মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রথমত: আল্লাহর কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত সর্বপ্রাচীন, চিরস্থায়ী জ্ঞানের উপর ঈমান রাখা, যে জ্ঞান সৃষ্টির সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে; যেমন জীবন- মৃত্যু, রিযিক অথবা তার বান্দাদের কর্মের সাথে সম্পৃক্ত যেমন, ইবাদত-বন্দেগী ও আল্লাহর নাফরমানী ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের সবকিছুর প্রতি ঈমান স্থাপন করা। মহান আল্লাহ বলেন:
সুতরাং তিনি ভালো করেই জানেন কে তাঁর আনুগত্য করবে, আর কে তার অবাধ্য হবে? যেমনিভাবে তিনি কাকে কতটুকু হায়াত বাড়াবেন এবং কার থেকে কতটুকু বয়স কমাবেন তা তিনি জানেন।
দ্বিতীয়ত: লাওহে মাহফুজে মহান আল্লাহ ভাগ্যের লিখনের প্রতি ঈমান স্থাপন করা: মহান আল্লাহ বলেন:
“জমিনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোনো মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ করে রাখি নি। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ”। [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ২২]
“বল, ‘অবশ্যই, আমার রবের কসম! যিনি গায়েব সম্পর্কে অবগত, তা তোমাদের কাছে আসবেই। আসমানসমূহ ও জমিনে অনু পরিমাণ কিংবা তদপেক্ষা ছোট অথবা বড় কিছুই তাঁর অগোচরে নেই, বরং সবই সুস্পষ্ট কিতাবে রয়েছে”। [সূরা সাবা, আয়াত: ৩]
আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন:
«كتب الله مقادير الخلائق قبل أن يخلق السماوات والأرض بخمسين ألف سنة ، قال : وعرشه على الماء»
“মহান আল্লাহ আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে মাখলুকের তাকদীরসমূহ লিপিবদ্ধ করেন। তিনি বলেন: আর তখন তার আরশ ছিল পানির উপর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৫৩]
উবাদাহ ইবন সামেত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন:
«إن أول ما خلق الله تعالى القلم فقال له : اكتب، فقال : رب وماذا أكتب؟ قال : اكتب مقادير كل شيء حتى تقوم الساعة»
“নিশ্চয় মহান আল্লাহ কলম সৃষ্টি করে সর্বপ্রথমে বলেছিলেন: লিপিবদ্ধ কর। তখন সে বলল, হে আমার রব, আমি কি লিখব? উত্তরে তিনি বললেন, কিয়ামতের পূর্ব পযর্ন্ত অনাগত সমস্ত বস্তুর ভাগ্য লিপিবদ্ধ কর”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৭০০]
মহান আল্লাহ ইলম (জ্ঞান) ও কিতাবত (লেখা) দুটিকে নিম্ন লিখিত আয়াতে একত্রে বর্ণনা করেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“তুমি কি জান না যে, আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, আল্লাহ তা জানেন? নিশ্চয় তা একটি কিতাবে রয়েছে। অবশ্যই এটা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ”। [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৭০]
তৃতীয়ত: আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছার বাস্তবায়নের প্রতি ঈমান স্থাপন করা: অর্থাৎ আল্লাহ যা চান তা হয়, যা চান না তা হয় না, তিনি যা দান করেন তা বাধা দেওয়ার কেউ নেই। আর তিনি যা দান করেন না, তার কোনো দাতাও নেই। তিনি যা ফায়সালা করেন, তা প্রতিহত করার কেউ নেই। তিনি যা চান না তার রাজত্বে তা সংঘটিত হওয়ার নয়। আল্লাহ যাকে চান তার অনুগ্রহ দ্বারা হিদায়াত দেন। যাকে চান স্বীয় ইনসাফের মাধ্যমে তাকে গোমরাহ করেন। তার নির্দেশের বিরোধিতাকারী কেউ নেই। মহান আল্লাহ বলেন:
“আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তাদের পরবর্তীরা লড়াই করত না, তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণসমূহ আসার পর। কিন্তু তারা মতবিরোধ করেছে। ফলে তাদের মধ্যে কেউ ঈমান এনেছে, আর তাদের কেউ কুফুরী করেছে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে তারা লড়াই করত না; কিন্তু আল্লাহ যা চান, তা করেন”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৩]
“যে তোমাদের মধ্যে সরল পথে চলতে চায়, তার জন্য। আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন”। [সূরা আত-তাকবীর, আয়াত: ২৮, ২৯]
চতুর্থত: সমস্ত জগত আল্লাহর সৃষ্টি ও তাঁরই আবিষ্কার, এ কথার উপর ঈমান আনয়ন করা: আল্লাহই সৃষ্টি কর্তা, তিনি ছাড়া বাকী সবই মাখলুক। সমস্ত বস্তু ও তার নড়চড়, গুণাগুণ ও সত্বা সবই মাখলুক ক্ষণস্থায়ী। আল্লাহই স্রষ্টা ও আবিষ্কারক। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖۖ ٦٢﴾ [ الزمر : ٦١ ]
“আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬১]
“সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৮৬]
পঞ্চমত: আল্লাহর (মাশীআহ) সাধারণ ব্যাপক চাওয়া এটার সাথে ভালোবাসা থাকতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই, এ কথার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা: অভিষ্ট কোনো লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং হিকমতের কারণে তিনি যা মহব্বত করেন না তাও চান এবং যা চান না তাকেও মহব্বত করেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“আর যদি আমি ইচ্ছা করতাম, তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার হিদায়াত দান করতাম। কিন্তু আমার কথাই সত্যে পরিণত হবে যে, ‘নিশ্চয় আমি জিন্ন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব’’। [সূরা আস-সাজাদাহ, আয়াত: ১৩]
“তোমরা যদি কুফুরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী; আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফুরী পছন্দ করেন না এবং তোমরা যদি শোকর কর তবে তোমাদের জন্য তিনি তা পছন্দ করেন”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৭]
ষষ্টত: শরী‘আত ও তাকদীরের মধ্যে কোনো স্ববিরোধিতা নেই এ কথার উপর ঈমান আনয়ন করা। মহান আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয় তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকারের। সুতরাং যে দান করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে, আর উত্তমকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছে, আমি তার জন্য সহজ পথে চলা সুগম করে দেব। আর যে কার্পণ্য করেছে এবং নিজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করেছে, আর উত্তমকে মিথ্যা বলে মনে করেছে, আমি তার জন্য কঠিন পথে চলা সুগম করে দেব”। [সূরা আল-লাইল, আয়াত: ৪, ১০]
এর কারণ, হলো, শরী‘আত একটি উম্মুক্ত কিতাব আর তাকদীর হলো, অদৃশ্য খনি। মহান আল্লাহ বান্দাদের তাকদীর নির্ধারণ করেছেন এবং তা তাদের থেকে গোপন রেখেছেন। তিনি তাদের আদেশ দিয়েছেন এবং তাদের নিষেধ করেছেন। তিনি তাদের তৈরী করেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন যাতে তারা নির্দেশ পালন করতে ও নিষিদ্ধ বস্তু থেকে বিরত থাকতে পারে। যখন কোনো ওজর বা প্রতিবন্ধকতা তাদের সামনে আসে, তখন তিনি তাদের ওজরকে গ্রহণ করেছেন। পূর্ব নির্ধারিত তাকদীরের কারণে গুনাহ করা ও আল্লাহর বন্দেগী ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে কারো জন্য কোনো প্রমাণ নেই। মহান আল্লাহ বলেন:
“অচিরেই মুশরিকরা বলবে, ‘আল্লাহ যদি চাইতেন, আমরা শির্ক করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষরাও না এবং আমরা কোন কিছু হারাম করতাম না’। এভাবেই তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছে, যে পর্যন্ত না তারা আমার আযাব আস্বাদন করেছে। বল, ‘তোমাদের কাছে কি কোনো জ্ঞান আছে, যা তোমরা আমার জন্য প্রকাশ করবে? তোমরা তো শুধু ধারণার অনুসরণ করছ এবং তোমরা তো কেবল অনুমান করছ’। বল, ‘চূড়ান্ত প্রমাণ আল্লাহরই। সুতরাং যদি তিনি চান, অবশ্যই তোমাদের সবাইকে হিদায়াত দেবেন”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৪৮, ১৪৯]
এ আয়াতে কয়েকটি কথা মহান আল্লাহ বলেছেন, প্রথমত: তাদের দাবীকে মিথ্যা আখ্যায়িত করেন। দ্বিতীয়ত: তিনি তাদেরকে শাস্তি আস্বাদন করাবেন বলে সাবধান করেছেন। তাকদীর নির্ধারণে যদি তাদের পক্ষে কোনো প্রমাণ থাকত, তাহলে তিনি তাদের শাস্তি আস্বাদন করাতেন না আর এভাবেই তিনি তাদের দাবির মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তৃতীয়ত: তারা তাদের কিতাব সম্পর্কে অবগত নয় যাতে তাদের জ্ঞান থেকে তা প্রকাশ পেত এবং তা হত তাদের জন্য প্রমাণস্বরূপ। বরং তা ধারণা ও অনুমান ভিত্তিক। তা কিছুই না! ফলে অকাট্য প্রমাণ কেবল আল্লাহর জন্যই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/30/28
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।