মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
অমুসলিমদের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ প্রসঙ্গ
লেখকঃ ড. রাগিব আস-সারজানী
৩১
দুই. ইকরামা ইবন আবু জাহালের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সদাচরণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/400/31
ইকরামা ছিল নবী জীবনের ইতিহাসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শত্রুদের মধ্যে সবচেয়ে উগ্র। সে এ দীর্ঘ সময়ের বৃহৎ অংশকাল যাবৎ তার পিতা -এ যুগের ফির‘আউন, ইসলামের সবচেয়ে বড় ঝগড়াটে শত্রু -আবু জাহলের নিকট থেকে ইসলাম বিরোধিতা ও শত্রুতার শরাব পান করেছে। শুধু তাই নয়, তার উগ্রতা ও বিরোধিতা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মক্কা বিজয়ের দিন সে সাধারণ ক্ষমা প্রাপ্তদের তালিকায় ছিল না। ইকরামা ছিল খালিদ ইবন ওয়ালীদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর বিরুদ্ধে খানদামার [. খানদামা মক্কার নিকটবর্তী একটি স্থান। ইবনুল আসীর বলেছেন, খানদামা হচ্ছে মক্কার একটি প্রসিদ্ধ পাহাড়ের নাম। ইবন বারীয় বলেছেন, মক্কা বিজয়ের দিন সেখানে একটি সংঘর্ষ ঘটেছিল। অধিকতর জানতে- ফিরোযাবাদী: আল-কামুসুল মুহীত (১৪২৭), ইবনুল আসীর: আন-নিহায়াতু ফী গারীবিল আসার (২/১৬১)।] যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী কয়েকজনের অন্যতম। কিন্তু, পরাস্ত হওয়ার পর পালিয়ে মক্কা ছেড়ে ইয়ামেন চলে যেতে চাইল এবং সে জন্য নৌকা বা সামুদ্রিক জাহাজ জাতীয় কোনো বাহন খুঁজতে লাগল। [. তারীখুত-তাবারী: তারীখুল উমামি ওয়াল মুলূক (২/১৬০)]
কুফুরীতে তার পথ-চলা ছিল অনেক দূরের এবং তার অবস্থান ছিল অতি কট্টর। এজন্য মক্কা বিজয়ের পর সে ছিল হত্যার জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুসলিমদের টার্গেটকৃতদের অন্যতম। তাকে যেখানেই পাওয়া যাবে হত্যা করা হবে।
তার স্ত্রী -উম্মে হাকীম বিনত হারিস ইবন হিশাম [. উম্মে হাকীম বিনত হারিস ইবন হিশাম, ইকরামার চাচাতো ভাই। মক্কা বিজয়ের দিন ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা ও নিরাপত্তা চেয়ে নিয়ে তাকে খুঁজে বের করলেন এবং ইকরামাও ইসলাম গ্রহণ করলেন। অতঃপর উভয়ে পূর্বের বিয়েতেই বহাল থাকলেন। অধিকতর জানতে- ইবনুল আসীর: উসদুল গাবাহ (২/৩২৯), ইবন হাজার: আল-ইসাবাহ (১১৯৭৩)।] -স্বামীকে বাঁচাতে চাইল। তাই সে ইকরামার নিরাপত্তা ও তাকে মক্কায় ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করার জন্য আগে নিজে ইসলাম গ্রহণ করে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে আরয করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! ইকরামা আপনার ভয়ে মক্কা ছেড়ে ইয়ামানের দিকে পালিয়ে গেছে। আপনি তাকে নিরাপত্তা দান করুন’। উত্তরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহজে এবং স্বাভাবিকভাবেই বলে দিলেন, فهو آمن “সে নিরাপদ।” [. মুহাম্মদ ইবন হাসান আশ-শায়বানী-এর সূত্রে মুয়াত্তায়ে ইমাম মালিক রহ. (৬০১)।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইকরামার স্ত্রীকে এটা বলেন নি যে, সে তো আবশ্যিক হত্যার তালিকাভুক্ত। তার পিছনের দীর্ঘ ইতিহাসও তুলে ধরেন নি। এটাও বলেন নি যে, ‘তুমি নিজেই নব মুসলিমা, তুমি কীভাবে অন্যের জন্য সুপারিশ করতে পার?’ এগুলোর কিছুই বলেন নি এবং ইকরামা কিংবা তার স্ত্রীর ওপর কোনো শর্তারোপও করেন নি। শুধু বললেন, فهو آمن “সে নিরাপদ”।
এরপর স্ত্রী উম্মে হাকীম রাদিয়াল্লাহু আনহা স্বামী ইকরামাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়লেন। অনেক খোজাখোজি ও দীর্ঘ সফরের পর তাকে পেলেন -সে লোহিত সাগরের কিনারায় ইয়ামেনগামী একটি জাহাজে আরোহণের চেষ্টায় রত আছে। উম্মে হাকীম রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! আমি এখন সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে সদাচারী ও সবচেয়ে বেশি আত্মিয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী ব্যক্তির নিকট থেকে এসেছি। তুমি নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না। আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে তোমার জন্য নিরাপত্তা চেয়ে এনেছি।
উত্তরে ইকরামা বললো, তুমি করতে পেরেছো এটা?
স্ত্রী: হ্যাঁ। [. মুসতাদরাকে হাকিম (৩/২৯৬)।]
ইকরামা সে সময় চোখে শর্ষে ফুল দেখছিল। সে ইয়ামান যেতে চাচ্ছে অথচ ইয়ামানও তখন ইসলামের আলোয় আলোকিত। পৃথিবীর চতুর্দিকেই মানুষ দলে দলে ইসলামের সু-শীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে কিংবা বশ্যতা স্বীকার করে থাকতে শুরু করছে। গোটা পৃথিবী তার জন্য সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। তাই সে দীর্ঘ চিন্তা-ফিকির বাদ দিয়ে তৎক্ষনাত স্ত্রীর সাথে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিল।
ইকরামা মক্কায় ফিরে আসছে। সে এখনো মক্কায় প্রবেশ করে নি এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে বলছেন,
«يأتيكم عكرمة بن أبي جهل مؤمنا مهاجرا، فلا تسبوا أباه، فإن سب الميت يؤذي الحي، ولا يبلغ الميت» .
“ইকরামা কুফুরী ছেড়ে ইসলাম গ্রহণের জন্য তোমাদের নিকট আসছে তোমরা তার বাবাকে গালি দিও না, কেননা মৃতদের গালি দেওয়া জীবিতদেরকে কষ্ট দেয় এবং তা মৃতদের পর্যন্ত পৌঁছে না।” [. মুহাম্মদ ইবন হাসান আশ-শায়বানী এর সূত্রে মুয়াত্তায়ে ইমাম মালিক রহ. (৬০১), মুসতাদরাকে হাকিম (৩/২৬৯), ইমাম যাহাবী হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।]
আল্লাহু আকবার! এ কেমন চরিত্র মাধুর্য্য?
আবু জাহল ছিলো এ উম্মতের ফির‘আউন। তথাপি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছেলে ইকরামার সামনে তাকে গালি দিতে নিষেধ করেছেন। যেন ইকরামার অনুভুতিতে আঘাত না লাগে। অথচ ইকরামা এখনও পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করে নি।
ইকরামা মক্কায় প্রবেশ করেছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দূর থেকে দেখলেন। দেখে কী করলেন? আবু জাহলের কথা মনে করলেন? যে সব যুদ্ধে ইকরামা ইসলামের বিরুদ্ধে নিজের সৌর্য-বির্য প্রদর্শন করেছিল সে সকল যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করলেন। মাত্র কয়েক দিন পূর্বে খানদামায় ইকরামা যে মুসলিমদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তার কথা ভাবছিলেন নাকি ইকরামার বর্তমান দুরাবস্থার কথা ভেবে তাকে ইসলামের শক্তি ও ক্ষমতা দেখিয়ে ছাড়ার মনস্থ করলেন?
না, পৃথিবীর অন্য সাধারণ রাজনীতিকদের মতো এ ধরণের কোনো কিছুই তিনি করলেন না; বরং তিনি খুশিতে লাফিয়ে উঠলেন যে, তার শরীরে চাদরও ছিল না। [. মুসতাদরাকে হাকিম (৩/২৬৯)।] ইকরামা ইবন আবু জাহল ফিরে আসছে এ জন্য তাঁর অবয়বে খুশীর বদনদীপ্তি ফুটে উঠেছে। অথচ সে এখনও পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করে নি। এটি কোনো কৃত্তিমতা নয় বরং এটি ছিল রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্বভাবজাত প্রকৃতি।
ইকরামা এসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে বসে বলল, ‘হে মুহাম্মদ! এ (নিজ স্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে) আমাকে বলেছে যে, আপনি আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়াই বললেন, ‘হ্যাঁ, সে সত্য বলেছে, তুমি নিরাপদ’। ইকরামা বলল, এখন আপনি আমাকে কী করতে বলেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাকে আহ্বান করছি যে, তুমি এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, এবং আমি আল্লাহর রাসূল। সালাত আদায় করবে। যাকাত দেবে। এভাবে ইসলামের বিধি-বিধান ও যাবতীয় উত্তম গুণাবলীর কথা উল্লেখ করলেন। ইকরামা বলল, আপিন আমাকে সত্য, সুন্দর ও ভালোর দিকেই আহ্বান করেছেন।
মানুষের অন্তর তো দয়াময় আল্লাহর কুদরতি আঙ্গুলের মাঝে, তিনি যার অন্তরকে যখন যেদিকে ইচ্ছা ফিরিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতক্ষণ যা বললেন এসব কথা হিজরতের পূর্বে মক্কী জীবনেও সত্য ছিল, হিজরত পরবর্তী মাদানী জীবনেও সত্য ছিল এবং মক্কা বিজয়ের পর এতদিনও সত্যই ছিল এবং অহী ও নবুওয়াতেরই অংশ ছিল; কিন্তু এতদিন পরে ইকরামা ইবন আবু জাহলের বুঝে আসছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সত্য, সুন্দর ও ভালোর দিকেই আহ্বান করছেন এবং এ পর্যায়ে এসে ইকরামা বলছেন যে, আল্লাহর শপথ! আপনি আমাকে যে দিকে আহ্বান করছেন সব সময় আপনি সে দিকেই আহ্বান করতেন আর আপনি আমাদের মধ্যে আচরণে সবচেয়ে সদাচারী, কথায় সবচেয়ে সত্যবাদী, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
«أشهد أن لا إلاه إلا الله و أن محمدا عبده و رسوله»
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।”
ইকরামা রাদিযাল্লাহু ‘আনহু বললেন, এরপর কী? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বল যে, আমি আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে এবং উপস্থিত সকলকে স্বাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি মুসলিম, মুহাজির ও মুজাহিদ। ইকরামা রাদিযাল্লাহু ‘আনহু হুবহু সে কথাগুলোই বললেন। অতঃপর এ নও মুসলিম ইকরামাকে ইসলামের সাথে আরো আন্তিরকভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আজকে তুমি আমার নিকট যা চাইবে কাউকে না দিলেও আমি তোমাকে দেব’। ইকরামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কোনো ধন-সম্পদ, মান-সম্মান কিংবা নেতৃত্ব কিছুই চাইলেন না; বরং তিনি চাইলেন ক্ষমা। তিনি বললেন, ‘আমি আপনার নিকট চাই যে, আপনি আমার সকল শত্রুতা, সকল পদক্ষেপ, সামনা-সামনি সকল মুকাবিলা এবং আপনার সামনে বা পেছনে যত কটুক্তি করেছি সব কিছুর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “হে আল্লাহ! সে আমার বিরুদ্ধে যত শত্রুতা করেছে এবং আপনার দীনের বাতি নিভিয়ে দেওয়ার জন্য যত স্থানে যত সফর করেছে সেগুলোর জন্য আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন এবং সে আমার সামনে বা পেছনে আমার যত সম্মানহানী করেছে আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন।” এটা শুনে ইকরামা রাদিযাল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘আমি সন্তুষ্ট, হে আল্লাহর রাসূল!’ এবং তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আরো বললেন, ‘এতদিন আমি আল্লাহর পথের বিরুদ্ধে যত সম্পদ ব্যয় করেছি, এখন থেকে আল্লাহর পথে তার দ্বিগুণ ব্যয় করবো, এতদিন আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরানোর জন্য যত লড়াই করেছি, এখন থেকে আল্লাহর পথে এর দ্বিগুণ নিজেকে বিলিয়ে দিবো’। [. মুসতাদরাকে হাকিম (৩/২৭০)।] বাস্তবেও তিনি জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর জন্য নিজের পরবর্তী পুরা জীবনটাকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। কখনো ধর্মত্যাগীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে আবার কখনো শামের কোনো না কোনো বিজয়াভিযানে। ইয়ারমুকের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক তাকে গ্রহণ করা, নিরাপত্তা দেওয়া ও অতীতের সব কালো অধ্যায়কে ক্ষমা করে দেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে আল্লাহ তা‘আলা তার জীবনকে পরিপূর্ণ পাল্টে দিলেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতইনা সুন্দর কথা বলেছেন,
«لأن يهدي الله بك رجلا واحدا خير لك من حمر النعم»
“তোমার দ্বারা একজন ব্যক্তির হিদায়াতপ্রাপ্ত হওয়া তোমার জন্য অনেকগুলো লাল উটের চেয়েও উত্তম।” [. সহীহ বুখারী: ( كتاب المناقب، باب مناقب علي بن أبي طالب ) সাহাল ইবন সা‘দ-এর সূত্রে, হাদীস নং ৩৪৯৮; সহীহ মুসলিম: ( كتاب فضائل الصحابة، باب فضائل علي بن أبي طالب ) হাদীস নং ২৪০৬।] অন্য বর্ণনায় আছে, যার উপর সূর্য উদিত হয় (অর্থাৎ গোটা পৃথিবী) তার চেয়েও উত্তম। [. মুসতাদরাকে হাকিম: আবু রাফে’ সূত্রে (৬৫৩৭), তাবরানী: আল-মু‘জামুল কাবীর (৯৩০)।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু সুফিয়ান ও ইকরামার সাথে যেমন আচরণ করেছেন এরা দুজন ছাড়া অন্য অনেকের সাথেও একই আচরণ করেছেন। সফওয়ান ইবন উমাইয়ার সাথে তাঁর আচরণ ছিল সবদিক থেকেই ইতিহাসের অপূর্ব ও চমৎকার ঘটনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/400/31
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।