hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ ইয়োসরী

১৫
অষ্টম পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্বের প্রতি ঈমানের দলীলসমূহ
আল্লাহ তা‘আলা হলেন চিরন্তন, শাশ্বত ও অনাদি; সুতরাং অস্তিত্বহীনতা তাঁকে পায়নি। তিনি চিরস্থায়ী; সুতরাং ধ্বংস বা বিনাশ তাঁকে স্পর্শ করতে পারবে না। কারণ, আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্বের বিষয়টি সত্তাগত এবং এ ব্যাপারে অনেক দলীল-প্রমাণ রয়েছে, যা সংখ্যায় অগণিত এবং সীমার বেষ্টনের বাইরে; যার সূচনা অণু পরমাণু থেকে এবং যার শেষ হয় না সবচেয়ে বড় ছায়াপথ (Galaxy) এর কাছে গিয়েও, আর এসব দলীল-প্রমাণ বিভিন্ন শ্রেণি ও প্রকারের। যেমন,

দলীল (১) : সরল সঠিক স্বভাব-প্রকৃতি:

কেননা, আল্লাহ সম্পর্কে জানার বিষয়টি হলো সর্বপ্রথম কাজ, স্পষ্টতর স্বীকৃত বিষয় এবং সুপ্রতিষ্ঠিত জরুরি বিষয়।

আর মৌলিকভাবে ঈমান হলো স্বভাবজাত বিষয়, আল্লাহ প্রদত্ত উপহার এবং অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ» .

“প্রত্যেক সন্তান জন্মগ্রহণ করে স্বভাবধর্মের ওপর।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৯২৬] আর তার (ঈমানের) বিস্তারিত বিষয়গুলো নির্ভর করে ওহী ভিত্তিক জ্ঞানের ওপর।

আর আমল ও চিন্তা-গবেষণার দ্বারা ঈমান বৃদ্ধি পায়।

আর রাসূলগণ বান্দাদেরকে শুধু ঐসব বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করেন, যা তাদের স্বভাব-প্রকৃতির মাঝে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে এবং তাদেরকে সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন, যে বিষয়ের ওপর তাদের অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে। আর তারা তাদেরকে আহ্বান করেন তার পরিণাম ও তাৎপর্যের দিকে বিস্তারিত ও পরিপূর্ণভাবে।

দলীল (২) : বিবেকের সুস্পষ্ট নির্দেশনা:

কারণ, বিবেকের স্বতঃস্ফূর্ততা দাবি করে যে, কোনো বস্তুর পক্ষে নিজেকে সৃষ্টি করা অসম্ভব, যেমনিভাবে স্রষ্টা ছাড়া কোনো বস্তুর অস্তিত্ব অসম্ভব। যেমনিভাবে যে কেউ স্বীকার করবে যে, অস্তিত্বহীন বস্তু কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পারে না এবং বস্তুহারা ব্যক্তি তা দিতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَمۡ خُلِقُواْ مِنۡ غَيۡرِ شَيۡءٍ أَمۡ هُمُ ٱلۡخَٰلِقُونَ ٣٥﴾ [ الطور : ٣٥ ]

“তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?” [সূরা আত-তূর, আয়াত: ৩৫]

আর বিবেক-বুদ্ধি দাবি করে যে, প্রত্যেক সৃষ্টিরই একজন স্রষ্টা আছে। আর যেমনিভাবে শিল্প বা কাজ তার শিল্পী বা কারিগরের বৈশিষ্ট্যর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে। তেমনিভাবে নিখুঁত বিশ্বজগতের সৃষ্টি তার স্রষ্টা ও উদ্ভাবকের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে।

দলীল (৩) : বিভিন্ন জাতির ঐকমত্য বা ঐক্যবদ্ধ রায়:

আকীদা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে চরম মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও, কারও কাছ থেকেই আল্লাহর অস্তিত্বকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা তো দূরের কথা, সকল সৃষ্টিকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সৃষ্টি করার ব্যাপারে তাঁর শরীক বা অংশীদার এবং গুণাবলীর ব্যাপারে তাঁর মত কোনো কিছু সাব্যস্তকরণের মতো কোনো একটি বর্ণনাও বর্ণিত হয় নি। আর প্রত্যেক ভাষায় ও প্রতিটি সৃষ্টির মুখেই উচ্চারিত হয় ‘আল্লাহ’ নামটি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَفِي ٱللَّهِ شَكّٞ﴾ [ ابراهيم : ١٠ ]

“আল্লাহ সম্বন্ধে কি কোনো সন্দেহ আছে?” [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ১০]

দলীল (৪) : আল্লাহর দৃশ্যমান নিদর্শনসমূহ:

কারণ, এ সৃষ্টির অস্তিত্ব ও তার অপূর্ব সামঞ্জস্যতা (আল্লাহ অস্তিত্বের) সুস্পষ্ট দলীল, আর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে যথাযথ পরিমাপ ও পরিমাণে নিরূপন করাটা তাঁর অস্তিত্বের উজ্জ্বল প্রমাণ এবং প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে তার গন্তব্যের দিকে পরিচালিত করাটা তাঁর অস্তিত্বের সুস্পষ্ট বিবরণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿سَبِّحِ ٱسۡمَ رَبِّكَ ٱلۡأَعۡلَى ١ ٱلَّذِي خَلَقَ فَسَوَّىٰ ٢ وَٱلَّذِي قَدَّرَ فَهَدَىٰ ٣﴾ [ الاعلا : ١، ٣ ]

“আপনি আপনার সুমহান রবের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন, যিনি সৃষ্টি করেন, অতঃপর সুঠাম করেন। আর যিনি নির্ধারণ করেন, অতঃপর পথনির্দেশ করেন”। [সূরা আল-আ‘লা, আয়াত: ১-৩]

দলীল (৫) : দুঃখিত ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিগণের দো‘আ কবুল করা:

কারণ, মুমিন, কাফির, পুণ্যবান ও পাপিষ্ঠ সকলেই অসহায়দের প্রার্থনা কবুল করার বাস্তব সাক্ষী, যখন অসহায়গণ তাদের আকুতি নিয়ে জগতসমূহের রব আল্লাহ তা‘আলার মুখোমুখি হয়। আর প্রত্যেক ফরিয়াদের ক্ষেত্রেই বহুলভাবে তা কবুল হওয়াটা এ দলীলের জন্য শর্ত নয়। কারণ, অনেক সময় কোনো বিধিবদ্ধ প্রতিবন্ধকতার কারণে অথবা তাৎপর্যপূর্ণ অন্তর্নিহিত কার্যকারণে দো‘আ কবুল করা হয় না।

দলীল (৬) : রাসূলগণের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নিদর্শনসমূহ:

বিশেষ করে দয়াময় রাহমানের অস্তিত্বের প্রমাণস্বরূপ চিরন্তন মু‘জিযা, আর তা হলো আল-কুরআন, যা মুখে তিলাওয়াত (আবৃত্তি) করা হয়, কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা হয় এবং হৃদয়ে হিফয বা সংরক্ষণ করা হয়।

দলীল (৭) : বর্ণনাভিত্তিক বিশুদ্ধ দলীল:

আল্লাহর মতো কিছু আল্লাহকে পরিচয় করিয়ে দেবে না, বরং তিনি তাঁর বান্দাদের নিকট পরিচিত হয়েছেন তাঁর ওহী ও শরী‘আত দ্বারা। আর সকল শরী‘আত এবং সব নবী-রাসূল আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। (যা আল্লাহর অস্তিত্বের পরিচায়ক)

আর আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্বের ব্যাপারে অবিশ্বাস করাটা সৃষ্টিগত স্বভাব ও মেজাযের পরিপন্থী এবং বিবেকের স্বতঃস্ফূর্ততা, বর্ণনাভিত্তিক দলীলের সুস্পষ্টতা ও জাতীয় ঐকমত্য তথা ইজমা‘ বিরোধী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন