hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও হাদীসের আলোকে সহজ আকীদা

লেখকঃ ড. আহমাদ ইবন আব্দুর রহমান আল-কাযী

আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণসমূহ
এ ছাড়াও অসংখ্য বিষয় রয়েছে যেগুলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে:

এক. সুস্থ মানব স্বভাব:

যেকোনো সুস্থ মানব স্বভাব বা প্রকৃতির সাথে আল্লাহর অস্তিত্বের বিষয়টি জড়িত। মহান আল্লাহ বলেন:

﴿فَأَقِمۡ وَجۡهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفٗاۚ فِطۡرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِي فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيۡهَاۚ لَا تَبۡدِيلَ لِخَلۡقِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلۡقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٣٠﴾ [ الروم : ٣٠ ]

“অতএব, তুমি একনিষ্ঠ হয়ে দীনের জন্য নিজকে প্রতিষ্ঠিত রাখ। আল্লাহর প্রকৃতি, [ فطرة অর্থ, স্বভাব, প্রকৃতি। মহান আল্লাহ মানুষকে যে সহজাত প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাকেই فطرة الله বলা হয়েছে। আর فطرة الله এর মর্মার্থ হলো ইসলাম।] যে প্রকৃতির উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোনো পরিবর্তন নেই। এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না”। [সূরা আর-রূম, আয়াত: ৩০]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«ما من مولود إلا يولد على الفطرة فأبواه يهودانه، أو ينصرانه، أو يمجسانه» .

“প্রতিটি নবজাতক ফিতরাতে ইসলামীর উপর জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে তার মাতা-পিতা তাকে ইয়াহূদী, খৃষ্টান অথবা অগ্নিপূজকে রুপান্তরিত করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৫৮]

প্রতিটি মাখলুক বড় না হওয়া পর্যন্ত তার আসল ফিতরাতের উপর বাকী থাকে এবং তার অন্তরে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি ঈমান প্রগাঢ়ভাবে গেঁতে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে তার স্বভাব ও প্রকৃতির উপর এমন কিছু চেপে বসে যা তার বিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয় এবং তাকে ঈমান থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। যেমন, মহান আল্লাহ হাদীসে কুদসীতে বলেন:

«إني خلقت عبادي حنفاء كلهم ، وإنهم أتتهم الشياطين ، فاجتالتهم عن دينهم» .

“নিশ্চয় আমি একনিষ্ঠভাবে নীরেট একত্ববাদে বিশ্বাসী করে আমার সমস্ত বান্দাদের সৃষ্টি করেছি। তারপর তাদের নিকট শয়তানগুলো আসল এবং তাদেরকে দীন থেকে দূরে সরিয়ে দিল”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৬৫]

দুই. সঠিক বিবেক:

মহান আল্লাহ বলেন:

﴿أَمۡ خُلِقُواْ مِنۡ غَيۡرِ شَيۡءٍ أَمۡ هُمُ ٱلۡخَٰلِقُونَ ٣٥﴾ [ الطور : ٣٤ ]

“তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারাই স্রষ্টা?”। [সূরা আত-তূর, আয়াত: ৩৪]

সন্দেহ ও সংশয় থেকে নিরাপদ জ্ঞান ও বিবেক এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য যে, সৃষ্টির জন্য অবশ্যই একজন স্রষ্টার প্রয়োজন আছে। কারণ, এ সু-বিশাল সৃষ্টি জগত একাকী-নিজে নিজে বা আকস্মিকভাবে অস্তিত্বে আসা কোনো ক্রমেই সম্ভব নয়। আবার অস্তিত্বহীন বস্তুও কোনো কিছুকে অস্তিত্ব দান করতে পারে না। সুতরাং অবশ্যই সৃষ্টির জন্য একজন স্রষ্টার অস্তিত্ব থাকা প্রয়োজন। আর তিনি হলেন, আল্লাহ তা‘আলা। জাহেলিয়্যাতের যুগে আরবের খতীব ক্বিস ইবন সা‘য়েদাহ আল-ইয়াদী সু-স্পষ্ট বিবেকের দলীল পেশ করে বলেন:

«البعرة تدل على البعير . والأثر يدل على المسير . فسماء ذات أبراج، وأرض ذات فجاج، أفلا تدل على الصانع الخبير»

“লাদ প্রমাণ করে নিশ্চয় এখানে উট ছিল, পদ চিহ্ন প্রমাণ করে নিশ্চয় এ পথ দিয়ে কেউ চলাচল করছিল। সুতরাং সু-বিশাল নক্ষত্র খচিত আসমান, নদ-নদী, গাছ-পালা ও সমূদ্রে ভরা পৃথিবী কি এ কথা প্রমাণ করে না যে, নিশ্চয় এর জন্য একজন কারিগর বা স্রষ্টা রয়েছেন?”

তিন. ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সাক্ষ্য:

মহান আল্লাহ তার স্বীয় নাবী নূহ আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন:

﴿فَدَعَا رَبَّهُۥٓ أَنِّي مَغۡلُوبٞ فَٱنتَصِرۡ ١٠ فَفَتَحۡنَآ أَبۡوَٰبَ ٱلسَّمَآءِ بِمَآءٖ مُّنۡهَمِرٖ ١١ وَفَجَّرۡنَا ٱلۡأَرۡضَ عُيُونٗا فَٱلۡتَقَى ٱلۡمَآءُ عَلَىٰٓ أَمۡرٖ قَدۡ قُدِرَ ١٢ وَحَمَلۡنَٰهُ عَلَىٰ ذَاتِ أَلۡوَٰحٖ وَدُسُرٖ ١٣ تَجۡرِي بِأَعۡيُنِنَا جَزَآءٗ لِّمَن كَانَ كُفِرَ ١٤﴾ [ القمر : ١٠، ١٤ ]

“অতঃপর সে তার রবকে আহ্বান করল যে, ‘নিশ্চয় আমি পরাজিত, অতএব তুমিই প্রতিশোধ গ্রহণ কর’। ফলে আমি বর্ষণশীল বারিধারার মাধ্যমে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দিলাম। আর ভূমিতে আমি ঝর্ণা উৎসারিত করলাম। ফলে সকল পানি মিলিত হলো নির্ধারিত নির্দেশনা অনুসারে। আর আমি তাকে (নূহকে) কাঠ ও পেরেক নির্মিত নৌযানে আরোহণ করালাম। যা আমার চাক্ষুস তত্ত্বাবধানে চলত, তার জন্য পুরস্কারস্বরূপ, যাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল”। [সূরা আল-কামার, আয়াত: ১০-১৪]

মহান আল্লাহ বলেন:

﴿فَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱضۡرِب بِّعَصَاكَ ٱلۡبَحۡرَۖ فَٱنفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرۡقٖ كَٱلطَّوۡدِ ٱلۡعَظِيمِ ٦٣ وَأَزۡلَفۡنَا ثَمَّ ٱلۡأٓخَرِينَ ٦٤ وَأَنجَيۡنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ ٦٥ ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ ٦٦ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ٦٧﴾ [ الشعراء : ٦٣، ٦٧ ]

“অতঃপর আমি মূসার প্রতি অহী পাঠালাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত কর।’ ফলে তা বিভক্ত হয়ে গেল। তারপর প্রত্যেক ভাগ বিশাল পাহাড়সদৃশ হয়ে গেল। আর আমি অপর দলটিকে সেই জায়গায় নিকটবর্তী করলাম, আর আমরা মূসা ও তার সাথে যারা ছিল সকলকে উদ্ধার করলাম, তারপর অপর দলটিকে ডুবিয়ে দিলাম। নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন। আর তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়”। [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ৪৯]

মহান আল্লাহ তার নাবী ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন:

﴿وَرَسُولًا إِلَىٰ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ أَنِّي قَدۡ جِئۡتُكُم بِ‍َٔايَةٖ مِّن رَّبِّكُمۡ أَنِّيٓ أَخۡلُقُ لَكُم مِّنَ ٱلطِّينِ كَهَيۡ‍َٔةِ ٱلطَّيۡرِ فَأَنفُخُ فِيهِ فَيَكُونُ طَيۡرَۢا بِإِذۡنِ ٱللَّهِۖ وَأُبۡرِئُ ٱلۡأَكۡمَهَ وَٱلۡأَبۡرَصَ وَأُحۡيِ ٱلۡمَوۡتَىٰ بِإِذۡنِ ٱللَّهِۖ وَأُنَبِّئُكُم بِمَا تَأۡكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِكُمۡۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لَّكُمۡ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ٤٩﴾ [ ال عمران : ٤٩ ]

“আর বানী ইসরাঈলদের রাসূল বানাবেন (সে বলবে) ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট তোমাদের রবের পক্ষ থেকে নিদর্শন নিয়ে এসেছি যে, অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য কাদামাটি দিয়ে পাখির আকৃতি বানাব, অতঃপর আমি তাতে ফুঁক দেব। ফলে আল্লাহর হুকুমে সেটি পাখি হয়ে যাবে। আর আমি আল্লাহর হুকুমে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রুগীকে সুস্থ করব এবং মৃতকে জীবিত করব। আর তোমরা যা আহার কর এবং তোমাদের ঘরে যা জমা করে রাখ তা আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব। নিশ্চয় এতে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা মুমিন হও’’। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৪৯]

মহান আল্লাহ সবাইকে সম্বোধন করে বলেন:

﴿أَمَّن يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ﴾ [ النمل : ٦٢ ]

“বরং তিনি, যিনি নিরুপায়ের আহ্বানে সাড়া দেন এবং বিপদ দূরীভূত করেন”। [সূরা আন-নামল, আয়াত: ৬২]

নাবী-রাসূলদের হাতে প্রদর্শিত নিদর্শন, আহ্বানকারীদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া, বিপদগ্রস্তদের বিপদ থেকে রক্ষা করা, এ কথার সু-স্পষ্ট ও জ্বলন্ত প্রমাণ যে, নাবীদের প্রেরণকারী, আহ্বানকারীর ডাকে সাড়াদানকারী এবং বিপদ থেকে রক্ষাকারী একজন মহান আল্লাহ অবশ্যই রয়েছেন।

চার. বিশুদ্ধ শরী‘আত:

মহান আল্লাহ বলেন:

﴿أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَۚ وَلَوۡ كَانَ مِنۡ عِندِ غَيۡرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ ٱخۡتِلَٰفٗا كَثِيرٗا ٨٢﴾ [ النساء : ٨٢ ]

“তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮২]

মহান আল্লাহ বলেন:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدۡ جَآءَكُم بُرۡهَٰنٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكُمۡ نُورٗا مُّبِينٗا ١٧٤﴾ [ النساء : ١٧٤ ]

“হে মানুষ, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট প্রমাণ এসেছে এবং আমরা তোমাদের নিকট স্পষ্ট আলো পবিত্র কুরআন নাযিল করেছি”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৭৪]

মহান আল্লাহ আরো বলেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدۡ جَآءَتۡكُم مَّوۡعِظَةٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَشِفَآءٞ لِّمَا فِي ٱلصُّدُورِ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٞ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ ٥٧ ﴾ [ يونس : ٥٧ ]

“হে মানুষ, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরসমূহে যা থাকে তার শিফা, আর মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৫৭]

পূর্বে সংঘটিত যে সব গাইবী সংবাদ, বিশুদ্ধ আকীদা, ইনসাফপূর্ণ বিধান এবং উন্নত চরিত্রের আলোচনা কুরআনে কারীমে রয়েছে, তা দ্বারা এ কথা অবশ্যই প্রমাণিত হয় যে, কুরআন নিঃসন্দেহে আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ একটি মহা গ্রন্থ। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাখলুকের পক্ষ থেকে এ ধরণের কিতাব আসা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন