hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ ইয়োসরী

প্রথম অধ্যায়: মৌলিক নীতিমালা ও তার ভূমিকাসমূহ প্রথম পরিচ্ছেদ: ঈমানের মৌলিক নীতিমালা ও তার ভূমিকাসমূহ
বান্দার ওপর প্রথম আবশ্যকীয় ও বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: যমীন ও আকাশসমূহের রব তথা আল্লাহর তাওহীদ প্রতিষ্ঠা।

আর তাওহীদ হলো, যাবতীয় ইবাদত শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত এবং সাওয়াবের কাজগুলো গ্রহণযোগ্য হওয়ার কারণ।

আর তাওহীদ হলো, নবী ও রাসূলগণের দাওয়াতের মূলকথা এবং সকল মানুষ ও জিন্নকে সৃষ্টি করার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।

ঈমান শাস্ত্রের নামসমূহ ( أسماء علم الإيمان ): মর্যাদা ও মহত্বের কারণে এ (ঈমান) শাস্ত্রের নামের সংখ্যা অনেক এবং তার গুরুত্ব ও মহিমার কারণে তার ‘লকব’ বা উপাধিসমূহ খুবই প্রসিদ্ধ। সুতরাং ‘ঈমান’ ( الإيمان ), ‘আস-সুন্নাহ’ ( السنة ), ‘আত-তাওহীদ’ ( التوحيد ), ‘আল-‘আকিদা’ ( العقيدة ), ‘উসূলুদ দীন’ ( أصول الدين ) ও ‘আশ-শরী‘আহ’ ( الشريعة ), তবে এ শাস্ত্রের ওপর প্রথম যে নামটি ব্যবহৃত হয়েছিল এবং গ্রন্থ রচনা করা হয়েছিল তা হচ্ছে, ‘আল-ফিকহুল আকবার’ ( الفقه الأكبر ), যদিও সবগুলো নামই শরী‘আতসম্মত, প্রশংসিত।

আর এ শাস্ত্রের নাম ‘ইলমুল কালাম’ ( علم الكلام ) ও ‘ফালসাফা/দর্শন’ ( الفلسفة )- ইত্যাদি দেওয়া বিদ‘আত পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে ও নিন্দিত হিসেবে পরিগণিত।

ঈমান শাস্ত্রের সংজ্ঞা ( حَدُّ علمِ الإيمانِ ): هو العلمُ بالأحكام الشرعية الإيمانية المستمدُّ من الأدلةِ المرضيَّةِ، ورد الشبهات وقوادح الأدلة الخلافيَّةِ .

“এটি এমন এক শাস্ত্রের নাম, যার অর্থ হচ্ছে, ঈমান সংক্রান্ত শরী‘আতের বিধিবিধান সম্পর্কে জানা, যা অনুমোদিত দলীলসমূহ থেকে গৃহীত এবং যাবতীয় সন্দেহ-সংশয় দূর করা ও বিতর্কিত দলীলসমূহের অপবাদগুলো খণ্ডন করা।”

ঈমান শাস্ত্রের সম্পর্ক ( نسبة علمِ الإيمانِ ): তাওহীদ শাস্ত্র ( علم التوحيد ) হলো মূল এবং তা ব্যতীত অন্য সব হলো শাখা-প্রশাখা, এ বিদ্যা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অন্যকিছুর মুখাপেক্ষী নয়।

ঈমান শাস্ত্রের বিধান ( حكمُ علمِ الإيمانِ ): তার কিছু বিষয় ফরযে ‘আইন এবং তার কিছু ফরযে কিফায়া।

ফরযে ‘আইন হলো: মোটামুটি দলীলসহ এমন কিছু বিষয় জানা, যার দ্বারা আকিদা-বিশ্বাস শুদ্ধ হয় এবং যার ব্যাপারে সকল মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হবে।

আর ফরযে কিফায়া হলো: এর চেয়ে আরও অধিক বিস্তারিত জানা। যেমন, বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা, দলীল পেশ করা এবং কারণ ব্যাখ্যা করতে জানা, আর একগুঁয়ে অবাধ্য বিরোধীদেরকে মেনে নিতে বাধ্য করতে এবং ভিন্ন মত পোষণকারীদের কণ্ঠরোধ করতে সক্ষম হওয়া।

ঈমান শাস্ত্রের ফযীলত ( فضلُ علمِ الإيمانِ ): ঈমান আনয়ন করা যেমনিভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, তেমনিভাবে ঈমানের ইলমও সর্বশ্রেষ্ঠ ‘ইলম’ (জ্ঞান); সম্পর্ক, বিষয়বস্তু, জ্ঞাতবিষয় এবং উৎসের দিক থেকে।

