মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ফিরিশতাদের বিষয়ে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা:
প্রথমত: তারা আল্লাহর সম্মানিত বান্দা: তারা তাদের রবের প্রতি অনুগত এবং তারা সদা সর্বদা তাদের রবের সম্মান ও ভক্তির সহিত ভয়ে ভীত। তারা আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত অনুগত বান্দা। তাদের মধ্যে রবুবিয়্যত ও উলুহিয়্যাতের কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। মহান আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেন:
“আর তারা বলে, ‘পরম করুণাময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি পবিত্র বরং ফিরিশতাগণ [. বনূ খুযা‘আ দাবী করত, ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা। এ ভুল ধারণা দূর করতে আল্লাহ বলেন, ফিরিশতারা আল্লাহর সন্তান নয়; বরং তারা সম্মানিত বান্দা। আল-কাশ্শাফ] আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত ও সম্মানিত বান্দা। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন কথা বলে না, তাঁর নির্দেশেই তো তারা কাজ করে। অতীত কালের এবং ভবিষ্যৎ কালের সব কিছুই তিনি জানেন। আর তারা শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করে যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। তারা তাঁর সম্মান ও ভক্তির সহিত ভয়ে ভীত [. ফিরিশতারা আল্লাহর ভয়ে সর্বদা ভীত থাকে।]”। [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৬-২৮]
“আর স্মরণ কর, যেদিন তিনি তাদের সকলকে সমবেত করবেন তারপর ফিরিশতাদেরকে বলবেন: ‘এরা কি তোমাদেরই ইবাদত বা উপাসনা করত?’ তারা (ফিরিশতারা) বলবে, ‘আমরা আপনার পবিত্র ঘোষণা করি, আপনিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়, বরং তারা জিনদের ইবাদত বা উপাসনা করত। এদের অধিকাংশই তাদের প্রতি ঈমান রাখত”। [সূরা সাবা, আয়াত: ৪০, ৪১]
“তারা বলল, ‘আমরা আপনার পবিত্র ঘোষণা করি। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৩২]
দ্বিতীয়ত: ফিরিশতারা নূর থেকে সৃষ্ট: বিশাল আকৃতির অধিকারী, বিশাল ডানা বিশিষ্ট এবং বিভিন্ন আকৃতির অধিকারী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«خلقت الملائكة من نور»
“ফিরিশতাদেরকে নূর দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৯৬]
“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আসমানসমূহ ও জমিনের স্রষ্টা, ফিরিশতাদেরকে বাণীবাহকরূপে নিযুক্তকারী, যারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টির মধ্যে যা ইচ্ছা বৃদ্ধি করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান”। [সূরা ফাতির, আয়াত: ১]
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:
«رأى رسول الله صلى الله عليه وسلم جبريل في صورته ، وله ستمائة جناح ، كل جناح منها قد سد الأفق ، يسقط من جناحه التهاويل من الدر واليواقيت»
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল আলাইহিস সালামকে স্বীয় আকৃতিতে দেখেছেন। তার ছয়শত ডানা রয়েছে। তার প্রতিটি ডানা পৃথিবীর এক প্রান্তকে ডেকে ফেলছে। তার ডানা থেকে মণি মুক্তা দানা পড়তে থাকে”। [আহমদ, হাদীস নং ৩৭৪৮] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«أذن لي أن أحدث عن أحد حملة العرش ، ما بين شحمة أذنه ، وعاتقه ، مسيرة سبعمائة عام»
“আরশ বহনকারী একজন ফিরিশতা সম্পর্কে বর্ণনা দিতে আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার কানের লতি থেকে গর্দানের মাঝখানের জায়গাটির দূরত্ব সাতশত বছরের রাস্তা”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৭২৭।]
“আরশ বহনকারী একজন ফিরিশতা সম্পর্কে বর্ণনা দিতে আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার পাদ্বয় নিম্নস্তরের জমিনে, তার শিংয়ের উপর রয়েছে তার ‘আরশ। আর তার কানের লতি ও তার গর্দানের মাঝখানের দূরত্ব দ্রুতগামী পাখীর সাতশত বছরের রাস্তা। [বর্ণনায় তাবরানী, হাদীস নং ৬৫০৩ (এই হাদিসটি দুর্বল, তবে আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন, নিরীক্ষক: ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ )।] সে বলে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, আমি আপনার পবিত্র ঘোষণা করি।
ফিরিশতারা বাস্তব মাখলুক, তারা কোনো আধ্যাত্মিক শক্তি নয়। যেমনটি কতক ধারণাকারী মনে করে থাকে। তারা অসংখ্য মাখলুক। তাদের সংখ্যা কত তা তাদের স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ জানে না।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে মি‘রাজের ঘটনায় আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে:
«أن النبي صلى الله عليه وسلم ، رفع له البيت المعمور، في السماء السابعة ، يصلي فيه كل يوم سبعون ألف ملك ، إذا خرجوا لم يعودوا إليه ، آخر ما عليهم»
“সপ্তম আসমানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে বাইতুল মা‘মুর তুলে ধরা হয়েছিল, প্রতিদিন সত্তর হাজার ফিরিশতা তাতে নামাজ আদায় করেন। সেখান থেকে তারা যখন নামাজ আদায় করে বের হয়, তখন তারা শেষ পর্যন্ত আর কোনো দিন দ্বিতীয়বার সেখানে ফিরে আসার সুযোগ পায় না”। [বর্ণনায় মুসলিম, হাদীস নং ১৬৪]
তৃতীয়ত: ফিরিশতারা কাতারবন্দী ও তাছবীহরত: মহান আল্লাহ তাদের তাঁর তাসবীহ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন এবং তার আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তিনি তাদের তা বাস্তবায়নের শক্তি দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
ফিরিশতারা বলেন: “আমাদের [এটা ফিরিশতাদের বক্তব্য।] প্রত্যেকের জন্যই আসমানে মহান আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনা করার জন্য একটি নির্ধারিতস্থান [ مقام অর্থ: স্থান, মর্যাদা, ইত্যাদি।] রয়েছে। আর অবশ্যই আমরা সারিবদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনা করি। আর আমরা অবশ্যই মহান আল্লাহর পবিত্র ঘোষণা করি।” [সূরা আস-সাফ্ফাত, আয়াত: ১৬৪ - ১৬৬]
“আর আসমান-জমিনে যারা আছে তারা সবাই তাঁর; আর তাঁর কাছে যারা আছে তারা অহঙ্কারবশতঃ তাঁর ইবাদাত থেকে বিমুখ হয় না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না। তারা দিন-রাত তাঁর তাসবীহ পাঠ করে, তারা শিথিলতা দেখায় না”। [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১৯, ২০]
হাকীম ইবন হিযাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের মাঝে অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি তাদের বললেন,
«أتسمعون ما أسمع ؟ قالوا : ما نسمع من شيء ؟ قال : إني لأسمع أطيط السماء، وما تلام أن تئط، وما فيها موضع شبر إلا وعليه ملك ساجد أو قائم»
“আমি যা শুনি তোমরা কি তা শোন? তারা বলল, না আমরা কিছুই শুনি না। তিনি বললেন, আমি আসমানের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। যদিও তার শব্দ হওয়া দোষণীয় নয়। আসমানে এমন এক বিঘত পরিমাণ জায়াগাও নেই যেখানে একজন ফিরিশতা হয় সাজদা অবস্থায় অথবা কিয়াম অবস্থায় নেই।” [হাদীসটি তাবরানী বর্ণনা করেন, আর আলবানী রহ. বলেন, মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী তা সহীহ।]।
চতুর্থত: ফিরিশতাগণ লোক চক্ষুর অন্তরালে অবস্থানকারী: তারা গায়েবী জগতের অধিবাসী। দুনিয়ার জীবনে মানব ইন্দ্রীয় দ্বারা তাদের সাক্ষাত লাভ করা যায় না। তবে আল্লাহ যাকে তাওফীক দেন তার কথা ভিন্ন। যেমন, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল আলাইহিস সালামকে মহান আল্লাহ যে আকৃতিতে তাকে সৃষ্টি করেছেন সে আকৃতিতে দেখেছেন, তবে ফিরিশতাদের আখিরাতে অবশ্যই দেখা যাবে। মহান আল্লাহ বলেন:
“আর ফিরিশতারা প্রতিটি দরজা দিয়ে তাদের নিকট প্রবেশ করবে”। [সূরা আর-রা‘আদ, আয়াত: ২৩] তবে মহান আল্লাহ ফিরিশতাদেরকে মানুষের আকৃতি ও রূপ ধারণ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“আর অবশ্যই আমার ফিরিশতারা সুসংবাদ নিয়ে ইবরাহীমের কাছে আসল, তারা বলল: আপনার প্রতি শান্তি অবতীর্ণ হোক । তিনি বললেন: আপনাদের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ হোক । বিলম্ব না করে সে একটি ভুনা গো বাছুর নিয়ে আসল। অতঃপর যখন সে দেখতে পেল, তাদের হাত আহার্য্যের দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তিনি তাদেরকে অস্বাভাবিক মনে করে তাদের সম্পর্কে ভয় অনুভব করল। তারা বলল, ‘ভয় করো না, নিশ্চয় আমরা লূতের কওমের প্রতি প্রেরিত হয়েছি’’। [সূরা হূদ, আয়াত: ৬৯, ৭০]
“আর যখন লূতের কাছে আমার ফিরিশতা আসল, তখন তাদের (আগমনের) কারণে তার অস্বস্তিবোধ হলো এবং তার অন্তর খুব সঙ্কুচিত হয়ে গেল। আর সে বলল, ‘এ তো কঠিন দিন’। আর তার কওম তার কাছে ছুটে আসল এবং ইতোপূর্বে তারা মন্দ কাজ করত। সে বলল, ‘হে আমার কওম, এরা আমার মেয়ে, তারা তোমাদের জন্য পবিত্র। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের ব্যাপারে তোমরা আমাকে অপমানিত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কোনো সুবোধ ব্যক্তি নেই’?। [সূরা হূদ, আয়াত: ৭৭, ৭৮] এই সমস্ত ফিরিশতা ছিল পুরুষদের আকৃতিতে।
অনুরূপ জিবরীল আলাইহিস সালাম যখন একজন অপরিচিত লোকের আকৃতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসেন। তার কাপড় ছিল ধবধবে সাদা এবং মাথার চুল ছিল কুছকুছে কালো। আবার কোনো সময় তিনি সাহাবী দিহয়া আল-কালবী রাদিয়াল্লাহু আনহু-র আকৃতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসতেন।
পঞ্চমত: তারা বিভিন্ন ধরণেরকর্ম সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত: তারা তাদের মূল দায়িত্ব অর্থাৎ সব সময় রবের ইবাদত ও তাছবীহ পড়ায় লিপ্ত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যেমন—
“বল, রুহুল কুদস (জিবরীল) একে তোমার রবের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিল করেছেন। যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুদৃঢ় করার জন্য এবং হিদায়াত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ১০২]
“আর নিশ্চয় এ কুরআন সৃষ্টিকুলের রবেরই নাযিলকৃত। বিশ্বস্ত আত্মা [এখানে ‘বিশ্বস্ত আত্মা’ দ্বারা জিবরীল (আঃ) কে বুঝানো হয়েছে।] এটা নিয়ে অবতরণ করেছে। তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও”। [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ১৯২, ১৯৪]
দুই. গর্ভজাত শিশুর দেখা শোনা করা: তার রুহ প্রদান করা, তার রিযিক, হায়াত-মওত, কর্ম ও নেক না বদকার তা লিপিবদ্ধ করা।
“স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফিরিশতাদের প্রতি অহী প্রেরণ করেন যে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তোমরা তাদেরকে অনড় রাখ’। অচিরেই আমি ভীতি ঢেলে দেব তাদের হৃদয়ে যারা কুফুরী করেছে। অতএব তোমরা আঘাত কর ঘাড়ের উপরে এবং আঘাত কর তাদের প্রত্যেক আঙুলের অগ্রভাগে”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১২]
ছয়. মানুষের রুহসমূহ কবয করা: এটি মালাকুল মাওত ফিরিশতার দায়িত্ব। মহান আল্লাহ বলেন:
“বল, ‘তোমাদেরকে মৃত্যু দেবে মৃত্যুর ফিরিশতা, যাকে তোমাদের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারপর তোমাদের রবের নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে’’। [সূরা আস-সাজদাহ, আয়াত: ১১]
সাত. মুনকার ও নাকীর দুই ফিরিশতার দায়িত্ব হলো, কবরে মানুষকে তার রব, দীন ও নাবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা:
আট. শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া: এটি দায়িত্ব হলো, ইসরাফিল আলাইহিস সালামের। তিনি বেহুঁশ করে মৃত্যু দেওয়ার জন্য ও পুণরুত্থানের জন্য শিঙ্গায় ফুঁক দেবেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“আর শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আসমানসমূহে যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই মৃত্যুবরণ করবে। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে, তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬8]
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর। যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফিরিশতাকূল, আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সে ব্যাপারে তার অবাধ্য হয় না। আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয়”। [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৬]
দশ. মুমিনদের জন্য ক্ষমা চাওয়া, দো‘আ করা, সু-সংবাদ দেওয়া ও জান্নাতে তাদের সম্মান করা: মহান আল্লাহ বলেন:
“যারা আরশকে ধারণ করে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা তাদের রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান রাখে। আর মুমিনদের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলে যে, ‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব, যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন’। ‘হে আমাদের রব, আর আপনি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন। আর তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নি ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে তাদেরকেও। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।’ ‘আর আপনি তাদের অপরাধের আযাব হতে রক্ষা করুন এবং সেদিন আপনি যাকে অপরাধের আযাব থেকে রক্ষা করবেন, অবশ্যই তাকে অনুগ্রহ করবেন। আর এটিই মহাসাফল্য”। [সূরা গাফের, আয়াত: ৭, ৯]
“নিশ্চয় যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব’ অতঃপর অবিচল থাকে, ফিরিশতারা তাদের কাছে নাযিল হয় (এবং বলে) ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল’’। [সূরা আল-ফুস্সিলাত, আয়াত: ৩০]
“আর ফিরিশতারা প্রতিটি দরজা দিয়ে তাদের নিকট প্রবেশ করবে। (আর বলবে) ‘শান্তি তোমাদের উপর, কারণ তোমরা সবর করেছ, আর আখিরাতের এ পরিণাম কতই না উত্তম’’। [সূরা আর-রা‘আদ, আয়াত: ২৩, ২৪]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/30/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।