hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অমুসলিমদের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ প্রসঙ্গ

লেখকঃ ড. রাগিব আস-সারজানী

২৬
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: অমুসলিমদের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সদাচরণ
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর বিরোধীদের মধ্যকার সম্পর্ক শুধু সাধারণ অর্থে শান্তি ও ঐক্যমতের সম্পর্কই ছিল না; বরং তা ছিল সকল অর্থেই بر বা সদাচরণের সম্পর্ক।

আমরা কখনও এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারবো না যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আশপাশের অমুসলিমদের সাথে এমন হৃদ্যতামূলক সদাচরণ করতেন যা কোনো মানুষ নিজ পরিবারের একান্ত আপন লোকদের সাথে করে থাকে। যেমন, আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে এ বিষয়ে একটি আশ্চর্য ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,

«كانَ غُلَامٌ يَهُودِيٌّ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ فَقَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ فَقَالَ لَهُ أَسْلِمْ فَنَظَرَ إِلَى أَبِيهِ وَهُوَ عِنْدَهُ فَقَالَ لَهُ أَطِعْ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَهُ مِنْ النَّارِ»

“এক ইয়াহূদী ছেলে ছিল যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমত করত। একবার সে অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সেবা-শ্মশ্রুষা করার জন্য আসলেন। অতঃপর তার মাথার কাছে বসে বললেন, ‘তুমি ইসলাম গ্রহণ কর’ তখন ছেলেটি তার পিতার দিকে তাঁকালে তার পিতা বলল: তুমি আবুল কাসেম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কথা মেনে নাও। ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এসে বললেন, “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন”। [. সহীহ বুখারী( كتاب الجنائز ، باب إذا أسلم الصبي فمات هل يصلى عليه و هل يعرض على الصبي الإسلام ) হাদীস নং ১২৯০; তিরমিযী, হাদীস নং ২২৪৭। নাসায়ী, হাদীস নং ৭৫০০।]

আপনি একটু গভীরভারে মন ও মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করে দেখুন! রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ইয়াহূদী ছেলেকে নিজের খেদমতের জন্য রেখেছেন, তাকে এ থেকে বারণ করেন নি। যাতে মদীনা মুনাওয়ারায় অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথেও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা সম্ভব হয়। ছেলেটি অসুস্থ হওয়া পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সেবা-শ্মশ্রুষা করার জন্য তার বাড়িতে যান।

আমরা জানি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার সর্বোচ্চ কর্তৃত্বে ছিলেন। তা সত্বেও তিনি অমুসলিম একটি ইয়াহূদী ছেলেকে নিজের খিদমত করতে বারণ করেন নি। আবার কোনো রাষ্ট্র প্রধান তার অসুস্থ চাকর/কর্মচারীকে দেখতে যাওয়া এবং তার সেবা-শ্মশ্রুষা করার এমন কোনো দৃষ্টান্ত কি পৃথিবীর বুকে পাওয়া যাবে?! বিশেষ করে সে চাকর/কর্মচারী যখন অন্য ধর্মাবলম্বী...?!

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ধরণের অসংখ্য অগণিত ঘটনা আমরা পড়েছি। সুতরাং শুধু জানা ও জানানোর জন্যই নয়; বরং উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো যাতে এ ধরণের ঘটনা-ভাণ্ডারে চিন্তা-গবেষণা করে আমারা প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারি।

আবার দেখুন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথাবীতে তাঁর প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য তথা দাওয়াতকেও ভুলে যান নি; তাই তিনি ছেলেটিকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন এবং সে ইসলামকে গ্রহণও করেছে। ছেলেটির ইসলাম গ্রহণ তাঁকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এতো আনন্দ দিয়েছে যে, যেন তাঁর পরিবারের অত্যন্ত স্নেহভাজন ও নিকটতম কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছে।

এটিই হলো উন্নততর بر বা সদাচরণ।

আসমা বিনতে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা [. আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর মেয়ে এবং যুবাইর ইবন আওয়াম-এর স্ত্রী। তিনি মক্কাতে ইসলামের প্রথম যুগেই ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর মদীনায় হিজরত করেন তখন তাঁর গর্ভে ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর এবং প্রতিমধ্যে ‘বুক্বা’ নামক স্থানে তিনি সন্তান প্রসব করেন। ছেলে আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইরকে হত্যার পর তিহাত্তর হিজরীর জুমাদাল উলাতে মক্কায় মার যান। দেখুন- ইবনুল আসীর: উসদুল গাবাহ ৬/১২, ইবন হাজার: আল ইসাবাহ (১০৭৯১)] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«قَدِمَتْ عَلَيَّ أُمِّي وَهِيَ مُشْرِكَةٌ فِي عَهْدِ قريش ،إذ عاهدوا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَفْتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ يا رسول الله ! إن أُمِّي أقَدِمَتْ عَلَيَّ وَهِيَ رَاغِبَةٌ أَفَأَصِلُها ؟ أُمِّي قَالَ نَعَمْ صِلِيها»

“যখন কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো তখন আমার মা [. তিনি হলেন বনু আমের ইবন লুয়াই গোত্রের ক্বুতাইলা বিনতে সা‘দ, আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্ত্রী এবং আব্দুল্লাহ ও আসমার মা। ইবনুল আসীর মহিলা সাহাবীদের অধ্যায়ে তার আলোচনা করেছেন। ইবনুল আসীর বলেন: তিনি বিলম্বে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি হুদাইবিয়ার সন্ধির পর মদীনায় হিজরত করেন মুশরিক অবস্থায়, দেখুন: ইবনুল আসীর: উসদুল গাবাহ (৬/২৪২)।] আমার কাছে আসল মুশরিক অবস্থায়। তাই আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা আমার কাছে এসেছে এবং সে মুখাপেক্ষী। আমি কি তার সাথে সদাচরণ করব? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, তুমি তার সাথে সদাচরণ কর।” [. সহীহ বুখারী ( كتاب الهبة و فضلها ، باب الهدية للمشركين ) হাদীস নং ২৪৭৭; সহীহ মুসলিম: ( كتاب الزكاة ، باب فضل النفقة و الصدقة على الأقربين ) হাদীস নং ১০০)।]

