মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মতৈক্যে নাবীর পর এ উম্মতের সর্বত্তোম ব্যক্তি আবু বাকর রাদিয়াল্লাহু আনহু, তারপর উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু।
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আশিটিরও অধিক মুতাওয়াতির সনদে বিষয়টি বর্ণিত, তিনি একদিন কূফার মিম্বারে খুৎবায় বলেন:
«خير هذه الأمة بعد نبيها أبو بكر، ثم عمر» رواه أحمد بأسانيد صحيحة، وابن أبي عاصم، وصححه الألباني . ولا يقطع علي، رضي الله عنه، بذلك إلا عن علم . ورواه الترمذي عنه مرفوعاً .
“এ উম্মাতের নাবীর পর সবোর্ত্তম ব্যক্তি আবু বাকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তারপর উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু”। ইমাম আহমাদ একাধিক বিশুদ্ধ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। [আহমদ, হাদীস নং ৮৩৭] আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এ বিষয়ে পুরোপুরি জানা ছাড়া এ সিদ্ধান্ত দেন নি। ইমাম তিরমিযি তার থেকে মারফু‘ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
মর্যাদার দিক দিয়ে তাদের উভয়ের সাথেই রয়েছে উসমান ইবন আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু আনহু। ইমাম বুখারী ও মুসলিম রাহিমাহুমাল্লাহ আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন:
«كنا نفاضل على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم : أبو بكر، ثم عمر، ثم عثمان» وفي لفظ : «يبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم ولا ينكره » .
“আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আবু বাকর তারপর উমার তারপর উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমকে প্রাধান্য দিয়ে থাকতাম। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত জানাজানি হত, তিনি কখনো তার প্রতিবাদ করেন নি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৬৫৫]
আইউব আস-সুখতিয়ানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: যে ব্যক্তি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর উপর প্রাধান্য দেয়, সে অবশ্যই মুহাজির ও আনসারদের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করল। কারণ, তারা খিলাফতের ক্ষেত্রে উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর পর মর্যাদার দিক দিয়ে পরবর্তী অবস্থান আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর।
দুই- জান্নাতের সু-সংবাদ প্রাপ্ত সাহাবীগণ:
তারা হলেন, চার খলীফা, আব্দুর রহমান ইবন আউফ, সা‘আদ ইবন আবী ওয়াক্কাস, তালহা ইবন উবাইদুল্লাহ, যুবায়ের ইবন আওয়াম, আবু উবাইদাহ আমের ইবনুল জাররাহ এবং সা‘ঈদ ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহুম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লিখিত দশজন সাহাবীর জন্য দুনিয়াতেই জান্নাতের সাক্ষ্য প্রদান করেন। বর্ণনায় পাঁচটি প্রসিদ্ধ সুনানগ্রন্থ এবং বর্ণনাগুলো বিশুদ্ধ। তারা ছাড়া আরও কতক সাহাবীকে জান্নাতের সু-সংবাদ দেওয়ার প্রমাণ একাধিক হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন, বিলাল, সাবেত ইবনে ক্বাইস এবং আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহ আনহুম।
তিন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারবর্গ:
তারা পাঁচটি গোত্র, যাদের উপর সাদকা খাওয়া নিষিদ্ধ। তারা হলো, আলে ‘আলী, আলে জা‘ফর, আলে আকীল, আলে ‘আব্বাস এবং বনূ হারেস ইবন ‘আব্দুল মুত্তালিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«إن الله اصطفى إسماعيل، واصطفى من بني إسماعيل كنانة، واصطفى من كنانة قريشاً، واصطفى من قريش بني هاشم، واصطفاني من بني هاشم»
“মহান আল্লাহ ইসমাঈলকে নির্বাচন করেন, আর ইসমাঈলের গোত্র থেকে নির্বাচন করে বানী কিনানাহকে আর বানী কিনানাহ থেকে নির্বাচন করেন, কুরাইশকে আর কুরাইশ থেকে নির্বাচন করেন, বানী হাশেমকে আর আমাকে নির্বাচন করেন বানী হাশিম থেকে«”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৭৬]
তিনি আরো বলেন:
«أذكركم الله في أهل بيتي . أذكركم الله في أهل بيتي» .
“আমি তোমাদেরকে আমার পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমি তোমাদেরকে আমার পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৪০৮]
আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কতক কুরাইশ বানী হাশেমের উপর নির্যাতন করার অভিযোগ করলেন, তখন তিনি বললেন,
«والذي نفسي بيده لا يؤمنون حتى يحبوكم لله ولقرابتي» .
“ঐ সত্তার সপথ যার হাতে আমার জীবন, তারা কখনোই ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদেরকে আল্লাহর জন্য এবং আমার নিকট আত্মীয় হওয়ার কারণে ভালো না বাসবে”। [আহমদ]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র স্ত্রীগণ রাসূলের পরিবার বর্গের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেন:
“হে নাবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
মহান আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় নাবীর জন্য নির্বাচন করেছেন এবং মহান আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তাদেরকে তার স্ত্রী বানিয়েছেন। আর তাদের মুমিনদের মাতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের সবোর্ত্তম খাদীজাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা ও আয়েশা বিনতে আবু বাকর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা। আর বাকী স্ত্রীগণ হলেন, সাওদা বিনতে যাম‘আহ, হাফসা বিনতে উমার, উম্মে সালমাহ, উম্মে হাবীবাহ বিনতে আবু সূফিয়ান, সফীয়্যাহ বিনতে হুয়াই, যায়নাব বিনতে জাহাস, জুয়াইরিয়্যাহ, মাইমূনাহ, যায়নাব বিনতে খুযাইমাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুন্না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/30/36
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।