মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তৃতীয় পরিচ্ছেদ: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ও তাদের বৈশিষ্ট্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/20/6
আর শ্রেষ্ঠ মুসলিম হলেন ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’, আর তারা হলেন সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম এবং সকল যুগে ও স্থানে যে বা যারা তাদেরকে যথাযথভাবে অনুসরণ করে।
আর তারা হলেন সৎকর্মশীল পূর্বপুরুষ, অনুসরণকারী ও পদাঙ্ক মান্যকারী এবং হাদীস ও সুন্নাহ’র অনুসারী, আর (জাহান্নাম থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত সম্প্রদায় এবং (আল্লাহর পক্ষ থেকে) সাহায্যপ্রাপ্ত গোষ্ঠী; তাদের নামসমূহ সম্মানজনক এবং তাদের সম্পর্কও অভিজাত।
আর এমন প্রত্যেক ব্যক্তিই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত, যিনি আল্লাহকে ‘রব’ বলে মেনে নিয়েছেন, ইসলামকে দীন (জীবনবিধান) হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী ও রাসূল হিসেবে মেনে নিয়েছেন, আর সাথে সাথে তিনি সামগ্রিকভাবে ইসলাম পালন করেন, তার বিধিবিধানকে অনুগত হয়ে ও বিনিতভাবে মেনে চলেন এবং তিনি সকল বিদ‘আতপন্থী মাযহাব ও দল থেকে মুক্ত থাকেন।
আর এটা শামিল করে মুসলিম জাতির অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গকে, যারা সামগ্রিক বিষয়ে সুন্নাহ’র পরিপন্থী কোনো কাজ করে না, বিদ‘আতী পতাকার তলে অবস্থান করে না এবং কোনো অগ্রহণযোগ্য গোষ্ঠীর পাল্লা ভারী করে না।
আর তারা হলেন উম্মাতের সকল গোষ্ঠী ও দলের মধ্যে মধ্যপন্থী সম্প্রদায়।
আর তারা কোনো স্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, তবে কোনো সময়ই তাদের থেকে মুক্ত নয়।
আর আকিদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম যার ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, তারা সে গণ্ডী থেকে বের হন না।
তারা আল-কুরআনের প্রতি যত্নবান এবং শ্রেষ্ঠ মানুষ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের সংরক্ষণকারী।
আর তারা আনুগত্যের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ এবং বিভেদ ও বিদ‘আত বর্জনকারী।
আর তারা ‘হক’ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে পরস্পর বন্ধু হন এবং ‘হক’ ও ন্যায়ের ভিত্তিতেই তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়, আর ন্যায়ের ভিত্তিতেই তারা বিচার ফয়সালা করেন।
তাদের জীবন-চরিত সবসময় সুন্দর; যেমনিভাবে তাদের আকিদা-বিশ্বাস দৃঢ় মজবুত এবং তাদের শরী‘আত হলো সরল সঠিক শরী‘আত।
তাদের চরিত্র হলো কাণ্ডারী জাতীয়, কর্মপন্থা হলো শ্রেষ্ঠ এবং তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ হলো ঈমানী।
শিক্ষাদান ও চালচলনের ক্ষেত্রে তারা মা‘সূম (নিষ্পাপ) নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের বিপরীত কাজ করেন না। কারণ, তারা তাঁর শিক্ষায় সুশিক্ষিত হন, তাঁর সুন্নাতের ওপর আমল করেন এবং তাঁর সুন্নাত থেকে তারা বিচ্যুত হন না।
তারা শিক্ষাদান করেন, প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, সৎকাজের নির্দেশ দেন, অসৎ কাজে নিষেধ করেন, আল্লাহ তা‘আলার দিকে ডাকেন, তাঁর পথ প্রদর্শন করেন এবং তাঁর পথেই জিহাদ (সংগ্রাম) করেন।
তাদের একটা গোষ্ঠী সবসময় যুক্তি-প্রমাণ ও বক্তৃতা-বিবৃতি দ্বারা, হাত ও মুখ দ্বারা প্রকাশ্যভাবে বিজয়ী বেশে সংগ্রামে ব্যস্ত থাকেন, যে ব্যক্তি সে গোষ্ঠীকে অপদস্থ করতে বা তার বিরোধিতা করতে চায়, সে কিয়ামত পর্যন্ত তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ সকলের জন্য আদর্শ নমুনা, তাদের ইমাম বা নেতাগণ দিশাহারাদের জন্য মিনার, আলোকস্তম্ভ বা বাতিঘর এবং গোটা মানবজাতির জন্য আল্লাহর দলীল প্রমাণস্বরূপ।
আর মর্যাদার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন মানের, আর অধিক মর্যাদার ওপর ভিত্তি করে বলা যাবে না যে, তাদের মাঝে নিষ্পাপ কেউ আছেন, একমাত্র নিষ্পাপ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া।
তারা শরী‘আতের মানদণ্ডে বিচার-ফয়সালা করেন এবং একে অপরকে দীন প্রতিষ্ঠার উপদেশ দেন। ফলে তারা নিষেধ করেন বেশি নমনীয় ও চরম একগুঁয়ে হওয়া থেকে এবং নিষেধ করেন দায়িত্বহীনতা, হঠকারিতা, অপারগতা ও ভেঙ্গে পড়া থেকে।
তারা আল্লাহ তা‘আলার নিকট নিরাপত্তা চান এবং বিপদ মুসিবতের ইচ্ছাকৃত সম্মুখীন হন না। কিন্তু যখন তাদের প্রতি আল্লাহর ফায়সালা আপতিত হয়, তখন তারা সত্যিকার পুরুষে পরিণত হোন, দৃঢ়পদ থাকেন, অন্যদেরকে দৃঢ় পদ রাখেন।
তারা অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত থাকেন এবং কোনো ভালো ও কল্যাণকর প্রসঙ্গ ছাড়া জনগণের সাথে মেলামেশা করেন না।
তাদের অন্তর পরিষ্কার, আর তারা তাকিয়্যা (মনের কথা গোপন করে বাইরে ভিন্ন কিছু প্রকাশ করার) নীতি হিসেবে কথা বলে জনগণকে ঠকানোর চেষ্টা করে না, মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার করেন, তবে তাদেরকে তোষামোদ করে ঠকায় না।
যে ব্যক্তি তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তারা তার সাথে স্থাপন করেন, আর যারা তাদেরকে কিছু দিতে নিষেধ করে তারা তাকে দান করেন, আর তারা তাকে ক্ষমা করে দেন, যে তাদের প্রতি যুলুম করে।
তারা মানুষের (চরিত্র ও কর্মের) উৎকৃষ্ট অংশ গ্রহণ করেন, (অথবা ক্ষমা করেন) সৎকাজের নির্দেশ দেন (অথবা প্রচলিত নিয়মানুযায়ী নির্দেশনা প্রদান করেন) এবং অজ্ঞদেরকে এড়িয়ে চলেন।
তারা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন করেন এবং তাদের প্রতিপালকের ওপরই ভরসা করেন।
তারা আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসায় প্রসিদ্ধি লাভ করেন. আর আল্লাহর ভয়ে শঙ্কিত হন, আর হাসি-তামাসা ও দুনিয়া নিয়ে আনন্দ উল্লাস কম করার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হন।
তারা জামা‘আতে সালাত আদায় করার ব্যাপারে আগ্রহী থাকেন এবং সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও আনুগত্যের ব্যাপারে নিরবিচ্ছন্ন ও নিয়মিত।
তারা রাত্রি জাগরণ তথা রাতের বেলায় নফল সালাত আদায়ের মাধ্যমে সম্মান লাভ করেন, আর অন্তরের ভীতি, চোখের অশ্রু বিসর্জন এবং বেশি বেশি সাওম পালন ও যিকির করার কারণে তারা প্রসিদ্ধি লাভ করেন ও সুপরিচিত হন, আর যখন তাদের প্রতি তাকানো হয়, তখন আল্লাহর কথা স্মরণ হয়।
তারা তাদের জিহ্বাকে সংযত রাখেন। তারা লম্বা সময় ধরে নীরব থাকেন, কম কথা বলেন এবং কথা বলার ক্ষেত্রে বিজ্ঞতার পরিচয় দেন।
তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ করেন, তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো হিফাযত করেন এবং তাদের আমলের ক্ষেত্রে তাদেরকে সঠিক বিষয়টি ইলহাম করা হয়।
তারা উদারতার সাথে দান-সাদকা করেন এবং তারা মুক্তহস্তে দান করেন।
তারা সুসময়ে (আল্লাহর) শুকরিয়া আদায় করেন এবং দুঃসময়ে ধৈর্যধারণ করেন, আর বালা-মুসিবত নাযিলের সময় প্রার্থনা ও মিনতি প্রকাশ করেন।
তারা বিপদ ও প্রতিকূলতার সময় আশার আলো দেখেন এবং সমৃদ্ধি ও স্বাচ্ছন্দ্যের সময় তাদের ওপর ভয় ও আতঙ্ক প্রাধান্য বিস্তার করে।
তারা বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করেন, আর পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল আল্লাহর নিকট নিজেদের পেশ করার জন্য সদা প্রস্তুত থাকেন।
তারা ইখলাস তথা নিষ্ঠার সাথে আমল করেন, লোক দেখানো আমল করা থেকে দূরে থাকেন এবং সে ব্যাপারে সতর্ক করেন, আর প্রতি মুহূর্তে তারা তাদের অন্তরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদারক করেন।
মোটকথা, তাদের মধ্যে ভালো ও উত্তম বিষয়টি প্রাধান্য পায়, যেমনিভাবে খারাপ ও মন্দ বিষয়টি তাদের বিরোধীদের মাঝে প্রাধান্য পায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/20/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।