সে সময় কুরাইশরা মুসলিমদের সাথে সাময়িকভাবে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও তারা ছিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে সদা তৎপর একটি যুদ্ধবাজ সম্প্রদায়। এতদসত্বেও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসমা বিনতে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহাকে তার মুশরিকা মাতার সাথে সদাচরণের আদেশ করেন। তিনি মুশরিকা মহিলাকে মদীনা মুনাওয়ারায় আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা তথা যুবাইর ইবন আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহুর ঘরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন নি। যুবাইর ছিলেন মদীনার নেতৃস্থানীয় লোকদের অন্তর্ভুক্ত। তার কাছে এমন গোপন সংবাদ ছিল যা মুশরিকদের নিকট গোপন রাখা অতিব জরুরী। তারপরেও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মুশরিকা মহিলাকে তার মুসলিমা মেয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে বাধা দেন নি এবং মুসলিমা মেয়েকে তার মুশরিকা মায়ের সাথেও সদাচরণ করতে বারণ করেন নি। এভাবেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ধরণের দ্বিধা-সংকোচ ছাড়াই সর্বোচ্চ উদারতা প্রদর্শন ও সদাচরণ করতেন। কেননা, সদাচরণের মধ্যে সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশ থাকে না।

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মসজিদে নববীর দরজার পাশে এক জোড়া রেশমী পোষাক (বিক্রি হতে) দেখে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যদি আপনি এটি খরিদ করতেন আর জুমু‘আর দিন এবং যখন আপনার কাছে কোনো প্রতিনিধিদল আসে তখন আপনি তা পরিধান করতেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটি তো সে ব্যক্তিই পরিধান করে, আখিরাতে যার (মঙ্গলের) কোনো অংশ নেই। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এ ধরণের কয়েক জোড়া পোশাক আসে, তখন তিনি তার এক জোড়া উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রদান করেন। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে এটি পরিধান করতে দিলেন অথচ আপনি রেশমের পোশাক সম্পর্কে যা বলার তা তো বলেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাকে এটি নিজের পরিধানের জন্য প্রদান করি নি। উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তখন এটি মক্কায় তাঁর এক মুশরিক ভাইকে দিয়ে দেন। [. সহীহ বুখারী ( كتاب الجمعة ، باب يلبس أحسن ما يجد ) হাদীস নং ৮৮৬; সহীহ মুসলিম ( كتاب اللباس و الزينة ، باب تحريم استعمال إناء الذهب الفضة ) হাদীস নং ২০৬৮।]

এখানে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নিজের রেশমী কাপড় জোড়া তাঁর এক মুশরিক ভাইকে [. তিনি হলেন উসমান ইবন আবদ হাকীম, তিনি উমার রাদিয়াল্লাহ আনহুর বৈপিত্রিয় ভাইপ। রবর্তীতে তার ইসলাম গ্রহণ নিয়ে মতানৈক্য আছে। দেখুন- ইবন হাজার: ফাতহুল বারী ১/৩৩১।] দিয়ে দিলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন প্রতিবাদ করেন নি!

আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৌন সমর্থনও সুন্নাহ-এর অংশ (অনুসরণযোগ্য)।

ইমাম নববী রহ. এ ঘটনার দ্বারা দলীল পেশ করেন যে, কাফির নিকটতম আত্মীয়-এর সাথেও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ করা এবং কাফিরদেরকে হাদীয়া দেওয়া জায়েয; [. ইমাম নববী: আল মিনহাজ: সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ১৪/৩৯।] বরং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো নাজরানের খ্রিস্টানদের সাথে এমন আচরণ করেছেন যা দেখে দুনিয়াবাসী অত্যন্ত অভিভূত হয়ে গিয়েছিল। তিনি তাদেরকে মসজিদে নববীতে তাদের ধর্মীয় রীতিতে সালাত আদায় করার অনুমতি দিয়েছেন।

ইবন সায়্যিদুন নাস [. তিনি হলেন ইমাম আবুল কাসেম মুহাম্মদ ইবন আবি আমর আন্দুলূসী, তবে তিনি ইবন সায়্যিদুন নাস নামেই প্রসিদ্ধ (৬৬১-৭৩৪ হি.)।] তার ‘উয়ূনুল আসর’ গ্রন্থে বলেন, যখন তাদের (নাসারদের) সালাতের সময় হলো তখন তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মসজিদে এসে সালাত আদায় করতে শুরু করল, (সাহাবায়ে কেরাম কিছু বলতে চাইলে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদেরকে ছেড়ে দাও (কিছু বলো না)। অতঃপর তারা পূর্ব দিকে ফিরে সালাত আদায় করলো। [. ইবন সায়্যিদুন নাস: উয়ূনুল আসর ১/৩৪৮।]

তারা শুধু মসজিদে নববীতে প্রবেশই করে নি; বরং সেখানে তাদের নিজ ধর্মীয় নিয়মে সালাতও আদায় করেছে। এক্ষেত্রেও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কারো প্রতি সদাচরণ করা থেকে বিরত থাকেন নি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন