HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
ইসলামী মিডিয়ার স্বরূপ ও তাৎপর্য
লেখকঃ ড. মো: আব্দুল কাদের
ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত এক পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সমুদয় বিষয়ের যাবতীয় সমস্যার সমাধান রয়েছে। ইসলাম মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা করতে উৎসাহ দেয়, আর অকল্যাণকর বিষয়াদি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ করে। এসব নির্দেশনা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে যুগে যুগে মহান আল্লাহ্ অসংখ্য নবী-রাসূল এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা সমকালীন মিডিয়ার সাহায্যে এসব বিধি-নিষেধ ও নির্দেশনা মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দা‘ওয়াতী মিশনে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ মাধ্যমগুলোকে কাজে লাগিয়েছেন। সুতরাং মিডিয়া একটি মাধ্যম যার সাহায্যে ইসলামকে সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট প্রচার করা যায়। অতএব, ইসলামী দা‘ওয়াতের গুরুত্ব যতখানি; ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্বও ততখানি রয়েছে।
প্রত্যেক বিষয়ের লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্যবিহীন কোন কিছুই বাস্তবায়িত হয় না। কোনো বিষয় নির্ধারণের পর এটির লক্ষ্য কী হবে তা সর্বাগ্রে নির্দিষ্ট হয়। ইসলামী মিডিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়। এর লক্ষ্য হলো:
إعلاء كلمة في كل عصر بكافة وسائل الإتصال المناسبة لكل عصر والتي لا تتناقص مع مقاصد الشريعة الإسلامية - فالغاية الأساسية للإعلام الإسلامي هي غاية رسالة الإسلام ذاتها؛ لأن هذا الإعلام مرتبط بعقيدة الإسلام ونظرة الكلية للإنسان ووظيفته في هذه الحياة
প্রত্যেক যুগে পরিপূর্ণ ও যুগোপযোগী যোগাযোগ মাধ্যমে আল্লাহ্র বাণীকে সমুন্নত করা, যা ইসলামী শরীয়তের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। অতএব ইসলামের লক্ষ্যই হলো إعلام এর লক্ষ্য। কেননা এটি ইসলামী আকীদার সাথে সম্পৃক্ত। আর মানুষ ও তার জীবনের কার্যাবলীর প্রতি এর পূর্ণ দৃষ্টি থাকে।
অতএব, আল্লাহ্র যমীনে আল্লাহ্র বাণীকে সমুন্নত করাই ইসলামী মিডিয়ার একমাত্র লক্ষ্য।
إعلاء كلمة في كل عصر بكافة وسائل الإتصال المناسبة لكل عصر والتي لا تتناقص مع مقاصد الشريعة الإسلامية - فالغاية الأساسية للإعلام الإسلامي هي غاية رسالة الإسلام ذاتها؛ لأن هذا الإعلام مرتبط بعقيدة الإسلام ونظرة الكلية للإنسان ووظيفته في هذه الحياة
প্রত্যেক যুগে পরিপূর্ণ ও যুগোপযোগী যোগাযোগ মাধ্যমে আল্লাহ্র বাণীকে সমুন্নত করা, যা ইসলামী শরীয়তের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। অতএব ইসলামের লক্ষ্যই হলো إعلام এর লক্ষ্য। কেননা এটি ইসলামী আকীদার সাথে সম্পৃক্ত। আর মানুষ ও তার জীবনের কার্যাবলীর প্রতি এর পূর্ণ দৃষ্টি থাকে।
অতএব, আল্লাহ্র যমীনে আল্লাহ্র বাণীকে সমুন্নত করাই ইসলামী মিডিয়ার একমাত্র লক্ষ্য।
৪
ইসলামী মিডিয়ার অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে তন্মধ্যে প্রধান প্রধানগুলো নিম্নে প্রদত্ত হলো:
প্রথমতঃ মানুষের অন্তরে আকীদাকে সুদৃঢ় করাএকত্ববাদের বিশ্বাস মানুষের অন্তরে সুদৃঢ়ভাবে বপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর মাধ্যমে ব্যক্তির ইসলামী ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে। যেহেতু আল্লাহ্র বাণীকে সমুন্নত করাই ইসলামী মিডিয়ার উদ্দেশ্য, সেহেতু সর্বাগ্রে ইসলামী আকীদা পোষণ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী করা ইসলামী মিডিয়ার উদ্দেশ্য। পবিত্র কুরআনের অনেক স্থানে এ সম্পর্কে আলোচনা বিধৃত হয়েছে। আল্লাহ্ বলেন:
﴿ يُثَبِّتُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱلۡقَوۡلِ ٱلثَّابِتِ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِۖ وَيُضِلُّ ٱللَّهُ ٱلظَّٰلِمِينَۚ وَيَفۡعَلُ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُ ٢٧ ﴾ [ ابراهيم : ٢٧ ]
‘‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ্ তাদেরকে সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন এবং যারা যালিম আল্লাহ্ তাদেরকে বিভ্রান্তিতে রাখবেন। আর আল্লাহ্ যা ইচ্ছে তা করেন।’’ [. সূরা ইবরাহীম : ২৭।]
কুরআনের অন্য আয়াতে সুদৃঢ়করণকে সৎ উপদেশ দানের সাথে সম্পৃক্ত করে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ্র বাণী,
﴿وَلَوۡ أَنَّهُمۡ فَعَلُواْ مَا يُوعَظُونَ بِهِۦ لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۡ وَأَشَدَّ تَثۡبِيتٗا ٦٦ ﴾ [ النساء : ٦٦ ]
‘‘যা করতে তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা তা করলে তাদের ভাল হত এবং চিত্তস্থিরতায় তারা দৃঢ়তর হত।’’ [. সূরা আন্-নিসা : ৬৬।]
আলোচ্য আয়াতে কারীমার মাধ্যমে বুঝা যায় যে, সমাজ বিনির্মানের নিমিত্তে ওয়ায-নসীহত ও উপদেশ দেয়ার জন্য একটি দল নিয়োজিত থাকা আবশ্যক। আর উপদেশ গ্রহণকারীর জন্য রয়েছে কল্যাণ ও ঈমানের দৃঢ়তা।
এছাড়াও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে মহান আল্লাহ্র নিকট তাঁর দীনের পথে দৃঢ় ও অটল থাকতে শিখিয়েছেন। তিনি এই বলে দু‘আ করতেন:
«اللهم يا مقلب القلوب ثبّت قلبي على دينك»
অর্থাৎ হে অন্তরের পরিবর্তনকারী, তুমি আমার অন্তরকে দ্বীনের উপর অটল-অবিচল রাখো।’’ [. ইমাম তিরমিযী, সুনানুত্ তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, পৃ. ৪৪৮, হাদীস নং- ২১৪০।]
সূরা ইবরাহীমে বর্ণিত ‘দৃঢ় বক্তব্য’ বলতে মূলত উত্তম কথাকে বুঝানো হয়ে থাকে। আর উত্তম কথা হলো- তাওহীদের বাণী যার উপর আল্লাহ্ তা‘আলা মুমিনের জীবনকে সুদৃঢ় করেন।
﴿ يُثَبِّتُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱلۡقَوۡلِ ٱلثَّابِتِ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِۖ وَيُضِلُّ ٱللَّهُ ٱلظَّٰلِمِينَۚ وَيَفۡعَلُ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُ ٢٧ ﴾ [ ابراهيم : ٢٧ ]
‘‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ্ তাদেরকে সুদৃঢ় বাক্যের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন এবং যারা যালিম আল্লাহ্ তাদেরকে বিভ্রান্তিতে রাখবেন। আর আল্লাহ্ যা ইচ্ছে তা করেন।’’ [. সূরা ইবরাহীম : ২৭।]
কুরআনের অন্য আয়াতে সুদৃঢ়করণকে সৎ উপদেশ দানের সাথে সম্পৃক্ত করে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ্র বাণী,
﴿وَلَوۡ أَنَّهُمۡ فَعَلُواْ مَا يُوعَظُونَ بِهِۦ لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۡ وَأَشَدَّ تَثۡبِيتٗا ٦٦ ﴾ [ النساء : ٦٦ ]
‘‘যা করতে তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা তা করলে তাদের ভাল হত এবং চিত্তস্থিরতায় তারা দৃঢ়তর হত।’’ [. সূরা আন্-নিসা : ৬৬।]
আলোচ্য আয়াতে কারীমার মাধ্যমে বুঝা যায় যে, সমাজ বিনির্মানের নিমিত্তে ওয়ায-নসীহত ও উপদেশ দেয়ার জন্য একটি দল নিয়োজিত থাকা আবশ্যক। আর উপদেশ গ্রহণকারীর জন্য রয়েছে কল্যাণ ও ঈমানের দৃঢ়তা।
এছাড়াও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে মহান আল্লাহ্র নিকট তাঁর দীনের পথে দৃঢ় ও অটল থাকতে শিখিয়েছেন। তিনি এই বলে দু‘আ করতেন:
«اللهم يا مقلب القلوب ثبّت قلبي على دينك»
অর্থাৎ হে অন্তরের পরিবর্তনকারী, তুমি আমার অন্তরকে দ্বীনের উপর অটল-অবিচল রাখো।’’ [. ইমাম তিরমিযী, সুনানুত্ তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, পৃ. ৪৪৮, হাদীস নং- ২১৪০।]
সূরা ইবরাহীমে বর্ণিত ‘দৃঢ় বক্তব্য’ বলতে মূলত উত্তম কথাকে বুঝানো হয়ে থাকে। আর উত্তম কথা হলো- তাওহীদের বাণী যার উপর আল্লাহ্ তা‘আলা মুমিনের জীবনকে সুদৃঢ় করেন।
ইসলামী মিডিয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ইসলামের রঙে সমাজকে রাঙিয়ে তোলা। আকীদা, ইবাদাত, শরয়ী বিধান, শিষ্টাচার, আখলাক বা চরিত্র, প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সর্বাবস্থায় ইসলামকে অনুসরণ করা। মহান আল্লাহ্ বলেন:
﴿ صِبۡغَةَ ٱللَّهِ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ صِبۡغَةٗۖ وَنَحۡنُ لَهُۥ عَٰبِدُونَ ١٣٨ ﴾ [ البقرة : ١٣٨ ]
‘‘আল্লাহ্র রং-এ রঞ্জিত হও। আর রং এর দিক দিয়ে আল্লাহ্র চেয়ে কে বেশী সুন্দর?’’ [. সূরা আল্-বাকারাহ : ১৩৮।]
﴿ صِبۡغَةَ ٱللَّهِ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ صِبۡغَةٗۖ وَنَحۡنُ لَهُۥ عَٰبِدُونَ ١٣٨ ﴾ [ البقرة : ١٣٨ ]
‘‘আল্লাহ্র রং-এ রঞ্জিত হও। আর রং এর দিক দিয়ে আল্লাহ্র চেয়ে কে বেশী সুন্দর?’’ [. সূরা আল্-বাকারাহ : ১৩৮।]
মিডিয়া স্বল্প সময়ে অতি বিস্তৃত সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যম, সমাজের অধিকাংশ লোক কোনো না কোনোভাবে এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। সমাজ জীবনে বিশৃংখল পরিবেশ বজায় থাকলে সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে থাকে। ফলে মানুষকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল এক সমাজে বাস করতে হয়। আর এর মাধ্যমে যাবতীয় সুখ-শান্তি বিদূরীত হয়। মিডিয়া এ ব্যাপারে খুব সহজেই জনগণকে সচেতন করে তুলতে পারে এবং শান্তি ও কল্যাণকর এক সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অতএব, সমাজ নিরাপদ ও স্থিতিশীল হয়। এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَلَمۡ يَلۡبِسُوٓاْ إِيمَٰنَهُم بِظُلۡمٍ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلۡأَمۡنُ وَهُم مُّهۡتَدُونَ٨٢﴾ [ الانعام : ٨٢ ]
‘‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুলুম (শির্ক) দ্বারা কলুষিত করে নি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হেদায়াত প্রাপ্ত।’’ [. সূরা আল্-আনআম : ৮২।]
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿هُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ لِيَزۡدَادُوٓاْ إِيمَٰنٗا مَّعَ إِيمَٰنِهِمۡۗ ٤﴾ [ الفتح : ٤ ]
‘‘তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেছেন যেন তারা তাদের ঈমানের সাথে ঈমান বৃদ্ধি করে নেয়। আর আসমানসমূহ ও যমীনের বাহিনীসমূহ আল্লাহ্রই এবং আল্লাহ্ হলেন সর্বজ্ঞ, হিকমতওয়ালা।’’ [. সূরা আল্-ফাতাহ : ৪।]
কুরআনে আরও বলা হয়েছে,
﴿وَمَن يَعۡمَلۡ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَا يَخَافُ ظُلۡمٗا وَلَا هَضۡمٗا ١١٢﴾ [ طه : ١١٢ ]
‘‘আর যে মুমিন হয়ে সৎকাজ করে, তার কোনো আশংকা নেই অবিচারের এবং অন্য কোনো ক্ষতির।’’ [. সূরা ত্বা-হা : ১১২।]
বিশৃংখলা দূর করার ক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এক. এমন সব কারণ ও পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা যা বিশৃংখলার দিকে মানুষকে ধাবিত করে। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ব্যবহার করা যায়।
দুই. বিশৃংখল পরিবেশ সম্পর্কে ভয় প্রদর্শন করা। পবিত্র কুরআনে এ পদ্ধতিটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿وَقَالَتۡ هَيۡتَ لَكَۚ قَالَ مَعَاذَ ٱللَّهِۖ إِنَّهُۥ رَبِّيٓ أَحۡسَنَ مَثۡوَايَۖ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٢٣ ﴾ [ يوسف : ٢٣ ]
‘‘সে বলল, ‘আমি আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা করছি, নিশ্চয় তিনি আমার মনিব; তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয় যালিমরা সফলকাম হয় না।’’ [. সূরা ইউসুফ : ২৩।]
কুরআনে আরও এসেছে,
﴿أَتَأۡتُونَ ٱلذُّكۡرَانَ مِنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٥ وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمۡ رَبُّكُم مِّنۡ أَزۡوَٰجِكُمۚ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ عَادُونَ ١٦٦ ﴾ [ الشعراء : ١٦٥، ١٦٦ ]
‘‘সৃষ্টিকুলের মধ্যে তো তোমরাই কি পুরুষের সাথে উপগত হও? ‘আর তোমাদের রব তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে তোমরা বর্জন করে থাক। বরং তোমরা তো এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।’’ [. সূরা আশ্-শু‘আরা : ১৬৫-৬৬।]
কুরআনে আরও বলা হয়েছে,
﴿فَلَمَّا جَآءَ أَمۡرُنَا جَعَلۡنَا عَٰلِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمۡطَرۡنَا عَلَيۡهَا حِجَارَةٗ مِّن سِجِّيلٖ مَّنضُودٖ ٨٢ مُّسَوَّمَةً عِندَ رَبِّكَۖ وَمَا هِيَ مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ بِبَعِيدٖ٨٣﴾ [ هود : ٨٢، ٨٣ ]
‘‘অতঃপর যখন আমাদের আদেশ আসল তখন আমরা জনপদকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পোড়ামাটির পাথর। যা আপনার রবের কাছে চিহ্নিত ছিল। আর এটা যালিমদের থেকে দূরে নয়।’’ [. সূরা হুদ : ৮২, ৮৩।]
তিন. ফাসাদ ও বিপর্যয়ের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে অবহিত করা। এ মর্মে পবিত্র কুরআনে এসেছে-
﴿وَكَمۡ أَهۡلَكۡنَا مِن قَرۡيَةِۢ بَطِرَتۡ مَعِيشَتَهَاۖ فَتِلۡكَ مَسَٰكِنُهُمۡ لَمۡ تُسۡكَن مِّنۢ بَعۡدِهِمۡ إِلَّا قَلِيلٗاۖ وَكُنَّا نَحۡنُ ٱلۡوَٰرِثِينَ ٥٨ ﴾ [ القصص : ٥٨ ]
‘‘আর আমরা বহু জনপদকে ধ্বংস করেছি যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের অহংকার করত! এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ী; তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে। আর আমরাই তো চূড়ান্ত ওয়ারিশ (প্রকৃত মালিক)।’’ [.সূরা আল্-কাসাস : ৫৮।] মহান আল্লাহ্ আরও বলেন,
﴿وَتِلۡكَ ٱلۡقُرَىٰٓ أَهۡلَكۡنَٰهُمۡ لَمَّا ظَلَمُواْ وَجَعَلۡنَا لِمَهۡلِكِهِم مَّوۡعِدٗا٥٩﴾ [ الكهف : ٥٩ ] [.সূরা আল্-কাহফ : ৫৯।]
‘‘আর ঐসব জনপদ- তাদের অধিবাসীদেরকে আমরা ধ্বংস করেছিলাম, যখন তারা যুলুম এবং তাদের ধ্বংসের জন্য আমরা স্থির করেছিলাম নির্দিষ্ট সময়।’’
﴿ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَلَمۡ يَلۡبِسُوٓاْ إِيمَٰنَهُم بِظُلۡمٍ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلۡأَمۡنُ وَهُم مُّهۡتَدُونَ٨٢﴾ [ الانعام : ٨٢ ]
‘‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুলুম (শির্ক) দ্বারা কলুষিত করে নি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই হেদায়াত প্রাপ্ত।’’ [. সূরা আল্-আনআম : ৮২।]
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿هُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ ٱلسَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ لِيَزۡدَادُوٓاْ إِيمَٰنٗا مَّعَ إِيمَٰنِهِمۡۗ ٤﴾ [ الفتح : ٤ ]
‘‘তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেছেন যেন তারা তাদের ঈমানের সাথে ঈমান বৃদ্ধি করে নেয়। আর আসমানসমূহ ও যমীনের বাহিনীসমূহ আল্লাহ্রই এবং আল্লাহ্ হলেন সর্বজ্ঞ, হিকমতওয়ালা।’’ [. সূরা আল্-ফাতাহ : ৪।]
কুরআনে আরও বলা হয়েছে,
﴿وَمَن يَعۡمَلۡ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَا يَخَافُ ظُلۡمٗا وَلَا هَضۡمٗا ١١٢﴾ [ طه : ١١٢ ]
‘‘আর যে মুমিন হয়ে সৎকাজ করে, তার কোনো আশংকা নেই অবিচারের এবং অন্য কোনো ক্ষতির।’’ [. সূরা ত্বা-হা : ১১২।]
বিশৃংখলা দূর করার ক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এক. এমন সব কারণ ও পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা যা বিশৃংখলার দিকে মানুষকে ধাবিত করে। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ব্যবহার করা যায়।
দুই. বিশৃংখল পরিবেশ সম্পর্কে ভয় প্রদর্শন করা। পবিত্র কুরআনে এ পদ্ধতিটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿وَقَالَتۡ هَيۡتَ لَكَۚ قَالَ مَعَاذَ ٱللَّهِۖ إِنَّهُۥ رَبِّيٓ أَحۡسَنَ مَثۡوَايَۖ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٢٣ ﴾ [ يوسف : ٢٣ ]
‘‘সে বলল, ‘আমি আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা করছি, নিশ্চয় তিনি আমার মনিব; তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয় যালিমরা সফলকাম হয় না।’’ [. সূরা ইউসুফ : ২৩।]
কুরআনে আরও এসেছে,
﴿أَتَأۡتُونَ ٱلذُّكۡرَانَ مِنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٥ وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمۡ رَبُّكُم مِّنۡ أَزۡوَٰجِكُمۚ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ عَادُونَ ١٦٦ ﴾ [ الشعراء : ١٦٥، ١٦٦ ]
‘‘সৃষ্টিকুলের মধ্যে তো তোমরাই কি পুরুষের সাথে উপগত হও? ‘আর তোমাদের রব তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে তোমরা বর্জন করে থাক। বরং তোমরা তো এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।’’ [. সূরা আশ্-শু‘আরা : ১৬৫-৬৬।]
কুরআনে আরও বলা হয়েছে,
﴿فَلَمَّا جَآءَ أَمۡرُنَا جَعَلۡنَا عَٰلِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمۡطَرۡنَا عَلَيۡهَا حِجَارَةٗ مِّن سِجِّيلٖ مَّنضُودٖ ٨٢ مُّسَوَّمَةً عِندَ رَبِّكَۖ وَمَا هِيَ مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ بِبَعِيدٖ٨٣﴾ [ هود : ٨٢، ٨٣ ]
‘‘অতঃপর যখন আমাদের আদেশ আসল তখন আমরা জনপদকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পোড়ামাটির পাথর। যা আপনার রবের কাছে চিহ্নিত ছিল। আর এটা যালিমদের থেকে দূরে নয়।’’ [. সূরা হুদ : ৮২, ৮৩।]
তিন. ফাসাদ ও বিপর্যয়ের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে অবহিত করা। এ মর্মে পবিত্র কুরআনে এসেছে-
﴿وَكَمۡ أَهۡلَكۡنَا مِن قَرۡيَةِۢ بَطِرَتۡ مَعِيشَتَهَاۖ فَتِلۡكَ مَسَٰكِنُهُمۡ لَمۡ تُسۡكَن مِّنۢ بَعۡدِهِمۡ إِلَّا قَلِيلٗاۖ وَكُنَّا نَحۡنُ ٱلۡوَٰرِثِينَ ٥٨ ﴾ [ القصص : ٥٨ ]
‘‘আর আমরা বহু জনপদকে ধ্বংস করেছি যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের অহংকার করত! এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ী; তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করেছে। আর আমরাই তো চূড়ান্ত ওয়ারিশ (প্রকৃত মালিক)।’’ [.সূরা আল্-কাসাস : ৫৮।] মহান আল্লাহ্ আরও বলেন,
﴿وَتِلۡكَ ٱلۡقُرَىٰٓ أَهۡلَكۡنَٰهُمۡ لَمَّا ظَلَمُواْ وَجَعَلۡنَا لِمَهۡلِكِهِم مَّوۡعِدٗا٥٩﴾ [ الكهف : ٥٩ ] [.সূরা আল্-কাহফ : ৫৯।]
‘‘আর ঐসব জনপদ- তাদের অধিবাসীদেরকে আমরা ধ্বংস করেছিলাম, যখন তারা যুলুম এবং তাদের ধ্বংসের জন্য আমরা স্থির করেছিলাম নির্দিষ্ট সময়।’’
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। এতে ব্যক্তিগত, পরিবারিক ও জাতীয় জীবনের বিভিন্ন দিকের সুন্দর ব্যবস্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে। চাই তা তাদের অর্থনৈতিক হোক অথবা সামাজিক হোক, প্রশাসনিক অথবা সামষ্টিক হোক। ইসলামের এসব ব্যবস্থাপনা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এটি মূলত রাববানিয়াহ বা প্রভূ-সম্বন্ধীয়। তবে মানুষের ব্যবস্থাপনার সাথেও এটি সংশ্লিষ্ট। এসবের মাঝে মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয় এবং সামাজিক ন্যায়বিচার, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা বিধান হয়। ইসলামী আকীদাকে মানুষের আত্মায় গেঁথে দেয়াই ইসলামী জীবন ব্যবস্থাপনার অন্যতম লক্ষ্য। এক্ষেত্রে দু’টি মূলনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এক. সমতা বিধান করা
মানষের পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্যের ক্ষেত্রে ইসলাম সমতার বিধান দিয়েছে। কেননা সৃষ্টিগতভাবে তারা সবাই সমান। সকলেই মাটি হতে সৃষ্ট এবং সকলের পরিণতি এক। এ মর্মে কুরআনে এসেছে,
﴿ فَلۡيَنظُرِ ٱلۡإِنسَٰنُ مِمَّ خُلِقَ ٥ ﴾ [ الطارق : ٥ ]
‘‘অতএব, মানুষ যেন চিন্তা করে দেখে তাকে কী থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’’
﴿ وَٱللَّهُ خَلَقَكُم مِّن تُرَابٖ ثُمَّ مِن نُّطۡفَةٖ﴾ [ فاطر : ١١ ]
‘‘আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে; তারপর শুক্রবিন্দু থেকে।’’ [. সূরা আল্-ফাতির : ১১।]
তবে শ্রেষ্ঠ তারা যারা আল্লাহ্কে অধিক ভয় পায় এবং সৎ কাজ করে। আল্লাহ্ বলেন-
﴿إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ ١٣ ﴾ [ الحجرات : ١٣ ]
‘‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র কাছে সে ব্যক্তিই বেশী মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে বেশী তাকওয়াসম্পন্ন [. সূরা হুজরাত : ১৩।]।’’
দুই. সামাজিক দায়িত্ববোধ
ইসলাম ব্যক্তির সংশোধনের পাশাপাশি সমাজের সংশোধনকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ বাস করে। কেউ ধনী, কেউবা গরীব, কেউ এতিম কেউবা নারী। কেউ শিশু কেউবা বৃদ্ধ। ইসলাম একজনের দায়িত্ব অন্যজনের উপর বর্তানোর ক্ষেত্রে এমন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছে যা ব্যতীত সামাজিক শৃংখলা রক্ষা করা অসম্ভব। হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেককে দায়িত্বশীল এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
«كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ»
অর্থাৎ ‘‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নেতা তার অধীনস্থদের জন্য জবাবদিহী করবেন [. ইমাম বুখারী, সহীহুল বুখারী, ২য় খন্ড, বাবুল জুম‘আ ফিল ক্বুরা ওয়াল মুদুন, পৃ. ৫, হাদীস নং- ৮৯৩।]।’’
এক. সমতা বিধান করা
মানষের পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্যের ক্ষেত্রে ইসলাম সমতার বিধান দিয়েছে। কেননা সৃষ্টিগতভাবে তারা সবাই সমান। সকলেই মাটি হতে সৃষ্ট এবং সকলের পরিণতি এক। এ মর্মে কুরআনে এসেছে,
﴿ فَلۡيَنظُرِ ٱلۡإِنسَٰنُ مِمَّ خُلِقَ ٥ ﴾ [ الطارق : ٥ ]
‘‘অতএব, মানুষ যেন চিন্তা করে দেখে তাকে কী থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’’
﴿ وَٱللَّهُ خَلَقَكُم مِّن تُرَابٖ ثُمَّ مِن نُّطۡفَةٖ﴾ [ فاطر : ١١ ]
‘‘আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে; তারপর শুক্রবিন্দু থেকে।’’ [. সূরা আল্-ফাতির : ১১।]
তবে শ্রেষ্ঠ তারা যারা আল্লাহ্কে অধিক ভয় পায় এবং সৎ কাজ করে। আল্লাহ্ বলেন-
﴿إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ ١٣ ﴾ [ الحجرات : ١٣ ]
‘‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র কাছে সে ব্যক্তিই বেশী মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে বেশী তাকওয়াসম্পন্ন [. সূরা হুজরাত : ১৩।]।’’
দুই. সামাজিক দায়িত্ববোধ
ইসলাম ব্যক্তির সংশোধনের পাশাপাশি সমাজের সংশোধনকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ বাস করে। কেউ ধনী, কেউবা গরীব, কেউ এতিম কেউবা নারী। কেউ শিশু কেউবা বৃদ্ধ। ইসলাম একজনের দায়িত্ব অন্যজনের উপর বর্তানোর ক্ষেত্রে এমন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছে যা ব্যতীত সামাজিক শৃংখলা রক্ষা করা অসম্ভব। হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেককে দায়িত্বশীল এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
«كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ»
অর্থাৎ ‘‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নেতা তার অধীনস্থদের জন্য জবাবদিহী করবেন [. ইমাম বুখারী, সহীহুল বুখারী, ২য় খন্ড, বাবুল জুম‘আ ফিল ক্বুরা ওয়াল মুদুন, পৃ. ৫, হাদীস নং- ৮৯৩।]।’’
সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনমতের গুরুত্ব অত্যাধিক। জনমত গঠিত হলে সাধারণ জনগণকে যে কোনো নির্দেশনার প্রতি খুব সহজেই উদ্বুদ্ধ করা যায়। ফলে এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় যে কোনো উদ্দেশ্য সাধন করা সম্ভব হয়।
জনমত হচ্ছে, কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কোনো উম্মাহ বা জাতির অথবা কোনো শ্রেণীর মানুষের মত বা নির্দেশনা অথবা প্রস্তাবনা।
ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে জনমতের ভূমিকা অপরিসীম। যেহেতু এতে বিভিন্ন নির্দেশনা, মূল্যায়ন থাকে যা মানুষকে তাদের মূল্যবোধ রক্ষা ও জুলুম নির্যাতন মূলোৎপাটনে সহায়তা করে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনমতকে তাঁর তারবিয়াত ও নির্দেশনার এক অন্যতম কর্তব্য হিসেবে ব্যবহার করতেন। যেমন তাবুকের যুদ্ধে তিনজন সাহাবী ওযর ব্যতীত অংশ গ্রহণ থেকে বিরত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে জনমতের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। তাদের মধ্য হতে একজন কা‘ব ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার নিজ সম্পর্কে বলেন:
نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن كلامنا ومحادثتنا فتنكّر الناس لنا ولم يعد يكلّمنا أحد من قريب أو بعيد حتى مضت أربعين ليلة أمرنا الرسول صلى الله عليه وسلم أن نعتزل نسائنا -
‘‘নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে আমাদের সাথে কথা বলা আলাপ আলোচনা করা নিষিদ্ধ করেছেন, ফলে তারা আমাদের অবজ্ঞা করতে লাগলেন। নিকটবর্তী ও দূরবর্তী কেউই আমাদের সাথে কথা বলতেন না। এভাবে চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। আমাদের স্ত্রীগণের থেকেও আমাদের দূরে থাকতে আদেশ দিয়েছেন।’’
অনুরূপভাবে আরেকজন বাজার, মসজিদ এমনকি রাসূলের পেছনে নামাজ আদায় করতেন, কিন্তু সাহাবীগণ তাকে অবজ্ঞা করে চলতেন।
এভাবে মদ হারাম করার বিষয়েও জনমতকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যায়ক্রমে তা হারাম করেছেন।
অতএব, মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে জনমত গঠন সহজ হয়।
জনমত হচ্ছে, কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কোনো উম্মাহ বা জাতির অথবা কোনো শ্রেণীর মানুষের মত বা নির্দেশনা অথবা প্রস্তাবনা।
ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে জনমতের ভূমিকা অপরিসীম। যেহেতু এতে বিভিন্ন নির্দেশনা, মূল্যায়ন থাকে যা মানুষকে তাদের মূল্যবোধ রক্ষা ও জুলুম নির্যাতন মূলোৎপাটনে সহায়তা করে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনমতকে তাঁর তারবিয়াত ও নির্দেশনার এক অন্যতম কর্তব্য হিসেবে ব্যবহার করতেন। যেমন তাবুকের যুদ্ধে তিনজন সাহাবী ওযর ব্যতীত অংশ গ্রহণ থেকে বিরত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে জনমতের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। তাদের মধ্য হতে একজন কা‘ব ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার নিজ সম্পর্কে বলেন:
نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن كلامنا ومحادثتنا فتنكّر الناس لنا ولم يعد يكلّمنا أحد من قريب أو بعيد حتى مضت أربعين ليلة أمرنا الرسول صلى الله عليه وسلم أن نعتزل نسائنا -
‘‘নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে আমাদের সাথে কথা বলা আলাপ আলোচনা করা নিষিদ্ধ করেছেন, ফলে তারা আমাদের অবজ্ঞা করতে লাগলেন। নিকটবর্তী ও দূরবর্তী কেউই আমাদের সাথে কথা বলতেন না। এভাবে চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। আমাদের স্ত্রীগণের থেকেও আমাদের দূরে থাকতে আদেশ দিয়েছেন।’’
অনুরূপভাবে আরেকজন বাজার, মসজিদ এমনকি রাসূলের পেছনে নামাজ আদায় করতেন, কিন্তু সাহাবীগণ তাকে অবজ্ঞা করে চলতেন।
এভাবে মদ হারাম করার বিষয়েও জনমতকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যায়ক্রমে তা হারাম করেছেন।
অতএব, মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে জনমত গঠন সহজ হয়।
ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এটি সর্বযুগের সর্বকালের মানুষের প্রতি প্রেরিত এক শাশ্বত জীবন বিধান। এ সম্পর্কে যে কোনো নির্দেশনা ও তথ্য গণমাধ্যমের সাহায্যে খুব সহজেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে দেয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে কারো প্রতি কোনোরূপ প্রভাব বা জোর জবরদস্তির আশ্রয় নেয়া যাবে না। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ ٢٥٦ ﴾ [ البقرة : ٢٥٦ ]
‘‘দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।’’ [.সূরা আল্-বাকারাহ : ২৫৬।]
ইসলামকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য রয়েছে বৈজ্ঞানিক কৌশল ও পদ্ধতি। এদিকে ইঙ্গিত করেই মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ ١٢٥ ﴾ [ النحل : ١٢٥ ]
‘‘আপনি মানুষকে দা‘ওয়াত দিন আপনার রবের পথে হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে তর্ক করবেন উত্তম পন্থায়।’’ [. সূরা আন্-নাহল : ১২৫।]
ইসলাম কাফির-মুশরিক সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে কোনো বিশেষ শ্রেণীকে অবজ্ঞা করার কোন সুযোগ নেই। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ وَإِنۡ أَحَدٞ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ٱسۡتَجَارَكَ فَأَجِرۡهُ حَتَّىٰ يَسۡمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبۡلِغۡهُ مَأۡمَنَهُۥۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمٞ لَّا يَعۡلَمُونَ ٦ ﴾ [ التوبة : ٦ ]
‘‘আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহ্র বাণী শুনতে পায়, তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিন; কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা জানে না।’’ [. সূরা আল্-তাওবা : ৬।]
উপর্যুক্ত আয়াতে মুশরিকদের নিরাপত্তা বিধান ও তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে চলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেন তারা আল্লাহ্র বাণী শুনতে উদ্বুদ্ধ হয় এবং সুস্পষ্ট রিসালাতের বাণী তাদের কাছে পৌঁছে যায়।
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿ ۞وَلَقَدۡ وَصَّلۡنَا لَهُمُ ٱلۡقَوۡلَ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٥١ ﴾ [ القصص : ٥١ ]
‘‘আর অবশ্যই আমরা তাদের কাছে পরপর বাণী পৌঁছে দিয়েছি; যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’’ [. সূরা আল্-কাসাস : ৫১।]
আলোচ্য আয়াতে ( وَصَّلۡنَا لَهُمُ ٱلۡقَوۡلَ ) সুস্পষ্টভাবে ইসলামী গণমাধ্যমকে বুঝিয়েছে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নাযিলকৃত কুরআনের বাণী সংশোধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞার সাথে অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া।
ইসলাম যেহেতু সকল মানুষের জন্য তাই ইসলামী মিডিয়ার আবেদনও সব মানুষের প্রতি। মহান আল্লাহ্ আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সকল মানুষের হিদায়াতের জন্য প্রেরণ করেছেন। তিনি বলেন-
﴿ قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنِّي رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيۡكُمۡ جَمِيعًا ﴾ [ الاعراف : ١٥٨ ]
‘‘বলুন, ‘হে মানুষ! নিশ্চয় আমি তোমাদের সবার প্রতি আল্লাহ্র রাসূল।’’ [. সূরা আল্-আরাফ : ১৫৮।]
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿ وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةٗ لِّلنَّاسِ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٢٨ ﴾ [ سبا : ٢٨ ]
‘‘আর আমরা তো আপনাকে সমগ্র মানুষের জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।’’ [.সূরা সাবা : ২৮।]
মিডিয়া সব মানুষের প্রতি সমভাবে আবেদন করে থাকে। এ মিডিয়াকে ইসলাম প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা গেলে খুব সহজে পৃথিবীর দিগদিগন্তে ইসলামকে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে।
﴿ لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ ٢٥٦ ﴾ [ البقرة : ٢٥٦ ]
‘‘দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।’’ [.সূরা আল্-বাকারাহ : ২৫৬।]
ইসলামকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য রয়েছে বৈজ্ঞানিক কৌশল ও পদ্ধতি। এদিকে ইঙ্গিত করেই মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ ١٢٥ ﴾ [ النحل : ١٢٥ ]
‘‘আপনি মানুষকে দা‘ওয়াত দিন আপনার রবের পথে হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে তর্ক করবেন উত্তম পন্থায়।’’ [. সূরা আন্-নাহল : ১২৫।]
ইসলাম কাফির-মুশরিক সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে কোনো বিশেষ শ্রেণীকে অবজ্ঞা করার কোন সুযোগ নেই। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ وَإِنۡ أَحَدٞ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ٱسۡتَجَارَكَ فَأَجِرۡهُ حَتَّىٰ يَسۡمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبۡلِغۡهُ مَأۡمَنَهُۥۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمٞ لَّا يَعۡلَمُونَ ٦ ﴾ [ التوبة : ٦ ]
‘‘আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহ্র বাণী শুনতে পায়, তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিন; কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা জানে না।’’ [. সূরা আল্-তাওবা : ৬।]
উপর্যুক্ত আয়াতে মুশরিকদের নিরাপত্তা বিধান ও তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে চলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেন তারা আল্লাহ্র বাণী শুনতে উদ্বুদ্ধ হয় এবং সুস্পষ্ট রিসালাতের বাণী তাদের কাছে পৌঁছে যায়।
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿ ۞وَلَقَدۡ وَصَّلۡنَا لَهُمُ ٱلۡقَوۡلَ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٥١ ﴾ [ القصص : ٥١ ]
‘‘আর অবশ্যই আমরা তাদের কাছে পরপর বাণী পৌঁছে দিয়েছি; যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’’ [. সূরা আল্-কাসাস : ৫১।]
আলোচ্য আয়াতে ( وَصَّلۡنَا لَهُمُ ٱلۡقَوۡلَ ) সুস্পষ্টভাবে ইসলামী গণমাধ্যমকে বুঝিয়েছে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নাযিলকৃত কুরআনের বাণী সংশোধনের লক্ষ্যে প্রজ্ঞার সাথে অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া।
ইসলাম যেহেতু সকল মানুষের জন্য তাই ইসলামী মিডিয়ার আবেদনও সব মানুষের প্রতি। মহান আল্লাহ্ আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সকল মানুষের হিদায়াতের জন্য প্রেরণ করেছেন। তিনি বলেন-
﴿ قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنِّي رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيۡكُمۡ جَمِيعًا ﴾ [ الاعراف : ١٥٨ ]
‘‘বলুন, ‘হে মানুষ! নিশ্চয় আমি তোমাদের সবার প্রতি আল্লাহ্র রাসূল।’’ [. সূরা আল্-আরাফ : ১৫৮।]
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿ وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةٗ لِّلنَّاسِ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٢٨ ﴾ [ سبا : ٢٨ ]
‘‘আর আমরা তো আপনাকে সমগ্র মানুষের জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।’’ [.সূরা সাবা : ২৮।]
মিডিয়া সব মানুষের প্রতি সমভাবে আবেদন করে থাকে। এ মিডিয়াকে ইসলাম প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা গেলে খুব সহজে পৃথিবীর দিগদিগন্তে ইসলামকে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে।
ইসলামী মিডিয়া একটি নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। যেহেতু ইসলামী মিডিয়া মূলত ইসলামী ধ্যান-ধারণা ও আকীদা-বিশ্বাস লালন করার ক্ষেত্রে অটল-অবিচল থাকে। এ মাধ্যম মানুষের জন্য হেদায়াতের আলোকবর্তিকা, আকীদাগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও ইসলামী শরী‘আহর অনুসরণের দিকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচেষ্টা চালায়। আর এগুলোর দিকে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং ব্যক্তি ও সমাজে ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠা মানব হৃদয়ে দৃঢ়মূল হয়। [. ড. ইব্রাহিম ইমাম, উসূলুল ইলামিল ইসলামী, কায়রো : দারুল ফিকর আল-আরাবী, ১৯৮৫ খ্রি. পৃ. ৪৬।]
জনসাধারণের নিকট যে কোনো ধরনের সংবাদ, তথ্য-প্রমান, প্রামাণ্য চিত্র, প্রতিবেদন, বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ইসলামী মিডিয়াকে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হয়। আর এর জন্য প্রয়োজন হলো উপর্যুক্ত বিষয়াদি যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ করতঃ উপস্থাপন করা। তাহলে মিডিয়া পর্যায়ক্রমে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপলাভ করবে। এক্ষেত্রে ইসলামী মিডিয়াকে সর্বাগ্রে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেতে সচেষ্ট হতে হয়। কেননা এটি একটি মিশনারী কার্যক্রম। যা নবী-রাসূলগণ যুগে যুগে সমকালীন ব্যবস্থাপনার সাহায্যে করেছেন। আজকাল তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে আমাদেরকে আধুনিক গণমাধ্যম তথা ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াতে নির্ভুল ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে ইসলামী মিডিয়াকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া আবশ্যক।
জনসাধারণের নিকট যে কোনো ধরনের সংবাদ, তথ্য-প্রমান, প্রামাণ্য চিত্র, প্রতিবেদন, বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ইসলামী মিডিয়াকে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হয়। আর এর জন্য প্রয়োজন হলো উপর্যুক্ত বিষয়াদি যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ করতঃ উপস্থাপন করা। তাহলে মিডিয়া পর্যায়ক্রমে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপলাভ করবে। এক্ষেত্রে ইসলামী মিডিয়াকে সর্বাগ্রে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেতে সচেষ্ট হতে হয়। কেননা এটি একটি মিশনারী কার্যক্রম। যা নবী-রাসূলগণ যুগে যুগে সমকালীন ব্যবস্থাপনার সাহায্যে করেছেন। আজকাল তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে আমাদেরকে আধুনিক গণমাধ্যম তথা ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াতে নির্ভুল ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে ইসলামী মিডিয়াকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া আবশ্যক।
মিডিয়া সর্বদা সত্য সংবাদ পরিবেশনকারী ও যাবতীয় তথ্য-উপাত্তের আমানতদার হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা সত্য মহাগ্রন্থ আল্-কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যেহেতু ইসলামী মিডিয়া ইসলামের বিভিন্ন দিক ও বিভাগ সম্পর্কে প্রচারণা চালায় সেহেতু তা অবশ্যই সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত গুণাবলীর অধিকারী। অতএব, সত্যবাদিতা একজন ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্যতম চারিত্রিক গুণ। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَكُونُواْ مَعَ ٱلصَّٰدِقِينَ ١١٩ ﴾ [ التوبة : ١١٩ ]
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।’’ [.সূরা তাওবাহ : ১১৯।]
ইসলামী মিডিয়া এ বৈশিষ্ট্যটি সবসময় অনুশীলন করে থাকে। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা এবং মিথ্যাকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য ন্যায় ও ইনসাফের দিকে মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট করা এর অন্যতম কাজ। দীনকে হেফাজত করতে এবং দুনিয়ার জীবনে তা বাস্তবায়নে তা সদা সচেষ্ট।
সত্যের বিপরীত মিথ্যা, পবিত্র কুরআনে মিথ্যা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মিথ্যাবাদীকে বিভিন্ন স্থানে অভিসম্পাতও দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بَِٔايَٰتِ ٱللَّهِ لَا يَهۡدِيهِمُ ٱللَّهُ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ١٠٤ ﴾ [ النحل : ١٠٤ ]
‘‘নিশ্চয় যারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহে ঈমান আনে না, তাদেরকে আল্লাহ্ হিদায়াত করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’’ [.সূরা আন নাহল : ১০৪।]
মিথ্যা বলার মাঝে নেফাকী চরিত্র ফুটে উঠেছে। এটি মুনাফিকদের অন্যতম লক্ষণ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
«آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ : إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ»
অর্থাৎ ‘‘মুনাফিকের তিনটি আলামত। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং আমানত রাখলে তার খিয়ানত করে।’’ [.ইমাম বুখারী, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু মান আমারা বি ইনজাযিল ও‘য়াদ, হাদীস নং ২৬৮২।]
সত্যবাদীতার সাথে তিনটি বিষয় জড়িত।
এক. সত্য সংবাদ প্রদান।
দুই. সত্য কথা বলা।
তিন. সঠিক হুকুম দেয়া।
উপর্যুক্ত তিনটি দিকেই মিডিয়া সত্যকে অনুসরণ করলে সে মিডিয়াটি জনসাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। আর কোনো কিছু যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তখন তার আবেদনটি স্থায়ী হয় না। ইসলাম যেহেতু সুন্দর, স্থায়ী। তাই এ মিডিয়া ইসলামী সংবাদ পরিবেশন, বক্তব্য প্রদান ও বিচারের ক্ষেত্রে সততা নিশ্চিত করে থাকে। মূলতঃ এগুলো সবই তাকওয়ার অংশ। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُونُواْ قَوَّٰمِينَ لِلَّهِ شُهَدَآءَ بِٱلۡقِسۡطِۖ وَلَا يَجۡرِمَنَّكُمۡ شَنََٔانُ قَوۡمٍ عَلَىٰٓ أَلَّا تَعۡدِلُواْۚ ٱعۡدِلُواْ هُوَ أَقۡرَبُ لِلتَّقۡوَىٰۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ ٨ ﴾ [ المائدة : ٨ ]
‘‘হে মুমিনগণ! আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে; কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাক্ওয়ার কাছাকাছি। আর তোমরা আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ্ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।’’ [.সূরা আল্-মায়েদা : ৮।]
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَكُونُواْ مَعَ ٱلصَّٰدِقِينَ ١١٩ ﴾ [ التوبة : ١١٩ ]
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।’’ [.সূরা তাওবাহ : ১১৯।]
ইসলামী মিডিয়া এ বৈশিষ্ট্যটি সবসময় অনুশীলন করে থাকে। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা এবং মিথ্যাকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য ন্যায় ও ইনসাফের দিকে মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট করা এর অন্যতম কাজ। দীনকে হেফাজত করতে এবং দুনিয়ার জীবনে তা বাস্তবায়নে তা সদা সচেষ্ট।
সত্যের বিপরীত মিথ্যা, পবিত্র কুরআনে মিথ্যা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মিথ্যাবাদীকে বিভিন্ন স্থানে অভিসম্পাতও দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بَِٔايَٰتِ ٱللَّهِ لَا يَهۡدِيهِمُ ٱللَّهُ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ١٠٤ ﴾ [ النحل : ١٠٤ ]
‘‘নিশ্চয় যারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহে ঈমান আনে না, তাদেরকে আল্লাহ্ হিদায়াত করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’’ [.সূরা আন নাহল : ১০৪।]
মিথ্যা বলার মাঝে নেফাকী চরিত্র ফুটে উঠেছে। এটি মুনাফিকদের অন্যতম লক্ষণ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
«آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ : إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ»
অর্থাৎ ‘‘মুনাফিকের তিনটি আলামত। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং আমানত রাখলে তার খিয়ানত করে।’’ [.ইমাম বুখারী, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু মান আমারা বি ইনজাযিল ও‘য়াদ, হাদীস নং ২৬৮২।]
সত্যবাদীতার সাথে তিনটি বিষয় জড়িত।
এক. সত্য সংবাদ প্রদান।
দুই. সত্য কথা বলা।
তিন. সঠিক হুকুম দেয়া।
উপর্যুক্ত তিনটি দিকেই মিডিয়া সত্যকে অনুসরণ করলে সে মিডিয়াটি জনসাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। আর কোনো কিছু যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তখন তার আবেদনটি স্থায়ী হয় না। ইসলাম যেহেতু সুন্দর, স্থায়ী। তাই এ মিডিয়া ইসলামী সংবাদ পরিবেশন, বক্তব্য প্রদান ও বিচারের ক্ষেত্রে সততা নিশ্চিত করে থাকে। মূলতঃ এগুলো সবই তাকওয়ার অংশ। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُونُواْ قَوَّٰمِينَ لِلَّهِ شُهَدَآءَ بِٱلۡقِسۡطِۖ وَلَا يَجۡرِمَنَّكُمۡ شَنََٔانُ قَوۡمٍ عَلَىٰٓ أَلَّا تَعۡدِلُواْۚ ٱعۡدِلُواْ هُوَ أَقۡرَبُ لِلتَّقۡوَىٰۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ ٨ ﴾ [ المائدة : ٨ ]
‘‘হে মুমিনগণ! আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে; কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা সুবিচার করবে, এটা তাক্ওয়ার কাছাকাছি। আর তোমরা আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ্ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।’’ [.সূরা আল্-মায়েদা : ৮।]
ইসলামে মিডিয়ার যেমন স্বাধীনতা দিয়েছে তেমনি রয়েছে এর জবাবদিহিতা। অর্থাৎ এখানে স্বাধীনতাটা জবাবদিহিতার শৃংখলে আবদ্ধ। আল্লাহ্র ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে একজন সংবাদ কর্মীর স্বাধীনতা থাকে। কিন্তু আল্লাহ্র নিকট পরকালে এ স্বাধীনতা গ্রহণ করার জন্য জবাবদিহি করতে হয়। এটা মহান আল্লাহ্ মানুষের স্বভাব প্রকৃতিতে দিয়েছেন। ফলে সে সাধ্য অনুযায়ী তাঁর ইবাদাত করবে, অন্যের নিকট ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছে দিবে, ইসলাম সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান লাভে ব্রতী হবে, সত্য ও সুন্দরের প্রতি আকৃষ্ট হবে, কল্যাণের কাজে পারস্পরিক সহযোগিতা করবে এবং ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস অবলম্বনে নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনে সচেষ্ট হবে। [.সাঈদ আলী সাবিত, আল হুররিয়াতুল ইলমিয়া ফী দুয়েল ইসলাম, (রিয়াদ : আল্-আলামিল কুতুব, ১৪১২ হি.), পৃ. ৫৪।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নমুনা, যিনি সর্বপ্রথম মানুষকে হেদায়াতের দিকে আহ্বান করেছেন। তার আহবানে সাড়া দিয়ে অনেকে হেদায়াত লাভ করেছে। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন-
﴿ ۞يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ بَلِّغۡ مَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَۖ وَإِن لَّمۡ تَفۡعَلۡ فَمَا بَلَّغۡتَ رِسَالَتَهُۥۚ وَٱللَّهُ يَعۡصِمُكَ مِنَ ٱلنَّاسِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٦٧ ﴾ [ المائدة : ٦٧ ]
‘‘হে রাসূল! আপনার রবের কাছ থেকে আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা প্রচার করুন; যদি না করেন তবে তো আপনি তাঁর বার্তা প্রচার করলেন না। আর আল্লাহ্ আপনাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়াত করেন না।’’
অনুরূপভাবে একজন প্রচারকর্মীকে মহান আল্লাহ্র সামনে জবাবদিহি করতে হবে; সে যথাযথভাবে রাসূলের রেখে যাওয়া রিসালাতের অসম্পন্ন কাজ মানুষের নিকট প্রচার করতে সক্ষম হয়েছে কি-না। সেদিন মিথ্যা বলে পার পাবার কোনই সুযোগ নেই। কারণ সে দুনিয়ার কোনো শাসক-প্রশাসকের কাছে জবাবদিহি করছে না। [.সূরা আল্-মায়েদা : ৬৭।] আল্লাহ্ বলেন:
﴿ مَّا يَلۡفِظُ مِن قَوۡلٍ إِلَّا لَدَيۡهِ رَقِيبٌ عَتِيدٞ ١٨ ﴾ [ق: ١٨ ]
“সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।” [.সূরা ক্বাফ : ১৮।]
﴿۞لَّا يُحِبُّ ٱللَّهُ ٱلۡجَهۡرَ بِٱلسُّوٓءِ مِنَ ٱلۡقَوۡلِ إِلَّا مَن ظُلِمَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا ١٤٨ ﴾ [ النساء : ١٤٨ ]
‘‘মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ্ পছন্দ করেন না; তবে যার উপর যুলুম করা হয়েছে। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’’ [.সূরা আন্-নিসা : ১৪৮।]
ইসলাম প্রচারের অন্যতম উদ্দেশ্য আল্লাহ্র সন্তুষ্টি বিধান। আর তা প্রচার করে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ফলে তার জবাবদিহিমূলক ঝোক প্রবণতা থাকা খুবই স্বাভাবিক। অতএব জবাবদিহিতা ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। হাদীসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ»
অর্থাৎ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তার উচিত ভাল কথা বলা অথবা চুপ থাকা।’’ [.ইমাম বুখারী, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু মান কানা ই’মিনু বিল্লাহ ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, হাদীস নং ৬০১৮।]
মিডিয়ার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ইসলামী সমাজের নিরাপত্তা বিধানের সহায়ক। এর সাহায্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকান্ড নিরাপদ থাকে। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যা রাহেমাহুল্লাহ্ বলেন-
جميع الولايات الإسلامية إنما مقصودها الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر وبالصدق في كل الأخبار والعدل في الإنشاء من الأقوال والأعمال تصلح جميع الأحوال -
‘‘সকল ইসলামী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল, সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করা, সকল সংবাদ সত্য হওয়া, ন্যায় বিচার করা, কথা ও কাজের মাধ্যমে সর্বাবস্থায় সংশোধন করা।’’ [.শায়খুল ইসলাম ইবন্ তাইমিয়া, আল হিসবা ওয়াল অজিফাতুল হুকুমাহ আল ইসলামিয়া, বৈরুত: দারুল কিতাবিল আরাবী, ১৯৭৬ ইং, পৃ. ৬-৭।]
অতঃপর তিনি তেলাওয়াত করেন,
﴿ وَتَمَّتۡ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدۡقٗا وَعَدۡلٗاۚ لَّا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِهِۦۚ﴾ [ الانعام : ١١٥ ]
‘‘আর সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়ে আপনার রব-এর বাণী পরিপূর্ণ; তার বাণীর কোনো পরিবর্তনকারী নেই।’’ [.সূরা আল-আনআম : ১১৫।]
মূলত জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা স্থায়ী হয়। সমাজের প্রতিটি মানুষ নিরাপত্তা লাভ করে, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা প্রভৃতি প্রচার-প্রসার হতে মিডিয়া বিরত থাকে। আল্লাহ্ বলেন-
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلۡفَٰحِشَةُ فِي ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ١٩ ﴾ [ النور : ١٩ ]
‘‘নিশ্চয় যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ্ জানেন, তোমরা জান না।’’ [.সূরা নূর : ১৯।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নমুনা, যিনি সর্বপ্রথম মানুষকে হেদায়াতের দিকে আহ্বান করেছেন। তার আহবানে সাড়া দিয়ে অনেকে হেদায়াত লাভ করেছে। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন-
﴿ ۞يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ بَلِّغۡ مَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَۖ وَإِن لَّمۡ تَفۡعَلۡ فَمَا بَلَّغۡتَ رِسَالَتَهُۥۚ وَٱللَّهُ يَعۡصِمُكَ مِنَ ٱلنَّاسِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٦٧ ﴾ [ المائدة : ٦٧ ]
‘‘হে রাসূল! আপনার রবের কাছ থেকে আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা প্রচার করুন; যদি না করেন তবে তো আপনি তাঁর বার্তা প্রচার করলেন না। আর আল্লাহ্ আপনাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়াত করেন না।’’
অনুরূপভাবে একজন প্রচারকর্মীকে মহান আল্লাহ্র সামনে জবাবদিহি করতে হবে; সে যথাযথভাবে রাসূলের রেখে যাওয়া রিসালাতের অসম্পন্ন কাজ মানুষের নিকট প্রচার করতে সক্ষম হয়েছে কি-না। সেদিন মিথ্যা বলে পার পাবার কোনই সুযোগ নেই। কারণ সে দুনিয়ার কোনো শাসক-প্রশাসকের কাছে জবাবদিহি করছে না। [.সূরা আল্-মায়েদা : ৬৭।] আল্লাহ্ বলেন:
﴿ مَّا يَلۡفِظُ مِن قَوۡلٍ إِلَّا لَدَيۡهِ رَقِيبٌ عَتِيدٞ ١٨ ﴾ [ق: ١٨ ]
“সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।” [.সূরা ক্বাফ : ১৮।]
﴿۞لَّا يُحِبُّ ٱللَّهُ ٱلۡجَهۡرَ بِٱلسُّوٓءِ مِنَ ٱلۡقَوۡلِ إِلَّا مَن ظُلِمَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا ١٤٨ ﴾ [ النساء : ١٤٨ ]
‘‘মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ্ পছন্দ করেন না; তবে যার উপর যুলুম করা হয়েছে। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’’ [.সূরা আন্-নিসা : ১৪৮।]
ইসলাম প্রচারের অন্যতম উদ্দেশ্য আল্লাহ্র সন্তুষ্টি বিধান। আর তা প্রচার করে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ফলে তার জবাবদিহিমূলক ঝোক প্রবণতা থাকা খুবই স্বাভাবিক। অতএব জবাবদিহিতা ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। হাদীসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ»
অর্থাৎ ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তার উচিত ভাল কথা বলা অথবা চুপ থাকা।’’ [.ইমাম বুখারী, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু মান কানা ই’মিনু বিল্লাহ ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, হাদীস নং ৬০১৮।]
মিডিয়ার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ইসলামী সমাজের নিরাপত্তা বিধানের সহায়ক। এর সাহায্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকান্ড নিরাপদ থাকে। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যা রাহেমাহুল্লাহ্ বলেন-
جميع الولايات الإسلامية إنما مقصودها الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر وبالصدق في كل الأخبار والعدل في الإنشاء من الأقوال والأعمال تصلح جميع الأحوال -
‘‘সকল ইসলামী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল, সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করা, সকল সংবাদ সত্য হওয়া, ন্যায় বিচার করা, কথা ও কাজের মাধ্যমে সর্বাবস্থায় সংশোধন করা।’’ [.শায়খুল ইসলাম ইবন্ তাইমিয়া, আল হিসবা ওয়াল অজিফাতুল হুকুমাহ আল ইসলামিয়া, বৈরুত: দারুল কিতাবিল আরাবী, ১৯৭৬ ইং, পৃ. ৬-৭।]
অতঃপর তিনি তেলাওয়াত করেন,
﴿ وَتَمَّتۡ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدۡقٗا وَعَدۡلٗاۚ لَّا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِهِۦۚ﴾ [ الانعام : ١١٥ ]
‘‘আর সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়ে আপনার রব-এর বাণী পরিপূর্ণ; তার বাণীর কোনো পরিবর্তনকারী নেই।’’ [.সূরা আল-আনআম : ১১৫।]
মূলত জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা স্থায়ী হয়। সমাজের প্রতিটি মানুষ নিরাপত্তা লাভ করে, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা প্রভৃতি প্রচার-প্রসার হতে মিডিয়া বিরত থাকে। আল্লাহ্ বলেন-
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلۡفَٰحِشَةُ فِي ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ١٩ ﴾ [ النور : ١٩ ]
‘‘নিশ্চয় যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ্ জানেন, তোমরা জান না।’’ [.সূরা নূর : ১৯।]
মিডিয়া বাস্তবতা উপেক্ষা করতে পারে না। বাস্তবতার নিরিখেই এটি তার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বাস্তবধর্মী বলতে বাস্তবিক অর্থে যেসব কাজ সংগঠিত হয় শুধু তাকে বুঝায় না বরং আল্লাহ্ প্রদত্ত বিধান অনুসরণে মানুষের যে সহজাত প্রকৃতি রয়েছে তা গঠনে বাচনিক ও কার্যগত প্রচেষ্টা চালানোকে বুঝায়। [.ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন ইমাম, আন-নাজরাতুল ইসলামিয়া লিল ‘ইলাম, কুয়েত : দারুল বহস আল ইসলামিয়া, ২য় সংস্করণ, ১৯৮৩ খ্রি., পৃ. ১৬৩।]
আর দীন হলো আল্লাহ্র ফিতরাত বা সৃষ্টি যা পরির্তনশীল নয়, স্থায়ী ব্যবস্থা যেটি হলো ইসলাম। সাহাবীগণ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম তাঁদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে এর নির্দেশনা হতে বিচ্যুত হন নি। শুধু তাই নয়, অন্যদেরকেও এ দীন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত এ মহতি কাজকে ইসলামী সমাজের জন্য ফরজে আইন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। [.প্রাগুক্ত।]
ইসলামী মিডিয়া ইসলামের শিক্ষা, মূল্যবোধ, সংশোধন নীতি, প্রতিটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে উম্মাহর সংশোধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আল্লাহ্ প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী মানুষের মাঝে বিচার-ফয়সালা করার জন্য মানুষকে উৎসাহ যুগিয়ে থাকে। অতএব, মানব জীবনে মিডিয়া এক তৎপরতার নাম। আল্লাহ্ বলেন-
﴿وَأَنِ ٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡ وَٱحۡذَرۡهُمۡ أَن يَفۡتِنُوكَ عَنۢ بَعۡضِ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ إِلَيۡكَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَٱعۡلَمۡ أَنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُصِيبَهُم بِبَعۡضِ ذُنُوبِهِمۡۗ وَإِنَّ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلنَّاسِ لَفَٰسِقُونَ ٤٩ أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ ٥٠ ﴾ [ المائدة : ٤٨، ٥٠ ]
‘‘আর আপনি আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী বিচার নিষ্পত্তি করুন ও তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না এবং তাদের ব্যাপারে সতর্ক হোন, যাতে আল্লাহ্ আপনার প্রতি যা নাযিল করেছেন তারা এর কোন কিছু হতে আপনাকে বিচ্যুত না করে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রাখুন যে, আল্লাহ্ তাদেরকে কেবল তাদের কোনো কোনো পাপের জন্য শাস্তি দিতে চান। আর নিশ্চয় মানুষের মধ্যে অনেকেই তো ফাসেক। তবে কি তারা জাহেলিয়াতের বিধি-বিধান কামনা করে? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহ্র চেয়ে আর কে শ্রেষ্ঠতর?’’ [.সূরা আল্-মায়েদা : ৪৯, ৫০।]
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে প্রবৃত্তির অনুসরণকে পৃথিবীতে বিপর্যয় নিয়ে আসার নামান্তর বলে উলেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿وَلَوِ ٱتَّبَعَ ٱلۡحَقُّ أَهۡوَآءَهُمۡ لَفَسَدَتِ ٱلسَّمَٰوَٰتُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَن فِيهِنَّۚ﴾ [ المؤمنون : ٧١ ]
‘‘আর হক্ক যদি তাদের কামনা-বাসনার অনুগামী হত তবে বিশৃংখল হয়ে পড়ত আসমানসমূহ ও যমীন এবং এগুলোতে যা কিছু আছে সবকিছুই।’’ [.সূরা আল্-মু’মিনূন : ২৩।]
অতএব, আলোচ্য আয়াতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করত কোনো বাস্তবধর্মী কর্মের অনুসরণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা ইসলামী শরী‘আহ প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে ইসলামের অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রবর্তিত হয়েছে। এ মর্মে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿الٓرۚ كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ إِلَيۡكَ لِتُخۡرِجَ ٱلنَّاسَ مِنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذۡنِ رَبِّهِمۡ إِلَىٰ صراط العزيز الحميد ١ ﴾ [ ابراهيم : ١ ]
‘‘আলিফ-লাম্-রা, এ কিতাব, আমরা এটা আপনার প্রতি নাযিল করেছি যাতে আপনি মানুষদেরকে তাদের রবের অনুমতিক্রমে বের করে আনতে পারেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে, পরাক্রমশালী, সর্ব প্রশংসিতের পথের দিকে।’’ [.সূরা ইবরাহীম : ১।]
এছাড়াও মানুষের উপকার ও ক্ষতি এটি অধিকাংশ সময় আনুষঙ্গিক; বাস্তব নয়। কেননা এমন কাজ অনেক আছে যা কখনও উপকারে আসে; আবার অন্য সময় সেটি ক্ষতিতে পরিণত হয়। আবার যা কারো জন্য উপকারের বিষয় তা অন্যের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে।
বাস্তবধর্মী বলতে বাস্তবিক অর্থে যেসব কাজ সংগঠিত হয় শুধু তাকে বুঝায় না বরং আল্লাহ্ প্রদত্ত বিধান অনুসরণে মানুষের যে সহজাত প্রকৃতি রয়েছে তা গঠনে বাচনিক ও কার্যগত প্রচেষ্টা চালানোকে বুঝায়। [.ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন ইমাম, আন-নাজরাতুল ইসলামিয়া লিল ‘ইলাম, কুয়েত : দারুল বহস আল ইসলামিয়া, ২য় সংস্করণ, ১৯৮৩ খ্রি., পৃ. ১৬৩।]
আর দীন হলো আল্লাহ্র ফিতরাত বা সৃষ্টি যা পরির্তনশীল নয়, স্থায়ী ব্যবস্থা যেটি হলো ইসলাম। সাহাবীগণ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম তাঁদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে এর নির্দেশনা হতে বিচ্যুত হন নি। শুধু তাই নয়, অন্যদেরকেও এ দীন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত এ মহতি কাজকে ইসলামী সমাজের জন্য ফরজে আইন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। [.প্রাগুক্ত।]
ইসলামী মিডিয়া ইসলামের শিক্ষা, মূল্যবোধ, সংশোধন নীতি, প্রতিটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে উম্মাহর সংশোধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আল্লাহ্ প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী মানুষের মাঝে বিচার-ফয়সালা করার জন্য মানুষকে উৎসাহ যুগিয়ে থাকে। অতএব, মানব জীবনে মিডিয়া এক তৎপরতার নাম। আল্লাহ্ বলেন-
﴿وَأَنِ ٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡ وَٱحۡذَرۡهُمۡ أَن يَفۡتِنُوكَ عَنۢ بَعۡضِ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ إِلَيۡكَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَٱعۡلَمۡ أَنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُصِيبَهُم بِبَعۡضِ ذُنُوبِهِمۡۗ وَإِنَّ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلنَّاسِ لَفَٰسِقُونَ ٤٩ أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ ٥٠ ﴾ [ المائدة : ٤٨، ٥٠ ]
‘‘আর আপনি আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী বিচার নিষ্পত্তি করুন ও তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না এবং তাদের ব্যাপারে সতর্ক হোন, যাতে আল্লাহ্ আপনার প্রতি যা নাযিল করেছেন তারা এর কোন কিছু হতে আপনাকে বিচ্যুত না করে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রাখুন যে, আল্লাহ্ তাদেরকে কেবল তাদের কোনো কোনো পাপের জন্য শাস্তি দিতে চান। আর নিশ্চয় মানুষের মধ্যে অনেকেই তো ফাসেক। তবে কি তারা জাহেলিয়াতের বিধি-বিধান কামনা করে? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহ্র চেয়ে আর কে শ্রেষ্ঠতর?’’ [.সূরা আল্-মায়েদা : ৪৯, ৫০।]
এছাড়াও পবিত্র কুরআনে প্রবৃত্তির অনুসরণকে পৃথিবীতে বিপর্যয় নিয়ে আসার নামান্তর বলে উলেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿وَلَوِ ٱتَّبَعَ ٱلۡحَقُّ أَهۡوَآءَهُمۡ لَفَسَدَتِ ٱلسَّمَٰوَٰتُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَن فِيهِنَّۚ﴾ [ المؤمنون : ٧١ ]
‘‘আর হক্ক যদি তাদের কামনা-বাসনার অনুগামী হত তবে বিশৃংখল হয়ে পড়ত আসমানসমূহ ও যমীন এবং এগুলোতে যা কিছু আছে সবকিছুই।’’ [.সূরা আল্-মু’মিনূন : ২৩।]
অতএব, আলোচ্য আয়াতে প্রবৃত্তির অনুসরণ করত কোনো বাস্তবধর্মী কর্মের অনুসরণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা ইসলামী শরী‘আহ প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে ইসলামের অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রবর্তিত হয়েছে। এ মর্মে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿الٓرۚ كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ إِلَيۡكَ لِتُخۡرِجَ ٱلنَّاسَ مِنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذۡنِ رَبِّهِمۡ إِلَىٰ صراط العزيز الحميد ١ ﴾ [ ابراهيم : ١ ]
‘‘আলিফ-লাম্-রা, এ কিতাব, আমরা এটা আপনার প্রতি নাযিল করেছি যাতে আপনি মানুষদেরকে তাদের রবের অনুমতিক্রমে বের করে আনতে পারেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে, পরাক্রমশালী, সর্ব প্রশংসিতের পথের দিকে।’’ [.সূরা ইবরাহীম : ১।]
এছাড়াও মানুষের উপকার ও ক্ষতি এটি অধিকাংশ সময় আনুষঙ্গিক; বাস্তব নয়। কেননা এমন কাজ অনেক আছে যা কখনও উপকারে আসে; আবার অন্য সময় সেটি ক্ষতিতে পরিণত হয়। আবার যা কারো জন্য উপকারের বিষয় তা অন্যের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে।
কল্যাণকামিতা ইসলামী মিডিয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কল্যাণ প্রত্যেক জ্ঞানীর উদ্দেশ্য। মানুষের কল্যাণ সাধন ইসলামী উম্মাহর এক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَتَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَتُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِۗ﴾ [ ال عمران : ١١٠ ]
‘‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য যাদের বের করা হয়েছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে, অসৎকাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহ্র উপর ঈমান আনবে। [.সূরা আলে-ইমরান : ১১০।]’’
অতএব, ইসলামী উম্মাহ সৎকাজের আদেশ দানকারী অসৎকাজে নিষেধকারী, মানুষের কল্যাণকামী। তাদের মিডিয়াও মানুষের জন্য কল্যাণকর। আর এ কল্যাণ মিডিয়াকে সঠিক পথে ধাবিত করে যা তাদেরকে নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করতে সহায়তা করে। [.ড. সাঈদ ইবন্ আলী ইবন্ সাবিত, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৮০।]
ইসলামী মিডিয়া যে কল্যাণ সাধন করে তা মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ থেকে গ্রহণ করেছে। আর তিনি ছিলেন দয়ার জীবন্ত প্রতীক। তিনি মানুষের জন্য কল্যাণকে ভালবাসতেন এবং তাদের হেদায়াতের জন্য উৎসাহ যোগাতেন। মহান আল্লাহ্ তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
﴿ لَقَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡكُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٢٨ ﴾ [ التوبة : ١٢٨ ]
‘‘অবশ্যই তোমাদের নিকট তোমাদের মধ্য হতেই একজন রাসূল এসেছেন, তোমাদের যে দুঃখ-কষ্ট হয়ে থাকে তা তার জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। তিনি তোমাদের মংগলকামী, মুমিনদের প্রতি তিনি করুণাশীল ও অতি দয়ালু।’’ [.সূরা তাওবা : ১২৮।]
মানুষের সমস্যা সমাধানে এবং আল্লাহ্র ইবাদত বাস্তবায়নে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর সাহাবীগণ, তাবেঈগণ, সালফে সালেহীন, দা‘ঈগণ ও সংস্কারক প্রত্যেকে নিজেদের ব্রত করেছেন। ইমাম ইবন্ তাইমিয়্যা, শাইখ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল ওহাব প্রমূখ সংস্কারক তাদের অন্যতম। পরবর্তীতে তাদের পথ ধরে অদ্যাবধি এ মহতি কাজে ব্যক্তি, সংস্থা, রাষ্ট্র পর্যন্ত ব্যপ্ত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদীস প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন,
«لاَ يَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ، حَتَّى يَأْتِيَهُمْ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ ظَاهِرُونَ»
‘‘কিয়ামত অবধি আমার উম্মতের একটি দল বিজয়ী থাকবে সত্যের উপর।’’ [.বুখারী, আল-জামেউস সাহীহ, হাদীস নং ৭৩১১।]
﴿كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَتَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَتُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِۗ﴾ [ ال عمران : ١١٠ ]
‘‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য যাদের বের করা হয়েছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে, অসৎকাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহ্র উপর ঈমান আনবে। [.সূরা আলে-ইমরান : ১১০।]’’
অতএব, ইসলামী উম্মাহ সৎকাজের আদেশ দানকারী অসৎকাজে নিষেধকারী, মানুষের কল্যাণকামী। তাদের মিডিয়াও মানুষের জন্য কল্যাণকর। আর এ কল্যাণ মিডিয়াকে সঠিক পথে ধাবিত করে যা তাদেরকে নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করতে সহায়তা করে। [.ড. সাঈদ ইবন্ আলী ইবন্ সাবিত, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৮০।]
ইসলামী মিডিয়া যে কল্যাণ সাধন করে তা মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ থেকে গ্রহণ করেছে। আর তিনি ছিলেন দয়ার জীবন্ত প্রতীক। তিনি মানুষের জন্য কল্যাণকে ভালবাসতেন এবং তাদের হেদায়াতের জন্য উৎসাহ যোগাতেন। মহান আল্লাহ্ তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
﴿ لَقَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡكُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٢٨ ﴾ [ التوبة : ١٢٨ ]
‘‘অবশ্যই তোমাদের নিকট তোমাদের মধ্য হতেই একজন রাসূল এসেছেন, তোমাদের যে দুঃখ-কষ্ট হয়ে থাকে তা তার জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। তিনি তোমাদের মংগলকামী, মুমিনদের প্রতি তিনি করুণাশীল ও অতি দয়ালু।’’ [.সূরা তাওবা : ১২৮।]
মানুষের সমস্যা সমাধানে এবং আল্লাহ্র ইবাদত বাস্তবায়নে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর সাহাবীগণ, তাবেঈগণ, সালফে সালেহীন, দা‘ঈগণ ও সংস্কারক প্রত্যেকে নিজেদের ব্রত করেছেন। ইমাম ইবন্ তাইমিয়্যা, শাইখ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল ওহাব প্রমূখ সংস্কারক তাদের অন্যতম। পরবর্তীতে তাদের পথ ধরে অদ্যাবধি এ মহতি কাজে ব্যক্তি, সংস্থা, রাষ্ট্র পর্যন্ত ব্যপ্ত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদীস প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন,
«لاَ يَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ، حَتَّى يَأْتِيَهُمْ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ ظَاهِرُونَ»
‘‘কিয়ামত অবধি আমার উম্মতের একটি দল বিজয়ী থাকবে সত্যের উপর।’’ [.বুখারী, আল-জামেউস সাহীহ, হাদীস নং ৭৩১১।]
ইসলাম সার্বজনীন এক স্বভাব ধর্ম। এটি কোন নির্দিষ্ট জাতি, গোষ্ঠী, ভূ-খণ্ড ও দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর আদেশ, নিষেধ, নির্দেশনা সবই সার্বজনীন। কেননা ইসলাম সকল মানুষের জীবন ব্যবস্থা বা দীন। বিধায় ইসলামী মিডিয়াও বিশ্বের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে।
অতএব, দীনের নির্দেশনা ও দীনের প্রচারের ক্ষেত্রে সরাসরি বক্তব্য, সভা অথবা সংলাপ অথবা লেখনী যা-ই হোক না কেন তা বিশ্বের সবাইকে শামিল করে।
মানব জীবনের বিভিন্ন দিক ও বিভাগ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ ও সুষ্ঠু সমাধান একমাত্র ইসলামেই রয়েছে। ইসলাম মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সকল বিষয়ের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে ইসলামী মিডিয়াও এসব বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই একই মিশন নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর প্রেরণ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةٗ لِّلنَّاسِ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٢٨ ﴾ [ سبا : ٢٨ ]
‘‘আর আমরা তো আপনাকে সমগ্র মানুষের জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।’’ [.সূরা সাবা : ২৮।]
অতএব ইসলামী মিডিয়া বিশ্বের সকল মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে। কেননা এ উম্মাহ হল উমাতুত্ দা‘ওয়াহ। মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে, গোমরাহী থেকে হেদায়াতের দিকে, দূর্ভাগ্য থেকে সৌভাগ্যের দিকে বিভিন্ন হিকমতপূর্ণ পদ্ধতি ও মাধ্যম অনুসরণ করে দা‘ওয়াত দেওয়া ইসলামী মিডিয়ার অন্যতম কর্তব্য। আর এ মিডিয়া জাতি, গোত্র, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে। [.ড. সাইয়্যেদ আস্-সাদাতী, আল্-ইলামুল ইসলামী আল্-আহদাফ ওয়াল ওসায়েল, রিয়াদ : আলামুল কুতুব, ১৪১২ হি., পৃ. ৭৫।]
শুধু তাই নয়, এটি মুসলিম সমাজ ও বিশ্বসমাজকে নেতিবাচক চিন্তা ও বাতিল আকীদাহ-বিশ্বাস হতে রক্ষা করে। খারাপ ও অশ্লীলতা প্রসার করে না। যদিও আজকাল আমরা যেসব মহাকাশ চ্যানেল পাই তার অধিকাংশই খারাপ চিন্তা, অশ্লীলকর্ম ও আকীদা-বিশ্বাস ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামী মিডিয়া জাতিকে সামগ্রিকভাবে ধ্বংসের করাল গ্রাস হতে মুক্ত রাখে।
অতএব, দীনের নির্দেশনা ও দীনের প্রচারের ক্ষেত্রে সরাসরি বক্তব্য, সভা অথবা সংলাপ অথবা লেখনী যা-ই হোক না কেন তা বিশ্বের সবাইকে শামিল করে।
মানব জীবনের বিভিন্ন দিক ও বিভাগ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ ও সুষ্ঠু সমাধান একমাত্র ইসলামেই রয়েছে। ইসলাম মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সকল বিষয়ের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে ইসলামী মিডিয়াও এসব বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই একই মিশন নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর প্রেরণ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةٗ لِّلنَّاسِ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٢٨ ﴾ [ سبا : ٢٨ ]
‘‘আর আমরা তো আপনাকে সমগ্র মানুষের জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।’’ [.সূরা সাবা : ২৮।]
অতএব ইসলামী মিডিয়া বিশ্বের সকল মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে। কেননা এ উম্মাহ হল উমাতুত্ দা‘ওয়াহ। মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে, গোমরাহী থেকে হেদায়াতের দিকে, দূর্ভাগ্য থেকে সৌভাগ্যের দিকে বিভিন্ন হিকমতপূর্ণ পদ্ধতি ও মাধ্যম অনুসরণ করে দা‘ওয়াত দেওয়া ইসলামী মিডিয়ার অন্যতম কর্তব্য। আর এ মিডিয়া জাতি, গোত্র, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে। [.ড. সাইয়্যেদ আস্-সাদাতী, আল্-ইলামুল ইসলামী আল্-আহদাফ ওয়াল ওসায়েল, রিয়াদ : আলামুল কুতুব, ১৪১২ হি., পৃ. ৭৫।]
শুধু তাই নয়, এটি মুসলিম সমাজ ও বিশ্বসমাজকে নেতিবাচক চিন্তা ও বাতিল আকীদাহ-বিশ্বাস হতে রক্ষা করে। খারাপ ও অশ্লীলতা প্রসার করে না। যদিও আজকাল আমরা যেসব মহাকাশ চ্যানেল পাই তার অধিকাংশই খারাপ চিন্তা, অশ্লীলকর্ম ও আকীদা-বিশ্বাস ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামী মিডিয়া জাতিকে সামগ্রিকভাবে ধ্বংসের করাল গ্রাস হতে মুক্ত রাখে।
বর্তমান বিশ্বে ইসলামের আলো প্রায় অস্তমিত হতে চলেছে। কেননা, সারা বিশ্বে এখন চলছে নাস্তিক্যবাদ, কমিউনিজম ও বস্তুবাদী ধ্যান-ধারণার চরম উৎকর্ষ। সেগুলোর সাহায্যে ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও আপত্তিকর বক্তব্য সমাজে উপস্থাপিত হচ্ছে। ফলে মানব চরিত্র বিধ্বংসী এ সকল কার্যক্রম মানুষকে দুঃচিন্তা, উৎকণ্ঠা ও বিচ্যুতির দিকে ধাবিত করছে। এগুলো নিরাময় করা ইসলামী মিডিয়ার কর্তব্য। ইসলামী মিডিয়ার সাহায্যে এগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশনা আসবে যার মাধ্যমে সাধ্যানুসারে মুসলিমগণ তা হতে বিরত থাকার প্রয়াস পাবে।
ইসলামী মহাকাশ চ্যানেলের দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক বেশী। কেননা মুসলিমের ঐক্য নিশ্চিতকরণে এবং নিরাপত্তা বিধানে এ মিডিয়া একমাত্র অস্ত্র (weapon) হিসেবে কাজ করছে। অন্যথায়, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, বামপন্থী প্রমুখ মতবাদের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে ইসলাম যে অপবাদের শিকার হচ্ছে তা হতে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই সেসব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করা যেতে পারে।
আরব বিশ্ব মিডিয়ায় শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির ব্যাপক প্রচলন করে থাকে। সামগ্রিক অর্থে জাতীয় বিভিন্ন ইস্যু নিরসন ও অপপ্রচার রোধে এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে না বললেই চলে। বিশেষতঃ তাদের টিভি চ্যানেলের দর্শক অনেক বেশী এবং তা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিয়ে চালিত হয়ে আসছে। তবে ইসলামী মিডিয়ার কর্তব্য হল, আরো ব্যাপকভাবে উপর্যুক্ত বিষয়ে কার্যগত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্রতী হওয়া। নিম্নে ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:
ইসলামী মহাকাশ চ্যানেলের দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক বেশী। কেননা মুসলিমের ঐক্য নিশ্চিতকরণে এবং নিরাপত্তা বিধানে এ মিডিয়া একমাত্র অস্ত্র (weapon) হিসেবে কাজ করছে। অন্যথায়, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, বামপন্থী প্রমুখ মতবাদের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে ইসলাম যে অপবাদের শিকার হচ্ছে তা হতে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই সেসব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করা যেতে পারে।
আরব বিশ্ব মিডিয়ায় শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির ব্যাপক প্রচলন করে থাকে। সামগ্রিক অর্থে জাতীয় বিভিন্ন ইস্যু নিরসন ও অপপ্রচার রোধে এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে না বললেই চলে। বিশেষতঃ তাদের টিভি চ্যানেলের দর্শক অনেক বেশী এবং তা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিয়ে চালিত হয়ে আসছে। তবে ইসলামী মিডিয়ার কর্তব্য হল, আরো ব্যাপকভাবে উপর্যুক্ত বিষয়ে কার্যগত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্রতী হওয়া। নিম্নে ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:
সত্য সর্বদা প্রকাশমান। এটাকে কখনো কৃত্রিম উপায়ে গোপন রাখা যায় না। ইসলামের আলোকে মিডিয়ার অন্যতম কর্তব্য হল সত্যকে প্রকাশ করা এবং অসত্য প্রকাশ হতে বিরত থাকা। এখানে সত্য বলতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু আদেশ-নিষেধ, শিক্ষা, নির্দেশনা নিয়ে এসেছেন সেগুলোকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। তবে সেগুলো অবশ্যই সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও কৌশল অবলম্বন করে প্রচার করতে হবে। এছাড়াও যে কোনো বিপর্যয় হতে মানুষকে রক্ষা করাও এর অন্যতম দায়িত্ব। এ সম্পর্কে কুরআনে এসেছে:
﴿ وَقُلۡ جَآءَ ٱلۡحَقُّ وَزَهَقَ ٱلۡبَٰطِلُۚ إِنَّ ٱلۡبَٰطِلَ كَانَ زَهُوقٗا ٨١ ﴾ [ الاسراء : ٨١ ]
‘‘আর বলুন, ‘হক এসেছে ও বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে;’ নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।’’ [.সূরা বনী ইসরাইল : ৮১।]মূলতঃ এর মাধ্যমেই সত্যের স্বীকৃতি ও বাতিল বা অসত্যের অসারতার প্রমাণ মিলে।
﴿ وَقُلۡ جَآءَ ٱلۡحَقُّ وَزَهَقَ ٱلۡبَٰطِلُۚ إِنَّ ٱلۡبَٰطِلَ كَانَ زَهُوقٗا ٨١ ﴾ [ الاسراء : ٨١ ]
‘‘আর বলুন, ‘হক এসেছে ও বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে;’ নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।’’ [.সূরা বনী ইসরাইল : ৮১।]মূলতঃ এর মাধ্যমেই সত্যের স্বীকৃতি ও বাতিল বা অসত্যের অসারতার প্রমাণ মিলে।
ইসলাম প্রচারের কাজে সাধ্যানুযায়ী প্রত্যেক মানুষ অন্তর্ভুক্ত থাকা অত্যাবশ্যক। এটি মূলত নবী-রাসূলগণের কাজ। যুগে যুগে পৃথিবীতে প্রেরিত সকল নবী-রাসূল নিজেদেরকে দা‘ঈ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। অন্ধকার থেকে আলোর পথ, গোমরাহী থেকে হেদায়াতের পথ এবং যাবতীয় অকল্যাণ হতে কল্যাণের পথে আহ্বান করাই তাদের অন্যতম দায়িত্ব ছিল। তাঁদের অবর্তমানে মুসলিমগণ সকলেই উত্তরাধিকারসূত্রে এ মহান দায়িত্বের বাহক। ঈমান, ইসলাম, ইহসান, আখেরাত প্রভৃতির দিকে মানুষকে সঠিক দিশা দেয়ার অন্যতম মাধ্যম হল মিডিয়া।
শ্রুত, পঠিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে উত্তমভাবে ইসলাম প্রচার করা সম্ভব হয়। দাঈ’র কর্তব্য হল: এসব মাধ্যমকে উপযুক্ত ব্যবহারের সাহায্যে ইসলামী দা‘ওয়াহ প্রচারে ব্রতী হওয়া এবং যারা সমাজে বিপর্যয়, বিশৃংখলা সৃষ্টিতে লিপ্ত রয়েছে তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ ١٢٥ ﴾ [ النحل : ١٢٥ ]
‘‘আপনি মানুষকে দা‘ওয়াত দিন আপনার রবের পথে হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা। আর তাদের সাথে তর্ক করবেন উত্তম পন্থায়। নিশ্চয় আপনার রব, তাঁর পথ ছেড়ে কে বিপথগামী হয়েছে, সে সম্বন্ধে তিনি বেশী জানেন এবং কারা সৎপথে আছে তাও তিনি ভালভাবেই জানেন।’’ [.সূরা নাহল : ১২৫।]
এছাড়াও ইসলামী শিক্ষামূলক বিভিন্ন নাটক, নাটিকা, কৌতুক, বিতর্ক, বক্তব্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শ্রুত, পঠিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে উত্তমভাবে ইসলাম প্রচার করা সম্ভব হয়। দাঈ’র কর্তব্য হল: এসব মাধ্যমকে উপযুক্ত ব্যবহারের সাহায্যে ইসলামী দা‘ওয়াহ প্রচারে ব্রতী হওয়া এবং যারা সমাজে বিপর্যয়, বিশৃংখলা সৃষ্টিতে লিপ্ত রয়েছে তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ ١٢٥ ﴾ [ النحل : ١٢٥ ]
‘‘আপনি মানুষকে দা‘ওয়াত দিন আপনার রবের পথে হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা। আর তাদের সাথে তর্ক করবেন উত্তম পন্থায়। নিশ্চয় আপনার রব, তাঁর পথ ছেড়ে কে বিপথগামী হয়েছে, সে সম্বন্ধে তিনি বেশী জানেন এবং কারা সৎপথে আছে তাও তিনি ভালভাবেই জানেন।’’ [.সূরা নাহল : ১২৫।]
এছাড়াও ইসলামী শিক্ষামূলক বিভিন্ন নাটক, নাটিকা, কৌতুক, বিতর্ক, বক্তব্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রত্যেক মানব সন্তান ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে। তারপর তাদের বাবা হয়ত তাদের ইয়াহূদী বানায় অথবা খ্রিষ্টান বানায় অথবা অগ্নি উপাসক বানায়। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সর্বাধিক। একজন নিষ্পাপ শিশুকে যদি যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়, তবেই সে সত্যিকারের মানুষে রূপান্তরিত হবে।
প্রশিক্ষণ দানের ক্ষেত্রে মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ সকলকে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ দিতে পারে একমাত্র মিডিয়া। প্রশিক্ষনের জন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে অবগত হওয়া। অনুরূপভাবে মানুষের ভালবাসা, সম্প্রীতি ও সুহৃদয়তাসহ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে একটা মডেল উপস্থাপিত হওয়ার কৌশল সম্পর্কেও জানা আবশ্যক। এছাড়া মানুষের বিভিন্ন আকীদা, বিশ্বাস, জীবন-যাপনের ভিন্নতা সম্পর্কেও জ্ঞান লাভ করতে হয়। মিডিয়ার কাজ হলো এতদসম্পর্কে অল্প-বিস্তর ধারণা মানুষকে প্রদান করা।
আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশিক্ষক হিসেবে মহান দায়িত্ব নিয়ে এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এ সম্পর্কে কুরআনে এসেছে-
﴿هُوَ ٱلَّذِي بَعَثَ فِي ٱلۡأُمِّيِّۧنَ رَسُولٗا مِّنۡهُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبۡلُ لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٖ٢﴾ [ الجمعة :٢]
‘‘তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যে তাদের কাছে তেলাওয়াত করে তাঁর আয়াতসমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; যদিও ইতোপূর্বে তারা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।’’ [.সূরা জুমু‘আ : ২।]
প্রশিক্ষণ দানের ক্ষেত্রে মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ সকলকে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ দিতে পারে একমাত্র মিডিয়া। প্রশিক্ষনের জন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে অবগত হওয়া। অনুরূপভাবে মানুষের ভালবাসা, সম্প্রীতি ও সুহৃদয়তাসহ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে একটা মডেল উপস্থাপিত হওয়ার কৌশল সম্পর্কেও জানা আবশ্যক। এছাড়া মানুষের বিভিন্ন আকীদা, বিশ্বাস, জীবন-যাপনের ভিন্নতা সম্পর্কেও জ্ঞান লাভ করতে হয়। মিডিয়ার কাজ হলো এতদসম্পর্কে অল্প-বিস্তর ধারণা মানুষকে প্রদান করা।
আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশিক্ষক হিসেবে মহান দায়িত্ব নিয়ে এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এ সম্পর্কে কুরআনে এসেছে-
﴿هُوَ ٱلَّذِي بَعَثَ فِي ٱلۡأُمِّيِّۧنَ رَسُولٗا مِّنۡهُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبۡلُ لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٖ٢﴾ [ الجمعة :٢]
‘‘তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যে তাদের কাছে তেলাওয়াত করে তাঁর আয়াতসমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; যদিও ইতোপূর্বে তারা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।’’ [.সূরা জুমু‘আ : ২।]
ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। এতে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন যাবতীয় বিষয়ে সুন্দর ও অনন্য সমাধান রয়েছে। মানব জীবনে এসব সমস্যার আবর্তে মানুষ ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার অন্তরালে মুসলিম বিশ্বে অনৈসলামী সংস্কৃতির আগ্রাসনে মানুষ দিশেহারা। ইসলামী জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মিডিয়া সমাজের সে সকল সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং তা সমাধানের জন্য বৈজ্ঞানিক ও কৌশলগত পন্থা অনুসরণ করবে। সমাজ হতে যাবতীয় অন্যায়, অশ্লীলতা, বিপর্যয়, সর্বোপরি ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ দূর করতে একটি সময় নির্দিষ্ট করবে। সময়কে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক, যুবক এবং বৃদ্ধ সকলের জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে।
মিডিয়া সমাজের সে সকল সমস্যা চিহ্নিত করবে এবং তা সমাধানের জন্য বৈজ্ঞানিক ও কৌশলগত পন্থা অনুসরণ করবে। সমাজ হতে যাবতীয় অন্যায়, অশ্লীলতা, বিপর্যয়, সর্বোপরি ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ দূর করতে একটি সময় নির্দিষ্ট করবে। সময়কে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক, যুবক এবং বৃদ্ধ সকলের জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে।
মুসলিমগণ এক উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম তাদেরকে এক জাতি-সত্তায় পরিণত করেছে। একই আকীদাহ্-বিশ্বাস পোষণ করে বিধায় ইসলাম তাদের মাঝে এক সুদৃঢ় বন্ধন রচনা করেছে। এ মর্মে কুরআনে এসেছে-
﴿ إِنَّ هَٰذِهِۦٓ أُمَّتُكُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَأَنَا۠ رَبُّكُمۡ فَٱعۡبُدُونِ ٩٢ ﴾ [ الانبياء : ٩٢ ]
‘‘নিশ্চয় তোমাদের এ জাতি- এ তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমারই ‘ইবাদাত কর।’’ [.সূরা আম্বিয়া : ৯২।]
নর-নারী প্রত্যেককে বিভিন্ন গোত্রে, শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত করে সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুমাত্র পরিচিতি লাভের জন্য। মহান আল্লাহ্ বলেন:
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقۡنَٰكُم مِّن ذَكَرٖ وَأُنثَىٰ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ شُعُوبٗا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓاْۚ إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٞ١٣﴾ [ الحجرات : ١٣ ]
‘‘হে মানুষ! আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, আর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র কাছে সে ব্যক্তিই বেশী মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে বেশী তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।’’ [.সূরা আল- হুজরাত : ১৩।]
অতএব, পারস্পরিক পরিচিতি মানুষকে পারস্পরিক সম্প্রীতির দিকে নিয়ে যায়। আর পরিচিতি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সহযোগিতার দ্বার উম্মুক্ত হয়। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ ٢﴾ [ المائدة : ٢ ]
‘‘সৎকাজ ও তাক্ওয়ায় তোমরা পরস্পর সাহায্য করবে এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না ।’’ [.সূরা আল- মায়েদা : ২।]
﴿ إِنَّ هَٰذِهِۦٓ أُمَّتُكُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَأَنَا۠ رَبُّكُمۡ فَٱعۡبُدُونِ ٩٢ ﴾ [ الانبياء : ٩٢ ]
‘‘নিশ্চয় তোমাদের এ জাতি- এ তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমারই ‘ইবাদাত কর।’’ [.সূরা আম্বিয়া : ৯২।]
নর-নারী প্রত্যেককে বিভিন্ন গোত্রে, শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত করে সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুমাত্র পরিচিতি লাভের জন্য। মহান আল্লাহ্ বলেন:
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقۡنَٰكُم مِّن ذَكَرٖ وَأُنثَىٰ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ شُعُوبٗا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓاْۚ إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٞ١٣﴾ [ الحجرات : ١٣ ]
‘‘হে মানুষ! আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, আর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র কাছে সে ব্যক্তিই বেশী মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে বেশী তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।’’ [.সূরা আল- হুজরাত : ১৩।]
অতএব, পারস্পরিক পরিচিতি মানুষকে পারস্পরিক সম্প্রীতির দিকে নিয়ে যায়। আর পরিচিতি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সহযোগিতার দ্বার উম্মুক্ত হয়। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ ٢﴾ [ المائدة : ٢ ]
‘‘সৎকাজ ও তাক্ওয়ায় তোমরা পরস্পর সাহায্য করবে এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না ।’’ [.সূরা আল- মায়েদা : ২।]
মানুষ পৃথিবীতে অত্যন্ত ব্যস্তময় সময় কাটায়। ব্যস্ততার ফাঁকে একটু বিনোদন পেলে কাজের ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। আনন্দ-বিনোদনের সম্পর্ক সর্বদা মানুষের অন্তরের সাথে। ইসলাম আনন্দ-বিনোদনকে বৈধ করেছে। তবে তা ইসলামী শরী‘আতকে অনুসরণ করেই। ইসলামী শরী‘আহ মোতাবেক বিনোদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপকরণ যেগুলো ইসলামে বৈধ তা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে মানুষকে আনন্দ দিলে কোন সমস্যা নেই। তবে সময়ের অপচয় এবং চারিত্রিক পদস্খলনকে দৃষ্টিতে রাখতে হবে। আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনে আমরা বিনোদনমূলক কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত খুঁজে পাই। তবে তা ছিল চরিত্র গঠন, নৈতিক শিক্ষামূলক, জীবন ও জগতের বিভিন্ন ঘটনাবলী হতে শিক্ষাগ্রহণ এবং ন্যায়বিচার সংক্রান্ত।
ইসলামী মিডিয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দুনিয়া ও আখিরাতে মানুষের কল্যাণ সাধন। মিডিয়া দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ের জন্য কাজ করে। দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী আর আখিরাত চিরস্থায়ী। স্থায়ী নিবাসের জন্য মানুষ যা কল্যাণকর তা-ই এ ক্ষণস্থায়ী জীবনে অর্জন করবে। কেননা দুনিয়া হল আখিরাতের শস্যক্ষেত্র। ফলে ইসলামী মিডিয়া মানুষকে পরকালীন জীবনে সফল হওয়ার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালাতে পারে। এছাড়া মৃত্যুর পরের প্রতিটি মঞ্জিলে যেসব জবাবদিহিতা রয়েছে তা সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করা ইসলামী মিডিয়ার অন্যতম কর্তব্য। কেননা মহান আল্লাহ্ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত- উভয় জাহানের কল্যাণ লাভের জন্য দু‘আ করতে শিখিয়েছেন। তিনি বলেন:
﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ٢٠١﴾ [ البقرة : ٢٠١ ]
‘‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’’ [.সূরা আল- বাকারাহ : ২০১।]
﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ٢٠١﴾ [ البقرة : ٢٠١ ]
‘‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’’ [.সূরা আল- বাকারাহ : ২০১।]
মানুষ সামাজিক জীব। তারা সমাজবদ্ধ হয়ে এ পৃথিবীতে বাস করে। ফলে প্রয়োজন হয়ে পড়ে শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান প্রভৃতির। আর এগুলো যোগান দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত কাঠামোকে আমরা রাষ্ট্র বলে থাকি। একটি দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-শিশু, প্রতিবন্ধী, রুগ্ন প্রত্যেকের অধিকার সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উপর্যুক্ত যেসব সেক্টরের কার্যক্রম খুব ভাল তা তুলে ধরে সংশিষ্টদের উৎসাহ দেয়া এবং যেসব কার্যক্রম সন্তোষজনক নয় তার উন্নয়নে নির্দেশনামূলক প্রস্তাবনা মিডিয়ায় উপস্থাপিত হতে পারে। অর্থনৈতিক বিভিন্ন সেক্টরের ক্ষেত্রে মিডিয়া অনুরূপ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। এছাড়া মানুষের চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন, আকীদ-বিশ্বাসের পরিশুদ্ধিতা, চিন্তার জগতে সুস্থতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখা ইসলামী মিডিয়ার কর্তব্য।
কুরআনুল কারীম আমাদেরকে ইসলামী দা‘ওয়াহ এর বিভিন্ন পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছে। তন্মধ্যে সংলাপ ও মুজাদালা (উত্তমভাবে বিতর্ক করা) অন্যতম। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿ ۞وَلَا تُجَٰدِلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ إِلَّا بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ ٤٦ ﴾ [ العنكبوت : ٤٦ ]
‘‘আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না।’’ [.সূরা আনকাবুত : ৪৬।]
খুলাফায়ে রাশেদীন ও মুসলিম স্কলারগণ উপরোক্ত নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সাথে দীনের বিষয়ে বৈঠকাদিতে মিলিত হতেন। উমায়্যা ও আব্বাসী খেলাফতেও এ ধরনের স্বাধীন সংলাপ ও বিতর্কানুষ্ঠানের অস্তিস্ত পাওয়া যায়। [.মুস্তাফা আহমাদ কানাকির,আদ্-দাওয়াতুল ইসলামীয়্যাহ ফীল কানাওয়াত ওয়াল ফাদাইয়্যাহ, দারু আফনান, ওযারাতুল ‘ইলাম, ২০০৩ খ্রি. পৃ. ২৭৪।] অতএব সংলাপ কুরআন দ্বারা সাব্যস্ত। সময় ও যুগের আবর্তে নতুন কোন আবিস্কার নয়। কুরআনের উপরোক্ত আয়াত বিভিন্ন ধর্মের মাঝে সংলাপ করার দ্বার উম্মোচিত করে দিয়েছে। আজকাল দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে সংলাপ অন্যতম একটি পর্যায়েও পৌঁছে গেছে। কেননা পশ্চিমা নেতৃবৃন্দ সভ্যতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে ইসলামকে হারাতে ষড়যন্ত্র করছে। ফলে তাদের প্রজন্ম ইসলামী সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারছে না। সংলাপের মাধ্যমে খুব সহজেই এসবের সমাধান বের করা সম্ভব। [.প্রাগুক্ত।]
﴿ ۞وَلَا تُجَٰدِلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ إِلَّا بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ ٤٦ ﴾ [ العنكبوت : ٤٦ ]
‘‘আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না।’’ [.সূরা আনকাবুত : ৪৬।]
খুলাফায়ে রাশেদীন ও মুসলিম স্কলারগণ উপরোক্ত নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সাথে দীনের বিষয়ে বৈঠকাদিতে মিলিত হতেন। উমায়্যা ও আব্বাসী খেলাফতেও এ ধরনের স্বাধীন সংলাপ ও বিতর্কানুষ্ঠানের অস্তিস্ত পাওয়া যায়। [.মুস্তাফা আহমাদ কানাকির,আদ্-দাওয়াতুল ইসলামীয়্যাহ ফীল কানাওয়াত ওয়াল ফাদাইয়্যাহ, দারু আফনান, ওযারাতুল ‘ইলাম, ২০০৩ খ্রি. পৃ. ২৭৪।] অতএব সংলাপ কুরআন দ্বারা সাব্যস্ত। সময় ও যুগের আবর্তে নতুন কোন আবিস্কার নয়। কুরআনের উপরোক্ত আয়াত বিভিন্ন ধর্মের মাঝে সংলাপ করার দ্বার উম্মোচিত করে দিয়েছে। আজকাল দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে সংলাপ অন্যতম একটি পর্যায়েও পৌঁছে গেছে। কেননা পশ্চিমা নেতৃবৃন্দ সভ্যতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে ইসলামকে হারাতে ষড়যন্ত্র করছে। ফলে তাদের প্রজন্ম ইসলামী সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারছে না। সংলাপের মাধ্যমে খুব সহজেই এসবের সমাধান বের করা সম্ভব। [.প্রাগুক্ত।]
মহাকাশ চ্যানেলে সাধারণত ইসলামী অনুষ্ঠানাদি আরব দেশীয় মুসলিমগণ চর্চা করে থাকেন। তাদের কর্মসূচীর মধ্যে অমুসলিমদের দীনের পথে আহ্বান জানানোর কৌশলও বর্ণিত হয়। অনুরূপভাবে সেখানে ইসলামকে সার্বজনীন তথা সকলের জন্য উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। যেমন:
ক. আরব বিশ্ব ব্যতীত অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রকে সম্বোধন করা ও সংখ্যালঘিষ্ট মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করা।
খ. নতুন মুসলিম যাদের ইসলামী প্রশিক্ষণ খুবই জরুরী।
গ. অল্প বয়স্ক নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
ঘ. আন্তর্জাতিক ভাষায় ইসলামকে উপস্থাপন।
ক. আরব বিশ্ব ব্যতীত অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রকে সম্বোধন করা ও সংখ্যালঘিষ্ট মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করা।
খ. নতুন মুসলিম যাদের ইসলামী প্রশিক্ষণ খুবই জরুরী।
গ. অল্প বয়স্ক নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
ঘ. আন্তর্জাতিক ভাষায় ইসলামকে উপস্থাপন।
চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। চরিত্র না থাকলে যে কোনো মানুষ পশুতে পরিণত হতে পারে। ইসলামী মিডিয়াকে মানব চরিত্র গঠনে কর্মসূচী নিতে হবে। মানুষের অন্তরে, আশা জাগানো, আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধন ও হতাশা-নিরাশা হতে মুক্ত থাকতে হবে। মহান আল্লাহ্ বলেন:
﴿وَلَا تَاْيَۡٔسُواْ مِن رَّوۡحِ ٱللَّهِۖ إِنَّهُۥ لَا يَاْيَۡٔسُ مِن رَّوۡحِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلۡقَوۡمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ٨٧﴾ [ يوسف : ٨٧ ]
‘‘আল্লাহ্র রহমত হতে তোমরা নিরাশ হয়ো না। কারণ আল্লাহ্র রহমত হতে কেউই নিরাশ হয় না, কাফির সম্প্রদায় ছাড়া।’’ [.সূরা ইউসুফ : ৮৭।]
ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের সংশোধনের প্রয়াস চালাতে হবে। কারণ এ কাজটি মুসলিম হিসেবেই অত্যাবশ্যক। আল্লাহ্ বলেন,
﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِخۡوَةٞ فَأَصۡلِحُواْ بَيۡنَ أَخَوَيۡكُمۡۚ ١٠ ﴾ [ الحجرات : ١٠ ]
‘‘মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই; কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দাও।’’ [.সূরা আল্- হুজুরাত : ১০।]
অতএব, পরস্পরের মাঝে ঈমানী ভাতৃত্ববোধ জাগাতে ও শত্রুতা দূর করতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। অলসতা পরিহার করে উদ্যম ও সাহস নিয়ে এ কাজে এগিয়ে আসলে মুসলিমদের পশ্চাতপদতা রোধ করা সম্ভব হবে।
﴿وَلَا تَاْيَۡٔسُواْ مِن رَّوۡحِ ٱللَّهِۖ إِنَّهُۥ لَا يَاْيَۡٔسُ مِن رَّوۡحِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلۡقَوۡمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ٨٧﴾ [ يوسف : ٨٧ ]
‘‘আল্লাহ্র রহমত হতে তোমরা নিরাশ হয়ো না। কারণ আল্লাহ্র রহমত হতে কেউই নিরাশ হয় না, কাফির সম্প্রদায় ছাড়া।’’ [.সূরা ইউসুফ : ৮৭।]
ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের সংশোধনের প্রয়াস চালাতে হবে। কারণ এ কাজটি মুসলিম হিসেবেই অত্যাবশ্যক। আল্লাহ্ বলেন,
﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِخۡوَةٞ فَأَصۡلِحُواْ بَيۡنَ أَخَوَيۡكُمۡۚ ١٠ ﴾ [ الحجرات : ١٠ ]
‘‘মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই; কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দাও।’’ [.সূরা আল্- হুজুরাত : ১০।]
অতএব, পরস্পরের মাঝে ঈমানী ভাতৃত্ববোধ জাগাতে ও শত্রুতা দূর করতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। অলসতা পরিহার করে উদ্যম ও সাহস নিয়ে এ কাজে এগিয়ে আসলে মুসলিমদের পশ্চাতপদতা রোধ করা সম্ভব হবে।
মিডিয়াকে শক্তিশালী করার অনেক পন্থা রয়েছে।
প্রথমতঃ খারাপ সংবাদ ও চিত্র যতদূর সম্ভব দেখানো হতে বিরত থাকা। আর এটা ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম কাজ এবং পরিবার প্রধানের দায়িত্ব। উপকারী কর্মসূচীসমূহ মিডিয়ায় প্রদর্শিত হলে সকলেই উপকৃত হবে।
দ্বিতীয়তঃ মিডিয়ায় মনোমুগ্ধকর কিছু অনুষ্ঠান চালু করা। যাতে শুধু মনোরঞ্জন হবে না; বরং জ্ঞানগত উন্নয়নও হবে। ভাষা শিক্ষা করা যাবে। শিশু, কিশোর, প্রৌঢ়, বৃদ্ধ সকলের প্রতি লক্ষ্য রেখে কর্মসূচী নিতে হবে।
তৃতীয়তঃ ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাধ্যমেই সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের মোকাবিলা সৈন্য-সামন্ত দিয়ে কখনো সম্ভব নয়। বরং মিডিয়াকে ব্যবহার করেই তাদের অপপ্রচার ও বিরুদ্ধাচরণের জবাব দিতে হবে। যেমন পশ্চিমা বিশ্ব ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে তারা আধুনিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। ইসলামী মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের এসব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো আবশ্যক। [.মুসত্মফা আহমদ কাণাকের, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৭৬।]
প্রথমতঃ খারাপ সংবাদ ও চিত্র যতদূর সম্ভব দেখানো হতে বিরত থাকা। আর এটা ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম কাজ এবং পরিবার প্রধানের দায়িত্ব। উপকারী কর্মসূচীসমূহ মিডিয়ায় প্রদর্শিত হলে সকলেই উপকৃত হবে।
দ্বিতীয়তঃ মিডিয়ায় মনোমুগ্ধকর কিছু অনুষ্ঠান চালু করা। যাতে শুধু মনোরঞ্জন হবে না; বরং জ্ঞানগত উন্নয়নও হবে। ভাষা শিক্ষা করা যাবে। শিশু, কিশোর, প্রৌঢ়, বৃদ্ধ সকলের প্রতি লক্ষ্য রেখে কর্মসূচী নিতে হবে।
তৃতীয়তঃ ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাধ্যমেই সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের মোকাবিলা সৈন্য-সামন্ত দিয়ে কখনো সম্ভব নয়। বরং মিডিয়াকে ব্যবহার করেই তাদের অপপ্রচার ও বিরুদ্ধাচরণের জবাব দিতে হবে। যেমন পশ্চিমা বিশ্ব ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে তারা আধুনিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। ইসলামী মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের এসব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো আবশ্যক। [.মুসত্মফা আহমদ কাণাকের, প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৭৬।]
আকর্ষণীয় কর্মসূচী চালু করার মাধ্যমে মিডিয়াকে সকলের নিকট খুব সহজেই অনুমেয় করা যায়। এক্ষেত্রে দু’টি দিকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
প্রথমতঃ উপকারী ইসলামী প্রোগ্রাম প্রস্তুত করা
মিডিয়া ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বৈঠকমূলক সম্প্রচার বা সম্মেলন বা দারসের আয়োজন করতে পারে। এছাড়াও শিক্ষামূলক ইসলামী নাটক-নাটিকা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী, ধারাবাহিক কাহিনী সম্বলিত অনুষ্ঠান প্রচার করা যেতে পারে। বর্তমানে ইসলামী ফিল্মের সংখ্যা কম নয়। আরবীয় চিত্রকর ও নাট্যকারগণ ইসলামী বিধান অনুসরণ করে এসব নির্মাণ করেছেন, যাতে করে মানুষকে এক আল্লাহ্র দিকে ধাবিত করা হয় এবং তাকওয়া অবলম্বনের ব্যাপারে ও সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
দ্বিতীয়তঃ উপকারী বিনোদন উপস্থাপন
ইসলাম এক স্বভাবজাত ধর্ম। শিল্প সঞ্চাত উপায়ে এটি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। আনন্দ-ফূর্তি জীবনের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ। ইসলাম মানুষকে এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগুলোতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। তবে শরী‘আতকে অবজ্ঞা করা যাবে না। সাহাবীগণ খোদ হারাম শরীফে গানের-কবিতা পাঠ করতেন, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে সাহাবীদের কুস্তি লড়তে বলতেন। মসজিদে নববীর চতুষ্পার্শে সাহাবীগণ ঘোড়-দৌড়ের আয়োজন করতেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানাদি ইসলামী মিডিয়ায় প্রচার করা কর্তব্য।
প্রথমতঃ উপকারী ইসলামী প্রোগ্রাম প্রস্তুত করা
মিডিয়া ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বৈঠকমূলক সম্প্রচার বা সম্মেলন বা দারসের আয়োজন করতে পারে। এছাড়াও শিক্ষামূলক ইসলামী নাটক-নাটিকা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী, ধারাবাহিক কাহিনী সম্বলিত অনুষ্ঠান প্রচার করা যেতে পারে। বর্তমানে ইসলামী ফিল্মের সংখ্যা কম নয়। আরবীয় চিত্রকর ও নাট্যকারগণ ইসলামী বিধান অনুসরণ করে এসব নির্মাণ করেছেন, যাতে করে মানুষকে এক আল্লাহ্র দিকে ধাবিত করা হয় এবং তাকওয়া অবলম্বনের ব্যাপারে ও সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
দ্বিতীয়তঃ উপকারী বিনোদন উপস্থাপন
ইসলাম এক স্বভাবজাত ধর্ম। শিল্প সঞ্চাত উপায়ে এটি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। আনন্দ-ফূর্তি জীবনের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ। ইসলাম মানুষকে এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগুলোতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। তবে শরী‘আতকে অবজ্ঞা করা যাবে না। সাহাবীগণ খোদ হারাম শরীফে গানের-কবিতা পাঠ করতেন, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে সাহাবীদের কুস্তি লড়তে বলতেন। মসজিদে নববীর চতুষ্পার্শে সাহাবীগণ ঘোড়-দৌড়ের আয়োজন করতেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানাদি ইসলামী মিডিয়ায় প্রচার করা কর্তব্য।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য ইসলামী কমিটি দা‘ওয়াহর কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা সবাই মনে করে যে, তারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের ইচ্ছা ইসলামকে সাহায্য করা, চাই তাদের নিয়ত পরিশুদ্ধ হোক বা না হোক। আবার কখনো কখনো তারা প্রকাশ্যে সংশোধন চাইলেও গোপনে ইসলাম ধ্বংসের কাজে জড়িত থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ আন্দোলন বিভিন্ন ধরনের। জাতি ও ভৌগলিক সীমারেখা ভেদে এটির বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
ইসলামের প্রকৃত জাগরণ নিয়ে এসব কমিটি খুব বেশী কর্মসূচী দেয় না। তারা ইসলামকে বিভিন্ন ব্যাখ্যায় আখ্যায়িত করে একে সংজ্ঞায়িত করে। ফলে এভাবে ইসলামের মূল গতি ও জাগরণ স্পৃহা ব্যাহত হয়। কখনো উগ্রবাদী চিন্তা তাদের সকল অর্জনকে ম্লান করে দিতে সহায়তা করে। ইসলামী মিডিয়া এসব উগ্র চিন্তা ও দীনের ব্যাপারে সীমালংঘন ব্যতীত মুসলিমদের জীবনের পথে সঠিক নির্দেশনা দিবে। তাদের মাঝে ইসলামের সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরবে। মানুষকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করার মাধ্যমে এক গণজাগরণের প্রতি মিডিয়া আহ্বান জানাবে। [.প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৭৯।]
ইসলামের প্রকৃত জাগরণ নিয়ে এসব কমিটি খুব বেশী কর্মসূচী দেয় না। তারা ইসলামকে বিভিন্ন ব্যাখ্যায় আখ্যায়িত করে একে সংজ্ঞায়িত করে। ফলে এভাবে ইসলামের মূল গতি ও জাগরণ স্পৃহা ব্যাহত হয়। কখনো উগ্রবাদী চিন্তা তাদের সকল অর্জনকে ম্লান করে দিতে সহায়তা করে। ইসলামী মিডিয়া এসব উগ্র চিন্তা ও দীনের ব্যাপারে সীমালংঘন ব্যতীত মুসলিমদের জীবনের পথে সঠিক নির্দেশনা দিবে। তাদের মাঝে ইসলামের সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরবে। মানুষকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করার মাধ্যমে এক গণজাগরণের প্রতি মিডিয়া আহ্বান জানাবে। [.প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৭৯।]
কমিউনিষ্টরা বিশ্বের কোন স্রষ্টা আছে বলে স্বীকার করে না। তারা দীনের ব্যাপারেও যোজন-যোজন দূরে অবস্থান করে। অথচ মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতিই প্রকৃত স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির কী সম্পর্ক তা নিরূপন করে দেয়। ফলে গীর্জার প্রভাবে বস্তুবাদী চিন্তার অধিকারী মানুষেরা যেসব কিছুকে ইলাহ মনে করে সুস্থ মস্তিস্ক তা গ্রহণ করে না। অতএব, মানুষ তাদের স্রষ্টার সাথে সম্বন্ধযুক্ত হতে মুখাপেক্ষী। মুসলিমগণও দুর্বল ঈমানের কারণে এ সম্পর্কে ভুলে গেছে। স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক স্থাপন এটা মানব প্রকৃতির দাবী। প্রত্যেক জাতি ও গোত্রের জন্য যুগের পরিক্রমায় আকীদা ও দীন থাকে। যদিও তাদের চিন্তা ও ধ্যান-ধারণায় বৈপরিত্য থাকুক, আর অসংখ্য ইলাহে বিশ্বাসী হোক। স্রষ্টা সম্পর্কে বিশ্বাস পোষণেই আলোচ্য প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়া যায়। কুরআনে এসেছে,
﴿ أَمۡ خُلِقُواْ مِنۡ غَيۡرِ شَيۡءٍ أَمۡ هُمُ ٱلۡخَٰلِقُونَ ٣٥ أَمۡ خَلَقُواْ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۚ بَل لَّا يُوقِنُونَ ٣٦ ﴾ [ الطور : ٣٥، ٣٦ ]
‘‘তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? নাকি তারা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে? বরং তারা দৃঢ় বিশ্বাস করে না।’’ [.সূরা তূর : ৩৫-৩৬।]
মুশরিকরাও আলোচ্য প্রশ্নের উত্তরে নিজেদের ইলাহ সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছে। কুরআনে এসেছে,
﴿ وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡعَلِيمُ ٩ ﴾ [ الزخرف : ٩ ]
‘‘আর আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে?’ তারা অবশ্যই বলবে, ‘এগুলো তো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞই’।’’ [.সূরা যুখরুফ : ৯।]
﴿ أَمۡ خُلِقُواْ مِنۡ غَيۡرِ شَيۡءٍ أَمۡ هُمُ ٱلۡخَٰلِقُونَ ٣٥ أَمۡ خَلَقُواْ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۚ بَل لَّا يُوقِنُونَ ٣٦ ﴾ [ الطور : ٣٥، ٣٦ ]
‘‘তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? নাকি তারা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে? বরং তারা দৃঢ় বিশ্বাস করে না।’’ [.সূরা তূর : ৩৫-৩৬।]
মুশরিকরাও আলোচ্য প্রশ্নের উত্তরে নিজেদের ইলাহ সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছে। কুরআনে এসেছে,
﴿ وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡعَلِيمُ ٩ ﴾ [ الزخرف : ٩ ]
‘‘আর আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে?’ তারা অবশ্যই বলবে, ‘এগুলো তো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞই’।’’ [.সূরা যুখরুফ : ৯।]
সংবাদ পরিবেশন মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিশ্বের কখন, কোথায়, কী ঘটছে তা নিমিষেই মহাকাশ চ্যানেলের সাহায্যে আমরা দেখতে পাই ও জানতে পারি। কিন্তু আজকাল মিডিয়াতে যে ধরনের খবর পরিবেশিত হয়, তার সত্যতা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সংবাদ সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এসব হলুদ সাংবাদিকতার দৌরাত্নের কারণেই হয়। ইসলামী মিডিয়াকে সেসব মিথ্যা, ভূয়া ও ভুল তথ্যপূর্ণ সংবাদ সরবরাহ হতে বিরত থাকতে হবে। সত্য সংবাদ ব্যতীত এ মাধ্যম কোনো সংবাদ পরিবেশন করবে না। কারণ এটি নিছক মিডিয়া নয়। বরং, এর অন্যতম কাজ হলো ইসলাম প্রচার। ফলে জনসাধারণের কাছে নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য থাকতে হলে নির্ভুল ও সঠিক সংবাদ পরিবশেনের কোন বিকল্প নেই। অন্যথায় এ মাধ্যমে ইসলাম প্রচার অভিযান নিস্ফলই থেকে যাবে। মহান আল্লাহ্ বলেন-
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن جَآءَكُمۡ فَاسِقُۢ بِنَبَإٖ فَتَبَيَّنُوٓاْ أَن تُصِيبُواْ قَوۡمَۢا بِجَهَٰلَةٖ فَتُصۡبِحُواْ عَلَىٰ مَا فَعَلۡتُمۡ نَٰدِمِينَ ٦ ﴾ [ الحجرات : ٦ ]
‘‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোন ফাসিক তোমাদের কাছে কোন বার্তা নিয়ে আসে, তাহলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখ, এ আশঙ্কায় যে, অজ্ঞতাবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে বসবে, ফলে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তোমাদেরকে অনুতপ্ত হতে হবে।’’ [.সূরা হুজরাত : ৬।]
অন্যত্র এসেছে,
﴿ فَسَۡٔلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلذِّكۡرِ إِن كُنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ٧ ﴾ [ الانبياء : ٧ ]
‘‘সুতরাং যদি তোমরা না জান তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর।’’ [.সূরা আল্-আম্বিয়া : ৭।]
অতএব, সঠিকভাবে না জেনে না বুঝে কোন কিছু পরিবেশন করা ইসলামী মিডিয়ার জন্য অনুচিত।
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن جَآءَكُمۡ فَاسِقُۢ بِنَبَإٖ فَتَبَيَّنُوٓاْ أَن تُصِيبُواْ قَوۡمَۢا بِجَهَٰلَةٖ فَتُصۡبِحُواْ عَلَىٰ مَا فَعَلۡتُمۡ نَٰدِمِينَ ٦ ﴾ [ الحجرات : ٦ ]
‘‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোন ফাসিক তোমাদের কাছে কোন বার্তা নিয়ে আসে, তাহলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখ, এ আশঙ্কায় যে, অজ্ঞতাবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে বসবে, ফলে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তোমাদেরকে অনুতপ্ত হতে হবে।’’ [.সূরা হুজরাত : ৬।]
অন্যত্র এসেছে,
﴿ فَسَۡٔلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلذِّكۡرِ إِن كُنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ٧ ﴾ [ الانبياء : ٧ ]
‘‘সুতরাং যদি তোমরা না জান তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর।’’ [.সূরা আল্-আম্বিয়া : ৭।]
অতএব, সঠিকভাবে না জেনে না বুঝে কোন কিছু পরিবেশন করা ইসলামী মিডিয়ার জন্য অনুচিত।
ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত এক পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সমুদয় বিষয়ের যাবতীয় সমস্যার সমাধান রয়েছে। ইসলাম মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা করতে উৎসাহ দেয়, আর অকল্যাণকর বিষয়াদি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ করে । এসব নির্দেশনা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে যুগে যুগে মহান আল্লাহ্ অসংখ্য নবী-রাসূল এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা সমকালীন মিডিয়ার সাহায্যে এসব বিধি-নিষেধ ও নির্দেশনা মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দা‘ওয়াতী মিশনে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ মাধ্যমগুলোকে কাজে লাগিয়েছেন। সুতরাং মিডিয়া একটি মাধ্যম যার সাহায্যে ইসলামকে সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট প্রচার করা যায়। অতএব, ইসলামী দা‘ওয়াতের গুরুত্ব যতখানি; ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্বও ততখানি রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:
ইসলামী দা‘ওয়াহ হল মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানানো। যেহেতু ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ দীন সেহেতু, তার দা‘ওয়াতও শ্রেষ্ঠ। মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতে এ মহতি কাজের কোনো বিকল্প নেই। ইসলামী দা‘ওয়াহ যেমনি ফরয তেমনি ইসলামী মিডিয়াও অত্যাবশ্যক। সকল নবী-রাসূল তাঁদের সমকালীন মিডিয়া ব্যবহার করে দা‘ওয়াতের কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান যেহেতু ইসলামে রয়েছে, সেহেতু ইসলামের দা‘ওয়াত উপস্থাপনের মাধ্যমেই সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব। পবিত্র কুরআনে নবী-রাসূলগণের দা‘ওয়াত পদ্ধতি ও মাধ্যম বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। নূহ আলাইহিস সালাম তাঁর জাতিকে দা‘ওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্যে বলেন,
﴿ يَغۡفِرۡ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمۡ وَيُؤَخِّرۡكُمۡ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمًّىۚ إِنَّ أَجَلَ ٱللَّهِ إِذَا جَآءَ لَا يُؤَخَّرُۚ لَوۡ كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٤ قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوۡتُ قَوۡمِي لَيۡلٗا وَنَهَارٗا ٥ فَلَمۡ يَزِدۡهُمۡ دُعَآءِيٓ إِلَّا فِرَارٗا ٦ ﴾ [ نوح : ٤، ٦ ]
‘‘তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হলে তা বিলম্বিত হয় না; যদি তোমরা এটা জানতে!’ তিনি বললেন, ‘হে আমার রব! আমি তো আমার সস্প্রদায়কে দিনরাত ডেকেছি, ‘কিন্তু আমার ডাক তাদের পলায়ন প্রবণতাই বৃদ্ধি করেছে।’’ [.সূরা নূহ: ৪-৬।]
জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মানব সভ্যতা বিকাশে নবী-রাসূলগণের অবদানই বেশী। যুগে যুগে প্রেরিত ঐসব নবী-রাসূলের সুন্নাত হলো দা‘ওয়াত দান। তাঁরা মানুষকে এক আল্লাহ্র ইবাদাত করতে এবং তাগুতকে বর্জন করতে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। কুরআনে এসেছে,
﴿ وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦ ﴾ [ النحل : ٣٦ ]
‘‘আর অবশ্যই আমরা প্রত্যেক জাতির মধ্যে রাসূল পাঠিয়েছিলাম এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহ্ ‘ইবাদাত কর এবং তাগূতকে বর্জন কর। অতঃপর তাদের কিছু সংখ্যককে আল্লাহ্ হিদায়াত দিয়েছেন, আর তাদের কিছু সংখ্যকের উপর পথভ্রান্তি সাব্যস্ত হয়েছিল; কাজেই তোমরা যমীনে পরিভ্রমণ কর অতঃপর দেখে নাও মিথ্যারোপকারীদের পরিণাম কী হয়েছে?’’ [.সূরা আন নাহল : ৩৬।]
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ بِٱلۡحَقِّ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗاۚ وَإِن مِّنۡ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيهَا نَذِيرٞ ٢٤ ﴾ [ فاطر : ٢٤ ]
‘‘নিশ্চয় আমরা আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে; আর এমন কোনো উম্মত নেই যার কাছে গত হয় নি সতর্ককারী।’’ [.সূরা ফাতির : ২৪।]
অপর এক আয়াতে নবীগণের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে,
﴿وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [ الاحزاب : ٣٦ ]
‘‘আর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ের ফয়সালা দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে বিষয়ে তাদের কোনো (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার সংগত নয়। আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হবে।’’ [.সূরা আল্-আহযাব: ৩৯।]
অতএব ইসলামী দা‘ওয়াতের কাজ নবী-রাসূলগণের। তাঁদের অবর্তমানে দায়িত্ব সকল মুসলিম উম্মাহর উপর বর্তায়। আর এ দায়িত্ব পালনের অর্থ হল নবুয়তের দায়িত্ব পালন। আজকাল ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাহায্যে খুব সহজে স্বল্প সময়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যে কোন ম্যাসেজ পৌঁছানো যায়। ফলে ইসলাম প্রচারে ইসলামী মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
﴿ يَغۡفِرۡ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمۡ وَيُؤَخِّرۡكُمۡ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمًّىۚ إِنَّ أَجَلَ ٱللَّهِ إِذَا جَآءَ لَا يُؤَخَّرُۚ لَوۡ كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٤ قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوۡتُ قَوۡمِي لَيۡلٗا وَنَهَارٗا ٥ فَلَمۡ يَزِدۡهُمۡ دُعَآءِيٓ إِلَّا فِرَارٗا ٦ ﴾ [ نوح : ٤، ٦ ]
‘‘তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হলে তা বিলম্বিত হয় না; যদি তোমরা এটা জানতে!’ তিনি বললেন, ‘হে আমার রব! আমি তো আমার সস্প্রদায়কে দিনরাত ডেকেছি, ‘কিন্তু আমার ডাক তাদের পলায়ন প্রবণতাই বৃদ্ধি করেছে।’’ [.সূরা নূহ: ৪-৬।]
জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মানব সভ্যতা বিকাশে নবী-রাসূলগণের অবদানই বেশী। যুগে যুগে প্রেরিত ঐসব নবী-রাসূলের সুন্নাত হলো দা‘ওয়াত দান। তাঁরা মানুষকে এক আল্লাহ্র ইবাদাত করতে এবং তাগুতকে বর্জন করতে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। কুরআনে এসেছে,
﴿ وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦ ﴾ [ النحل : ٣٦ ]
‘‘আর অবশ্যই আমরা প্রত্যেক জাতির মধ্যে রাসূল পাঠিয়েছিলাম এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহ্ ‘ইবাদাত কর এবং তাগূতকে বর্জন কর। অতঃপর তাদের কিছু সংখ্যককে আল্লাহ্ হিদায়াত দিয়েছেন, আর তাদের কিছু সংখ্যকের উপর পথভ্রান্তি সাব্যস্ত হয়েছিল; কাজেই তোমরা যমীনে পরিভ্রমণ কর অতঃপর দেখে নাও মিথ্যারোপকারীদের পরিণাম কী হয়েছে?’’ [.সূরা আন নাহল : ৩৬।]
কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
﴿إِنَّآ أَرۡسَلۡنَٰكَ بِٱلۡحَقِّ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗاۚ وَإِن مِّنۡ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيهَا نَذِيرٞ ٢٤ ﴾ [ فاطر : ٢٤ ]
‘‘নিশ্চয় আমরা আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে; আর এমন কোনো উম্মত নেই যার কাছে গত হয় নি সতর্ককারী।’’ [.সূরা ফাতির : ২৪।]
অপর এক আয়াতে নবীগণের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে,
﴿وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [ الاحزاب : ٣٦ ]
‘‘আর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ের ফয়সালা দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে বিষয়ে তাদের কোনো (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার সংগত নয়। আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হবে।’’ [.সূরা আল্-আহযাব: ৩৯।]
অতএব ইসলামী দা‘ওয়াতের কাজ নবী-রাসূলগণের। তাঁদের অবর্তমানে দায়িত্ব সকল মুসলিম উম্মাহর উপর বর্তায়। আর এ দায়িত্ব পালনের অর্থ হল নবুয়তের দায়িত্ব পালন। আজকাল ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাহায্যে খুব সহজে স্বল্প সময়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যে কোন ম্যাসেজ পৌঁছানো যায়। ফলে ইসলাম প্রচারে ইসলামী মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
পৃথিবীতে প্রেরিত মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে মনোনীত সকল শ্রেষ্ঠ মানব মানুষের আকীদাহ-বিশ্বাস সংশোধনের প্রতি সর্বদা আহ্বান জানিয়েছেন। কেননা নূহ আলাহিস সালামের সময়কাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন মূর্তিপূজা, অগ্নিপূজা, আল্লাহর সাথে বিভিন্ন সত্তার অংশীদার স্থাপন করছিল। তাই নবী-রাসূলগণ তাদের সেসব কর্ম ত্যাগ করে এক আল্লাহ্র ইবাদতে আহ্বান জানিয়েছেন। কুরআনে এসেছে,
﴿ لَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوۡمِهِۦ فَقَالَ يَٰقَوۡمِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَٰهٍ غَيۡرُهُۥٓ إِنِّيٓ أَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ ٥٩ ﴾ [ الاعراف : ٥٩ ]
‘‘অবশ্যই আমরা নূহকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্প্রদায়ের কাছে। অতঃপর তিনি বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ্র ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন সত্য ইলাহ্ নেই। নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর মহাদিনের শাস্তির আশংকা করছি।’’ [.সূরা আল্-আ’রাফ: ৫৯।]
একজন মানুষের জীবনে বিশুদ্ধ আকীদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আকীদার ভিন্নতা দেখা দেয়ায় মুসলিমগণ শী‘আ, সুন্নী প্রভৃতি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আকীদা শুদ্ধ না হলে বিশুদ্ধ ইসলাম জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে মানুষের মাঝে এ বিষয়ের খুবই অভাব রয়েছে। মিডিয়ার সাহায্যে আকীদা সম্বলিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, প্রশ্নোত্তর প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ আকীদা বিশ্বাস জাগ্রত করা সম্ভব।
মানুষ যা সত্য হিসেবে জানে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে সেটা অন্যকে জানানো তার স্বভাবগত বিষয়। কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, এক আল্লাহ্ আছেন, তার ইবাদত করতে হবে, তার সামনে একদিন সকল কার্যক্রমের হিসাব দেয়ার জন্য দাঁড়াতে হবে, তবে সে অনুসারে কাজ করা যে দরকার এ ধরনের বিশ্বাস আকীদার অংশ বিশেষ। ‘হাদীসে জিব্রাইল’-এ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকীদা বলতে ঈমান, ইসলাম, ইহসান প্রভৃতিকে বুঝিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জিব্রাইল আলাইহিস সালাম বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইসলাম হলো: এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয় এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র রাসূল। সালাত কায়েম করা, যাকাত দেয়া, রমজান মাসে সাওম পালন করা, সামর্থ থাকলে হজ্জ করা। তখন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এর প্রশ্ন করা এবং উত্তর সত্যায়ন করাতে আমরা আশ্চার্যান্বিত হলাম। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঈমান হলো আল্লাহ্, ফেরেস্তাগণ, আসমানী গ্রন্থসমূহ, রাসূলগণ, পরকাল দিবস ও তাকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। তারপর জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইহসান হলো, তুমি আল্লাহ্র ইবাদত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো, যদি তুমি তাঁকে নাও দেখ, নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন। [.ইমাম মুসলিম, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু মা‘রিফাতিল ইসলাম, ওয়াল ঈমান ওয়াল ক্বদর, হাদীস নং ১।]
﴿ لَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوۡمِهِۦ فَقَالَ يَٰقَوۡمِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَٰهٍ غَيۡرُهُۥٓ إِنِّيٓ أَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ ٥٩ ﴾ [ الاعراف : ٥٩ ]
‘‘অবশ্যই আমরা নূহকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্প্রদায়ের কাছে। অতঃপর তিনি বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ্র ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন সত্য ইলাহ্ নেই। নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর মহাদিনের শাস্তির আশংকা করছি।’’ [.সূরা আল্-আ’রাফ: ৫৯।]
একজন মানুষের জীবনে বিশুদ্ধ আকীদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আকীদার ভিন্নতা দেখা দেয়ায় মুসলিমগণ শী‘আ, সুন্নী প্রভৃতি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আকীদা শুদ্ধ না হলে বিশুদ্ধ ইসলাম জীবনে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে মানুষের মাঝে এ বিষয়ের খুবই অভাব রয়েছে। মিডিয়ার সাহায্যে আকীদা সম্বলিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, প্রশ্নোত্তর প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ আকীদা বিশ্বাস জাগ্রত করা সম্ভব।
মানুষ যা সত্য হিসেবে জানে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে সেটা অন্যকে জানানো তার স্বভাবগত বিষয়। কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, এক আল্লাহ্ আছেন, তার ইবাদত করতে হবে, তার সামনে একদিন সকল কার্যক্রমের হিসাব দেয়ার জন্য দাঁড়াতে হবে, তবে সে অনুসারে কাজ করা যে দরকার এ ধরনের বিশ্বাস আকীদার অংশ বিশেষ। ‘হাদীসে জিব্রাইল’-এ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকীদা বলতে ঈমান, ইসলাম, ইহসান প্রভৃতিকে বুঝিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জিব্রাইল আলাইহিস সালাম বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইসলাম হলো: এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয় এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র রাসূল। সালাত কায়েম করা, যাকাত দেয়া, রমজান মাসে সাওম পালন করা, সামর্থ থাকলে হজ্জ করা। তখন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এর প্রশ্ন করা এবং উত্তর সত্যায়ন করাতে আমরা আশ্চার্যান্বিত হলাম। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঈমান হলো আল্লাহ্, ফেরেস্তাগণ, আসমানী গ্রন্থসমূহ, রাসূলগণ, পরকাল দিবস ও তাকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। তারপর জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইহসান হলো, তুমি আল্লাহ্র ইবাদত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো, যদি তুমি তাঁকে নাও দেখ, নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন। [.ইমাম মুসলিম, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু মা‘রিফাতিল ইসলাম, ওয়াল ঈমান ওয়াল ক্বদর, হাদীস নং ১।]
মানবজাতিকে আলোর দিশা দিতে গাইডবুক হিসেবে যে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ তার নাম হলো আল-কুরআন। এটি এক ঐশী গ্রন্থ, যা সময় ও যুগের চাহিদার আলোকে সুদীর্ঘ তেইশ বছর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর নাযিল হয়েছে। এতে মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির সব উপায় বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্ বলেন,
﴿ وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ تِبۡيَٰنٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ٨٩ ﴾ [ النحل : ٨٩ ]
‘‘আর আমরা আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।’’ [.সূরা আন্-নাহল : ৮৯।]
এ ঐশী বাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব মহান আল্লাহ্ নিজেই নিয়েছেন। এর প্রতিটি হরফ অধ্যয়নে রয়েছে অসংখ্য সওয়াব। এর শিক্ষা মানব জীবনে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ শিক্ষা প্রসারের গুরুত্ব দিতে গিয়ে বলেছেন,
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ القُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
‘‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’’ [.ইমাম বুখারী, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু খাইরুকুম মান তা‘আল্লামাল কুরআনা ওয়া‘আল্লাহ্ হাদীস নং ৫০২১।]
মহান আল্লাহ্ মানুষকে এ ঐশী গ্রন্থ শিক্ষা দিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসংখ্য সাহাবী তাদের বক্ষে কুরআনের বাণী সংরক্ষণ করেছিলেন। আল্লাহ্ বলেন,
﴿ ٱلرَّحۡمَٰنُ ١ عَلَّمَ ٱلۡقُرۡءَانَ ٢ ﴾ [ الرحمن : ١، ٢ ]
‘‘আর-রাহমান। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।’’ [.সূরা আর-রাহমান : ১, ২।]
মিডিয়ায় কুরআনের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে কুরআন শিক্ষার জন্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে। যার মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি দর্শক স্বল্প সময়ে তা আয়ত্ব করতে সক্ষম হয়। সাধারণ মিডিয়ায় এ ধরনের কার্যক্রম করতে দেখা যায় না বিধায় ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
﴿ وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ تِبۡيَٰنٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ٨٩ ﴾ [ النحل : ٨٩ ]
‘‘আর আমরা আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।’’ [.সূরা আন্-নাহল : ৮৯।]
এ ঐশী বাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব মহান আল্লাহ্ নিজেই নিয়েছেন। এর প্রতিটি হরফ অধ্যয়নে রয়েছে অসংখ্য সওয়াব। এর শিক্ষা মানব জীবনে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ শিক্ষা প্রসারের গুরুত্ব দিতে গিয়ে বলেছেন,
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ القُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
‘‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’’ [.ইমাম বুখারী, সহীহ, প্রাগুক্ত, বাবু খাইরুকুম মান তা‘আল্লামাল কুরআনা ওয়া‘আল্লাহ্ হাদীস নং ৫০২১।]
মহান আল্লাহ্ মানুষকে এ ঐশী গ্রন্থ শিক্ষা দিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসংখ্য সাহাবী তাদের বক্ষে কুরআনের বাণী সংরক্ষণ করেছিলেন। আল্লাহ্ বলেন,
﴿ ٱلرَّحۡمَٰنُ ١ عَلَّمَ ٱلۡقُرۡءَانَ ٢ ﴾ [ الرحمن : ١، ٢ ]
‘‘আর-রাহমান। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।’’ [.সূরা আর-রাহমান : ১, ২।]
মিডিয়ায় কুরআনের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে কুরআন শিক্ষার জন্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে। যার মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি দর্শক স্বল্প সময়ে তা আয়ত্ব করতে সক্ষম হয়। সাধারণ মিডিয়ায় এ ধরনের কার্যক্রম করতে দেখা যায় না বিধায় ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
সংস্কৃতি মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ। যা মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলে। অতএব মানুষ সঠিক শিক্ষা লাভ করতে হলে সংস্কৃতির দ্বারস্থ হতে হয়। ইসলামের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে যা ইসলামী আকীদা সম্বলিত মানব কল্যাণে নিয়োজিত।
আল্লাহ্ তা‘আলা প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরব দেশে এমন এক সময়ে পাঠিয়েছিলেন, যখন সাহিত্য সংস্কৃতিতে তারা ছিল অগ্রসর। তাই তাঁর উপর নাযিলকৃত মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উন্নত সাহিত্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মানুষের সাংস্কৃতিক জীবন কিভাবে পরিচালিত হবে, সে সম্পর্কে কুরআনে রয়েছে দিক-নির্দেশনা। ইসলামী শরী‘আহকে উপেক্ষা না করে যে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চালু হয়, তাই ইসলামী সাহিত্য ও সংস্কৃতি।
ইসলামী মিডিয়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে অত্যমত্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ মিডিয়ায় একটি বড় সময় জুড়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে যদি মিডিয়াতে বিশাল ইসলামী সাহিত্য ভান্ডার থেকে চর্চা করা হয়, তবে মানুষ সঠিক পথের দিশা পাবে। অনুরূপভাবে ইসলামী সংস্কৃতি সম্পর্কেও মানুষ জানতে পারবে। জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে সংস্কৃতির অনুশীলন করবে। আমাদের দেশে জন্মদিন, খৎনা অনুষ্ঠান, মৃত্যুদিবস, দু‘আ অনুষ্ঠান ইত্যাদি ইসলামী সংস্কৃতি হিসেবে মনে করা হয়। অথচ এসব বিষয়ে ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট বিধান, যা অনেকাংশে শরী‘আহ সম্মত নয়।
আল্লাহ্ তা‘আলা প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরব দেশে এমন এক সময়ে পাঠিয়েছিলেন, যখন সাহিত্য সংস্কৃতিতে তারা ছিল অগ্রসর। তাই তাঁর উপর নাযিলকৃত মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উন্নত সাহিত্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মানুষের সাংস্কৃতিক জীবন কিভাবে পরিচালিত হবে, সে সম্পর্কে কুরআনে রয়েছে দিক-নির্দেশনা। ইসলামী শরী‘আহকে উপেক্ষা না করে যে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চালু হয়, তাই ইসলামী সাহিত্য ও সংস্কৃতি।
ইসলামী মিডিয়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে অত্যমত্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ মিডিয়ায় একটি বড় সময় জুড়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে যদি মিডিয়াতে বিশাল ইসলামী সাহিত্য ভান্ডার থেকে চর্চা করা হয়, তবে মানুষ সঠিক পথের দিশা পাবে। অনুরূপভাবে ইসলামী সংস্কৃতি সম্পর্কেও মানুষ জানতে পারবে। জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে সংস্কৃতির অনুশীলন করবে। আমাদের দেশে জন্মদিন, খৎনা অনুষ্ঠান, মৃত্যুদিবস, দু‘আ অনুষ্ঠান ইত্যাদি ইসলামী সংস্কৃতি হিসেবে মনে করা হয়। অথচ এসব বিষয়ে ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট বিধান, যা অনেকাংশে শরী‘আহ সম্মত নয়।
আজকাল যুবক শ্রেণীর নিকট মিডিয়া অন্যতম রসদ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। ঘরে-বাইরে এমনকি সফরেও তারা মিডিয়ার সাহায্যে বিনোদন করে থাকে। বিভিন্ন খেলাধুলা, কৌতুক অভিনয়, সঙ্গীত যা দেশপ্রেম, আল্লাহ ও তাঁর নবীর ভালবাসায় উদ্বুদ্ধ করে এমন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ইসলামী মিডিয়ায় প্রচারিত হয়ে থাকে। ইসলাম অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে নিষেধ করে। ফলে বিনোদনের ক্ষেত্রে এসব পরিহার করতে হবে এবং সুস্থ আমোদ-প্রমোদ জাতিকে উপহার দিতে ইসলামী মিডিয়া ভূমিকা রাখতে পারে।
ইসলামের সকল কার্যক্রম মানব কল্যাণে নিয়োজিত। কল্যাণকর সব কিছু ইসলাম মানুষের জন্য বৈধ করেছে। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ বিদ্যমান রয়েছে। কেউ ধনী, কেউ গরীব, আবার কেউ প্রতিবন্ধী, কেউবা সুবিধাবঞ্চিত, কেউ এতিম, কেউবা নারী, কেউবা অভাবগ্রস্ত প্রমুখের কল্যাণ সাধন করেছে ইসলাম। মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ইসলাম এতই গুরুত্ব দিয়েছে যে, এটাকে ফরয সাব্যস্ত করেছে। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿ فََٔاتِ ذَا ٱلۡقُرۡبَىٰ حَقَّهُۥ وَٱلۡمِسۡكِينَ وَٱبۡنَ ٱلسَّبِيلِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ لِّلَّذِينَ يُرِيدُونَ وَجۡهَ ٱللَّهِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٣٨ ﴾ [ الروم : ٣٨ ]
‘‘অতএব আত্মীয়কে দাও তার হক এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। যারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি কামনা করে তাদের জন্য এটা উত্তম এবং তারাই তো সফলকাম।’’ [.সূরা আর্-রূম : ৩৮।]
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,
﴿ ۞وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخۡتَالٗا فَخُورًا ٣٦ ﴾ [ النساء : ٣٦ ]
‘‘আর তোমরা আল্লাহ্র ইবাদাত কর ও কোন কিছুকে তাঁর শরীক করো না; এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর-প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পছন্দ করেন না দাম্ভিক, অহংকারীকে।’’ [.সূরা আন-নিসা : ৩৬।]
অন্য আয়াতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সরাসরি নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে:
﴿ ۞إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ وَإِيتَآيِٕ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَيَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡبَغۡيِۚ يَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٩٠ ﴾ [ النحل : ٩٠ ] [.সূরা আন-নাহল : ৯০।]
‘‘নিশ্চয় আল্লাহ্ আদল -ন্যায়পরায়ণতা, ইহসান -সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন; তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।’’
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَيْرُ النَّاسِ أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ»
“মানুষের মধ্যে সেই উত্তম যে মানুষের কল্যাণ করে [ত্বাবরানী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, নং ৫৭৮৭।]।”
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃখী ও অভাবী মানুষের সাহায্যার্থে সর্বদা এগিয়ে আসতেন। নিজেকে নিবেদিত করতেন।
কুরআনের অন্যত্র যাকাত আদায় করে গরীবদের মাঝে বিতরণের জন্য মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿ وَفِيٓ أَمۡوَٰلِهِمۡ حَقّٞ لِّلسَّآئِلِ وَٱلۡمَحۡرُومِ ١٩ ﴾ [ الذاريات : ١٩ ]
‘‘আর তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে ঝাঞ্চাকারী ও বঞ্চিতের হক।’’ [. সূরা আয-যারিয়াত : ১৯।]
অন্যত্র এসেছে,
﴿ خُذۡ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡ صَدَقَةٗ تُطَهِّرُهُمۡ وَتُزَكِّيهِم بِهَا ١٠٣ ﴾ [ التوبة : ١٠٣ ]
‘‘আপনি তাদের সম্পদ থেকে ‘সদকা’ গ্রহণ করুন। এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন।’’ [. সূরা আন-নাহল : ১০৩।]
মিডিয়া মানুষের মাঝে এ মহতি কাজ তথা মানব কল্যাণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য উৎসাহ যোগাতে পারে। এছাড়াও যাকাতের জন্য ফান্ড গঠন করে গরীব-অসহায়দের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে পারে। মানব কল্যাণের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা, লেখনী ও বাস্তব প্রামাণ্য চিত্র প্রচার করতে পারে।
﴿ فََٔاتِ ذَا ٱلۡقُرۡبَىٰ حَقَّهُۥ وَٱلۡمِسۡكِينَ وَٱبۡنَ ٱلسَّبِيلِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ لِّلَّذِينَ يُرِيدُونَ وَجۡهَ ٱللَّهِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٣٨ ﴾ [ الروم : ٣٨ ]
‘‘অতএব আত্মীয়কে দাও তার হক এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। যারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি কামনা করে তাদের জন্য এটা উত্তম এবং তারাই তো সফলকাম।’’ [.সূরা আর্-রূম : ৩৮।]
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,
﴿ ۞وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخۡتَالٗا فَخُورًا ٣٦ ﴾ [ النساء : ٣٦ ]
‘‘আর তোমরা আল্লাহ্র ইবাদাত কর ও কোন কিছুকে তাঁর শরীক করো না; এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর-প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পছন্দ করেন না দাম্ভিক, অহংকারীকে।’’ [.সূরা আন-নিসা : ৩৬।]
অন্য আয়াতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সরাসরি নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে:
﴿ ۞إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ وَإِيتَآيِٕ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَيَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡبَغۡيِۚ يَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٩٠ ﴾ [ النحل : ٩٠ ] [.সূরা আন-নাহল : ৯০।]
‘‘নিশ্চয় আল্লাহ্ আদল -ন্যায়পরায়ণতা, ইহসান -সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন; তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।’’
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَيْرُ النَّاسِ أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ»
“মানুষের মধ্যে সেই উত্তম যে মানুষের কল্যাণ করে [ত্বাবরানী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, নং ৫৭৮৭।]।”
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃখী ও অভাবী মানুষের সাহায্যার্থে সর্বদা এগিয়ে আসতেন। নিজেকে নিবেদিত করতেন।
কুরআনের অন্যত্র যাকাত আদায় করে গরীবদের মাঝে বিতরণের জন্য মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿ وَفِيٓ أَمۡوَٰلِهِمۡ حَقّٞ لِّلسَّآئِلِ وَٱلۡمَحۡرُومِ ١٩ ﴾ [ الذاريات : ١٩ ]
‘‘আর তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে ঝাঞ্চাকারী ও বঞ্চিতের হক।’’ [. সূরা আয-যারিয়াত : ১৯।]
অন্যত্র এসেছে,
﴿ خُذۡ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡ صَدَقَةٗ تُطَهِّرُهُمۡ وَتُزَكِّيهِم بِهَا ١٠٣ ﴾ [ التوبة : ١٠٣ ]
‘‘আপনি তাদের সম্পদ থেকে ‘সদকা’ গ্রহণ করুন। এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন।’’ [. সূরা আন-নাহল : ১০৩।]
মিডিয়া মানুষের মাঝে এ মহতি কাজ তথা মানব কল্যাণে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য উৎসাহ যোগাতে পারে। এছাড়াও যাকাতের জন্য ফান্ড গঠন করে গরীব-অসহায়দের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে পারে। মানব কল্যাণের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা, লেখনী ও বাস্তব প্রামাণ্য চিত্র প্রচার করতে পারে।
মুসলিম এক শ্রেষ্ঠ উম্মাহ। এদের আল্লাহ এক, রাসূল এক, আসমানী গ্রন্থ একটি, সে হিসেবে দীনের নাম ইসলাম। মানুষের মাঝে কোনো ভেদাভেদ নেই। শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি তাকওয়া। দেশ থেকে দেশান্তরে মুসলিমগণ বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত থাকলেও তাদের ভাষা ভিন্ন ভিন্ন হলেও মূলসূত্রে তাদের মাঝে ঐক্য বন্ধন স্থাপনে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿ وَٱعۡتَصِمُواْ بِحَبۡلِ ٱللَّهِ جَمِيعٗا وَلَا تَفَرَّقُواْۚ وَٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ إِذۡ كُنتُمۡ أَعۡدَآءٗ فَأَلَّفَ بَيۡنَ قُلُوبِكُمۡ فَأَصۡبَحۡتُم بِنِعۡمَتِهِۦٓ إِخۡوَٰنٗا ١٠٣ ﴾ [ ال عمران : ١٠٣ ]
‘‘আর তোমরা সকলে আল্লাহ্র রশি দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর, তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু অতঃপর তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।’’ [.সূরা আলে-ইমরান : ১০৩।]
﴿ وَٱعۡتَصِمُواْ بِحَبۡلِ ٱللَّهِ جَمِيعٗا وَلَا تَفَرَّقُواْۚ وَٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ إِذۡ كُنتُمۡ أَعۡدَآءٗ فَأَلَّفَ بَيۡنَ قُلُوبِكُمۡ فَأَصۡبَحۡتُم بِنِعۡمَتِهِۦٓ إِخۡوَٰنٗا ١٠٣ ﴾ [ ال عمران : ١٠٣ ]
‘‘আর তোমরা সকলে আল্লাহ্র রশি দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর, তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু অতঃপর তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।’’ [.সূরা আলে-ইমরান : ১০৩।]
ইসলাম বিদ্বেষীরা মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে। তারা মিডিয়ার সাহায্যে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে অপ-ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। ফলে মানুষের মাঝে সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। তারা ইসলামকে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ, সেকেলে, মানবাধিকার শূন্য, অচল জীবন ব্যবস্থা হিসেবে প্রচারণা চালায়। ইসলামপন্থীদের মাঝে অর্থের লোভ দেখিয়ে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার নামে বৃত্তি দিয়ে তাদের মগজকে রীতি মত ধোলাই করছে। এমতাবস্থায় তাদের এসব প্রতারণা ও ধোঁকা থেকে মানুষকে বাঁচাতে হলে ইসলামী মিডিয়ার কোনো বিকল্প নেই।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন