে একক হওয়ার প্রমাণ দ্বারা এ ধরণেরগোমরাহী প্রত্যাখ্যাত। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿مَا ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ مِن وَلَدٖ وَمَا كَانَ مَعَهُۥ مِنۡ إِلَٰهٍۚ إِذٗا لَّذَهَبَ كُلُّ إِلَٰهِۢ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعۡضُهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ سُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ ٩١﴾ [ المؤمنون : ٩١ ]

“আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি, তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত; তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর”!। [সূরা আল-মুমিন, আয়াত: ৯১]

কেননা, যিনি সত্যিকার ইলাহ হবেন তাকে অবশ্যই একজন স্রষ্টা ও তিনি যা চান তার বাস্তবায়নকারী হতে হবে। যদি তার সাথে কেউ শরীক থাকে তখন সেও সৃষ্টি করবে এবং কর্ম করবে। তখন দুই সম্ভাবনার যে কোনো একটি পাওয়া যাবে। হয়তো প্রতিটি ইলাহ তার নিজ নিজ সৃষ্টির উপর দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং তাদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। এতে জগতের নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে এবং জগতের পরিচালনা ঠিক থাকবে না।

অথবা একজন ইলাহ অপরের উপর ক্ষমতাবান ও বিজয়ী হবে। তখন একজন একটি দেহকে নাড়াতে চাইবে অপর জন স্থির রাখতে চাইবে এবং একজন কাউকে মারতে চাইবে আরেকজন তাকে বাঁচাতে চাইবে। তখন হয়ত উভয় ইলাহের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে, অথবা একজনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে, অথবা কারো উদ্দেশ্যই বাস্তবায়িত হবে না। প্রথম ও তৃতীয়টি সম্পূর্ণ অসম্ভব। কারণ, দুটি বিপরীতমুখী জিনিস একসাথে একত্র হতে পারে না এবং দুটি একসাথে বাদও হয়ে যেতে পারে না। সুতরাং দ্বিতীয়টি নির্ধারিত। তখন যার উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হলো, সেই সক্ষম ইলাহ। আর যার উদ্দেশ্য হাসিল হলো না সে ইলাহ হওয়ার অযোগ্য। ফলে ইলাহ বা রব, স্রষ্টা ও পরিচালনাকারী একজন হওয়াই প্রমাণিত ও সাব্যস্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন