hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ ইয়োসরী

১৯
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ: আল্লাহর মহান গুণাবলীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের মূলনীতি
আল্লাহ তা‘আলার সকল গুণাবলী মহান, প্রশংসনীয়, পরিপূর্ণ এবং তাওকীফী বা কুরআন-হাদীস নির্ভর।

আর নামসমূহ থেকে গুণাবলীর বিষয়টি অনেক বেশি প্রশস্ত, আর তার চেয়ে আরও বেশি প্রশস্ত ও ব্যাপক হলো আল্লাহ তা‘আলার নাম ও গুণাবলীর ব্যাপারে কোনো সংবাদ প্রদান। আর আল্লাহ তা‘আলার কর্মসমূহ তার নাম ও গুণ থেকে উত্থিত।

আর আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলী সম্পর্কে কেউ পুরাপুরিভাবে অবহিত নয় এবং তার ব্যাপারে পরিপূর্ণ কোনো হিসাব বা ধারণাও করে শেষ করা যায় না, আর এগুলো শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতর, যা কোনো রকম কমতি বা ঘাটতি দাবি করে না, আর এগুলোর অংশবিশেষের তাফসীর বা ব্যাখ্যা হয় অংশ বিশেষের দ্বারা, যা একরকম হওয়া দাবি করে না।

আর গুণাবলীর মধ্যে কিছুগুণ হ্যাঁ-বাচক বা সাব্যস্তকরণের, আবার কিছুগুণ না-বাচক বা অসাব্যস্তকরণের বা নিষেধসুচক, আর সাব্যস্তকৃত গুণাবলীর মধ্যে কিছু হলো নিজস্ব সত্তাগত এবং কিছু কর্মবাচক, আর এগুলো সবই প্রশংসনীয় ও পরিপূর্ণ।

আর নিজস্ব সত্তাগত গুণাবলী: চিরন্তন ও স্থায়ীভাবে তা সাব্যস্ত। আপন সত্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কল্পনাই করা যায় না এবং তা না থাকাটা এক প্রকার ত্রুটি ও কমতিকে আবশ্যক করে (যা তাঁর জন্য শোভনীয় নয়), আর তা ইচ্ছা অনিচ্ছার সাথেও সম্পর্কিত নয়। কর্মবাচক গুণাবলী এর বিপরীত।

আর সত্তাগত গুণাবলী:

কিছু নীতিগতভাবে সাব্যস্ত (সাধারণভাবে সাব্যস্ত করা যায়) : যেমন, শ্রবণ করা, দেখা, শক্তি, জ্ঞান ইত্যাদি।

আর কিছু হলো তথ্যগত: যেমন, মুখমণ্ডল বা চেহারা, দু’হাত, পা, চক্ষু ইত্যাদি।

আর কর্মবাচক গুণাবলী: যেমন, হাসা, আগমন করা, অবতরণ করা, উপবেশন বা আরোহণ করা ইত্যাদি।

আর নেতিবাচক বা না-সূচক গুণাবলী: যেমন, মৃত্যু, ঘুম, ভুলে যাওয়া, দুর্বলতা বা অক্ষমতা ইত্যাদি।

আর নেতিবাচক গুণাবলীর মধ্যে কোনো প্রকার পরিপূর্ণতা ও প্রশংসার বিষয় নেই, তার বিপরীত গুণাবলী পরিপূর্ণভাবে সাব্যস্ত করা ছাড়া।

আর গুণাবলীর ব্যাপারে ওহীর ধরন বা পদ্ধতি হলো: নেতিবাচকের ক্ষেত্রে সংক্ষেপে এবং ইতিবাচকের ক্ষেত্রে বিস্তারিতভাবে।

আর গুণাবলীর ব্যাপারে কথা বলাটা নামসমূহের ব্যাপারে কথা বলার মতোই, আর গুণাবলীর ব্যাপারে কথা বলাটা আপন সত্তার ব্যাপারে কথা বলার মতোই।

আর কিছু সংখ্যক গুণাবলীর ব্যাপারে যে মতামত ব্যক্ত করা যায়, বাকি গুণাবলীর ব্যাপারেও একই ধরণের মতামত ব্যক্ত করা যায়।

আর (আল্লাহর) নামসমষ্টি ও গুণাবলীর মধ্যে পারস্পরিক যৌথতা নামকরণকৃত ও বিশেষিত বিষয়সমূহের একরকম হওয়াকে জরুরি মনে করে না।

আর যুক্তি সম্বন্ধীয় বিষয়ের মধ্যে এমন কিছু নেই, যা প্রত্যয়ন ও প্রমাণ করার পদ্ধতির বিরোধিতা করে।

আর গুণাবলী সংক্রান্ত ভাষ্যগুলোর ব্যাপারে আবশ্যকীয় কাজ হলো সেগুলোকে তার বাহ্যিক অর্থের ওপর প্রয়োগ করা, যা আল্লাহ তা‘আলার মহত্ব ও মর্যাদার সাথে মানানসই এবং যা সম্বোধন ও বর্ণনার চাহিদার সাথে সুনির্দিষ্ট, আর যা বুঝা যাবে বর্ণনাপ্রসঙ্গ থেকে।

সুতরাং নাম ও গুণাবলী যখন রব-এর প্রতি সম্বন্ধযুক্ত করা হবে, তখন তা তাঁর সাথে সুনির্দিষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং যেমনিভাবে তাঁর জন্য একক সত্তার বিষয়টি সাব্যস্ত হবে, একাধিক সত্তার মতো করে নয়, ঠিক তেমনিভাবে তাঁর সকল নাম ও গুণাবলীও সাব্যস্ত হবে, যার সাথে সৃষ্টির কোনো নাম অথবা গুণের মিল বা তুলনা হবে না।

আর আল্লাহ তা‘আলার জন্য যেমনিভাবে বাস্তবতার নিরিখে একক সত্তা ও কার্যাবলী রয়েছে, ঠিক অনুরূপভাবে বাস্তবিক অর্থেই তাঁর কতগুলো গুণাবলীও রয়েছে।

আর পরবর্তী লোকদের কাছে পরিচিত ‘তাফওয়ীয’ বা ‘নাম ও গুণের অর্থ না করে যেভাবে তা এসেছে সেভাবে ছেড়ে যাওয়া’ এর মাধ্যমে প্রকৃত অর্থ থেকে বিমুখ হওয়া আবশ্যক হয়, আর তাই সেটি নিকৃষ্ট বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত; তবে তার দ্বারা ‘ধরণ’ সম্পর্কিত প্রকৃত জ্ঞান উদ্দেশ্য নেওয়া হয়, তবে তা ভিন্ন কথা।

আর কিবলার অনুসারী দল ও গোষ্ঠীগুলোর মাঝে আল্লাহর গুণাবলীর ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মত মধ্যম পন্থা অবলম্বনকারী। আর তা হলো: তা তুলনাহীনভাবে সাব্যস্তকরণ এবং অর্থশূণ্যতাহীন পবিত্রকরণ। কারণ, প্রত্যেক (আল্লাহর গুণাগুণের সাথে) তুলনাকারী ব্যক্তিই অর্থশূণ্যকারী এবং সে ঐ ব্যক্তির মতো, যে মূর্তিপূজা করে। আর প্রত্যেক অর্থশূণ্যকারী ব্যক্তিই তুলনাকারী এবং সে ঐ ব্যক্তির মত, যে অস্তিত্বহীনের পূজা করে।

আর আল্লাহর গুণাবলীকে অস্বীকার করা কুফুরী এবং সৃষ্টিরাজির সাথে সেগুলোর তুলনা ও উপমা সাব্যস্ত করাটাও কুফুরী।

আর পরবর্তী লোকদের অপব্যাখ্যা ধ্বংসের আলামত; ব্যাখ্যা তো শুধু তখনই গ্রহণ করা হবে যখন প্রকাশ্য অর্থ কুরআন-হাদীসের সকল সকল বর্ণনার পরিপন্থী হবে। সুতরাং তখন সে প্রকাশ্য অর্থের ব্যাখ্যা করা হবে এমন কিছু দ্বারা, যা কুরআন-হাদীসের সে ভাষ্যসমূহের সাথে সামঞ্জস্যবিধান করবে।

আর আল্লাহর গুণাবলীর ব্যাখ্যা করার ওপর নির্ভর করাই মৌলিক পরিপূর্ণ বিদ‘আত, আর তার কোনো কোনোটির ব্যাখ্যা করা জ্ঞানগত ত্রুটি, যা তার প্রবক্তার ওপর নিক্ষিপ্ত হবে এবং যার কারণে তাঁর মর্যাদাকে নষ্ট করা হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন