মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যারা রাসূলের প্রতি ঈমান স্থাপন করা অবস্থায় তাঁর সাথে একত্র হয়েছেন এবং ঈমানের উপর মারা গিয়েছেন, তাদেরকে সাহাবী বলা হয়। নাবীদের পর তারাই হলেন, সর্বোত্তম মানুষ এবং এই মুসলিম উম্মতের শ্রেষ্ট জাতি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«خير الناس قرني» وقال : «خير أمتي قرني» .
“সবচেয় উত্তম মানুষ আমার যুগের মানুষ”। তিনি আরও বলেন: “সব চেয়ে উত্তম উম্মত আমার যুগের উম্মত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৫২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৩৩]
তারা সবই ন্যায়নিষ্ঠার অধিকারী। মহান আল্লাহ তাদেরকে তার নাবীর সাথী হিসেবে নির্বাচন করেছেন, তাদেরকে পাক-পবিত্র করেছেন, তাদের তাওবা কবুল করেছেন, তাদেরকে বিশেষগুণে গুণান্বিত করেছেন এবং তাদের জন্য উত্তম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার শাখা প্রশাখা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কান্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের ওয়াদা করেছেন”। [সূরা আল-ফাতাহ, আয়াত: ২৯]
তারপরও মর্যাদার দিক বিবেচনায় তাদের মধ্যে বিশেষ ও সামগ্রিক পার্থক্য রয়েছে। সামগ্রিক বিবেচনায় তাদের মর্যাদার পার্থক্য ও স্তর নিম্নরূপ:
এক- মুহাজিরগণ: মুহাজিরগণ আনসারদের তুলনায় উত্তম। কারণ, হিজরত ও নুসরাত উভয়টি তারা একত্র করেছেন। মহান আল্লাহ সাহাবীগণের আলোচনায় মুহাজিরদের নাম প্রথমে উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“এই সন্ধিসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ নিঃস্ব মুহাজরিদের জন্য, যাদেরকে নিজেদের ঘর-বাড়ী ও ধন-সম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করে, তারাই হল সত্যবাদী। আর এই সন্ধিসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদীনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং ঈমান এনেছে (সেই সব আনসারীদের জন্যও এই সন্ধিসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদে অংশ রয়েছে), আর তারা ওই সকল মুহাজরিদেরকে ভালোবাসে যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে। আর মুহাজরিদেরকে যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের উপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। যাদেরকে নিজেদের প্রতি থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম”। [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৮, ৯]
“আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাতসমূহ, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহাসাফল্য”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১০০]
“অবশ্যই আল্লাহ নাবী, মুহাজির ও আনসারদের তাওবা কবুল করলেন, যারা তার অনুসরণ করেছে সংকটপূর্ণ মুহূর্তে। তাদের মধ্যে এক দলের হৃদয় সত্যচ্যূত হওয়ার উপক্রম হবার পর। তারপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১১৭]
দুই- হুদাইবিয়্যার পূর্বের সাহাবীগণ: যারা হুদাইবিয়্যার সন্ধির পূর্বে জিহাদ করেছেন এবং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেছেন তারা তাদের থেকে উত্তম যারা হুদাইবিয়্যার সন্ধির পরে ব্যয় করেছেন এবং যুদ্ধ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
“তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে তারা সমান নয়। তারা মর্যাদায় তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যারা পরে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে। তবে আল্লাহ প্রত্যেকের জন্যই কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আর তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত”। [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত: ১০]
«إنه شهد بدراً، وما يدريك لعل الله أن يكون قد اطلع على أهل بدر فقال اعملوا ما شئتم فقد غفرت لكم» .
“লোকটি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। আর তুমি কি জান না মহান আল্লাহ অবশ্যই বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের বিষয়ে অবগত রয়েছেন। ফলে তিনি বলেন: তোমরা যা চাও তাই কর, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৯৪]
চার- বাই‘আতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারীগণ: মহান আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেন:
“অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল। অতঃপর তিনি তাদের অন্তরে কি ছিল তা জেনে নিয়েছেন, ফলে তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করলেন নিকটবর্তী বিজয় দিয়ে”। [সূরা আল-ফাতাহ, আয়াত: ১৮]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«لا يدخل النار، إن شاء الله، من أصحاب الشجرة أحد الذين بايعوا تحتها» .
“যারা গাছের নিচে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছেন, তাদের একজন ব্যক্তিও ইনশা আল্লাহ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪৯৬]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/30/35
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।