ঈমান শাস্ত্রের সম্পর্ক ( متعلق علمِ الإيمانِ ): ঈমান শাস্ত্রের সম্পর্ক হলো: আল্লাহর সাথে, যিনি চিরঞ্জীব, চিরন্তন, মহান, এককভাবে মহত্বপূর্ণ গুণাবলীর অধিকারী এবং সুন্দর ও পরিপূর্ণতার সকল গুণের একচেটিয়া মালিক।

ঈমান শাস্ত্রের বিষয়বস্তু ( موضوعُ علمِ الإيمانِ ): ঈমান শাস্ত্রের বিষয়বস্তু হলো সৃষ্টিজগতের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠাংশ নবী ও রাসূলগণ। তাদের জন্য যা সাব্যস্ত করা বাধ্যতামূলক, যা বৈধ ও যা নিষিদ্ধ। আর তাদের রিসালতসমূহ; মুকাল্লাফ বা শরী‘আত পালনে আদিষ্টদের ওপর যা বিশ্বাস করা ওয়াজিব।

ঈমান শাস্ত্রের সুবিদিত বিষয় ( معلوم علمِ الإيمانِ ): ঈমান শাস্ত্রের সুবিদিত ও সুনির্দিষ্ট বিষয় হলো আকিদা-বিশ্বাস বিষয়ক মাসআলাসমূহের সাথে সম্পর্কিত আহকাম ও বিধিবিধানসমূহ।

ঈমান শাস্ত্রের উৎসমূল ( استمدادُ علمِ الإيمانِ ): ঈমান শাস্ত্রের উৎস হলো; সঠিক প্রকৃতি বা স্বভাব, বিশুদ্ধ দলীল, পূর্ববর্তীদের সাথে আসা গ্রহণযোগ্য ইজমা‘ এবং সুস্পষ্ট যুক্তি।

ঈমান শাস্ত্রের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ( غاية علمِ الإيمانِ ):

মুকাল্লাফ বা শরী‘আত পালনে আদিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দিক থেকে:

আকীদা-বিশ্বাসকে শুদ্ধ করা, ইবাদতকে এক আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা, ঈমানে মুজমালের (সংক্ষিপ্ত ঈমানের) স্তর থেকে ঈমানে মুফাস্সালের (বিস্তারিত ঈমানের) স্তরে এবং অন্ধ অনুকরণ করার অবস্থা থেকে দৃঢ় বিশ্বাস ও অনুগত্যের অবস্থায় উন্নতি লাভ করা, দলীল ও যুক্তি-প্রমাণকে বিশ্বাস ও সমর্থন করা, বক্ষ খুলে যাওয়া এবং চিন্তা-ভাবনা স্থিতিশীল হওয়া, অন্তরের কাজগুলো নিশ্চিত করা, রবের পছন্দ মতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো চালিত হওয়া, দুনিয়াতে বিদ‘আত ও সন্দেহ-সংশয় থেকে মুক্তি লাভ করা, পরকালে জাহান্নামে স্থায়ীভাবে অবস্থান করা থেকে নাজাত পাওয়া এবং জান্নাতে প্রবেশ করা।

আর মুসলিমগণের সমাজের দিক বিবেচনায়:

পবিত্র জীবন, বিরামহীন বরকত, সভ্যতা-সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নতি, সমাজের নিরাপত্তা, মুমিনগণের খিলাফত এবং এ দীনের ক্ষমতায়ন।

আর ঈমান শাস্ত্র ও ইসলামের বিদ্যাসমূহের বিবেচনায়:

সাধারণত কোনো বিদ্যা যথার্থভাবে সংরক্ষণ করতে হলে প্রয়োজন হয় সে বিদ্যার মূলনীতিগুলো সংরক্ষণ এবং তার মূলনীতি ও বিষয়গুলো অনুধাবন।

আরও উদ্দেশ্য হচ্ছে, পথনির্দেশপ্রার্থীগণকে সুপথে পরিচালিত করার ব্যাপারে সক্ষমতা অর্জন করা, আগ্রহীজনদেরকে শিক্ষা দান করা, সীমালঙ্ঘনকারীদের বিকৃতি ও অপব্যাখ্যাকে নিষেধ করা, বাতিলদের মতাদর্শ ও অজ্ঞদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণকে প্রত্যাখ্যান করা এবং বিরোধীগণের বিপক্ষে যুক্তি-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করা। আর এর মধ্যেই রয়েছে দীন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।

ঈমান শাস্ত্রের প্রবর্তক ( واضعُ علمِ الإيمانِ ):

ঈমান শাস্ত্রের প্রবর্তক ও রূপকার হলেন ন্যায়পরায়ণ নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত বিশিষ্ট ইমামগণ। যেমন, অনুসরণীয় বিশিষ্ট চার ইমাম এবং পূর্ববর্তী সৎব্যক্তিগণের মধ্যে যারা তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন